এই তাহলে ওদের সংস্কৃতি!!
লিখেছেন লিখেছেন ঈগল ০১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩১:২৯ সন্ধ্যা
মৃত্যু! কাইয়্যুম চৌধুরী কি জানতেন তিনি কয়েক সেকেন্ড পরই মারা যাচ্ছেন! হ্যাঁ, এটাই সত্যি! তিনি মারা গেছেন।
কয়েক দিন চলবে তার স্মৃতি চারণ। কয়েক বছর তার মৃত্যুর দিনটিকে ঘটা করে পালন করা হবে। তারপর থেকে আস্তে আস্তে তার মৃত্যুর দিনটি খুবই ছোট কলামে পত্রিকায় প্রকাশিত হবে। এটা বাস্তব!
আমরা দেখি কোন সাংস্কৃতিক কর্মী মারা গেলে তাদের সহকর্মী, পত্রিকা এবং টেলিভিশনগুলিতে শোকের বন্যা বয়ে যায়। কে কত দ্রুত শোক প্রকাশ করতে পারে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগীতা। কত সুন্দরভাবে টেলিভিশনে শোকবার্তা বয়ান করা যেতে পারে পারে তা নিয়ে কয়েক ঘন্টা গবেষণা করতে থাকেন মিডিয়াতে শোক প্রকাশকারী ইচ্ছুক সংস্কৃতিক (বুদ্ধিজীবী) ব্যক্তিটি। আর আমরা গাধা দর্শক শ্রেণী তাদের শোকবার্তা পড়ে বা দেখে টেলিভিশনের পর্দার সামনে মন খারাপ করে বসে। ভাবি, আহারে, মৃত্যু মানুষটি এদের কাছে কতই না প্রিয় ছিল।
কিন্তু গতকাল প্রমাণ হয়েছে এই সংস্কৃতিক কর্মীরা আসলেই ভূয়া। এরা মিথ্যা সংস্কৃতির ভীতের উপর দাঁড়িয়ে আছে। কাইয়্যুম চৌধুরির মৃত্যু ও তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরও আর্মি স্টেডিয়ামে কথিত সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া প্রমাণ করে, সংস্কৃতি শুধুমাত্র চর্চার বিষয় নয়, সংস্কৃতি ভিতর থেকে আসা এক আধ্যাত্মিক বিষয়।
ঐ কথিত সংস্কৃতিক কর্মীরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিষাদগারকেই তাদের সংস্কৃতির মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে। নাচ গানকেই ওরা সাংস্কৃতির প্রকৃত অঙ্গ হিসেবে চিত্রিত করেছে। কিন্তু আসলেই কি এগুলি সাংস্কৃতি? আসলেই যে ওগুলি সংস্কৃতি হতে পারে না, কিংবা সংস্কৃতি হওয়ার মৌলিক উপাদান হতে পারে না তার বলিষ্ঠ উদাহরণ হয়ে থাকবে আর্মি স্টেডিয়াম।
কাইয়্যুম চৌধুরি মারা গেছেন এটা শুনার পরও কোন শোকবলে তারা ঐ কথিত সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি চালিয়ে যেতে পারল? তারা কি তাদের মানুষ্যত্বকে কবর দিয়েছে? মানুষ্যত্বকে বিসর্জন দিয়ে যে সাংস্কৃতি তা কোনভাবেই সাংস্কৃতি হতে পারে না।
বিষয়: বিবিধ
১০০১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উনার নামাজে জানাজা হবে এখন শহীদ মিনারে , সেখানে তার মরদেহের উপর ফুল দেওয়া হবে এবং মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো হবে - এটাই বাংলাদেশী মুসলমানদের কালচার হয়ে গেছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন