একশান একশান ডাইরেক্ট একশান !!! আমাদের দাবী মানতে হবে ! ১ জিবি ১০০ টাকায় নেট দিতে হবে ।
লিখেছেন লিখেছেন এম এ এস মানিক ২৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৭:২৯:২২ সন্ধ্যা
এটা ডাইরেক্ট কপি পেষ্ট পোষ্ট। এই পোষ্টে কোন প্রকার কাটা-ছেড়া করা হয়নি। দয়া করে কেউ তেমন কিছু মনে করবেন না....
লিংক-১
http://www.facebook.com/events/146961248792279/
লিংক-২
http://www.techtunes.com.bd/internet/tune-id/181843
=============================================
একশান একশান ডাইরেক্ট একশান !!! আমাদের দাবী মানতে হবে !!! এবার জ্বলবে আগুন মোবাইলে !!!! আন্দোলনে যোগ দিন আমাদেরকে সহযোগিতা করুন । সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য কামনা করছি ......
স্থান: আপনার মোবাইল
সময়: রবিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা।
কি করতে হবে : রবিবার ১০টা-১টা গনহারে পরিচিতজনদের মিসড কল দেয়া
কারন এবং এতে কি লাভ : নীচের লেখা দ্রষ্টব্য।
ভুমিকা -
২০০৬ সালে গ্রামীনফোন বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা EDGE শুরু করার আগ পর্যন্ত ডায়াল আপ কানেকশনই মূল ভরসা ছিলো । VSAT এর মাধ্যমে এতদিন দিয়ে যাওয়া ধীরগতির ইন্টারনেট সার্ভিস কিছুটা গতি পায় ২০০৬ সালে , যখন বাংলাদেশ যুক্ত হলো ISCC(International Submarine Cable Consortium) এর SEA-ME-WE-4 কেবলে । ব্যান্ডউইডথের দামও তখন ছিলো অবিশ্বাস্য রকমের বেশী – প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম ছিলো ৮০০০০ হাজার টাকা,ইন্টারনেট তখনো তরুনদের হাতে সহজলভ্য হয় নি, গনমানুষের কাছেও না । ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম কমিয়ে দেন ২৭০০০ টাকায় । এর পরপরই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার । ইন্টারনেট সার্ভিস তৃনমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবার প্রত্যাশায় তারা এক এক ধাপে ব্যান্ডউইডথের দাম কমানো শুরু করে । ২৭০০০ টাকা থেকে তারা ২০০৯ সালে প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম কমিয়ে আনে ১৮০০০ টাকায়, পরবর্তীতে ২০১২ সালে আবারো কমিয়ে আনে ৮০০০ টাকায় । একইসাথে পরবর্তীতে প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম ৮০০০ থেকে ৫০০০ টাকায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে BTRC .
কেন দাম কমাচ্ছে ?
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট সার্ভিস তৃনমূলে পৌঁছে দেয়ার কথা সরকার বলছে । একইসাথে সরকার জানাচ্ছে বাংলাদেশ SEA-ME-WE-4 সাবমেরিন কেবলে যুক্ত থেকে ৪৪.৬ গিগাবিট ব্যান্ডউইডথ পেলেও ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ১৫ গিগাবিট ব্যান্ডউইডথ । তাছাড়া ২০১৩ সালের জুনে আরো ৯৬ গিগাবিট ব্যান্ডউইডথ যুক্ত হতে যাচ্ছে । এই বিশাল পরিমানের ব্যান্ডউইডথ যেন অব্যবহৃত না থাকে, সেই জন্য এবং আই এস পি (ISP) ও মোবাইল অপারেটরদের চাপে সরকার দাম কমিয়েছে ।
এই কমদামে বিক্রি করা ব্যান্ডউইডথের সুফল কি আমরা পাচ্ছি ?
না । আপনাদের মনে থাকার কথা , ২০০৬ সালে EDGE সার্ভিস চালু করা গ্রামীনফোনের ইন্টারনেট খরচ এখনো সেই আগেরমতই আছে । ২০০৯ সালের ১ জিবি ইন্টারনেটের প্যাকেজের দাম এখনো ৩৫০ টাকাই আছে ।এর মাঝে সরকার ঠিকই দুই দফায় দাম কমালেও তারা কমায় নি । একই কথা খাটে বাংলালিংক,এয়ারটেল,রবি সহ অন্যান্য অপারেটরদের ক্ষেত্রেও ।
সবাই .০২ কিলোবাইট / পয়সা হিশাবে আমাদের কাছ থেকে ইন্টারনেটের চার্জ নিচ্ছে । আপনারা খেয়াল করুন, প্রতি ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেটের প্যাকেজ এয়ারটেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ১০ টাকা (ভ্যাট ছাড়া)পড়বে , অথচ একই কোম্পানী ভারতে (টুজি নেটওয়ার্কে) ১০ রুপীতে (বাংলাদেশী ১৪.৮০ পয়সা) ১২৫ মেগাবাইট ইন্টারনেট দিচ্ছে ! একইভাবে বাংলাদেশের গ্রামীনফোনের মূল কোম্পানি টেলিনরের ভারতীয় অংশ ইউনিনর ৯ রুপিতে (বাংলাদেশি ১৩.৩০ পয়সা) ৬০ মেগাবাইট ইন্টারনেট দিচ্ছে ! বাংলালিঙ্কও চালাচ্ছে ১০ মেগাবাইট ১০ টাকার প্যাকেজ, রবিও সেই একই ডাকাতি চালিয়ে যাচ্ছে । এভাবেই সরকার দাম কমিয়ে গেলেও আমজনতা কোনো রেহাই তো পাচ্ছেই না, বরঙ অন্য দেশের তুলনায় আমাদের কাছ থেকে দামও বেশী রাখা হচ্ছে ।
শুধু ইন্টারনেটের খরচই বেশি ?
না । আমরা এত উচ্চমুল্যে ইন্টারনেটের নামে যা কিনছি আমাদের কষ্টার্জিত পয়সায়,তার স্পীড নিয়ে কে সন্তুষ্ট ? গ্রামীনফোনের এভারেজ স্পীড থাকে ১০-১৯ কেবিপিএস , বাংলালিংকের অবস্থা আরো খারাপ । রবি কি দিচ্ছে তা কেউই বলতে পারছেনা , এয়ারটেলও তার ব্যতিক্রম নয় । অথচ টু-জি কানেকশনের স্পীড ৩৮৪ কিলোবিট পার সেকেন্ড পর্যন্ত হতে পারে, আমরা টাকা দিয়ে কতটুকু পাচ্ছি ? একইসাথে প্রতিদিন বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর দিনে-রাতে গাদাগাদা স্প্যাম ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে ।
কখনো ‘ভালো মুসলিম পাত্রীর খবর’ জানাতে (বাংলালিংক) , কখনো ‘আমি রেশমা,বন্ধু হতে ডায়াল করো **** নাম্বারে’ (এয়ারটেল) ইত্যাদি বিব্রতকর ম্যাসেজ । তাছাড়া সরকার ১০ সেকেন্ড পালস রেট নির্ধারন করে দেয়ার পর কল ড্রপের ( হুট করে কানেকশন কেটে যাওয়া ) পরিমান বেড়ে গেছে ! দরকারে কাস্টোমার কেয়ারে ফোন দিতে হলেও টাকা কাটছে, অথচ বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালের আগস্টে সব টেলিকম কোম্পানীকে নির্দেশ দিয়েছিলো- ১২১ নাম্বারে টোল ফ্রি রাখতে,অর্থাত এই নাম্বারে ফোন করা হলেও যেন টাকা কাটা না হয় । সেই নির্দেশও কি এরা মেনেছে ? বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে টিভি-পত্রিকা ছেয়ে ফেলার দিকে এদের যত মনোযোগ , ঠিক ততই অনীহা ইউজারদের সুবিধা দেখার ক্ষেত্রে ।
কি করতে চাচ্ছি -
আমরা অফলাইনের শান্তিপ্রিয় মানববন্ধনে বিশ্বাস রাখতে পারছি না । যারা এভাবে দিনের পর দিন লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে, তারা আমাদের শান্তিপূর্ন মানববন্ধনে কান দেবে – এটা আশা করা যায় না । সুতরাং আগ্রাসী ভুমিকা নিতেই হয় । তাই আমরা ঠিক করেছি , নির্দিষ্ট একটি তারিখে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা সবাই মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যস্ত রাখবো , কিন্তু এক পয়সাও খরচ করবো না ।
আর সেই উপায় হলো মিসড কল ।
একটি নির্দিষ্ট তারিখে পিক আওয়ারে আমরা সবাই যদি গনহারে পরিচিতজনদের মিসড কল দেয়া শুরু করি , তবে মোবাইল অপারেটরদের বি টি এস ব্যস্ত থাকবে ঠিকই,কিন্তু যেহেতু আমাদের কারও কোনো খরচ করতে হচ্ছে না, তাই আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না । যা ক্ষতি হবার হবে কোম্পানীর,কারন সেই সময় আমরা তাদের নেটয়ার্ক ব্যবহার করেছি ঠিকই কিন্তু কোন টাকা দিচ্ছিনা! আমরা অনেক মানুষ যদি একত্রিত হতে পারি,তবে কোম্পানীর ক্ষতিটা নেহায়েত কম না । যদি ৫০০০ হাজার মানুষ ইভেন্টে যোগ দিন এবং প্রত্যেকে তিনঘন্টায় মাত্র ২০ টা মিসড কল করেন , তিনঘন্টায় ১ লাখ মিসড কল হচ্ছে , যেগুলোর অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলো ঠিকই – কিন্তু কোনো ইনকাম করলো না,বরঞ্চ তাদের সেলুলার ট্র্যাফিক বিজি করে রাখছে ! তাছাড়া এই সংখ্যা যদি আরো বিশাল হয়,তবে আমাদের দাবীর প্রতি তাদের কর্নপাত করতেই হবে । আমরা জানি , এই সংখ্যাটা ২০০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে , ক্ষতিটা আক্ষরিক অর্থেই বেশি হবে ।
জয়েন আস !
- যেহেতু সরকার খরচ কমিয়েছে,সুতরাং যৌক্তিকভাবেই কম খরচে ইন্টারনেট সার্ভিস চাই ।
- স্প্যাম ম্যাসেজের অবসান চাই ।
- ভালো নেটওয়ার্ক চাই ।
-
সম্পূর্ন অনলাইনে এই প্রতিবাদ, এর জন্য আপনার রাস্তায় থাকা দরকার নেই । আপনি আপনার বাসায় বসেই,অফিসে থেকেই অথবা যাত্রা পথেও আমাদের সাথে সংযুক্ত হতে পারেন । আপনি সিলেট থাকতে পারেন , আপনি ঢাকায় থাকতে পারেন , আপনি ভোলায় থাকতে পারেন – কিন্তু আপনি একইসাথে বাকি সবার সাথে এই অভিনব প্রতিবাদে অংশ নিতে পারেন । আপনি অফলাইনে বা অনলাইনে আপনার বন্ধুদের সাথে কথা বলুন , সবাইকে জানান - আমরা এইভাবে আর ডাকাতি দেখতে পারি না । সবাইকে জানান,এবার আমরা তাদের গাঁট কাটবো । সবাই বোঝান – অপারেটরদের না ভোগালে তারা আমাদের কথা শুনছে না । সবাইকে বলুন – প্রিন্ট মিডিয়া বিজ্ঞাপনের টাকা উপার্জন করে অপারেটরদের কাছে জিম্মি ,আমাদের ভোগান্তির কথা কখনোই ছাপাবেনা, তারা আমাদের পক্ষে অপারেটরদের উচ্চমূল্যের ইন্টারনেট নিয়ে কখনোই বলবে না ।
আমরা ফেসবুককেই বেছে নিয়েছি সবার সাথে একত্রিত হবার স্থান হিসেবে , এখান থেকেই শুরু হবে সেই প্রতিবাদের ভাষার..... যা অপারেটরদের বাধ্য করবে সার্ভিস চার্জ কমাতে ।
শুধু নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট কয়েকটি ঘন্টা আপনি মিসড কল করে যান, ২০...৩০...৫০ টি ।যত বেশি মিসডকল করবেন, আমাদের কাছে অপারেটরদের মাথা নত করার সম্ভাবনা ততই বাড়বে ।
পরবতিতে আরো আসছে
বিষয়: বিবিধ
১৪১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন