ইতিহাসের জঘন্যতম কালো রাত জাতিকে উপহার দিল আওয়ামীলীগ সরকার

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৬ মে, ২০১৩, ১০:০২:২৯ রাত

৬/৫/২০১৩ গতরাতে ইতিহাসের নির্মমতম কাপুরুষোচিত হামলা যা ১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চ কালো রাত্রিকে হার মানিয়ে দিল।যাদের দাবী ব্যক্তিগত কোন সার্থের নয় যা ঈমানদারের ঈমানি চেতনা। তাহলে কি নাস্তিকদের দ্বাবী রক্ষা করতেই সরকার দেশের আলেমদের হত্যা করল?

এই জঘন্যতম গণ-আলেমহত্যাকে যারা উস্কে দিয়েছে, সংগঠিত করেছে বরবরতম হত্যাজঘ্য এবং পরে যারা এর সমর্থন দিয়েছে, বা সঠিক হয়েছে বলে মনে করছে, তারা সবাই ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে গেছে।

ঈমানের গন্ডির বাইরে চলে যাওয়ার সকল প্রকার বেঈমানি ও মোনাফেকির পরিণাম এখানে যুক্ত হবে। তাদের নামায-রোযা হবে না, যাকাত ফরয হবে না, হজ্জ্ব ফরয হবে না, এসব ইবাদত আদায় করলেও কোনো সওয়াব হবে না।

তারা ঈমানদারদের হত্যাকারী এবং বাতিলের সাহায্যকারী। একজন ঈমানদরকে অন্যায় ভাবে হত্যা করলে তার পরিনতি জাহান্নাম। শাহাদাতাইন পড়ে নিচের চিন্তা পরিবর্তন করে ঈমান নবায়ন না করলে অন্য সব ঈমানী পরিণামও এখানে যুক্ত হবে।

এর কারণ, ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান ঈমানের প্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রুকন। এর অন্তর্ভুক্ত হলো আল্লাহর উলুহিয়্যাহ বা মাবুদ হওয়ার প্রতি ঈমান। এর অন্যতম শাখা হলো, আল্লাহর শরীয়ত সকল যুগের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য -এই ঈমান রাখা।

আর ঈমান বির রুসুল বা আল্লাহর রাসূলদের প্রতি ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো মুহাম্মদ স. কে আল্লাহর রাসূল হিসেবে ঈমান আনা, তাঁকে সকল মানুষের ওপর মর্যাদা ও ভালবাসা দেয়া। সবার ...ওপর ভালবাসা দেয়ার অর্থ হলো, যখন দুনিয়া বা বান্দার ভালবাসা ও রাসূলের ভালবাসার মাঝে সংঘর্ষ হবে, তখন রাসূলের স. ভালবাসা প্রাধান্য পাবে।

গতকাল যারা গিয়েছেন তারা সিরফ আল্লাহর রাসূলের স. সম্মান প্রতিষ্ঠার দাবী করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর শরীয়তকে যারা নাটক, সিনেমায় হেয় করে বা সেকেলে বলে, তাদের এহেন কার্যক্রম বন্ধের দাবী করতে গিয়েছিলেন।

তাদের হত্যা সমর্থন করা ঈমানের উপরোক্ত দুটো গুরুত্বপূর্ণ রুকন ঈমান বিল্লাহ ও ঈমান বির রুসুলের সাথে সংঘাতপূর্ণ। এরপর তাদের আর ঈমান থাকে না।এই জাতির কল্যাণ কি করে হবে, যারা আল্লাহর এবং আল্লাহর নবীর অনুসারিদেরকে নিরবিচারে হত্যা করেছে।

হে মহান আল্লাহ তায়ালা! আপনি সকল শহীদের জন্য জান্নাতের অফুরান নেয়ামতের ব্যবস্থা করে দিন। শহীদদের শাহাদাতকে ইসলামের বিজয়ের সূচনা বানিয়ে দিন। এবং আমার ভাই যারা আহত আছেন তাদেরকে দ্রুত সুস্থ্য করেদিন।

আর বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। দ্বীন আল্লাহর, পৃথিবী আল্লাহর, দ্বীনের এসব মাদ্রাসা-মসজিদ আল্লাহর। এগুলোর হেফাজতে তাঁর পরিকল্পনা মানুষের সব কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। তিনি সকল ষড়যন্ত্রের সর্বোত্তম প্রতিদান প্রদানকারী।

আর আমার ভাই যারা শহীদ হয়েছেন, ওলামায়ে কেরাম, হাফেজে কুরআন - তারা রাসূলের (সাHappy ওয়ারিস। আজ রাসূল (সাHappy থাকলে সবাইকে শক্ত মনোবল নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে বলতেন। আসুন আমরাও তাদের জন্য দোয়া করি এবং ঈমানি দায়িত্ব পালন করি।

প্রত্যেকের মৃত্যু যখন লেখা আছে তখন আসবেই। এক মুহূর্তও বিলম্ব হবে না, বা তাড়াতাড়িও হবে না। আর সেই মৃত্যু যদি হয় আল্লাহর রাসূলের (সাHappy সম্মান রক্ষার দাবীতে, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। জান্নাততো তাদেরই জন্য,আল্লাহ আমাদের সকলকে তাঁর দ্বীনের জন্য কবুল করে নিন।আমিন

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File