দেশে খুনের রাজনীতির প্রবর্তকরাই এখন নীতিনির্ধারক
লিখেছেন লিখেছেন হায়পোথিসিস ২৩ মার্চ, ২০১৩, ১১:৪৪:২৮ সকাল
দেশে খুনের রাজনীতির প্রবর্তকরাই এখন নীতিনির্ধারক
জাসদের গণবাহিনীর রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের বিচার হবে কবে?
সরদার আবদুর রহমান : জাসদের গণবাহিনীর রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের বিচার হবে কবে- এই প্রশ্ন জনমনে জোরদার হতে শুরচ করেছে। সেই গণবাহিনী- যে গোপন সন্ত্রাসী সংগঠন এই বাংলাদেশে গোপন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিষ্ঠা দেয়। এই কর্মকান্ডের মাধ্যমে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে এবং সেই অর্থ ও ক্ষমতার ভাগাভাগি করতে গিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। দেশে খুনের রাজনীতির এই প্রবর্তকরাই এখন নীতিনির্ধারক। জাসদের সেই অরাজকতা সৃষ্টি এবং গণবাহিনীর রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের বিচার কবে হবে- সে প্রশ্ন জনমনে মাথাচাড়া দিয়েছে। সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু)-এর ইতিহাসে কলঙ্কের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে ‘গণবাহিনী’ নামের জঙ্গি-সন্ত্রাসী দল। এই সংগঠনের প্রধান কাজই ছিল বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা। বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী রাজনীতির অশুভ সূচনার জন্য ইতিহাসে তারা চির কলঙ্কিত হয়ে থাকবে বলে মনে করা হয়।
গণবাহিণীর পিতৃসংগঠন জাসদ যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গেও জড়িত- সে কথাও কেউ অস্বীকার করতে পারছে না। এ ব্যাপারে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দেন শেখ মুজিবর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী কর্নেল (অবঃ) আবদুর রশিদ। গত ২০০৭ সালের ৭ নবেম্বর বাংলাদেশেরই একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, শেখ মুজিব হত্যার সঙ্গে কর্নেল তাহেরও জড়িত ছিলেন। কর্নেল তাহের জাসদের রাজনীতির অন্যতম প্রাণপুরচষ, তাত্ত্বিক নেতা এবং বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে জাসদের কাছে খুবই সমাদৃত ব্যক্তি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জাসদের মুজিব হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা মানে জাসদের মূল নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া। এখন আ’লীগ তাদের পিতার হত্যাকারীকে কীভাবে সঙ্গে রেখেছে সেটাও দেশবাসীর কাছে আরেক বিস্ময়। তবে এদেশে একজন রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যার রাজনীতির সূচনাকারী হিসেবেও জাসদের নাম ইতিহাসে ‘উজ্জ্বল’ হয়ে থাকবে বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
জাসদের তত্ত্ব-গুরচ কর্নেল তাহেরের বিরচদ্ধে মেঃ জেঃ খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা ও কর্নেল হায়দারকে হত্যারও অভিযোগ করা হয় একটি ওয়েবসাইটে। উলেখ্য, কর্নেল তাহের ১৯৭৪ সালের জুন মাসে গোপন ও সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে ‘বিপবী গণবাহিনী’ গঠন করেন- যা আজো দেশের কোন কোন এলাকায় ‘জাসদের গণবাহিনী’ নামে সক্রিয় রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান চৌধুরী তার ‘রাজনীতির তিনকাল’ বইয়ে উলেখ করেছেন, ১৯৭৪ সালের মার্চে জাসদের প্রকাশ্য রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ হয়ে গেলে গোপন অবস্থায় থেকে এরা গঠন করে ‘গণবাহিনী’ নামের সশস্ত্র সংগঠন। জাসদের নেতৃস্থানীয় অধিকাংশই ছিলেন সাবেক মুজিব বাহিনীর সদস্য। যাদের অনেকেই স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে এসে অস্ত্র জমা না দিয়ে লুকিয়ে রেখেছিল সময়ের অপেক্ষায়। গণবাহিনী গঠনের পর তাদের সেই সময় এসে যায়। ফলে সশস্ত্র তৎপরতা চালাতে তাদের আর অস্ত্রের অভাব হয়নি।’ (পৃঃ ১৪৯)।
তারা সেই অস্ত্র আর জমা দিয়েছে বলেও জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশের এ যাবতকালের ইতিহাসে বিদেশী দূতাবাসে হামলার কলঙ্কজনক অধ্যায়টি রচনা করে এই জাসদ। ১৯৭৫ সালের ২৬ নবেম্বর জাসদের উদ্যোগে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে বোমা হামলা চালানো হয়। সে সময় সমর সেন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাকে জিম্মি করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। তিনি অল্পের জন্য বেঁচে যান। এই হামলাকালে আসাদ, মাসুদ, বাচ্চু ও হারচণ নামে ৪ ব্যক্তি পুলিশের গুলীতে নিহত হয়। একটি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এই অভিযান-পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন কর্নেল তাহেরের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক (বর্তমানে জাবি ভিসি) প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন। এই ঘটনা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন অধ্যায়ের সূচনা করে। জাসদ ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনেও হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গুলীতে জাসদের দাবি অনুযায়ী ৫০ জন এবং পুলিশের দাবি অনুযায়ী ৬ ব্যক্তি মারা যায়। গণবাহিনী ১৯৭৪, ’৭৫ ও ’৭৬ সালে বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ি অঞ্চলে থানা আক্রমণ, ট্রেজারি লুট এমনকি সেনাবাহিনীর ওপর হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল। ১৯৭৪ সালে তারা হরিণাকুন্ডু থানা, মেহেরপুর ট্রেজারি, আলvরদরগা ও লাঙ্গলবন্দ পুলিশ ফাঁড়ি লুট করে। ’৭৫-এর ১৯ মার্চ কুষ্টিয়ায় ট্রেজারি লুটকালে পুলিশের হাতে নিহত হয় গণবাহিনীর ক্যাডার নুরচ মাস্টার, জামান, ফয়েজুর, মন্টু, আন্টু প্রমুখ। একই বছর গাংনী থানা আক্রমণ করে গণবাহিনী। এই ঘটনায় পুলিশের গুলী খেয়ে মারা যায় পান্না নামের এক ক্যাডার। ’৭৬ সালের ৩১ মার্চ কুষ্টিয়ায় সেনা সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালায় তারা। এই ঘটনার জের ধরে নিহত হয় গণবাহিনী ক্যাডার আবদুল জববার, আবদুল কুদ্দুস, কাইউম, সফোগাজী প্রমুখ। ১৯৮৭ সালে মাগুরার কংসী গ্রামে সর্বহারা বনাম গণবাহিনীর লড়াইয়ে গণবাহিনীর ৭ ক্যাডার মারা যায়।
জাসদের এই চরমপন্থী রাজনৈতিক অগ্নিকুন্ডে আত্মাহুতি দিতে হয়েছে হাজার হাজার তরচণ-যুবককে। জাসদ স্বয়ং দাবি করে থাকে যে, তাদের ৩০ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেও নিজেদের লোকদের হত্যা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়নি। ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রচয়ারি দলীয় সভাপতি কাজি আরেফ আহমেদকে কুষ্টিয়ায় এক জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। এ সময় আরো নিহত হন জাসদের কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াকুব আলী, জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও শমসের মন্ডল। এই হত্যাকান্ডের জন্য পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টিকে দায়ী করা হলেও পরে অনুসন্ধানী রিপোর্টে ফাঁস হয়ে যায় যে, এজন্য জাসদ ও গণবাহিনীর মধ্যে আধিপত্য ও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কোন্দলই দায়ী। একটি দলের প্রথম সারির কয়েকজন নেতার এমন করচণ পরিণতি দলের চরমপন্থার করচণ উদাহরণ বলে মনে করেন সচেতন রাজনীতিকরা। কাজি আরেফের শূন্যস্থান দখলে সমর্থ হন হাসানুল হক ইনু। এই বিপুল প্রাণহানীর অংশীদার ইনু নিজেও। এর বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষের কি উপকার হয়েছে তার কোনো জবাব আজো দেননি জনাব ইনু কিংবা জাসদের তাত্ত্বিক রথি-মহারথিরা।
হাসানুল হক ইনু সম্পর্কে পিলে চমকানো তথ্য প্রকাশ করে দেশের একটি জাতীয় দৈনিক। তারা এক রিপোর্টে জানায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর হাসানুল হক ইনু শাহবাগস্থ বেতার ভবনে গিয়ে অভ্যুত্থানের নায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রতি সর্বান্তকরণে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য একা যাননি, গিয়েছিলেন লেঃ কর্নেল (অবঃ) আবু তাহেরের সঙ্গে। তাহের তখন জাসদের গণবাহিনীর অধিনায়ক, আর ইনু ছিলেন গণবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিশনার। দৈনিক আমাদের সময় লিখে, ইনুদের বেতার ভবনে যাওয়াটা কোনো আকস্মিক বিষয় ছিল না। শেখ হাসিনাকে খুশি করার কৌশল হিসেবে ইনুরা এখন যাদের ‘খুনি মেজর’ বলছেন, তাদের সঙ্গে কর্নেল তাহের ও ইনুসহ জাসদ নেতাদের আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের আগে মেজর সৈয়দ ফারচক রহমান লেঃ কর্নেল (অবঃ) তাহেরের সঙ্গে তার নারায়ণগঞ্জের অফিসে গিয়ে দেখা করেছিলেন। কর্নেল তাহেরের ছোট ভাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আনোয়ার হোসেনও মেজর ফারচকের দেখা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সাপ্তাহিক সময়কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে (২য় বর্ষ, ২৭ সংখ্যা) তিনি বলেছেন, তাহেরের এক প্রশ্নের উত্তরে মেজর ফারচক বলেছিলেন, অনেকের কাছেই গিয়েছি। কিন্তু সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কেউই অবস্থার পরিবর্তনে উদ্যোগী হবেন না। এজন্যই অভ্যুত্থানকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে কর্নেল তাহেরের কাছে গিয়েছিলেন মেজর ফারচক। তাহেরের নেতৃত্বে গণবাহিনী তখন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল পরিবর্তন করতে তৎপর ছিল।
এর পরের একটি বিশেষ ঘটনারও উলেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা কর্নেল আবদুর রশিদের নির্দেশে টু ফিল্ড আর্টিলারির একজন জুনিয়র অফিসার নারায়ণগঞ্জে গিয়ে কর্নেল তাহেরকে শাহবাগস্থ বেতার ভবনে আসার অনুরোধ জানান। সে অনুযায়ী কর্নেল তাহের বেতার ভবনে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন হাসানুল হক ইনু। বেতার ভবনে তাহের ও ইনুর সঙ্গে অভ্যুত্থানের সকল নেতার দেখা ও কথা হয়। বেতার ভবনেরই অন্য একটি কক্ষে খন্দকার মোশতাকের সঙ্গেও দেখা করে আলোচনা করেছিলেন তাহের ও ইনু। জাসদ ও গণবাহিনীর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তারা। বাকশালকে বাদ দিয়ে একটি সর্বদলীয় সরকার গঠন করাসহ পাঁচটি রাজনৈতিক প্রস্তাবও পেশ করেছিলেন তাহের ও ইনু।
এদিকে প্রকাশিত মার্কিন গোপন দলিলপত্রেও কিছু চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। এরকম একটি তথ্য হলো, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের নায়করা কর্নেল তাহেরকে বঙ্গভবনে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাহের তিন-চারদিন বঙ্গভবনে কাটিয়েছেন। পরে খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি বঙ্গভবন থেকে চলে এসেছিলেন। এখানে মূল বিষয়টি লক্ষ্য করা দরকার। প্রথমে বেতার ভবনে যাওয়া ও শেখ মুজিবের হত্যাকান্ডসহ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে সমর্থন জানানো এবং তারপর বঙ্গভবনে গিয়ে অভ্যুত্থানের নায়কদের সঙ্গে তিন-চারদিন বসবাস করার মতো তথ্যগুলো প্রমাণ করে কর্নেল তাহের ও ইনুসহ জাসদের নেতারা শেখ মুজিবের পতনে উলসিত হয়েছিলেন। অভ্যুত্থানের প্রতিও তাদের সর্বান্তকরণে সমর্থন ছিল। আর ইনু যেহেতু তাহেরের সঙ্গী ছিলেন সেহেতু ধরে নেয়া যায়, তিনিও অভ্যুত্থানের পক্ষেই ছিলেন। ৩ থেকে ৭ নবেম্বর পর্যন্ত শুধু নয়, এর পরের কয়েকদিন পর্যন্তও ইনু-তাহেরদের তৎপরতা ছিল উলেখযোগ্য।
একটি ওয়েবসাইট উলেখ করে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পর জাসদের গণবাহিনী প্রধান কর্নেল তাহের, সিরাজুল আলম খান ও হাসানুল হক ইনু হন্তারক ও দখলদার বাহিনীর সাথে রেডিও বাংলাদেশ, টেলিভিশন, গণভবন, ক্যান্টনমেন্ট প্রভৃতি জায়গায় যান, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে আনুগত্য স্বীকার করেন। ..... ১৯৭২ সাল থেকে রাস্তায় রাস্তায়, ঘর-বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে সর্বত্র ‘বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস -জাসদ’ এই বাণী চিকা মারা থাকতো। (বাংলাদেশ-৭১-এর ওয়েবসাইট)
সব মিলিয়েই প্রমাণিত হয়েছে, শেখ মুজিবের হত্যাকান্ডসহ ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের প্রতি কর্নেল তাহের ও ইনুরা সমর্থন জানিয়েছিলেন। ৭ নবেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপব পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহেও তাহের ও ইনুরা যুক্ত ছিলেন। তাদের পেছনে ছিল জাসদ। ব্যক্তিগতভাবে যে ক’জন নেতা তাহেরের সঙ্গে থেকেছেন, ইনু ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। সে ইনুই এখন ভোল পাল্টে মুজিবভক্ত সাজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য তাদের স্বরূপ উন্মোচিত করতে শুরচ করেছে। আগামী দিনগুলোতে ইনু সম্পর্কে আরো অনেক তথ্যই জানা যাবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সন্ত্রাসী-জঙ্গী কর্মকান্ডের যে পাপ জন্মে আছে- তার বিচারের জন্যও জাতি অপেক্ষায় আছে।
সুত্র: দেশে খুনের রাজনীতির প্রবর্তকরাই এখন নীতিনির্ধারক
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন