একটি বৃহত্তর ইসলামী দলের হিকমাহ ও আবু জেহেলের গল্প

লিখেছেন লিখেছেন ঈগল ২৩ মে, ২০১৪, ১১:২৯:০৬ সকাল

ভাই দাড়ি রাখেন না ক্যান-

উঃ- ভাই এটা হিকমাহ

টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করেন ক্যা-

উঃ-ভাই যারা অহংকার করে না তারা টাখনুর নিচে কাপড় রাখতে পারে। তাছাড়া, দেখেন না, এখন তো অধিকাংশ মানুষই এটা করে, অতএব আমরাও করছি যেন গোয়েন্দা বাহিনী সহজে চিনতে না পারে হা হা হা ।

ভাই, দাড়ি ছোট ক্যান

উত্তর- এই মিয়া, এত কথা কও ক্যান, এটা হিকমাহ বুঝনা!

ভাই, হরতালে মানুষের গাড়ি ভাংচুর করেন কেন?

উত্তর- মিয়া তুমি কি মূর্খ? এটাও বুঝনা যে, হরতাল আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার

তো ভাইজান, আমেরিকান গাড়িতে হামলা করে মাফ চাইলেন ক্যান?

উত্তর- আরে ভাই, আপনি তো আসলেই মূর্খ! বিদেশীদের সম্মান করা লাগবো না। সব চাইতে বড় কথা, হিকমাহ দিয়ে আমরা আমেরিকারে হাতে রাখতে চাইছি মিয়া! এটা হচ্ছে আমাদের হিকমাহ! বুঝলা।

আচ্ছা ভাই, আপনাদের দলীয় এক আল্লামা তো কইছিলো যে, নারী নেতৃত্ব হারাম

উঃ- দেখুন নারী নেতৃত্ব মেনে নিয়েছি কারণ এটাকে অামরা মনে করি হিকমাহ

আপনাদের মহান নেতা কইছিলো 'গণতন্ত্র হারাম' তো এটা হালাল হইল ক্যামনে?

উঃ- গণতন্ত্রকে তো আমরা হালাল বলি না ভাই। আমরা ইসলামী গণতন্ত্রকে হালাল বলি। 'গণতন্ত্র' শব্দটির পূর্বে আমরা 'ইসলাম' শব্দটি যোগ করেছি। এটাও একটা হিকমাহ!

ভাই, আপনি তো ধর্মনিরপেক্ষকে হারাম মনে করেন। তো আমাদের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ যোগ করা আছে। এখন যদি আপনি এমপি হন তো, ধর্মনিরপেক্ষকে রক্ষার শপথ নিতে হবে! এটা করবেন?

উঃ অবশ্যই। হিকমাতের মাধ্যমে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যহত রাখতে আমরা সবসময় সচেষ্ট।

আপনারা তো কন মানব রচিত সংবিধান হারাম! তো এই হারামকে রক্ষার শপথ করতে আপনাদের লজ্জা হয় না?

উঃ- আমরা হিকমার অনুসরণ করি। তোমার মত মাথা মোটার অনুসরণ করলে মন্ত্রিত্বের পথ কোন কালেই পেতাম না।


====================

আবু জেহেল গল্প- তার সাথে কাল্পনিক কথপোকথন

কেমন আছেন

উঃ জাহান্নামে!

আল্লাহকে বিশ্বাস করেন নি কেন?

উঃ এই মিয়া তুমি কোরআন কখনো পড়েছ? আমরাও আল্লাহকে বিশ্বাস করতাম।

তো জাহান্নামে ক্যান

উঃ বিশ্বাস করতাম বটে কিন্তু অন্যকিছুকেও মানতাম

অন্যদেরকে মানতেন কেন?

উঃ-ওটা ছিল আমার হিকমাহ! সবাই মানত আমিও মানতাম

শেষ নাবীকে বিশ্বাস করেন নাই কেন?

উঃ-ভাইরে, মনে মনে ঠিকই বিশ্বাস করতাম। কিন্তু হিকমাহ খাটাতে গিয়ে সেটার প্রকাশ্য ঘোষণা দিই নি।

এত হিকমাহ খাটাতে গেলেন কেন

উঃ- মিয়া, হিকমাহ খাটাতে না গিয়ে উপায় ছিল। হিকমা যদি নাা খাটাতাম তাহলে আমাকেও সাহাবীদের মত মক্কা ছাড়তে হতো, আর্থিক কষ্টে পড়তে হতো। হিকমা করেছিলাম বলেই তো বেঁচে গিয়েছিলাম।

তো এখন জাহান্নামে কেন?

উঃ-ভাইরে, এখানেই তো দুঃখ। আমরা হিকমাহ ছিল মনগড়া, আসল হিকমাহ (কুরআন ও সুন্নাহ) যদি করতাম তাহলে আমি অবশ্যই একজন মুসলিম হতাম!

বিষয়: বিবিধ

১৬২১ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

225005
২৩ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫১
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : ভাই, ইসলাম কি এই ভাষায় কাউকে আঘাত করা বা মন্দ নামে ডাকা বা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার লাইসেন্স দেয়--আশা করি কুরআন-হাদীসের বরাত দিয়ে আপনার ঈমানী জজবার প্রকাশ ঘটাবেন।

আর ইসলাম কি পজিটিভ দাওয়া ছেড়ে আপনার মতোন এই ভাষায় দাওয়াতী কাজ করতে উদাহরণ দেখিয়েছে কোথাও--আশা করি প্রমাণসহ বলবেন?

তাছাড়া, ভাই এখন কোনটা জরুরি যে, মুসলিমদের ভুল-ত্রুটির বিরুদ্ধে জিহাদ করা নাকি ইসলামবিরোধী কোটি কোটি বিষয়ের বিরুদ্ধে জিহাদ ও দাওয়াতী কাজ করা? পরকালে মুক্তির জন্য আপনার পন্যহাই শ্রেষ্ঠ পন্থা নাকি নবী-সাহাবীদের পন্থাই উত্তম? আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
172174
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি আপনার লেখার সাথে এক মত ।

ইমরান ভাই নামক এক ব্লগারের লেখায় দেখলাম আপনি আমার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছেন । কারণ আমি বলেছি জামায়াত - শিবির কখনোই সফল হবে না । কারণ তারা আপনার কথিত হিকমাহ অনুসরণ করে ।

সেখানে আমাকে ব্লক করা হয়েছে বলে মন্তব্যের উত্তর দিতে পারিনি ।

তবে আপনার আজকের এই লেখার সাথে ১০০% এক মত ।

ইমরান ভাই ও জামায়াত-শিবিরের লোকরা নাস্তিক-ইসলামবিরোধী-ইসলামবিদ্বেষীদের এখন ফাসি দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস করে না । অথচ তাসলিমার ফাসি চাই বলে রাজপথ কাপাত ।

এখন তারা তাসলিমার সুস্হতা কামনা করে এবং তার হিদায়াতপ্রাপ্তির জন্য দুয়া করে । অথচ আমরা ভাল করেই জানি কারা হিদায়াত পাবেন এবং পাবেন না ।

আমার কথা হলো আল্লাহর রাসুল সা. ও তার সাহাবী রা. - গণ কি হিকমাহ কম জানতেন । ইমাম হুসাইন রা. - কি হিকমাহ কম জানতেন ? ইমাম হুসাইন রা. হিকমাহ জানতেন বলেই তিনি কারাবালার ময়দানে স্বপরিবারে সঙ্গি সাথি নিয়ে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেছেন ।

আমি এক সময় শিবির করতাম । আমি কখনোই ইমাম হুসাইন রা.- এর শাহাদাত নিয়ে কখনোই শিবিরের মধ্যে আলোচনা শুনি নাই । আমার মনে হয়, জামায়াত-শিবির লোকদের সত্যিকার ইসলাম হতে দুরে রাখার জন্য চেষ্টার অংশ হিসেবে এমন করে থাকতে পারে ।


তবে হ্যা । আশুরার ছুটির দিনে ১০ ই মহররম পালন করা বিদাত এবং এই দিন মিশিল করা বা শোভাযাত্রা করা বিদাত - এসম্পর্কে ইসলামী ছাত্র শিবির তাদের কর্মীদের দিক নির্দেশনা দিতো । তবে আল্লাহর অশেষ করুণা যে আমি ওয়ার্ড সভাপতি বা কলেজ বায়তুল মাল সম্পাদক বা ক্যাম্পাস শাখার সেক্রেটারী হিসেবে কখনোই দায়িত্বশীল হিসেবে এমন ঘোষনা আমাকে দেওয়ার সুযোগ দেননি ।
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:২৪
172373
ঈগল লিখেছেন : দাওয়াহ মানে শুধু মিস্টি কথা নয়। জিহাদও হতে পারে দাওয়ার অংশ। একজন মুসিলম গর্ভনর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের বিরুদ্ধে একজন সম্মানীত সাহাবী এবং তাঁর অনুসারীরা যুদ্ধ করেছেন। মুসা আলাহিস সালাম ফেরআওনের বিরুদ্ধে বদ দোয়া করছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও অনেকের বিরুদ্ধে বদ দোয়া করেছেন।
=================
মুসলিমরা যখন মেজর অপরাধ করে তখন আগে তার সংশোধন জরুরী। আপনি একদিকে বলবেন প্রচলিত সংবিধান তাগুত্বি সংবিধান আবার অন্যদিকে এই সংবিধান রক্ষা শপথ নিবেন! এটা হয় না। আগে নিজের লক্ষ্য স্থির করা উচিত।
====================
এখানে আমি কাউকে মন্দ নামে ডাকি নি। তবে ইসলাম বিরোধী হলে কাউর নাম বদলে মন্দ নাম রাখা যাবে। যেমন আবুল হাকামের নাম হয়েছিল 'আবু জেহেল।'
=================
আপনি যদি ইব্রাহি আলাইহিস সাল্লামের দাওয়াহ পদ্ধতি দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন, তাচ্ছিল্য কত প্রকার ও কি কি?
=======================
জামাআত শিবির প্রায় সব কথাতেই হিকমাহ শব্দটির অপব্যবহার করে তাই এই পোস্ট।
225006
২৩ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
আল মুহাজির শাইখ লিখেছেন : একদা এক জামাতী ভাইয়ের কাছে মৌখিক কথনে জানতে চাওয়া হয়েছিলো "অন্যান্য ইসলামী দলের সাথে জামাতে ইসলামীর পার্থক্য কি?" জবাবে তিনি যা বললেন তার মর্ম অক্ষুন্ন রেখে ঈষৎ সম্পাদিত করে পাঠকবর্গের সামনে পেশ করা হলো।

তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি মনে করো "সবুজ পাগড়ীর ভাঁজে ভাঁজে 'ইসলাম' লুকিয়ে থাকে? নাকি ভাবছো, ফিনফিনে লম্বা দাঁড়ির ঝুলনি ধরে 'ইসলাম' ঝুলে থাকে? নাকি লম্বা জুব্বাবৃত দেহে 'ইসলাম' লেগে থাকে অথবা গোল টুপির প্যাঁচে 'ইসলাম' এঁটে থাকে? 'ইসলাম' কি তাহলে আঁকাবাঁকা রূপ নেয় নামাজের কাতারে? নাকি 'ইসলাম' অনশন ভাঙ্গে রামাযানের ইফতারে? নাহ, কোনটিই না। আমরা যারা শিবির করি তাদেরকে কি কখনো দাঁড়ি, পাগড়ী, জুব্বা ও টুপিতে দেখেছো? জুমা ও ঈদ ব্যতীত খুব বেশি কি মসজিদে যাতায়াতে আমাদেরকে পেয়েছো? অথচ আমরাতো এর বিপরীতে গিয়েও ইসলামের কাজ করে যাচ্ছি। তাই নয় কি?"

আমিতো এসব শুনে পুরো লাজওয়াব হয়ে গেছি। মনে মনে উত্তর খুঁজছিলাম। তখন প্রশ্নকর্তাই আমাকে উত্তর জানিয়ে দিলেন এভাবেঃ

"মনে রাখবে, 'ইসলাম' বেঁজে ওঠে গাড়ি ভাংচুরের ঝঞ্ঝনানীতে, 'ইসলাম' গর্জে ওঠে কাঁটা রগের প্রবাহিত রক্ত-ফিনকিতে, 'ইসলাম' পালিয়ে যায় পল্টন থেকে ভেগে আসা দৌঁড়ে, 'ইসলাম' শোভা পায় খোঁচা খোঁচা দাঁড়ির বালময় গালে, 'ইসলাম' ঝুলে থাকে কুকুরের জিহ্বাখ্যাত 'টাই'এ, 'ইসলাম' খাড়িয়ে থাকে টাইট-ফিট জিন্সের প্যান্টের দু'পায়ে, 'ইসলাম' উড়ে বেড়ায় গাঁজন পোড়ানো ধোয়ায়, 'ইসলাম' লুকিয়ে থাকে বেগানার চিপায়-চাপায়, 'ইসলাম' লাফিয়ে ওঠে চাপাতি ও চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে, 'ইসলাম' ফুটে ওঠে ককটেলের 'পটাশ পটাশ' শব্দে।"

নাহ, আর বলতে পারলাম না। শুধু এই দুআই করি, আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের হিকমাতী ভাইদেরকে হেদায়াত নসীব করেন। আমীন।
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
172187
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : আঃমি ১৯৭৭ সাল থেকে শিবিরের সদস্য থেকে জা মাতের রুকুন পর্যন্ত পার করেছি কিন্তু আমি যা জানলাম না শুনলাম না আপনার মতো মিথ্যুক কিভাবে জানলো বুঝলাম না ভাই?

মুনাফিকী ছাড়েন আর সেই ভাইয়ের নাম-ঠিকানা ফোন দেন যাতে আমরা যাচাই করতে পারি আপনি মুসলিম না মুনাফিক এবং সে ভাই শিবির-জামাতের কোন বইয়ে এমন ইসলাম শিখেছে যা আমি ৩৭ বছরেও জানলাম না
225007
২৩ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আসল হিকমাহ (কুরআন ও সুন্নাহ) যদি করতাম তাহলে আমি অবশ্যই একজন মুসলিম হতাম!
ইসলামপন্থী কোন দলের হিকমাহর প্রায়োগিক ব্যবহারের বর্ণণা দিতে গিয়ে আবার নিজেরাই কোন বড় ধরনের হেকমতি মতলব এটেছেন কিনা সেটা পরিস্কার হলো না মশাই!
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:২৫
172374
ঈগল লিখেছেন : পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করেছি। কোন পয়েন্ট নিয়ে বির্তক করতে চান?
225008
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ভাই, কি বুঝাইলেন? ঐ বৃহত্তর ইসলামী দলের লোকেরা ও কি জাহান্নামে যাবে?

ভাই আপনি কি তাহলে বেহেস্তে যাচ্ছেন? মোটামুটি কর্নফাম? ভাই, আপনাকে ঐ টিকেট দিলো কে?
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:২৬
172375
ঈগল লিখেছেন : না বস আমি ওটা মিন করি নি। জাস্ট রম্য রচনা টাইপের আর কি!
225010
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি আপনার লেখার সাথে এক মত ।

ইমরান ভাই নামক এক ব্লগারের লেখায় দেখলাম আপনি আমার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছেন । কারণ আমি বলেছি জামায়াত - শিবির কখনোই সফল হবে না । কারণ তারা আপনার কথিত হিকমাহ অনুসরণ করে ।

সেখানে আমাকে ব্লক করা হয়েছে বলে মন্তব্যের উত্তর দিতে পারিনি ।

তবে আপনার আজকের এই লেখার সাথে ১০০% এক মত ।

ইমরান ভাই ও জামায়াত-শিবিরের লোকরা নাস্তিক-ইসলামবিরোধী-ইসলামবিদ্বেষীদের এখন ফাসি দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস করে না । অথচ তাসলিমার ফাসি চাই বলে রাজপথ কাপাত ।

এখন তারা তাসলিমার সুস্হতা কামনা করে এবং তার হিদায়াতপ্রাপ্তির জন্য দুয়া করে । অথচ আমরা ভাল করেই জানি কারা হিদায়াত পাবেন এবং পাবেন না ।

আমার কথা হলো আল্লাহর রাসুল সা. ও তার সাহাবী রা. - গণ কি হিকমাহ কম জানতেন । ইমাম হুসাইন রা. - কি হিকমাহ কম জানতেন ? ইমাম হুসাইন রা. হিকমাহ জানতেন বলেই তিনি কারাবালার ময়দানে স্বপরিবারে সঙ্গি সাথি নিয়ে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেছেন ।

আমি এক সময় শিবির করতাম । আমি কখনোই ইমাম হুসাইন রা.- এর শাহাদাত নিয়ে কখনোই শিবিরের মধ্যে আলোচনা শুনি নাই । আমার মনে হয়, জামায়াত-শিবির লোকদের সত্যিকার ইসলাম হতে দুরে রাখার জন্য চেষ্টার অংশ হিসেবে এমন করে থাকতে পারে ।


তবে হ্যা । আশুরার ছুটির দিনে ১০ ই মহররম পালন করা বিদাত এবং এই দিন মিশিল করা বা শোভাযাত্রা করা বিদাত - এসম্পর্কে ইসলামী ছাত্র শিবির তাদের কর্মীদের দিক নির্দেশনা দিতো । তবে আল্লাহর অশেষ করুণা যে আমি ওয়ার্ড সভাপতি বা কলেজ বায়তুল মাল সম্পাদক বা ক্যাম্পাস শাখার সেক্রেটারী হিসেবে কখনোই দায়িত্বশীল হিসেবে এমন ঘোষনা আমাকে দেওয়ার সুযোগ দেননি ।
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০২:১১
172191
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : আপনি শাহ আলম বাদশা ভাইর মতোন একজন পরিচ্ছন্ন ব্লগার লেখক সম্পর্কে এমন কথা বুলেন যা বিশ্বাসযোগ্য নয় যে, তিনি কাউকে গাল দেন বা বাজে কথা বলেন। আর আমি ১৯৭৭ সাল থেকে শিবিরের সদস্য থেকে জামাতের রুকুন পর্যন্ত পার করেছি কিন্তু আমি যা জানলাম না শুনলাম না আপনার মতো মিথ্যুক কিভাবে জানলো বুঝলাম না ভাই? কোন শিবির আপনি করেছেন তা-ই সন্দেহজনক এবং শিবির থেকে অনেকেই চলে গেছেন কিন্তু শিবির জামাতের বিরুদ্ধে আপনার মতোন জঘন্য ভাষা প্রয়োগ করতে দেখিনি। তাই আপনি যা দাবী করেন সব ভূয়াই।

আপনারা শিবির-জামাতের কোন বইয়ে এমন ইসলাম শিখেছেন যা আমি ৩৭ বছরেও জানলাম না, জানাবেন কি? আমার মতো ভারসিটির ছাত্র শিবির জামাত করে ইসলাম শিখলাম আর আপনারা শিখলেন মুনাফিকী ভণ্ডামী?
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪০
172194
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/7094/imranh/45106

http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/2472/arafathasan/45642


এসব পোস্টে যান । আর আমার বেশ কিছু লেখাতে জামায়াত-শিবিরের লোকদের গালি গালাজ দেখতে পাবেন । ফেসবুকে তো তারা অহরহই আমাকে গালিগালাজ করে থাকে ।


আমাদের সময় আমরা যারা শিবির করতাম, তখন আমরা ঝটিকা মিছিল করতাম না । আমরা প্রেক্টোল বোমা বানাতাম না । আমাদের সাথে পুলিশরা বসে গল্প করতো ।

এখন বুঝি সময় পাল্টে গেছে ।

১৯৯৪-৯৫ সালে তাসলিমা নাসরিনবিরোধী সভা-সমাবেশে পুলিশ ভাইরা আমাদের সাথে বসে বাদাম ভাগ করে খেতো ।

এখন হয়ত সময় বদল হয়েছে । এখন শিবিরের ছেলেরা পুলিশ পেটায় । আর পুলিশ বন্দুক যুদ্ধের কথা বলে পায়ে গুলি করে বা লাশ ঘুম করে কুকুর বিড়ালের মতো যত্র তত্র ফেলে রাখে ।

আপনার কাছে আমার প্রশ্ন : এই অবস্হার জন্য দায়ি কারা ?

আপনি আমাকে ভন্ড ভাবতেই পারেন । তবে অনুরোদ করবো, বাজে কিছু ভাবার আগে অন্তত আমার সাথে দেখা - সাক্ষাৎ করে ভাবুন । অযথা মিথ্যা অপবাদ আর বাজে ধারণা করবেন না ।
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২৬
172259
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : আপনিতো দারুণ মুনাফিক-আমার জবাবকেই শাহ আলম বাদশা কোট করে দিয়েছেন মাত্র; তিনি তো একতি কথাই বলেওনি আপনার লিঙ্ক পড়ে যা বুঝলাম। তাহলে তুহমত দিতে পারলেন এমন একজন ভদ্রলোক সম্পরকে?? যারা লিঙ্কে যাবে-সবাই আমার সাথে একমত হবেন!
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৮
172280
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : তিনি সেই লিংকে অন্য একটা লেখায় আমার একটা মন্তব্য তার মনগড়া ব্যাখ্যা সহকারে কপি পেস্ট করেছেন । সেই কারণে সংশ্লিস্ট ব্লগার আমার সম্পর্কে আরো আজে বাজে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন এবং উৎসাহিত হয়েছেন ।


আমাকে মুনাফিক আর মুর্তাদ যা খুশি তাই বলতে পারেন । তাতে আমার কিছু যায় আসে না ।

জামায়াত - শিবির করা আমার মতে অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন । কিন্তু তাদের সাথে আমার পার্থক্য হলো : তারা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিনিরোপেক্ষ সাধারণ লোক হয়ে গেছে ও আগে তারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন তা প্রকাশ করেন না ।

অপর দিকে আমি গর্বের সাথে বলি এক সময় শিবির করতাম এবং এখন জামায়াত-শিবিরের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক রাখি না । কারণ জামায়াত-শিবির কখনোই ইসলামী দল ছিল না । প্রতারণা আর কৌশলই হলো এই দলের বৈশিষ্ট্য ।
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৪০
172288
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : ভাই ফকরুল ব্লগে দেখছি আমাকে নিয়ে আলোচনা!! তবে আপ্ন জুলকারনাইনের সাথে বিতর্ক করতে গিয়ে আমার নামে মিথ্যাকথা কেনো বললেন বুঝলাম না? আমি সবার জন্য আপনার সেই মন্তব্যের লিঙ্ক এখানে দিলাম-সবাই দেখুক সেই মন্তব্যে আপনার বিরুদ্ধে বা নামে বাজে কথা দুরে থাক; একটা শব্দও নিজে থেকে লিখিনি। অথচ আপনি বললে -আমি আপনার মন্তব্যের নামে বানিয়ে লিখেছি যদিও আমি আপনার ও জুলকারনাইনের মন্তব্যই হুবহু তুলে দিয়েছি মাত্র, নিজে কিছুই বলিনি---দেখুন সেই লিঙ্ক--http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/3635/thirdeye/45263#169782
২৩ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
172301
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : @শাহ আলম বাদশা : আমার সম্পর্কে যদি আপনার একান্ত জানার বা আমার কোন লেখায় অস্পষ্টতা থাকলে তা বোঝার জন্য আপনি আমার ফেসবুক বা ইমেইলে যোগাযোগ করা করতে পারতেন । আমার ব্যাপারে কি ইমরান ভাই বেশী জানেন ? আরেকটি কথা জামায়াত শিবিরের লোকরা বা ব্লগাররা আমাকে ব্লক বা ব্যান করেছেন । এজন্য আমি আমার আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারছি না । যেমন : জুলকারনাইন সাবাহ আমাকে ব্লক করেছেন ।


225011
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ঈগল ভাই । আপনি নন । শাহ আলম বাদশা ভাই । মন্তব্যটা আলাদাভাবে লিখে ফেলেছি - এজন্য আমি দু:ক্ষিত ।
225019
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০৬
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : জামাতিরা রা খারাপ হেজচুতিয়া, হেফাজতি আরৈ খারাপ
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:২৭
172376
ঈগল লিখেছেন : হয়ত! কিছু তো বিশ্লেষণ দিবেন।
225024
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
নোমান২৯ লিখেছেন :






তো ভাই আপনার হিকমাহ , ভাষা ইত্যাদি তো দেখছি জটিল ?।! এইসব হিকমাহ আবার কয় পাইলেন ?ভাইয়া । জানাবেন কি ?
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:২৮
172377
ঈগল লিখেছেন : ওদের থেকে ধার করেছি। কোন পয়েন্টের উপর দ্বিমত থাকলে আলোচনা করুন। কিংবা পয়েন্টগুলিকে সত্য মনে হলে অন্য একটি সঠিক দলের সন্ধান করুন।
২৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
172545
নোমান২৯ লিখেছেন :




সে অন্য একটি সঠিক দল-ই হচ্ছে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির !
কাম অন গাইস -
অ্যান্ড নো অ্যাবাউট ছাত্রশিবির !Good Luck Good Luck
225034
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
সত্যবাদী ব্লগার লিখেছেন : ///////////ভাই দাড়ি রাখেন না ক্যান-

উঃ- ভাই এটা হিকমাহভাই ///////////////



এত কথা না বলে ব্লগের পোস্টদাতার প্রশ্নের জবাব কেউ দিচ্ছে না কেন ???? ।। তার মানে ওরা কেউ হাদিস মানে না !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২২
172255
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : (১)আমাকে দাঁড়ি রাখার পক্ষে নবীর বা আল্লাহর ডাইরেক্ট নির্দেশমূলক বাণী দিতে পারবেন কি?

(২)আর যাদের দাঁড়ি আল্লাহ দেননি-তাদের দাঁড়ি রাখতে না পারার পাপের ভাগী কে হবেন-তাও প্রমাণ দিয়ে বলবেন।

(৩)দাঁড়ি এতো জরুরি হলে না রাখলে নবীর কলিজা কাটার মতো জিনিস হলে মক্কায় সে সম্পর্কিত হাদীসই আমি চাই? মদীনার হাদীস নয়।
১০
225080
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
সুন্দরের আহবান লিখেছেন : মিস্টার ঈগল এবং তার সাথে মত একমত পোষনকারীরা যে ইবলশ শয়তানের সাথে পরামর্শ করে এ ব্লগ লিখে নাই তার ণিশ্চয়তা দেয়া খুব কঠিন। তবে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবির সম্পর্কে উদ্ভট ধারনা যে তাদের শয়তানী মস্তিস্কের আবিস্কার তাতে সন্দহে নাই-- আমার জীবনের চারটি ঘটনা উল্লখে করতে চাই। ১.১৯৯৩ সাল সবমোত্র ইন্টারমেডিয়েট ভর্তি হয়ছেি ক্লাসে সবাই খেয়াল করলো আমার প্যান্ট টাখনুর উপরে ব্যঙ্গ করে আমাকে সবাই (যারা খুব ক্লোজ ছিল-তবে দীনের সকল বিধান মানতো না) ডাকতো খাটো প্যান্ট ওয়ালা বলে। আজো পর্যন্ত খাটো প্যান্ট ওয়ালা আছি। আমার ছাত্র জীবনে আমার তত্বাধ্বানে সর্বমোট ৭৬ জন শিবিরের সাথী হয়েছে এবং ১২ জন সদস্য হয়েছে প্রত্যেককে হাদীসের আলোকে প্যান্ট টাখনুর ওপরে পড়তে উৎসাহতি করায় সবাই তা অদ্যবধি পালন করছে। ২. আমি যখন ইন্টারমেডিয়েট ফলপ্রার্থী তখন শিবিরের সদস্য প্রার্থী- আমার জেলা সভাপতি বললনে দাড়ি রাখলে সমস্য কি? ওনার এই এক প্রশ্নে দাড়ি রাখা শুরু করেছি- তখণ দাড়ি ছোট ছিল- এখন আগের চেয়ে বড় হয়েছে। আমার প্রেরনায় ১২ জন ভাই জামায়াতের রুকন হয়েছে- এর মধ্যে চার জনের আগে দাড়ি ছিলো না- তারা একণ দাড়ি রাখছে।
৩. ৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং তার পর প্রতিটি আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম জামায়াত নেতাদের কড়া নির্দেশ ছিল ঢিল ছোড়া যাবে না, গাড়ি ভাঙগা যাবে না। এমনকি এ সব আন্দোলনে পুলেশের সাথে একত্রে বসে কত গল্প করেছি। এমনকি ১৯৯৯ সালে পল্টন মোড়ে একদিন পুলিশ টিযার সেল মেরে রাবার বুলেট ছুরে আমাদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে - জবাবে আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা অনেকে ইটের টুকরো মেরেছে। পরের দিন আবার সেই পুলিশের সাথে কথা বলেছি একান্তভাবে - সার্জেন্ট আহাদ ( যিনি সন্ত্রাসী হামলায় মারা গেছেন)তিনি বললেন দেখেন এই আপনাদের লোকেরা আমার পায়ে ঢিল মেরে কি অবস্থা করেছে- মৃদু হেসে জবাব দিয়েছিলাম- আপনারা কেন টিয়ার সেল মেরেছিলেন? উনি জবাব দিলেন উপরের নির্দেশ ছিল- আমরা বললাম আমাদের ছেলেদের কোন নির্দেশ ছিল না- ওরা আত্ম রক্ষার জন্য ঢিল ছুরেছে- এর পর একত্রে চা খেয়েছি- পুলেশের সেই চরিত্র কি এখন আছে? নারায়ে তাকবীর শ্লোগান দিতে দেরী- কিন্তু পুলিশের গুলি করতে দেরী হয় না। এরপরও প্রতিটি একান্ত বৈঠকে জামায়াত নেতাদের কড়া নির্দেশ কোন ভায়োলেন্স করা যাবে না। আপনি প্রশ্ন করবেন তবে কেন এমন হয়? আমিও শিবিরের ছেলেদের এ প্রশ্ন করি বারবার- তারা বলে ভাই যখন চারদিক থেকে ঘেড়াও করে গুলি করা শুরু করে তখন এক্সিট রুট বের করার জন্য উপায়ন্তর না পেয়ে দু-চারটি গাড়ি ভাঙচুর করতে বাধ্য হই। আর পুলিশ নিজেই গাড়িতে আগুন দেয় শিবিরকে সন্ত্রাসী প্রমানের জন্য।
৪.২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর রমনা থানার ওসি সাহবের কক্ষ ( আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম) ২২-২৫ জন যুবককে ধরে অনা হয়েছে শিবির সন্দেহে- এর পর চলছে শিবির বাছাইয়ের পালা। প্রথমে মুখের গন্ধ পরীক্ষা করে একজনকে পাওয়া গেল যে সিগারেট খায়- তাকে আলাদা করে বলা হলো এ শিবির করে না। এরপর মূখে যাদের দাড়ি আছে তাদের আলাদা করা হলো। ১৬-১৭ জনেরই দাড়ি ছিল- বিনা বিচারে সাবাইকে শিবির হিসেবে চিহ্নিত করা হলো- এর মধ্যে একজন মুরগীর দোকানদার ছিলেন যিনি মুলত আ্ওয়ামীলীগ করেন- কিন্তু দাড়ির কারণে শিবির বলে চিহ্নিত হলেন। বাকীদের দেখা হলো প্যান্ট টাখনুর উপরে না নীচে। দুজন আসলেই শিবির কিন্ত তারা উপায় খুজছিলেন এবং প্যান্ট সার্টর নীচ থেকে নামিয়ে টাখনুর নীচ পর্যন্ত ছেরে দিলেন। কিন্তু থানার এস আই যোবায়ের শার্ট উচু করে দেখলেন যে তার প্যান্ট নাভীর অনেক নীচে নামিয়ে রেখেছে- প্যান্ট উঠানোর পর দেখা গেল যে তার প্যান্ট টাখনুর উপরে।
যিনি জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিরোধীতা করার জন্য এ ব্লগ লিখেছেন তাকে প্রশ্ন করছি বুকে হাত দিয়ে বলুন- কতজন বেনামাজী ছেলের পিছনে বছরের পর বছর পরিশ্রম করে নামাযী বানিয়েছেন। কতজনকে নিয়মিত অর্থসহ কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন? কতজন যুবককে অশ্রীল গান বাজনা থেকে ফিরিয়েছেন? কতজন ছাত্রকে সুন্দরীর মেয়েদের প্রেম থেকে বাচিয়েছেন? কতজন ছাত্রকে ভাল ফলাফল অর্জনে সহযোগিতা করেছেন? কতজন ছাত্রকে পরীক্ষায় নকলের মতো হারাম কাজ থেকে বিরত রেখেছেন? শিবিরের কোন সাথী/ সদস্য পরীক্ষায় নকল করলে তাকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়। কতজন অসহায় ছাত্রর লজিং টিউশনীর ব্যবস্থা করেছেন? কতজন অসহায় ছাত্রের বই কেনার কাজে সহযোগিতা করেছেন? কতজন বখাটে যুবককে চরিত্রবান হতে সহযোগিতা করেছেন? কতজন অসহায় রোগীকে প্রয়োজনে রক্ত দিয়েছেন? বাতিলের মোকাবেলায় কতদিন গুলির মুখে দাড়িয়ে আল্লাহু আকবার শ্রোগান দিয়েছেন?
জানি এ সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না। কারণ আপনার লেখা দেখে বোঝা গেছে ইবলিশ শয়তান আপনার মস্তক কিনে নিয়েছে-
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:১৪
172371
ঈগল লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। বুঝা গেল জামাআত শিবিরের বিরোধতিা করলেই "শয়তান মস্তিস্ক কিনে নেয়।" হা হা হা।
=======
আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, শিবিরের অধিকাংশ সাথী এবং সদস্য টাখনুর নিচে প্যান্ট পরিধান করে। দাড়ি তো অনেক দূরের ব্যাপার।
================
আপনি যেমন কিছু ঘটনার উদারণ দিলেন আমিও দিতে পারি। কিন্তু কথা বলা উচিত 'মেজরিটি' নিয়ে।
=================
যারা আল্লাহ দ্বীনকে ভালোবাসে তারা নেহী আনিল মুনকারের কাজ করতে সর্বচ্চো গূরুত্ব দেয়। কিন্তু যদি আপনি অন্য দলের অনুসারীদের শয়তানের অনুসারী মনে করেন তাহলে ভিন্ন কথা।
=====================
জামাআত শিবিরের ছেলেরা অবশ্যই আওয়ামী লীগ বিএনপির থেকে ভালো। এটা কট্ট জামাআত বিরোধীরা স্বীকার করবে। কিন্তু আমার পয়েন্ট চরিত্র নিয়ে নয়। আশা করছি সেটা বুঝার মত মস্তিস্ক আপনার আছে।
================
সর্বশেষ আপনার প্রতি আহ্বান, উপরের প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে আপনার সাথে বির্তক করতে রাজি। যদি রাজি হন, তো আসেন একটি একটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করি। শর্ত থাকবে আপনি আর আমি ছাড়া কেউ কমেন্ট করতে পারবে না।
২৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১৪
193423
ব১কলম লিখেছেন : অশেষ ধন্যবাদ, দাতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য ।
১১
225089
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৫
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : ভাই ফকরুল এই ব্লগে দেখছি আমাকে নিয়ে আলোচনা!! তবে আপনি জুলকারনাইনের সাথে বিতর্ক করতে গিয়ে আমার নামে মিথ্যাকথা কেনো বললেন বুঝলাম না? আমি সবার জন্য আপনার সেই মন্তব্যের লিঙ্ক এখানে দিলাম-সবাই দেখুক সেই মন্তব্যে আপনার বিরুদ্ধে বা নামে বাজে কথা দুরে থাক; একটা শব্দও নিজে থেকে আমি লিখিনি। অথচ আপনি বললেন-আমি আপনার মন্তব্যে বাড়তি কথাজুড়ে দিয়ে আপনার নামে বানিয়ে লিখেছি; যদিও আমি আপনার ও জুলকারনাইনের মন্তব্যই হুবহু তুলে দিয়েছি মাত্র, নিজে কিছুই বলিনি---

সেই লিঙ্ক যেখানে আমি ফখরুল সাহেবের বাজে মন্তব্য এবং জুলকারনাইনের মন্তব্য তুলে ধরেছি কিন্তু নিজের একটি কথাও লিখিনি Click this link
২৩ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
172300
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি দু:ক্ষিত । মন্তব্যটা লিখতে যেয়ে অন্য জায়গায় পোস্ট হয়েছে । তবে আপনি ইমরান ভাইয়ের একটা লেখায় আমার একটা মন্তব্য কপি পেস্ট করেছেন । আমার সম্পর্কে যদি আপনার একান্ত জানার বা আমার কোন লেখায় অস্পষ্টতা থাকলে তা বোঝার জন্য আপনি আমার ফেসবুক বা ইমেইলে যোগাযোগ করা করতে পারতেন । আমার ব্যাপারে কি ইমরান ভাই বেশী জানেন ? আরেকটি কথা জামায়াত শিবিরের লোকরা বা ব্লগাররা আমাকে ব্লক বা ব্যান করেছেন । এজন্য আমি আমার আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারছি না । যেমন : জুলকারনাইন সাবাহ আমাকে ব্লক করেছেন ।

২৩ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৩
172304
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : নারে ভাই,আসলে আমি গালাগাল সহ্য করতেই পারিনে বলে-আপনাদের দু'জনের সেই বাজে মন্তব্যই তুলে ধরেছিলাম সেখানে আমার মন্তব্য ছাড়াই যাতে সবাই দেখে আমাদের অধঃপতন, এই ছিলো উদ্দেশ্য।

আমি নিজেই একজন আইনের ছাত্র, সরকারি বিসিএস অফিসার এবং প্রচুর লিখি গান, কবিতা-প্রবন্ধ সব। সাইমুমের ৫টি ক্যাসেটে আমার গান আছে-আপনি শুনেও থাকতে পারেন। যেমন-ভোরের পাখিরা নামক ক্যাসেটে ''সত্যকথা বলতে হবে সত্যপথে চলতে হবে, কে বলেছে কে--আল্লাহ রসুলে--''

যাক--আমার মনে হয় আপনার মানুষ চটানোর মতো ভাষা পরিহার করা উচিৎ যদিও আপনার স্বাধীনতা আছে কিছু বলার বা লেখার। কিন্তু মানহানিমূলক কিছু লেখা ফৌজদারী এবং নতুন আইসিটি আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ যা আমাদের সবার মনে রাখা দরকার। ধর্মীয় উস্কানীমূলক লেখা তাতে নিষিদ্ধ।

আর জামাত-শিবিরের লোকেরা কেনো এখন মুসলিম বিশেষত বাংলাদেশের অনেক মুসলিম ভাই বড়ই অসহনশীল এবং গালবাজ--যা দেখে-শুনে আমি কল্পনাও করতে পারিনা--এটা কিভাবে সম্ভব যারা নবীকে ভালোবাসে দাবী করে। আপনিও এর ব্যতক্রম নন কিন্তু। তাই আমাদের সংযত হতে হবে। কী লাভ ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করে। ভুল হলে মাফ করবেন।
২৩ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩৭
172322
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ভাই । আপনার কথা ঠিক আছে । আমাকে তো ইমরান ভাই ব্লক করেছেন ।

তিনি এবং তার পোস্ট কমেন্ট করা লোকগুলো প্রায়ই আমার লেখাগুলোতে এসে আজে বাজে মন্তব্য করেন । যেমন : দেখুন ইমরান ভাই আমার এই লেখাটা দেওয়ার পরই প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে কি লিখেছেন :
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/43807

( ভাই-বোনেরা ! বিয়ের আগে কনডম ব্যবহার করবেন না । )


আমাকে জামায়াত-শিবিরের কিছু ভাই-বোন ইন্টারনেট জগতে একে বারেই সহ্য করতে পারেন না । তারা হেন খারাপ কথা নেই আমাকে বলেননি । এক সময় তারা আমার মা-বোন নিয়েও গালি গালাজ করা শুরু করলো । শুধু বাকি রেখে প্রকাশ্যে এসে মার - ধর করাটা ।

আমি মনে করি তাদের সহনশীল হওয়া উচিত । অন্যথায় তাদের প্রতি জনগণের যতটুকু আস্হা ও সমর্থন ছিল তাও বিলুপ্ত হবে ।
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:১১
172370
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : এটা মানে গালিগালাজ করা কোনো মুসলিমের পক্ষেই সম্ভব নয় মুনাফিক আর অমুসলিম ব্যতীত। এরপরও যারা করছে তারা তাদের ঈমানী দুর্বলতাই প্রকাশ করে দিচ্ছেন আর নবীর হাদীসানুযায়ী এক্ষেত্রে গালি হজম করার ক্ষমতা অর্জন করাও ঈমানের দাবী। গালবাজদের গালি হজম করে সহনশীন হতে পরামর্শ দেবো আমি এবং বিতর্কিত পোস্ট না দিতে বলছি।

আমি মনে করি-আমি পরকালে মুক্তি পাবো কিনা-সেটাই হওয়া উচিৎ একজন মুসলিমের টেনশন, যা আমি করি। আর পারলে মুসলিমদের বিভেদ কিভাবে দূর করা যায়-আমার মতো সে ধরণের লেখাও লিখতে পারেন। লিঙ্ক- http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/8603/shahalambadsha/45671#.U3-BJdKQZnA
১২
225210
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:১৪
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম সাহেব,এটা মানে গালিগালাজ করা কোনো মুসলিমের পক্ষেই সম্ভব নয় মুনাফিক আর অমুসলিম ব্যতীত। এরপরও যারা করছে তারা তাদের ঈমানী দুর্বলতাই প্রকাশ করে দিচ্ছেন আর নবীর হাদীসানুযায়ী এক্ষেত্রে গালি হজম করার ক্ষমতা অর্জন করাও ঈমানের দাবী। গালবাজদের গালি হজম করে সহনশীন হতে পরামর্শ দেবো আমি এবং বিতর্কিত পোস্ট না দিতে বলছি।

আমি মনে করি-আমি পরকালে মুক্তি পাবো কিনা-সেটাই হওয়া উচিৎ একজন মুসলিমের টেনশন, যা আমি করি। আর পারলে মুসলিমদের বিভেদ কিভাবে দূর করা যায়-আমার মতো সে ধরণের লেখাও লিখতে পারেন। লিঙ্ক- http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/8603/shahalambadsha/45671#.U3-BJdKQZnA
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:৩৯
172379
ঈগল লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্যের জন্য জাযাকাল্লাহ খায়রন।
১৩
228064
২৯ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
সত্যবাদী ব্লগার লিখেছেন :
প্যান্ট টাখনুর উপরে পরতে হবে
কোরানের আয়াত দিতে পারবেন কি ?? দাড়ি রাখার ব্যাপারে কিছু বলা নাই কোরানে তাই দাড়ি রাখেন না । তাহলে গোড়ালির উপরে প্যান্ট কেন পরতে হবে ??
৩০ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
175069
ঈগল লিখেছেন : হাদিসের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File