শুদ্ধ বিবেক vs ওলামায়ে দ্বীন
লিখেছেন লিখেছেন ঈগল ০৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:৩৯:১৮ দুপুর
প্রশংসা জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহর। দরুদ ও সালাম নাবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর পরিবার বর্গের প্রতি।
আমি বিশ্বাস করি যারা সত্য পথে পরিচালিত হতে আগ্রহী, যারা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দ্বীন শিখতে আগ্রহী, কাউকে ভালোবাসলে মহান আল্লাহর জন্যই ভালোবাসে এবং কাউকে ঘৃণা করলে মহান আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে। দেশপ্রেম, ঘরপ্রেম যাকে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদে আবদ্ধ করে নি, কোন দলীয় প্রেম যাকে বশ করে নি। ইনশাল্লাহ আশা করা যায়, মহান আল্লাহ তাকে নিরাশ করবেন না, তাকে সহী দ্বীন এবং সঠিক ইলম দান করবেন।
আমাদের সম্মাণিত কিছু ভাই আছেন, যাদেরকে দুএকটি কিতাবরে হাওয়ালা দিয়ে কিছু বললে তারা বলেন, ভাই, দুই একটি বই পড়েই আপনি সত্য বুঝে গেলেন!! বিনয়ের সাথে তাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই, সত্য বুঝতে কি হাজার হাজার কিতাবপত্র পড়ার দরকার নাকি ন্যায় সঙ্গত বিবেকে দরকার? এটা মনে রাখা দরকার যে, একটি বইয়ের একটি বাক্যই আপনাকে সত্য বুঝতে সাহায্য করে থাকে। বিবেক যদি পরিশুদ্ধ থাকে, তাহলে ভুল ব্যাখ্যা সম্বলিত লিখা আপনাকে সহজে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারবে না।
সম্মাণিত ভাইয়েরা, আমাদের বাংলাদেশে হাজার হাজার ওলামা আছেন যারা আরবীতে বিরাট বিরাট কিতাব সমূহ অধ্যয়ন করেন। ইমাম তাইমিয়াহ, ইবনে কাসির, শাওকানী, ইবনুল কাইয়্যূমসহ শত শত মনীষীর কিতাবপত্র তাদের বুক সেলফে সারি সারি সাজানো থাকে। কিন্তু তাদের কয়জন দ্বীন ক্বায়েমের ময়দানে সক্রীয়! কিতাবপত্র পড়েই যদি সত্য গ্রহণের স্পৃহা সৃষ্টি হতো তাহলে এইসব ওলামাগণ অবশ্যই দ্বীন ক্বায়েমের ময়দানে সত্রিয় থাকতেন। কিতাবপত্র পড়েই যদি সত্য বুঝা যেত তাহলে কেন ভিন্ন আক্বিদার মানুষের পদচারণায় মুসলিম উম্মাহর এই দিশেহারা অবস্থা!
বিষয়: বিবিধ
১০১৯ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কয়েকজন ওলামার উদাহরন দিলে খুব ভালো হতো।
===============
জাযাকাল্লাহ খয়রান এর উত্তরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাকি কিছু বলেছিলেন কিন্তু সেটা আামার জানা নাই। আপনার যদি জানা থাকে দয়া করে আরো একটি কমেন্ট করার অনুরোধ রইল।
পাছে লোকে কিছু বলে - এই অবস্থা হতে মুক্ত আলেম সমাজকে আজকের আখেরী জামানার মুসলিমরা দেখতে চায় - যাতে তারা তাদের দেখাদেখি ইসলামের পরিপূর্ন সুফল পেতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন