জাতি এক ইমারনকেই ধারন করতে পারছে না, দ্বিতীয় আরেক ইমরানের আবির্ভাব!!!
লিখেছেন লিখেছেন সাঈদ ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৫০:২১ বিকাল
শাহবাগি ইমরান সরকারের পাজেরো হাঁকানো, ফাইভ স্টার হোটেলে রাত্রি যাপন,বিরিয়ানি ভক্ষন, সুন্দরি ললনাদের সহচাজ্য ইত্যাদি দেখে মনে হচ্ছে, দেশে আরো অনেক ইমরান ‘ইমরান সরকার’ এর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আমাদের নতুন এই ইমরান হচ্চেন ইমরান তুষার। উনি ইসলামী ফ্রন্টের ছাত্র সংগঠন ছাত্র সেনার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
এটা জানি যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাইরে খুব কম লোকই এই ইসলামী ফ্রন্ট ও ছাত্র সেনার নাম শুনেছেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের মাজার পন্থীরা যারা নিজেদেরকে সুন্নি নামে পরিচয় দিতে পছন্দ করে এবং আপনারা যারা মাইজভাণ্ডারী, গাউসিয়া, কাগতিয়া ইত্যাদি নামে চেনেন তারাই হচ্ছে এই ইসালিম ফ্রন্ট। আর যদিও ছাত্র সংগঠন বলা হয়ে থাকে কিন্তু এদের কত শতাংশ আসলে ছাত্র তা তারাও বোধ করি জানে না।আর যা কিছু ছাত্র আছে তাদের কত শতাংশ নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়(SSC) করেছে সেটা আল্লাহ্ই ভালো জানেন। মূলত মাজার পন্থীদের কিশোর-যুবক বয়সীরাই ছাত্র সেনা। এই মাজার পন্থীদের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা বলার লোভ সামলাতে পারছি না তা হল- এরা বিয়ে,কুলখানি, আশেকে রাসুল সম্মেলন, সুন্নি কনফারেন্স, ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি বিভিন্ন নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গরু খাওয়ার প্রতি বিশেষ বিশেষ ঝোঁক আছে। সামাজিক বা ইসলামীক অনুষ্ঠান গুলোতে গরুর মাংস না হলে চলেই না। মাঝে মাঝে মনে হয় গরুর মাংস না খেলে এদের ঈমান কমে যায়।চট্টগ্রাম অঞ্চলে থাকার সুবাদে এদের মাজর কেন্দ্রিক ভণ্ডামি দেখার কিছু সুযোগ হয়েছে। একটা উদাহরন দেই- উমুক বাবার মাহফিলে ওনাদের আলেম ওয়াজের সময় দেখা যায় বলে উঠেন ‘কে কে এই বাবার সাথে একত্রে জান্নাতে যেতে চান হাত তুলুন’। হাত তোলার পর দেখা যায় বলেন ‘দিন এত লাখ টাকা দিন’। বাসে, সিএনজিতে, দোকানে, বাসার মেহমানের রুমে ইত্যাদি জায়গায় তাদের অন্যতম পীর পাকিস্তানি তাহের শাহের ছবি। এদের মধ্যে দন্ধের কারনে বিভিন্ন ভাগ আছে। কাগতিয়া, গাউসিয়া ইত্যাদি।এরাই কিন্তু ওলামা লীগের কয়েকজন নামধারী আলেমকে সাথে নিয়ে ‘লং মার্চ করা হারাম’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। ভবিষ্যতে এদের ভণ্ডামি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা সময় পেলে লিখব।
যাই হোক আমাদের এই ইমারান তুষার আল্লামা শফি তার বইয়ে আল্লাহর শানে অবমাননা করেছেন বলে দাবি করেন ও হাইকোর্টে ৭ এপ্রিল রিট করবেন এবং তার আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার তানিয়া আমির থাকবেন বলে জানান। কিন্তু পরবর্তীতে নাকি তানিয়া আমীর মত বদলান।তিনি তানিয়া আমিরের বাসায় গিয়ে চাপাচাপির পরও তাকে আর রাজি করাতে পারেননি। মূল উর্দু বই ‘বেবুলিয়া এলজামাত কি তরবিত’ ১৯৯৫ সালে ‘ভিত্তিহীন প্রশ্নাবলীর মূলোৎপাটন’ নামে অনুবাদ করেন ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের মাওলানা জাফরুল্লাহ খান। এই বইয়ের ২য় পৃষ্ঠায় ‘মহান আল্লাহ্ তায়ালা মিথ্যা বলতে পারেন,এমন কি ওয়াদার বরখেলাপ করতে পারেন।কিন্তু তিনি তা করেন না’ এই কথা বলা হয়েছে বলে আল্লাহ্র অবমাননা হয়েছে বলে আপত্তি জানিয়েছেন ইমরান তুষার।
একটা মজার বিষয় হল ইমরান তুষার সংবাদ মাধ্যম গুলোতে পাঠান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যে ফেসবুক পেজের উল্লেখ করেছেন তাতে দুপুর বেলা গিয়ে লাইক দেখলাম ১টা।
জানি না এই ইমরান কি সরকারের নির্দেশে, নাকি অপর ইমরানের মত নাম করার আশায়, নাকি তাদের সংগঠনের নাম দেশবাসীর কাছে পরিচিতি করার জন্য না অন্য উদ্দেশ্যে এই কাণ্ড করতে চলেছেন।
ইসলামী ফ্রন্ট আর ছাত্র সেনার নাম অন্তত ব্লগে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য তাদের কাছে আমাকে অন্তত ১ বেলা গরুর মাংস দিয়ে উদর ফুর্তির ভাগীদার করার অনুরোধ/আহ্বান জানাচ্ছি।
খবর লিঙ্কnull
বিষয়: বিবিধ
১৫৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন