গণতান্ত্রিক ইসলামপন্থীদের নিকট কয়েকটি প্রশ্ন

লিখেছেন লিখেছেন ঈগল ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৩০:১৪ রাত

মহান আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা জ্ঞাপন করে শুরু করছি।

বিখ্যাত হওয়ার সহজ পথ নাকি গণতন্ত্রকে হারাম ঘোষণা করা!! অথচ এর বিপরীতটাই বেশি সত্য।

আজ বিকালে একটি লিখাতে কমেন্ট করেছিলাম। একটু পরিমার্জন করে পোস্ট আকারে দিলাম। পোস্টটি পরে কেউ কেউ বিনোদন পেলেও অনেকের জন্য চিন্তার উদ্রেক করবে ইনশাআল্লাহ।

অনেকেই ভোট এবং গণতন্ত্রকে একাকার করে ফেলে। অথচ ভোট গণতন্ত্রের একটি উপাদান মাত্র। আমার পোস্টটি মূলত গণতন্ত্র নিয়ে।

ভোট /পরামর্শ/গণতন্ত্র[/b]

১। ভোট এবং গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য আছে। পার্থক্য নির্ণয় জরুরী।

২। পরামর্শ দুইভাবে হয় ক) আমভাবে ২) খাস ভাবে। এই দুইটির পার্থক্য নিণর্য় জরুরী।

এবার আমি আমার প্রশ্নগুলি করি

১। ক্ষমতার জন্য পাঁচ বছর, তিন বছর , ছয় বছর ইত্যাদি নিদিষ্ট সময় নির্ধারণ কিসের ভিত্তিতে?

২। ভোট দানের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করে ইসলামিক শরীয়াহ বাস্তবায়ন করবেন কিসের ভিত্তিতে?

৩। বর্তমান পার্লামেন্টের কাজ হচ্ছে আইন তৈরি করা এবং আল্লাহর আইনের প্রতিস্থাপন করা। এই যখন অবস্থা তখন কে আপনাকে বাধ্য করলো সংবিধানিক শপথ নিতে? (অর্থাৎ আল্লাহর আইনকে প্রতিস্থাপনকারী সংবিধানের শপথ নিতে)

৪। বর্তমান পার্লামেন্টগুলিতে সকল ধর্মের অনুসারীদের (ধর্মনিরেপক্ষ, সমাজতন্ত্র, হিন্দু ইত্যাদী)অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। এটা কিভাবে সম্ভব যে, যে র্পালামেন্টে শরীয়হ আইন বাস্তবায়ন হবে (যদি কখনও ইসলামী গণতন্ত্রপন্থীরা পার্লামেন্টের মাধ্যমে শরীয়হ আইন বাস্তাবয়ন করতে চাই)সেই পার্লামেন্টে একদল শরীয়হ আইনের বিরোধীতা করবে (আল্লাহর আইন বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি করবে)!! এই ধরনের শরীয়াহ সংসদ কিসের ভিত্তিতে?

৫। শরীয়াহ সংসদে (যদি কখনও ইসলামী গণতন্ত্রপন্থীরা পার্লামেন্টের মাধ্যমে শরীয়হ আইন বাস্তাবয়ন করতে চাই)একদল স্পষ্টভাষায় আল্লাহর আইনের বিরোধীতা করবে অথচ শরীয়াহ সংসদ তাদের শাস্তি দিবে না!! কোন শরীয়াহর আলোকে আল্লাহর আইনের বিরোধীতাকারীরা (শরীয়াহ আইন বাস্তবায়নে বাধা দানকারীরা) ক্ষমা প্রাপ্ত?

৬। ডেমোক্রাটিক শব্দটির উৎপত্তি কোথায় কিভাবে হয়েছিল? এই শব্দের উৎপত্তি ও বিকাশকারীরা এই শব্দ দ্বারা যা বুঝিয়ে থাকে সেটায় চূড়ান্ত, নাকি আপনি ঐ শব্দ দ্বারা যা ব্যাখ্যা করবেন সেটাই ছূড়ান্ত?

৬। ইউসুভ আল কারযাভীর একটি পূর্ণাঙ্গ লিখা দেখান যেখানে তিনি শর্তছাড়া গণতন্ত্রকে গ্রহণীয় বলেছেন

৭। গণতান্ত্রিক ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় এলো, শরীয়াহও চালু হলো। এরপর যদি জনগণ শরীয়াহ আইনের বিপক্ষে অবস্থান নেই তখন গণতান্ত্রিক ইসলামিস্টদের ভূমিকা কি হবে?

==========

পাঠক আমি জানি আপনারাও শর্তহীন গণতন্ত্রকে গ্রহণ করেন না। এটা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে উপরের প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া অপরিহার্য।

এখন দেখার বিষয় কি উত্তর আসে।

বিষয়: বিবিধ

১২৯৩ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

175967
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২১
সাদাচোখে লিখেছেন : যে মতবাদ, কোন ভূখন্ডের উপর 'স্রষ্টার নয়' বরং 'জনগনের' সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করে।
যে মতবাদ, জনপ্রতিনিধি ও জনসেবকদের বিতর্কিত, দ্বান্ধিক ও পরিবর্তনশীল সংবিধান কে রক্ষার শফথ নিতে বাধ্য করে অথচ স্রষ্টার দেওয়া অপরিবর্তনীয় সংবিধানকে তুচ্ছ ও তাচ্ছিল্য করে।
যে মতবাদ, জনপ্রতিনিধি ও জনসেবকদের 'স্রষ্টার কাছে' নয় বরং মূর্তি তুল্য 'জনগনের' কাছে জবাবদিহীতা নিশ্চিত করে।

তা আর যাই জনহিতৈষী কোন মতবাদ হতে পারেনা। তবে যার কাছে স্রষ্টা নেই, যে স্রষ্টার সাথে বেঈমানীকে শিল্প মনে করে - তার জন্য গনতন্ত্র আপাতঃ সেরা ব্যবস্থা বলেই মনে হবে - কারন স্রষ্টাকে দৃশ্যপট হতে সরিয়ে দিলে - যে পৃথিবী - তাতে তার বিকশিত হবার জন্য, প্রভাব প্রতিপত্তি, অর্থ ও যশ নিশ্চিত করার জন্য গণতন্ত্র সবচেয়ে বেশী যুৎসই ব্যবস্থা বটে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১৮
129273
ঈগল লিখেছেন : চিন্তাকর্ষক কমেন্ট। জাযাকাল্লাহ খায়রান।
175984
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৬
আবু সাইফ লিখেছেন : আপনি বলেছেন-

ভোট /পরামর্শ/গণতন্ত্র

১। ভোট এবং গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য আছে। পার্থক্য নির্ণয় জরুরী।
২। পরামর্শ দুইভাবে হয় ক) আমভাবে ২) খাস ভাবে। এই দুইটির পার্থক্য নিণর্য় জরুরী।


এ দুটো কথায় দ্বিমত নেই!
আপনি বিস্তারিত আলোচনা করলে পাঠকদের সুবিধা হবে!



আপনি আরো বলেছেন-
৬। ইউসুভ আল কারযাভীর একটি পূর্ণাঙ্গ লিখা দেখান যেখানে তিনি শর্তছাড়া গণতন্ত্রকে গ্রহণীয় বলেছেন?

কোন শর্ত ছাড়াই "গণতন্ত্র"কে বৈধ বলেছেন - এমন কোন ইসলামী ব্যক্তিত্বের কথা আমার জানা নেই!

*****************
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে
অন্য পোস্টে আমার মন্তব্যগুলো পাঠকের সামনে পাশ করছি-

আসসালাম...

অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন- জাযাকাল্লাহ..

আমরা সচেতন সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে চিন্তা গবেষণা করে চলেছি এবং কার্যকর উপায় ও প্রক্রিয়া তালাশ করছি- এটাই বড় কথা! আলহামদুলিল্লাহ...


তবে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্বের সমসাময়িক শীর্ষ উলামা/ফুকাহা-ই-কিরাম চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছেননা, এমন বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানী অধ্যয়ন ছাড়া সিদ্ধান্তমূলক মতপ্রকাশ করা সচেতন ব্যক্তির জন্য অনুচিত মনে করি!

বরং এভাবে বলা যেতে পারে-
"আমার জ্ঞানমতে এই এই বিষয় আপত্তিকর/সাংঘর্ষিক মনে হয়- চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আরো গবেষণার প্রয়োজন"

*******
আমার মন্তব্য করার আগে এটা নিশ্চিতভাবে আগেই জানিয়ে দিই যেন আপনার জন্য ভুলবুঝা থেকে মুক্ত থাকতে সুবিধা হয়-

আমি গণতন্ত্রে পক্ষেও নই, বিরোধীও নই, বরং মনে করি এতে [দুনিয়াজুড়ে প্রচলিত বৈচিত্রময় গণতন্ত্রে] এমন কিছু কিছু বিষয়/উপাদান আছে যার সাথে ইসলামের বৈরিতা নেই, বা থাকলেও সেগুলো দূর করা সম্ভব হতে পারে! আর কিছু কিছু উপাদান অবশ্যই বর্জ্য- সেগুলোর সাথে ইসলামের বৈরিতা চিরস্থায়ী!

এবারে আমার কথা:
==========

আপনি বলেছেন-

গণতন্ত্রের আর সকল বিষয় বাদ দিলেও এর মূলগত এই তিনটি বিষয়কে আপনি কিভাবে এড়িয়ে যাবেন যেখানে বলা হচ্ছে-
১. জনগণের ভোটে-
২. জনগণের মধ্য থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা-
৩. জনণের জন্য আইন প্রণয়ন করবেন।
অথচ ইসলাম তার অনুসারীদের জন্য এটি হারাম করেছে। আইনদাতা হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তা'আলা।


আমার সংক্ষিপ্ত মন্তব্য
====================
আপনার এ প্রশ্ন তিনটির মধ্যেই তথ্যগত ত্রুটি বা অস্পস্টতা রয়ে গেছে মনে করি!

যেমন-
১.জনগণের ভোটে-
*জনগণ জমিনে আল্লাহর খলিফা- একথার ব্যাখ্যায় জনগণের মর্যাদা ও অধিকার বিবেচ্য
*ইসলামে জনমত এর প্রয়োজন কতখানি?
*জনমত যাচাইএর ইসলামসম্মত পদ্ধতি কী/ কি কি?
*সারা দুনিয়ায় প্রচলিত "জনগণের ভোটে"র অসংখ্য পদ্ধতি- সবগুলো পদ্ধতি কি পাশাপাশি তূলনা করেছেন?

আপনি আড়ো বলেছেন-
"আগ্রহীগণ আমাদের(??) ইসলাম ও গণতন্ত্র বইটি পড়ে দেখতে পারেন।"
এটি কোন বই? আমার সেটা পড়া আছে কিনা বুঝতে পারছিনা! কার লেখা/প্রকাশিত? নেটে কি পাওয়া যাবে?

২.জনগণের মধ্য থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা-
*দেশের শীর্ষস্থানীয় ফকীহ(গণ)ও "জনগণের মধ্য থেকে" নন কি? তিনি/তাঁরাও তো নির্বাচিত হতে পারেন!
*নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উত্তম বা কমপক্ষে নিষিদ্ধ নয় তা এখনো গবেষণার বিষয়!
এটা নিয়ে তর্ক করলে "আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন এবং সেই স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছেন এবং সেই স্রষ্টার স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছেন" এমন অবস্থা হবে!

৩.জনগণের জন্য আইন প্রণয়ন করবেন।
*ফুকাহায়ে কিরাম তো এটাই করে থাকেন! আল্লাহতায়ালার নির্দেশও এমনটাই!

অথচ ইসলাম তার অনুসারীদের জন্য এটি হারাম করেছে।
আইনদাতা হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তা'আলা।

এমন মোটাদাগে স্থূল কথা আপনার কলম থেকে বেরিয়েছে - এটা আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা!
সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য যত খুটিনাটি বিধিবিধান ও সমস্যা, তার কয়টাই-বা সরাসরি কুরআন-সুন্নাহতে আছে? তাহলে সমাধান দেবে কে?


যাহোক, আমার অভিমত-
(পরামর্শ দেবার যোগ্যতা ও ধৃষ্টতা- কোনটাই নেই):-

নির্দিষ্ট মতের অনুকুলে বা প্রতিকুলের চিন্তা এবং পূর্বধারণার সীমানার ভিতরে অবস্থান করে আর যত জ্ঞানচর্চাই হোক- কোন সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার মত গবেষণা সম্ভব হয়না!
এটা করতে হলে সর্বপ্রথম সকল বিদ্যমান চিন্তা-ধারণার উর্ধে উঠে তৃতীয়নয়নে দেখতে ও বিশ্লেষণ করতে হয়! সমসাময়িক জটিল বিষয়ের গবেষণার কাজটা তাঁদেরই জন্য- যাঁরা এমন অবস্থানে নিজেকে স্থির রাখার দৃঢ়সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন!

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে রাজনৈতিক পদ্ধতিগত বিভ্রান্তি ও বিতর্কের এ গোলকধাঁধা থেকে উদ্ধার করুন!! আমীন

*********
আবু সাইফ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ....

আপনার এ মন্তব্যটি যথার্থ মনে হয়না-
এরপরও যদি কেউ গণতান্ত্রিকভাবে ইসলাম কায়েমের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করে যান, তবে তার ক্ষেত্রে আমার একথা বলা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই যে তিনি ‘ইখলাসের সাথে গুনাহ করে যাচ্ছেন।’

আরো ব্যাখ্যা প্রয়োজন!

অথবা

অভিযোগটি সুপ্রীমকোর্টে [আদালতে আখেরাত] রেফার করা যেতে পারে [যতদূর জানি- এ ধরণের মন্তব্যে স্যুয়োমোটো(স্বয়ংক্রিয়ভাবে) রীট হওয়ার কথা)

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম!


[অ.ট.: জটিল বিষয়ে একজন আলিম-পরিচিতি ব্যক্তির অপর্যাপ্ত গবেষণার সিদ্ধান্তমূলক মন্তব্য মুসলিম উম্মাহর জন্য যতটা ক্ষতিকর হতে পারে, লক্ষাধিক দুস্কৃতিকারীও তা পারেনা!

কারণ দুস্কৃতিকারীদের ক্ষতিটা বস্তুগত, অনায়াসেই সারিয়ে তোলা যায়! কিন্তু আলিমের রায় বিশ্বাসগত- জনসাধারণে এর প্রভাব কয়েক শতাব্দী থেকে যায়!]

রিপোর্ট করুন | জবাব দিন

175825
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
আবু সাইফ লিখেছেন : @মুহতারাম খান ভাই,
এ লেখাটি আপনার কাজে লাগতে পারে

ভোট ও নির্বাচন পদ্ধতি : ইসলামের দৃষ্টিকোণ
লিখেছেন অনুসন্ধান ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫৭ সকাল

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১০
129272
ঈগল লিখেছেন : আপনি লিখেছেন,
আমি গণতন্ত্রে পক্ষেও নই, বিরোধীও নই, বরং মনে করি এতে [দুনিয়াজুড়ে প্রচলিত বৈচিত্রময় গণতন্ত্রে] এমন কিছু কিছু বিষয়/উপাদান আছে যার সাথে ইসলামের বৈরিতা নেই, বা থাকলেও সেগুলো দূর করা সম্ভব হতে পারে! আর কিছু কিছু উপাদান অবশ্যই বর্জ্য- সেগুলোর সাথে ইসলামের বৈরিতা চিরস্থায়ী!
=========
কিন্তু আমি বলছি সমাজতন্ত্রেও ভালো কিছু আছে, ধর্মনিরপেক্ষেও কিছু ভালো আছে, কিন্ত আমরা ওগুলিকে পরিতাজ্য ঘোষণা করেছি।

সব মিলিয়ে, আমার প্রশ্নগুলির যদি যথাযথ উত্তর দেন তাহলে খুশি হবো। উত্তরগুলি জানা খুব দরকার।

আপনার সর্বশেষ কমেন্টটি মুছে দিলাম।

যদি সম্ভব হয় আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। অবাক হলাম গণতন্ত্রের বিকল্প আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না!!!!!!!!!!!
=====্
অনুরোধ করছি আপনি আমার পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন। অযথা বির্তক এড়িয়ে যেতে যাচ্ছি।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৯
129280
আবু সাইফ লিখেছেন : কেন ভাই, মুছে দিলেন কেন??
আমার মন্তব্যে এমন কি ছিল যা না মুছলে চলতোনা??

যাক গে, আপনার ইচ্ছায় তো আর আমার আপত্তি করা সাজেনা!

তবে আমার মন্তব্যে কী ত্রুটি ছিল সেটা জানতে পারলে শুধরে নিতে সুযোগ পেতাম!

দুঃখিত, মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যের কপি রাখার অভ্যাস নেই আমার! তাই যাচাই করতেও পারলামনা!!

তাছাড়া আমি তেমন শিক্ষিতও নই, তাই আপনাদের সাথে আলোচনা বা বিতর্ক আমার জন্য মানায়না!!

আপনার সাথে কিছু বিষয়ে মতের অমিল থাকতেই পারে! তবে যাঁরা ইসলাম নিয়ে কথা বলেন তাঁদের আল্লাহর ওয়াস্তেই মহব্বত করি- এতে কোন খাদ নেই!!

আল্লাহতায়ালা আপনাকে দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কল্যান দান করুন - আমীন!!


১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩১
129343
আয়নাশাহ লিখেছেন : মাশা আল্লাহ। সুন্দর হয়েছে।
175998
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৭
মাজহার১৩ লিখেছেন : নির্বাচনী গনতন্ত্রে বিজয়ের পরের বার যদি ইসলামিষ্টরা হেরে যায় সেটাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন।
তবে ইসলাম কিভাবে প্রতিষ্টিত হতে পারে তাঁর জন্য এই গল্পটি কি যথেষ্ট নয় কি?
একটি শিশুর দুরারোগ্য অসুখ হলো। একজন স্পেশালিষ্ট ডাক্তার ওষুধ লিখে দিল। এই বিশেষে রোগে উক্ত ওষুধ খেয়ে অনেক রোগীর ভাল হওয়ার নজির আছে। কিন্তু সমস্যা হলো শিশুটি খেতে চায় না। সেক্ষেত্রে পিতামাতা কি ১।প্রেসক্রিপশন ফলো করবে ২।নাকি শিশুর পছন্দকে গুরুত্ব দিবে
৩।নাকি শিশুর পছন্দনীয় মিষ্টি জাতীয় অন্য ওষুধ খাওয়াবে
৪। নাকি মিষ্টি বলে শিশুকে প্রতারিত করবে
৫। জোর করে খাওয়াবে?
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০২
129266
ঈগল লিখেছেন : এটা এই প্রশ্নটি আপনি আমাকে করছেন কেন ভাই। আবু সাইফ ভাইকে এই প্রশ্নটি করতে পারেন। জাযাকাল্লাহ।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৬
129281
আবু সাইফ লিখেছেন : @মাজহার ভাই,
হয়তো আমি এর যোগ্য নই!

এটি আমার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়! তবুও ঈগল ভাই ঈংগিত করার কারণেই মন্তব্য করলাম!!

হয়তো অন্য কেউ আপনার প্রশ্ন ও উদাহরণের ভালো জবাব দিতে পারবেন!

ছাতা যার হাতে থাকে তিনি ছাতাটার বাইরের অবস্থা দেখতে পান না!
এটা তাঁর অবস্থানগত অক্ষমতা-
প্রকৃত অযোগ্যতা বা অক্ষমতা নয়!!

আল্লাহতায়ালা আপনাকে জ্ঞান ও কর্মে তাঁর সন্তুষ্টির মাকামে পৌঁছে দিন - আমীন!!
176043
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৪৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : অনেক কিছু বুঝলাম,শিখলাম এবং জানলাম। প্রচলিত গনতন্ত্র নিয়ে আপনার যে ব্যাখ্যা এবং ইসলামী শুরায়ী পদ্ধতি নিয়ে আপনার যে গবেষনা - সব মিলিয়ে বড়ই চমকপ্রদ এক বিষয়। পরিচিতি আর নিজের কদর বাড়াবার জন্য সত্যি একটি সহজ মাধ্যম।
আবু সাইফকে নিয়ে খামাখা চিন্তা করছেন। তিনি বিতর্ক পছন্দ করেন।
আমার মনে হয় কুটতর্ক তার খুবই অপছন্দ।
যাক ভাই
লেখা পড়া করা ভাল একটি অভ্যাস। আশা করছি আপনার রিডিং খুবই উচু মানের। আমি জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করে ই পোষ্টটি পড়ছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম মুছা মুছি চলছে - তখন আর কি করি বলুন। গনতন্ত্র নিপাত যাক -বাকিটা আপনি ই বলূন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
129379
ঈগল লিখেছেন : মুছে দেওয়ার আগেই হাল ছেড়ে দিলেন!!!
=========
যাইহোক, জবাব দিন তাহলে হবে।
176159
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩৭
আয়নাশাহ লিখেছেন : খালি প্রশ্ন কিসের ভিত্তিতে, কিসের ভিত্তিতে? সবকিছুর ভিত্তি খুজঁতে গিয়ে শেষে আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগলো, আপনি যে এতোবড়ো এই লেখাটা লিখে ফেললেন, তা কিসের ভিত্তিতে? জবাবটা আশা করছি।
ধন্যবাদ।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০১
129382
ঈগল লিখেছেন : প্রশ্ন করতে না শিখলে তো আর দ্বীন শেখা হয় না।
=====
এই প্রশ্নগুলি মূলত আননাহদা, ব্রাদারহুড, একেপাটি ইত্যাদির কারণে। তারা আমাকে আতংকিত করেছে। ভাবছি জামাআতে ইসলামীও কি ঐ একই পথে হাঁটবে?
=====
সম্ভবহলে উত্তর দিন। কিংবা নিজে একটু চিন্তা করুন। অযথা পোস্ট হিট করে কি লাভ বলুন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩২
129760
মাজহার১৩ লিখেছেন : আননাহদা,ব্রাদারহূড অথবা একে পার্টির কি সমস্যা আপনার দৃষ্টিভংগী জানার অপেক্ষায় থাকব। দ্রুত জানাবেন কারন আমারও কিছু অভিব্যাক্তি আছে।
196623
২৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪০
পদ্ম পাতা লিখেছেন : bayat jani ki ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File