ছহি আনিসুল নামা-আনিসুল হকের কোরআন অবমাননার ধৃষ্টতা (দলিল সহ)
লিখেছেন লিখেছেন সাজিদ করিম ২৭ মার্চ, ২০১৩, ১১:৩৯:৩৩ সকাল
ছবি গুলো দেখুন আর আমার নোট টির সাথে লেখাগুলো মিলিয়ে নিন।আল্লাহ অনেকটা কাকতালীয় ভাবে এই বইটি আমার হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।১৯৯৩ সালে বইমেলায় এই লেখাটি প্রকাশিত হলেও ২০১০ সালে সন্দেশ নামক নামকরা প্রকাশনা থেকে আনিসুল হক তা আবার পাবলিশ করেন। এত বড় কোরআন অবমাননার পরও এই দেশে কি তার বিচার হবে?আল-কুরআনের প্রারম্ভিক সূরার প্রথম আয়াতটি হচ্ছে
"সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের"
আর এই বর্ণনা ভঙ্গিকে ব্যাঙ্গ করে আনিসুল হক লিখলো
"অনন্তর, সমস্ত প্রশংসা রাজাকার গণের"..
সূরা ফাতিহার একটি আয়াতঃ "আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই।"
আর আনিসুল হক রঙ্গ করে লিখলো " আর তোমরা রাজাকারের প্রশংসা কর আর রাজাকারদের সাহায্য প্রার্থনা কর।"
সুরা দোহার ৪ নম্বর আয়াত
"নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য পরবর্তী যুগ পূর্ববর্তী যুগের চেয়ে ভাল।"
আর আনিসুল হক রঙ্গ করে লিখলো
"নিশ্চয়ই রাজাকারগণের জন্য অতীতের চাইতে ভবিষ্যতকে উত্তম করিয়া সৃজন করা হইয়াছে।"
কুরআনের আয়াত
"তোমরা তোমাদের মহামহিম রব/প্রভুর প্রশংসা কর"(সূরা আল-আ'লা)
আর আনিসুল হক ব্যাঙ্গ করে লিখলো
তোমরা তোমাদের প্রভু পাকিস্তানের প্রশংসা কর।
কুরআনের আয়াত
"নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।"
আর আনিসুল হক ধৃষ্টতা দেখিয়ে লিখলো
নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু পাকিস্তানিরা ক্ষমাশীল।
সুরা নিসার ৩ নম্বর আয়াত
"আর তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথার্থ ভাবে পূর্ণ করতে পারবেনা, তবে সেসব মেয়েদের মধ্য থেকে যাদের ভালো লাগে বিয়ে করে নাও দুই, তিন বা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরুপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরন বজায় রাখতে পারবে না, তবে একজনকেই (বিবাহ কর), অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদের (বিবাহ কর)।"
আর আনিসুল হক এই আয়াতের বিপরীতে বিকৃত ভাবে লিখলো
সেই ব্যাক্তিই উত্তম রাজাকার, যে বিবাহ করিবে একটি, দুইটি, তিনটি, চারটি যেরুপ সে ইচ্ছা করে আর তাহার জন্য বৈধ করা হইয়াছে ডান হাতের অধিকারভুক্ত দাসীদের আর তাহারা ভোগ করিতে পারবে বাঙ্গালী রমণী গনকে, অপিচ তাহাদের সহিত আদল করিবার দরকার হইবেনা। স্মরন রাখিও, মালেগনিমতগণেনের সহিত মিলিত হইবার পথে কোনরূপ বাধা থাকিলো না।
সুরা মুরসালাতের ১৬ নম্বর আয়াত
"আমি কি আগের (অবিশ্বাসী যালেম) লোকদের ধ্বংস করিনি?
আর আনিসুল হক এই আয়াতের বিপরীতে রঙ্গ করে লিখলো
গ্যালিলিও নামের এক পাপিষ্ঠ অতীতে সত্য অস্বীকার করিয়াছিল এবং সে কি প্রাপ্ত হয় নাই চরম শাস্তি?
সুরা নাবার ৩১-৩৪ নম্বর আয়াত
"অপরদিকে পরহেজগার লোকদের জন্য রয়েছে চরম সাফল্য।
(তা হচ্ছে) বাগবাগিচা, আঙ্গুর(ফলের সমারোহ), (আরো আছে) পূর্ণ যৌবনা সমবয়সী সুন্দরী তরুনী।"
আর আনিসুল হক এই আয়াতের বিপরীতে কুৎসিত ভাষায় লিখলো
আর তাহাদের জন্য সুসংবাদ। তাহাদের জন্য অপেক্ষা করিতেছে রাষ্ট্রের শীর্ষপদ আর অনন্ত যৌবনা নারী আর অনন্ত যৌবন তরুন। কে আছেন, যে উত্তম সন্দেশ, মসৃণ তলদেশ ও তৈলাক্ত গুহ্যদেশ পছন্দ করে না।
নাউজুবিল্লাহ।আমরা এই শয়তানের বিচার চাই।
সচলায়তন
সামু
লেখাটি ইসলামপ্রেমিক ভাইয়ের থেকে কপি-পেস্টকৃত। সুশীল সামুকে বিশ্বাস করিনা তাই কপি করা হল
nullnull
বিষয়: বিবিধ
২৬৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন