কুরআনের সৈনিক আল্লামা সাঈদী একদিন বিজয়ীর বেশে মুক্ত হবেন। ইনশা'আল্লাহ
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২১ মে, ২০১৩, ১২:১৭:৪১ দুপুর
দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা উঠে গেছে। বিচারকগণ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে জনগণের কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতেই হবে। ট্রাইব্যুনালর সামনে থেকে মাওলানা সাঈদীর সাফাই সাক্ষী বালীকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে দেশের বিচার ব্যবস্থায় কালিমা লেপন করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক সাক্ষী সুখ রন্জন বালি অপহরণের পর তিনি কীভাবে প্রতিবেশী দেশের কারাগারে গেলেন তার যথোপযুক্ত ব্যাখ্যা সরকার পক্ষকেই দিতে হবে। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই
বিশ্ববরেণ্য মোফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছে। কিন্তু সরকারের ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না বরং কুরআনের সৈনিক আল্লামা সাঈদী একদিন বিজয়ীর বেশে মুক্ত হবেন।
আওয়ামী লীগ জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তিকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দেশে যে দুঃশাসন চলছে তাতে যেকোন মুহূর্তে মহাদুর্যোগ নেমে আসতে পারে।
সরকার দেশ থেকে ইসলামী শক্তি ও আলেম-উলামাদের নির্মূল করে পশ্চিমা শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা লাভের জন্যই জঙ্গিবাদের কল্পকাহিনী প্রচার করছে। তারা ঘুমন্ত আলেম-উলামাদের উপর গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে মানুষ হত্যা করেছে।
সরকার যদি মনে করে থাকে যে কিছু সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষকে হত্যা করে ইসলামের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করেছে তাহলে তারা এখনো বেকুবের স্বর্গে বাস করছে। মূলত রক্তের সিঁড়ি বেয়েই বিজয়ে রাজপথ তৈরি হবে।
দেশের অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ হাসিনাকে সরকার প্রধান রেখে অন্তবর্তী সরকারের কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোন নির্বাচনে বিরোধী দল অংশগ্রহণ করবে না এবং সে নির্বাচন হতেও দেয়া হবে না। আর যদি শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী থাকতে চান তাহলে তাকে নির্বাহী ক্ষমতা ছেড়ে ক্ষমতাহীন থাকতে হবে।
আর এজন্য সংবিধান সংশোধন করা জরুরি। সরকারকে সময় থাকতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।অন্যথায় সরকারকে এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের দুঃশাসন শুধু গণতন্ত্রের জন্য হুমকি নয় বরং তা গণমানুষের মৌলিক অধিকারের জন্যও হুমকিস্বরূপ। আদালত প্রাঙ্গন থেকে সাক্ষী সুখ রন্জন বালী অপহরণের ঘটনা দেশের জনগণ ও আমাদের সকলের জন্য উদ্বেগজনক।
বিভিন্ন মহল থেকে তার প্রাণরক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থাও এখন মারাত্মক প্রশ্নের সম্মুখীন। দেশের আলেম-উলামা ও ইসলামী শক্তির উত্থান প্রগতির অন্তরায় নয়।
দেশের উন্নয়ন কাজে তারা কখনোই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেননি। সরকার যদি তাদের উপর আঘাত করে তাহলে তার পরিণাম মোটেই ভাল হবে না। বরং তারা দেশের আইন শৃংকলার উন্নতি কামনা করছে।
এখন দেশে গণতন্ত্রের নামে বাকশাল ও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের নামে আওয়ামী ট্রাইব্যুনালে দেশ বরেণ্য ব্যাক্তিদের বিচারের নামে প্রহসন করা হচ্ছে। আল্লামা সাঈদীর বিরু্দ্ধে দণ্ডাদেশের পর পিরোজপুরে জনতার যুদ্ধ দেখেছি।
সেখানে সাধারণ মানুষকে মুক্তিযোদ্ধা আর আইনশৃংখলা বাহিনীকে পাক হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় দেখা গেছে। তাই জনতার এই জীবনপণ যুদ্ধ কখনোই বৃথা যেতে পারে না।
আল্লামা সাঈদী রাজাকার ছিলেন না। তিনি একজন বিশ্ববরেণ্য মোফাসসিরে কুরআন। তাই তার অসম্মানজনক মৃত্যু কখনোই হতে পারে না দেশের জনগণ তা কখনো হতে দিবেনা। জালিম সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে তিনি অবশ্যই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
দেশে জালিমশাহীর শাসন চলছে। বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা সাঈদীর উপর বিচারের নামে জুলুম করা হয়েছে। এ জন্য দেশের মানুষ আল্লামা সাঈদী সাহেবকে মুক্ত দেখতে চায়। এবং তিনি মুক্ত হবেনই ইনশা'আল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন