এদের হলুদ সাংবাদিকতায় দেশ আজ পুরাটায় হলুদে ভরে গেছে।
লিখেছেন লিখেছেন হায়পোথিসিস ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৫৮:০৬ রাত
দেশের ৯৮% মিডিয়া জামায়াত শিবির এবং ইসলামের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার করে আসছে গত ৪২ বছর ধরে। এদের হলুদ সাংবাদিকতায় দেশ আজ পুরাটায় হলুদে ভরে গেছে।
এরা বলে জামায়ত শিবিরের তান্ডব, এরা তান্ডব করলে এদের ত মরার কথা নয় বরং আওয়ামী লীগ এবং এদের পাচাটাদের এবং পুলিশের মরার কথা ব্যপকভাবে। এ জঘন্য মিথ্যাচার!!!! পাকিস্তান ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে মেরেছিল ৫ জন আর ড্রাকুলা হাসিনা একদিনে ৭৫ জন মানব সন্তানের রক্ত খেয়ে তার তৃষনা মিটাল। মনে হয় এখন তার লাঞ্চ এবং ডিনার ও করবে মানব সন্তানের মাংস দিয়ে।
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যার বিভিন্ন উপাদানে গঠিত প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য বিহীন অভিযোগসমূহ আমলে নিয়ে সরকারী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের যে রায় আদালত ঘোষণা করেছে তা বিচার বিভাগীয় হত্যা ছাড়া আর কিছু নয়। দেশবাসী ঘৃণাভরে এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে আনীত
৬ নং অভিযোগে বলা হয় মাখন লাল সাহার দোকান থেকে সোনা রূপা পাকিস্তানী সেনাবাহিনী লুট করে নিয়ে যায়, ঐ সময় সাঈদী তাদের সাথে ছিলেন। এ ঘটনার কোন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে আনা হয়নি।
৭ নং চার্জে আওয়ামীলীগ নেতা নূরুল ইসলাম খান এর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও তার বাড়ী লুটপাট ও নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে। তার ছেলে শহীদুল ইসলাম খান সেলিমকে সাক্ষীর জন্য ২ বার ঢাকায় এনেও সরকার পক্ষ ট্রাইব্যুনালে তার সাক্ষ্য দেয়নি।
৮ নং চার্জে মানিক পাসারী ও তার ভাই আলমগীর পাসারীর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও তাদের বাড়ীর কাজের লোক ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা এবং মফিজ উদ্দিনের উপর নির্যাতনের কথা বলা হয়। অথচ: ১৯৭১ সালে আলমগীর পাসারীর জন্মই হয়নি। ইব্রাহীম কুট্টিকে ৮ মে ১৯৭১ সালে হত্যার অভিযোগ থাকলেও ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম তার স্বামীকে ১লা অক্টোবর হত্যা করা হয়েছে মর্মে এজাহার করেছিল ১৯৭২ সালে। সে মামলায় অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। যাতে সাঈদী সাহেবকে আসামী করা হয়নি। উক্ত মামলার এজাহারের কপি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। মানিক পাসারির দাখিলকৃত এজাহারে মফিজকে নির্যাতনের কোন বর্ণনা দেয়া হয়নি। ট্রাইব্যুনাল এসব বিষয় বিবেচনায় গ্রহণ করেনি।
১০ নং চার্জে উমেদপুর গ্রামে বিশাবালী হত্যার অভিযোগ আনা হয়। এ অভিযোগে বলা হয় সাঈদীর নির্দেশে জনৈক রাজাকার গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে। কে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, হত্যার পর লাশ কি হয়েছে তার কোন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে পেশ করা হয়নি। বরং সাঈদী সাহেবের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে আসা বিশাবালীর ভাই সুখরঞ্জনবালীকে ট্রাইব্যুনাল গেট থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপহরণ করে নিয়ে যায়। আজও তার কোন সন্ধান মেলেনি।
৮ ও ১০ নং এ বর্ণিত দুটো মিথ্যা অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে যা চরম অন্যায়, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।
১১ নং চার্জে মাহবুব আলম হাওলাদার এবং তার ভাই মজিদ হাওলাদারের বাড়ী থেকে স্বর্ন ও অর্থলুটের অভিযোগ আনা হয়। এ অভিযোগের পক্ষে সরকার পক্ষ কোন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির করেনি।
১৪ নং অভিযোগে বলা হয় গৌরাঙ্গ সাহার বিবাহযোগ্য তার ছোট তিন বোনকে পাকিস্তান আর্মীদের হাতে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তুলে দেন সাঈদী। অথচ: জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে গৌরাঙ্গ সাহার জন্ম ১৯৬৩ সালে। কাজেই ঐ সময় তার ৩ বোনের বিবাহযোগ্য থাকার কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
১৬ নং চার্জে মধুসূধন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামীকে ধর্ষনের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন কিন্তু কোন বাধা দেননি বলে অভিযোগ আনা হয়। মধুসূধন দাবী করেছেন ধর্ষণের ৪ মাসের মধ্যে তার স্ত্রীর সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছে। এ অভিযোগটি কতবড় মিথ্যা তা এ থেকেই প্রমাণিত।
১৯ নং চার্জে ধর্মান্তর করনের অভিযোগে বলা হয় তিনি জোর করে অনেক হিন্দুকে মুসলমান বানিয়েছেন। কিন্তু এ অভিযোগের স্বপক্ষে সরকার পক্ষ বিশ্বাসযোগ্য কোন সাক্ষী হাজির করেনি।
উল্লেখিত অভিযোগ প্রমাণের জন্য বিশ্বাসযোগ্য, সম্মানিত কোন ব্যক্তিকে স্বাক্ষী হিসেবে হাজির না করে কলাচোর, স্ত্রী হত্যা প্রচেষ্টার আসামী, যৌতুকে আইনে দন্ডিত ব্যক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নকলের দায়ে বহিস্কৃত, ট্রলার চুরির দায়ে অভিযুক্ত এবং আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী কিছু দালাল ব্যক্তিকে স্বাক্ষী হিসাবে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে। যাদেরকে ট্রাইব্যুনাল বিশ্বাস করেছেন এবং আল্লামা সাঈদীকে সর্বোচ্চ দন্ডে দন্ডিত করেন। এটা তার প্রতি চরম অবিচার। বিচারের নামে প্রহসন, নাস্তিক ব্লগারদের কাছে আত্মসমর্পন ছাড়া আর কিছুই নয়। এই রায় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। দেশবাসী তা প্রত্যাখ্যান করছে।
সরকার মূলত সাঈদীকে হত্যা করে বাংলাদেশ থেকে ইসলাম নির্মূল করতে চায়। দেশের জনগণ সরকারের চক্রান্ত প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ্।
*** সংগৃহিত
বিষয়: বিবিধ
১১৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন