One of the best document of "war crime" .....

লিখেছেন লিখেছেন হায়পোথিসিস ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৪:৪৭:৩৮ রাত

এটা কি একটা এভিডেন্স হতে পারে? (যে কোন ভাল উকিল বা ব্যরিষ্টার কে জিজ্ঞেস করুন)।

অথচ এটাকে বলা হচ্ছেঃ

One of the best document of "war crime" .....



এখন এসব ব্যপারে মানুষ তার বিচার বুদ্ধিকে আর কাজে লাগাতে চাচ্ছে না। আর এটা ঘটছে কিছু স্বার্থান্নেসি ধুর্ত মহল (মিডিয়া সহ, বাম/নাস্তিক/ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি) যে অনেক দিন থেকে আমাদের বিচার বুদ্ধিকে আবেগ দিয়ে আচ্ছন্ন করে ফেলার নিরন্তর চেষ্টা করেছে তার ফলে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বললে আপনি হয়ে যাবেন জামায়াত-শিবির অথবা, যুদ্ধাপরাধ বিচার বানচাল করার ষড়যন্ত্রকারী, ইত্যাদী। এখন ত টিভির কল্যানে মিডিয়া চ্যানেল এ রিপোর্টার উল্টাপাল্টা বললে ও সত্য সন্ধানী মানুষ ঠিক ই বুঝে নিচ্ছে এরা জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। কিন্তু তখন (স্বাধীনতার সময়ে) মিডিয়ার এই অ-নিরপেক্ষ রিপোর্টিং ধরার কোন উপায় ছিল না (ভিডিও ফুটেজ না থাকার কারনে)।

উদাহরন হিসাবে কয়েকদিন আগের ১২ টি ইসলামি দলের আহবানে যে হরতাল হল তার মিডিয়া কাভারেজ দেখা যেতে পারে। বেশির ভাগ মিডিয়া এই আন্দোলনকে জামায়াত-শিবিরের বলে চালিয়ে দিল। ৭১ টিভিতে ভিডিও ফুটেজ দেখাচ্ছে পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি চালাচ্ছে নিরস্ত্র মানুষের উপর। অথচ রিপোর্টিং এ বলছে, জামায়াত শিবির লাঠি-সোটা, বোমা ইত্যাদী নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে পুলিশের উপর। স্প্রিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছে সাংবাদিক। অথচ সেই সাংবাদিক নিজেই বলছে তাকে পুলিশ গুলি করে আহত করেছে পুলিশের গুলিতে আহত একজনের ছবি তোলার সময়।

ইত্তেফাকের এই কাটিং নিউজ টা আর যাই হোক কোন ‘এভিডেন্স’ হতে পারে না। কারনঃ

১। মিডিয়া জগতের ইসলাম, ইসলামী দল (বিশেষ করে জামায়াত শিবিরের) এর বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান।

ক) দেখুন এক সম্পাদক তাদের সম্পাদকীয় নীতিমালা বলছেনঃ (https://www.facebook.com/photo.php?v=501726256552795)

খ) কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে চার (?পাঁচ জন শহীদ হলেন) আর প্রথম আলো ছবি দিল এক ব্যক্তি বাসে ইট মারছে। মৃত কোন ব্যক্তির ছবি নাই। এরকম ভুরি ভুরি উদাহরন দেয়া যাবে।

গ) ছাত্রলীগ, যুবলীগের নৃসংস আক্রমনে দাড়ি-টুপি ওয়ালা কেউ মারা গেলে হেডিং হয়ঃ জনতার পিটুনিতে জামায়াত কর্মীর মৃত্যু

২। ‘এভিডেন্সের’ জন্য লাগে ‘আই উইটনেস’ (চাক্ষুস সাক্ষি) দরকার (অথচ এটা শুধুই একটা রিপোর্ট) কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তির সাক্ষর সম্বলিত কোন স্বীকারোক্তি।

৩। উকিল জেরা করে বাহির করার চেষ্টা করে এটা আসল না নকল ‘আই উইটনেস’

৪। এই ইত্তেফাকের সম্পাদক স্বাধীনতার পুরা ৯ মাস ই পাকিস্তানের পক্ষে লিখে এসেছে। হঠাৎ তাদের কে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে।

৫। ইত্তেফাকের এই বিশেষ সংখ্যাটি ১৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ প্রকাশ বলে লিখা আছে। যদিও এই সব দলিল পরে কোন সময়ে তৈরী করা অসম্ভব কিছু নয় তবু আমি ঐ দিকে যাব না। এই রিপোর্টে ঠিক আজকের মিডিয়ার মতই কোন রকম প্রমান ছাড়াই সরাসরি চাপিয়ে দিয়েছে জামায়াতের উপর।

৬ ঐ হযবরল অবস্থায় অনেক রাজাকার তখন জান বাচানোর জন্য ডুবন্ত তরী থেকে ঝাপ দিয়ে ভাসমান নৌকায় উঠার চেষ্টা করছে। তাই কিছু স্কেপ গোট এর উপর দোষ চাপিয়ে চাচ্ছে সাধু সাজতে। উদাহরনঃ শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন, সাজেদা চৌধুরী, আনিসুর রহমান, ইত্যাদি।

৭। আর যাদেরকে মারা হয়েছে তারা বিশ্বস্ততার সাথে পুরা নয় মাস পাকিস্তান সরকারের পক্ষে কাজ করেছে। ওদের রাজাকার/ পাক আর্মি মারবে কেন? অনেকে মনে করে ভারতীয় সৈন্যরাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।

বিঃদ্রঃ সত্যিকারের অপরাধি রাজাকারের বিচার হোক এটা সবাই চায়। কিন্তু এটা যে একটা প্রহসনের বিচার স্কাইপ কেলেঙ্কারির পর যারা বিবেকবান তাদের জন্য আর কোন প্রমান লাগেনা। নিজের ঘরে রাজাকার, আশে-পাশে রাজাকার নিয়ে শুধু তৎকালীন ছোট একট দলের নেতাদের বিচার করা আর যাই হোক বিচার হতে পারে না। আর এই ধরনের শাহরিয়ার, মামুন যে নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখেছে তাকে প্রমান হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে। সাঈদির উইটনেস কে ট্রাইবুনালের গেইট থেকে অপহরন করা হল। এক বিচারপতি তিনটি ফাসির রায় দিতে পারলে আপিলেট ডিভিশনে প্রমোশন পেত। আরেক বিচার পতি প্রধান মন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে মাত্র ১০,০০০,০০ টাকার ভিক্ষা নিয়ে রায় দিল। সাক্ষিদের মিথ্যা বলার ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে আসা হল (স্কাইপ)। জেরা শেষ হওয়ার আগেই লেখে হচ্ছে রায়। ত সে রায় ঘরে বসে লিখা আর গরুর রচনা লেখার ভিতর পার্থক্য কোথায় ?

মানুষ যেন বুঝতে পারে যে এটা বিচার না তাই আল্লাহ তা’য়ালা স্কাইপ কেলেঙ্কারি হতে দিয়েছেন। এই সরকার যে শুধু জামায়াত-শিবিরের বিরোধী নয় আসলে ইসলামের বিরোধী তা বুঝানোর জন্য নাস্তিক ব্লগার থবাবাবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে দিয়েছেন। আর এর মাধ্যমে নাস্তিক রক্ষাকারি সরকারের মুখোস খুলে দিয়েছেন। এতসবের পর যদি কেউ এই বিচার কে বিচার বলে মনে করে তাহলে আল্লাহ পাকের কাছে তার জবাবদিহী তাকে ই করতে হবে। আমাকে অন্যের জবাবদিহী করতে হবে না। মুসলমান হিসেবে আমি বিশ্বাস করি কারো প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে বুঝতে পারলে তার প্রতিবাদ করা। তবে আমি চাই সত্যিকারের নিরপেক্ষ বিচার হোক আর তা আন্তর্জাতিক আদালতে হতে পারে (কারন এই সরকার যে নিরপেক্ষ নয় তা স্পষ্ট)।

বিষয়: বিবিধ

১৪৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File