জামায়াত ইসলামীর শুভেচ্ছা এবং নতুন ধর্ম প্রসঙ্গ
লিখেছেন লিখেছেন ঈগল ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৬:৪২:৫৮ সন্ধ্যা
জামায়াত নিয়া লিখার মানে হয় না। তারপরও মাঝে মাঝে লিখতে বাধ্য হয়। এটাকে আমি দাওয়াহর অংশ মনে করি।
গত দিন 'ক্রিসমাস ডে' উপলক্ষে জামায়াত কর্তৃক শুভেচ্ছা প্রদান নিয়ে লিখেছিলাম। মাত্র কয়েকটি মন্তব্য করা হয়েছে। যারা শুভেচ্ছর পক্ষে তারা আতেলীয় জবাব দিয়েছে। জবাবের ক্ষেত্রে তারা সালফে সালেহীনদের ধারের কাছেও যাওয়ার চেষ্টা করেন নি। এর থেকেই বুঝা যায় তারা নিজেরাই মুফতি হওয়ার চেষ্টা লিপ্ত।
চুরি করার কারণে আপনি কি কোন চোরকে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন? ভন্ডামীর একটা সীমা থাকা উচিত।
স্পষ্টভাবেই বলছি, রাসূলের যুগে যার অস্তিত্ব ছিল তার অস্তিত্ব যদি এখনও বর্তমান থাকে তাহলে দেখতে হবে, ঐ ব্যাপারে রাসূল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৃষ্টিভঙ্গি কি ছিল। অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসব ঐ সময়তেও বিদ্যমান ছিল। কিন্তু তিনি কিংবা তাঁর কোন অনুসারী ঐ সব উৎসবে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নাই।
আদর্শের উপর যে দল স্থির থাকতে পারে না, সেই দল কিসের ভিত্তিতে নিজেদেরকে ইসলামী দল প্রচার করে এটা আমার মাথায় আসছে না ।
জামায়াত ইসলাম প্রতিষ্ঠিার শুরুর দিকে বিখ্যাত সব ওলামাগণ জরিত থাকলেও ধীরে ধীরে সবাই জামায়াতকে ত্যাগ করেছে তার নীতিহীনতার কারণে। এমন কি, মাওলানা আব্দুর রহীম সাহেবের মত নিবেদিত জামায়াতপন্থী ব্যক্তিও জামায়াতকে ত্যাগ করেছে। ওলামাগণ জামায়াত থেকে বের হয়ে আসার অন্যতম প্রধান কারণ দলটির নীতিহীনতা।
তরুণ কর্মীদের প্রতি আহ্বানঃ- নিজেই নিজেই স্কলার হওয়ার চেষ্টা করিয়েন না। অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবে শুভেচ্ছা বিনিময় জায়েয কি-না, ওলামাদের কাছে গিয়ে এর উত্তর খুঁজুন। নিজে নিজেই স্কলার হওয়ার চেষ্টা দ্বীনে ইলাহীর মত একটি নতুন ধর্মই উপহার দিতে পারবেন, ইসলামের ধারের কাছেও আসতে পারবেন না। বুঝার চেষ্টা করুন, সালফে সালেহীনদের চেয়ে আমরা দ্বীন বেশি বুঝি না। তাদেরকে বাদ দিয়ে দ্বীন বুঝার চেষ্টা নতুন ধর্মের জম্ম দিবে। মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৬০০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন