মিশর আর বাংলাদেশ অবাক করা মিল...............
লিখেছেন লিখেছেন হায়পোথিসিস ১৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:১৬:৫৫ সকাল
মিশর আর বাংলাদেশ
অবাক করা মিল...............
নির্বাচিত সরকার প্রধান মুরসি তার ক্ষমতার এক বছরের মাথায় এক ডিক্রি জারি করে। কারন সৈরাচারি মুবারকের রেখে যাওয়া বিচারপতি গন তার ক্যাবিনেট ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা প্রায় ঠিক করে ফেলেছিল। এতে তথাকথিত লিবারালস, বামপন্থি, ধর্ম-নিরপেক্ষবাদি, এবং ক্রিসচিয়ান সম্মিলিত ভাবে মুরসির বিরুদ্ধে ‘স্ট্রিট ভায়োলেন্স’ শুরু করে। ঘিরে রাখে মুরসির সরকারি বাসভবন।
শাহবাগী মঞ্চকে যেমন হাসিনা সরকার বিরিয়ানি খাইয়ে, তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা দিয়ে পুষছিল। তেমনি মিশরীয় এই ডেমন্সট্রেশন কে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারি গোষ্ঠি দেখাতে চাইল মিসরীয় সর্বস্তরের জনতার দাবি হিসাবে। যদিও এর বিপক্ষে মুরসি সমর্থকদের সংখ্যা ছিল ঢের বেশি। আর ইসরাইলি এবং পাশ্চাত্য ষড়যন্ত্রের এই ভায়োলেন্সের পথ ধরেই মিশরিয় আর্মি মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
কিন্তু ঠিক যেমন, বাংলাদেশের শাপলা চত্তরে জড় হওয়া ইসলাম প্রিয় লক্ষ জনতাকে গভীর রাতে আলো নিভিয়ে বামপন্থি, ধর্ম-নিরপেক্ষবাদি, এবং হিন্দু ভারতীয় ষড়যন্ত্রকারিরা গনহত্যা চালিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল। তেমনি মুরসির পক্ষে (ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় রত) জড় হওয়া জনতাকে গনহত্যা করে দমাতে চাইছে বামপন্থি, ধর্ম-নিরপেক্ষবাদি, এবং ক্রিশ্চিয়ান (ইসরাইল ও পাশ্চাত্যের মদদে) গোষ্ঠি।
মিসর এবং বাংলাদেশ দু’টি দেশ ই ছিল বৃটিশ কলোনী।
এপারে ভারতীয় মদদে শক্তি মদমত্ত বামপন্থি, ধর্ম-নিরপেক্ষবাদি্রা ওপারে ইসরাইলি মদদে বামপন্থি, ধর্ম-নিরপেক্ষবাদিরা।
এপারে ইসলাম পন্থিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে হিন্দু পুলিশ এবং হিন্দু সরকারি কর্মচারিদের যাতে বাধাতে পারে সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা। ওপারে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্রিশ্চিয়ান পুলিশ ও আর্মিকে।
এপারে শাহবাগ ওপারে মুরসির বাস ভবন ঘেরাও কারি গন।
এপারে শাহবাগিদের মদদ দাতা হাসিনা সরকার, ওপারে সেনাবাহিনী।
এপারে শাপলা চত্তর ওপারে রাবেয়া স্কয়ার।
গামাল আব্দুন নাসেরের শাসনকাল ১৯৫২ থেকে শুরু ইসলাম পন্থী মুসলিম ব্রাদারহুড কে নিশ্চিনহ করার কাজ। হাজার হাজার ইখওয়ান সমর্থক কে গুম খুন, ফাঁসি, পরিকল্পিত দুর্ঘটনা কবলিত খুন, জেল-জুলুম (ইখওয়ান মহিলা কর্মী জয়নাব আল গাজালির লিখিত “কারাগারে রাত দিন” তার সাক্ষ্য) দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিল ইখওয়ানের অগ্রযাত্রা কে। কিন্তু মানুষ কে মেরে ফেলা যত সহজ, মানুষের বিশ্বাস কে মেরে ফেলা ঠিক ততটায় অসম্ভব এবং কঠিন। তাই সেই ইখওয়ান সমর্থক গন পৃথিবির বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে সেই সমস্ত দেশে বসবাস কারি মুসলিম দের ভিতর জাগিয়ে তুলছে ইসলামি চিন্তা-চেতনা। খোদ মিসরে ইখওয়ান মরে যায় নি। পরিনত হয়েছে দুর্জেয় শক্তিতে।
আবারো শুরু করেছে ইসলাম কে রুখে দেয়ার চেষ্টা। পারবে কি?
বাংলাদেশে হাসিনা চাচ্ছে ইসলাম কে মুছে ফেলতে। পারবে কি?
না পারবে না। কক্ষন পারবে না। ইসলামের প্রতিষ্ঠার পথ বরাবর ই কঠিন এবং রক্তাত্ত। আল্লাহ এভাবে ই তার খাস বান্দাদের আলাদা করে নেন কাফির, মুনাফিকদের থেকে। পৃথিবি তো আর কিছু নয়, শুধুমাত্র একটি পরিক্ষা ক্ষেত্র মাত্র। আর তার বাছাই কৃত গোষ্ঠির হাত দিয়েই ইসলাম কে বিজয়ী করেন।
তাই আমি নিশ্চিৎ ইসলাম বিজয়ী হবেই। কিন্তু আমি নিশ্চিৎ নই আমি নিজে কি আল্লাহর সেই বাছাই কৃত দলে থেকে মরতে পারব? হে আল্লাহ!! তুমি আমাকে জাহেল দের অন্তর্ভুক্ত করো না। হে আল্লাহ!! আমাকে তোমার প্রিয় বান্দাদের মধ্যে গন্য করে নাও। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন