কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রুহি কবিতার নেপথ্যে ইতিহাস

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৩ মে, ২০১৩, ০৯:১৫:৫৫ রাত

১৯১৭ সালে বিদ্রুহি কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন ৪৯ নং বাঙালি পল্টনে সৈনিকের খাতায় নাম লিখেন তখন তিনি ছিলেন নিতান্তই একজন বালক। এই বালক বয়সেই পল্টনের সৈনিক জীবনের পাশাপাশি নজরুলের মনোজগতে চলতে থাকে জীবনে আরেক লেনদেন।

পরাধীনতা ,ভারতবর্ষে উপর জেকে বসে থাকা বৃটিশ ভুত আর সাম্যবাদী চিন্তার শক্ত আঘাত আসে সৈনিক নজরুলের মনন আর চেতনার চৌকাঠে। একদিন সৈনিক জীবনের পাতা মুড়িয়ে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম চলে এলেন কলকাতায়।

মোসলেম ভারত এবং বিজলীতে একযোগে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম অগ্নিঝরা কবিতা "বিদ্রোহী"।

"মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেইদিন হবো শান্ত

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দনরোল

আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,

অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ

ভীম রণভুমে রণিবে না-

বিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেই দিন হবো শান্ত।"

"বিদ্রোহী" কবিতাটি আগুনের গোলার মত যেন ছড়িয়ে পরল বাংলার সবখানে। সবার মুখে তখন একই জপমালা,

" আপনারে ছাড়া কাহারে করি না কুর্নিস" ।

কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই বিদ্রোহী মন্ত্রে জেগে উঠলো গোটা বাংলা। বৃটিশ রাজের লাল ইটের শক্ত দালানেও এই বিষাক্ত মন্ত্র বার বার ধাক্কা খেল। এবার সচকিত হয়ে উঠলো রাজশক্তি।

রাতারাতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের উপর সরকারী আমলাদের খবরদারি বেড়ে গেল । বিদ্রুহি কবির একে একে পাঁচটি নজরুল কাব্যগ্রন্থ সরকারি ভাবে বাজেয়াপ্ত হল । ১৯২২ সালে বাংলা ফৌজদারী বিধির ৯৯এ ধারায় সরকার, কবি নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ "যুগবাণী" নিষিদ্ধ ঘোষনা করে।

বিষয়: বিবিধ

২২৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File