আমাদের জাতির গৌরব আমাদের সেনাবাহীনি
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৭:০৭:২০ সন্ধ্যা
আল্ হামদু লিল্লাহ! আল্লাহর দরবারে লাখো শোখর আদায় করছি তিনি যে আমাদেরকে বাংলাদেশের মাটিতেই জন্ম দিয়েছেন। আমাদের জন্ম ভূমি তথা এ দেশের মাটি এতই উর্বর যা লেখে শেষ করা যাবেনা ।
আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের এই মাটির সন্তানেরা পৃথিবীর যেখানেই গেছে সেখানেই তাদের মেধাও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। এটা আল্লাহ প্রদত্ব এক বিরাট নেয়ামত যা তিনি আমাদের এই বাংলাদেশী সন্তান দেরকে দিয়েছেন।
পৃথিবীর যে কোন দেশে আমরা অবস্তান করিনা কেন।সেখানেই আমরা আমাদের অবস্থান যোগ্যতার সাথেই করে নিয়েছি সু দৃঢ। কোন কোন ক্ষেত্রে র্দুনামও রয়েছে যোগ্যতার সাথে। যাছায় করে দেখলেই প্রমান পাওয়া যাবে।
দেখুন যে কোন চার জন নাংলাদেশী, চার জন ইন্ডীয়ান, চার জন পাকিস্তানী, চার জন ইরানী, আর চার জন অন্য যেকোন দেশের নাগরিক এক সাথে কাজ করলে দেখা যায়, ছয় মাসে সকলে যে কাজ শিখেছে, যে ভাষা শিখেছে।
আমাদের বাংলাদেশীরা তা তিন মাসে শিখে নিয়েছে। এটা আমি একটু ও বেশী বাড়িয়ে বিলি নাই। দু একটি ক্ষেত্রে এদিক সে দিক হতেও পারে। তবে বাংলাদেশীদের যোগ্যতা যে বেশী তার প্রমান সবখানেই পাওয়া যায়।
আমার মূল লেখার বিষয় আমাদের সেনা বাহিনি সর্ম্পকে। কুয়েতকে ইরাকের প্রেসিডেন সাদ্দাম হোসেন দখল করে নেয় ০২/০৮/১৯৯০ সালে। এবং তা তার দখলে ছিল ২৬/০২/১৯৯১ র্পযন্ত।
জাতি সংঘের অধীনে বহুজাতিক বাহিনীর সাথে আমাদের সেনাবহিনী রাও ছিল উল্লেক যোগ্য।এবং সে সময়ের বহু কৃতিত্ব পূর্ণ গঠনা আমাদের জানা আছে। আমরা সে গঠনা গুলি শুনে আনন্দ ভোগ করতাম।
আমাদের সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও সততার কারনে এই কুয়েত মুক্ত হওয়ার ২২ বৎস্বর পার হলেও আমাদের সেনাবাহিনীরা তাদের সে কৃতিত্ব পূর্ণ ভূমিকার কারনে এখন পর্যন্ত এই কুয়েতে আছে যেখানে কিন্তু অন্যরা নেই।
এই কুয়েত থেকে আমাদের অনেক কিছু আধায় করার ছিল, তা আমরা পারিনাই শুধূ কুট নৈতিক ব্যর্থতার কারনে।অথচ আমাদের জায়গায় যদি অন্য কোন জাতি হত তারা বহু কিছু আদায় করে নিত,যা আমরা পারি নি।
অথচ আমাদের প্রতিবেশী ইন্ডিয়া কুয়েতের বিপক্ষে ছিল । তার পরও তাদের অবস্থান চিন্তা করলে অবাক লাগে। কুয়েতে আমরা দিয়েছি অদক্ষ শ্রমিক, তিন লাখ অদক্ষ শ্রমিক না দিয়ে, তিন হাজার দক্ষ শ্রমিক দিলে আমাদের লাভ হত অনেক বেশী।
এই অদক্ষ শ্রমিকদের তখন যে বেতন ছিল তা সুনে অভাক লাগত যে এতকম বেতন কি করে হতে পারে? এখানেও রাষ্ট্রিয় কোন নিয়ন্ত্রন ছিলনা। এই অদক্ষ শ্রমিকদের নানা অপরাদের কারনে, আমাদের সৈনিকদের গৈারবকেও ম্লান করে দিয়েছে।
আমাদের সব শ্রমিক খারাফ তা নয় । বড় বড় কুয়েতীদের সাথে আমার উঠা বশার কারনে অনেক তথ্য যানি । তুয়েতের স্থল মাইন আমাদের সৈনিকেরাই পরিস্কার করেছিল।
কুয়েতী এক র্কনেল আমাকে বলেছিল কুয়েতে ইরাক এর একটি অস্ত্রগুধাম পরিস্কার করার জন্য আমেরিকা মিলিয়ন দিনার চেয়ে ছিল, মিশর চেয়েছিল তার অর্ধেক। কিন্তু বাংলাদেশীরা তা এমনিতেই পরিস্কার করেছিল।
আমাদের সৈনিকদের ব্যপারে কুয়েতীদের অনেক ভাল ধারনা রয়েছে।এবং তারা আমাদের সৈনিকদের অনেক প্রশংসা করে। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমাকে বলেছে তোমাদের সরকার কুয়েত থেকে সরকারী ভাবে বহুকিছু আদায় করে নিতে পারতো।
কিন্তু তা তোমাদের সরকার আদায় করে নিতে পারেনি।না পারার অনেক কারন আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা। উদাহরন স্বরুফ শ্রীলংকা তাদের রাষ্ট্রদূত পাঠায় আরবী শিক্ষিত মুসলিম।
যারা কুয়েতের নাগরিকদের সাথে যেন সু সর্ম্পক গড়ে তুলতে পারে।আর আমাদের সরকার পাঠায় রাজনৈতিক লেজুড় যারা আরবীদের সাথে কথাও বলতে পারেনা। আদায় করবে কি?
আমাদের গৌরবের ধন আমাদের অহংকার ৫৭ জন সৈনিক কমান্ডারদের যেভাবে হত্যা করে আমাদের জাতির কোমার ভেংগে দিয়েছে।
যারাই একাজ করেছে আল্লাহ তাদের বিচার করবেই করবে। সৈনিকদের চেইন অব কমান্ড কত র্দুবল হয়েগেছে তা সৈনিকরাই বুঝবে। আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত বাসি করুন।আমিন।
বিষয়শ্রেণী: বিবিধ
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন