শব্দ চয়নে সর্তক হওয়া উচিত

লিখেছেন লিখেছেন ঈগল ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১২:০৯:১১ দুপুর

আমরা মুসলিম। আমাদের রয়েছে একটি উন্নত জীবন বিধান। এই জীবন বিধানের ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে আমরা গর্বিত। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় এবং দয়ায় যে মানুষটি এই জীবন বিধানকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে তাঁকে ভালবাসতে পেরে আমরা গর্বিত।

মুসলিমদের ইতিহাস প্রায় ১৪৫০ হতে চলেছে। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস এক রকম থাকে নি। ইতিহাসের বাঁকে কখনো কখনো মনে হয়েছে এই বুঝি মুসলিম উম্মাহ হারিয়ে গেল মহাকালের অন্তরালে। কিন্তু না, এমনটি হয় নি। যখনই মিল্লাতে ইব্রাহিমের অনুসরীরা অমুসলিমদের কাছে নিজেেদের শারীরিক ও মানুষিক গোলামীতে আবদ্ধ হাওয়ার সিন্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে তখনই জাতির রাহবার হিসেবে দাঁড়িয়েছে ইবনে তাইমিয়াহ, সাল্লাহউদ্দীন আয়য়ুবী, মোল্লা ওমরের মত ব্যক্তিরা।

এই রাহবারদের ইমান, আখলাক, মুয়ামালাত ইত্যাদির গল্প শুনলে ক্ষণিকের জন্য আমরা হতবাক হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ, যে মানুষটি আমাদের প্রাণের স্পন্দন সে মানুষটির তারা ছিলেন পূর্ণ অনুসারী। প্রকৃত অর্থে তাঁরাই সেই মহান মানুষটিকে ভালোবাসতে পেরেছেন।

কিন্তু আজ! এই উম্মাহর কথিত রাহবার ও তাদের অনুসারীদের কি করুন অবস্থা! কোথায় তাদের দৃঢ় ইমান, কোথায় তাদের আখলাক? একজন নাস্তিককে কেন ইমানদারা অশ্লিল ভাষায় গালি দিবে, কেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেমিকরা তাঁর বিরোধীদের বিরুদ্ধে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করবে? এটা কোন আখলাকের মধ্যে পড়ে?

খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশ সরকার বিখ্যাত চারজন মুসলিমের এদেশে আগমনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। অন্যদিকের বিসিবি নাকি তাদের একটি অনুষ্টানে একজন ভারতীয় অভিনেত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই নিয়ে তোলপার চলছে সামাজিক সাইটগুলিতে। ঐ অভিনেত্রীকে নিয়ে আমার ভাইয়েরা যে সব শব্দ ব্যবহার করেছে তা সত্যিই মুসলিম চরিত্রের পরিপন্থি। ঐ সব শব্দ ব্যবহার করে একমন মানুষের অাত্মমর্যাদাকে আমরা খাটো করতে পারি না। একজন পাপীর পাপ কর্মের কারণে তাকে আমরা ঘৃণা করতে পারি কিন্তু ঘৃণাবোধক শব্দ চয়েনেও একজন মুসিলমের সর্তক থাকা উচিত।

যখন থেকে মুসলিমরা বেকার (ইলম অর্জন ও তরবারী ছেড়ে) হতে শুরু করেছে তখন থেকে তারা কাজে নয়, কথার ও লেখার জাদুতে প্রতিপক্ষকে (অমুসলিম, নাস্তিক, মাযহাবী প্রতিপক্ষ) ঘায়েল করার চেষ্টা করেছে। আর আমাদের বর্তমান মুসলিম বেকার যুবকরা, যারা ইলম অর্জনকে বোঝা মনে করে এবং জিহাদকে জীবন নাশক মনে করে, তারা ঘন্টার পর ঘন্টা বিভিন্ন সামাজিক সাইটে, অফিসে, আড্ডায় কয়েকটি ইসালিমক কথা এবং নাস্তিক মুরতাদের বিরুদ্ধে সুস্থ অসুস্থ শব্দ প্রয়োগ করে নিজেকে মনে করে ইসলামের মহান দায়ী।

এত নিম্মমানের কাজ করার পরও আমরা নিজেদেরকে উচ্চ মুসলিম ভাবার কারণে, আল্লাহর ইচ্ছাই, যদি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীরা আমাদেরকে দেখতে পেতেন তাহলে, নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, আমাদেরকে তারা মস্তিস্ক বিকৃত মুসলিম ভাবতেন।

হে মুসলিম উম্মাহর দরদীরা! শব্দ চয়নে সর্তক হোন, ইলম অর্জনে অগ্রগামী হোন এবং জিহাদকে জান্নাতের রাস্তা মনে করুন।

বিষয়: বিবিধ

১০৭৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

292976
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আমিও কিছু বুঝি না। একজন নাস্তিক আল্লাহকে স্মরণ করবে না বা মানবে না এটাই তো স্বাভাবিক কিন্তু তাকে আস্তিকের পথে না এনে বা ঘৃণা না করে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে নিজেকে কেন পাপের পথে ঠেলে দিবো? এটা যারা করে তারা বেকুব ছাড়া আর কিছু না।
293014
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৫
আমজনতার কথা লিখেছেন : খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আপনার সাথে একমত।
293060
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, ভালো বোলেছেন Day Dreaming

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File