আমি মুসলিম। আমি অনেক কেনর উত্তর পাচ্ছি না। কে দেবে উত্তর???
লিখেছেন লিখেছেন হায়পোথিসিস ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৪৩:৫৮ সকাল
১। কে আমার মুখের আল্লাহু আকবর ধ্বনি কেড়ে নিল। যে ধ্বনিতে রোম, পারস্য থেকে শুরু করে সমস্ত বিশ্বের জালিম সরকার কেঁপে উঠত? যে ধ্বনিতে আমার ঘুম ভাঙত সকালে। যে ধ্বনি শুনলে কাফির-মুসরিকের অন্তর কেঁপে উঠত। এই বজ্র ধ্বনির বিপরিতে কে আমার মুখে তুলে দিল ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি? ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় ভগবান’, এমনি ‘জয় বাংলা’। মুসলমানের উচিৎ বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে ‘আল্লাহু আকবর’ বলার কথা। যে কোন উচুঁ জায়গায় উঠলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলার কথা। নামাজে বিভিন্ন অবস্থার পরিবর্তনের সময় ‘আল্লাহু আকবর’ কথা।
আমি বলছি আমি মুসলমান কিন্তু ‘আল্লাহু আকবর’ আমার মুখ দিয়ে আর বের হচ্ছে না। হচ্ছে ‘জয় বাংলা’। যে কোন বিজয়ে মুসলমান কি বলবে তা আল্লাহ তা’য়ালা কোরানে বলছেন, ‘ফাসাব্বিহ, বে-হামদি রাব্বিকা, ওয়াস্তাগফিরহ ইন্নাহু কানা তাওয়াবা’। তোমার রবের প্রশংসা কর আল্লাহর তাসবিহ সহকারে; এস্তেগফার কর, নিশ্চয় তিনি করে তোমাদের ফিরে আসাকে গ্রহন কারি। এই জন্যই মক্কা বিজয়ের সময় তারা এরকম ‘জয় মক্কা’ (অর্থাৎ মক্কার বিজয়) বলে শ্লোগান না দিয়ে শুকরানা সালাত আদায় করেছেন।
২। কে শহীদদের জন্য শহীদ মিনার বানাল? কে শিখাল প্রতি বছর এই শহীদ মিনারে খালি পায়ে যেয়ে ফুল দিতে? এর পাটাতন কে বেদী বলল কে? আমরা ত পুজার বেদীর সাথে পরিচিত ছিলাম। এই ‘বেদী’ শব্দটা আমাদের কে হজম করতে বাধ্য করল কে?
শহীদের জন্য মিনার বানান যদি জায়েজ হত তাহলে ত বদর, ওহুদের ময়দানে শহীদ মিনার হত। জেরুজালেমে হত শহীদ মিনার। যত জায়গায় মুসলিম বাহিনী জয় করেছে প্রত্যেক জায়গায় অসংখ্য শহীদ হয়েছেন। কই কোথাও ত শহীদ মিনার করা হয় নি। কই আমরা ত তাদের স্মরনে ফুল দেই না। আমরা দোয়া করি।
৩। কেন ওরা প্রশ্ন তোলে আমরা বাঙ্গালী আগে না মুসলমান আগে? আফ্রিকার বহুদেশ তাদের নিজস্ব ভাষা বিসর্জন দিয়ে আরবী ভাষাকে তাদের নিজেদের করে নিয়েছে। যাতে করে তারা কোরান ভাল করে বুঝতে পারে। আমরা কি জানিনা বিদায় হজ্জের সেই খুতবার বানী? যেখানে রাসুল (স) বলেছেন, আজ থেকে কোন আরব অনারবের উপর, কোন অনারব আরবের উপর কোন প্রাধান্য নাই। কোন সাদা কালোর উপর, কিংবা কোন কালো সাদার উপর শ্রেষ্ঠত্ব নাই। ভাষা, বর্ন, জাতিয়তা সমস্ত জাহেলি ভেদাভেদ ঘুচিয়ে দিয়ে বলেছেন, সকল মুসলমান ভাই ভাই। আল্লাহ ভাষা সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তিনি বলেন নি ‘তোমাদের জন্য উমুক ভাষাকে পছন্দ করলাম’ অথচ তিনি বলেছেন, “তোমাদের জন্য ইসলামের জীবন ব্যবস্থা (দ্বীন) আমি পছন্দ করে দিলাম।‘
*** এমনি হাজারো প্রশ্ন কারা ওরা যারা আমার মুখে, চিন্তা, চেতনায় এসব আমার অজান্তে তুলে দিল? তাদের উদ্দ্যেশ্য কি?
৪। কারা ওরা মঙ্গল প্রদিপ জ্বালানো শিখালো? প্রদিপ আমাদের কি মঙ্গল করতে পারে? এটা তা আমরা জানি হিন্দুদের বিশ্বাস। আমরা মুসলমান বিশ্বাস করি এসব কিছু আল্লাহর হাতে।
৫। কারা আমদের শিখা অনির্বান বানিয়ে দিল? আগুন দিয়ে ত জানি জ্বীনের সৃষ্টি। আগুন পুজারি জাতি ও ত বিশ্বে আছে। এটা একটা অপচয়। এই শিখা অনির্বান কে আবার স্যালুট করতে হয় আমাদের সেনাবাহিনীকে। আর এভাবে কারা আমাদের অগ্নি পুজারী জাতিতে পরিনত করতে চায়।
আজ আমরা যখন এইসব নাস্তিক/ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছি তখন আমাদের এসমস্তু অনৈসলামিক আচার আচরন থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হবে। আমরা চাই আল্লাহর আইন (শারিয়া আইন)। শারিয়া আইন ত শুধুমাত্র যারা অন্যায়, অবিচার, অশ্লীলতায় নিমজ্জিত, মুনাফাখর, চোর-ডাকাত, এই রকম লোকেদের জন্য ভয়ের।--- কিন্তু আমরা যারা ভাল থাকতে চাই। চাই আমাদের সন্তানদের জন্য নিরাপত্তা। চাই বাধাহীন ধর্ম পালনের অধিকার। তাদের জন্য ত শারিয়া আইন আল্লাহ প্রদত্ব এক অমিয়ধারা।
কিছু স্বার্থান্নেশী লোকেদের শিখানো জাহেলিয়ে থেকে আমরা মুক্তি চাই। আমরা মুক্তি চাই।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন