এদের জন্য আরো বড় কোন শাস্তি আসছে বলেই মনে হচ্ছে...
লিখেছেন লিখেছেন হায়পোথিসিস ০২ মে, ২০১৩, ০৯:২৪:৪৭ সকাল
একেই বলে ঘৃন্যকন্ঠের ইসলাম প্রেম। নামা না জানা নব্য গজিয়ে উঠা ইসলামি সংগঠনের খবর আছে। খবর নাই হেফাজতের রাজশাহীর বিরাট জনসভার, খবর নাই গার্মেন্টস শ্রমিকদের অসন্তসের, এমন কি সাভার ট্রাজেডিতে সরকারী একরকম অনিহার খবর ও নাই।
মুল খবরঃ ৫ মে যেখানে হেফাজতী পাওয়া যাবে শায়েস্তা করা হবে
ইমাম-ওলামা ঐক্য পরিষদ। অথচ এটা তথাকথিত ঐক্য পরিষদের একটা সংবাদ সম্মেলন মাত্র। এদের জনসভায় যে লোক সমাগম হয় না তাত ফরিদ উদ্দীন মাসউদের শাপলা চত্তরের জনসভায় দেখা গেছে। যাই হোক......
হেফাজত/জামায়াত ঠেকাতে মাঠে নেমেছে (নেমেছে ত না, সরকার/বামপন্থী/ভারত/আমেরিকা/ইসরাইল এর কোলে জন্ম নেয়া অবৈধ সন্তানকে বড় আদরে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে) আহলে-সুন্নত ওয়াল জামায়াত এবং বাংলাদেশ ইমাম-ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদ, তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট, বাংলাদেশ ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটি, আন্তর্জাতিক সূফী ঐক্য সংহতি, আরো কত সুন্দর নামের আড়ালে সাক্ষাৎ ইবলিশের শিশ্যদের। ফরিদ উদ্দীন মাসউদ সাহেব কে দিয়ে ‘মহা-সমাবেশ !’ ফ্লপ করার পর, এবং আওয়ামী ওলামা পরিষদের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা না থাকায় নতুন নতুন নামে তথাকথিত ইসলাম প্রেমিকদের মাঠে নামানো হয়েছে।
- উদ্দ্যেশ্য, ইসলাম বিরোধি শক্তির বিরুদ্ধে তৌহিদী জনতার যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে ভাংগন ধরানো।
- নাস্তিকদের ব্যাপারে এদের কোন মাথাব্যথা নাই। সরকারের পাঁচ পাগল এবং তের নাস্তিক মন্ত্রি সভার ইসলাম বিরোধি কাজে এদের কোন অসুবিধা নাই।
- শাহবাগিদের নারী-পুরুষ দিন রাত এক সাথে গান বাজনা, উত্তাল নাচ, এসব বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে এরা এত দিন ‘স্পিকটি নট’ ছিল।
- মসজিদ থেকে টেনে হিঁচড়ে যখন মুসল্লিদের এরেষ্ট করে নিয়ে যাচ্ছিল তখন এরা চোখ ঢেকে রেখেছিল।
- আনিসুল হক যখন প্রথম আলোতে কোরানের প্যারোডি ছাপাল তখনো এদের অসুবিধা হয়নি।
- পুলিশ যখন প্রায় ২০০ লোক মেরে ফেলল তখন এরা অখুশি ছিল না।
- দিনের পর দিন যখন মানুষ কে গুম করে ফেলছে তখন এরা হয়ত পথের কাঁটা সরানোর জন্য আওয়ামী লীগ কে বাহবা দিচ্ছিল
- কিন্তু..................
০ যখনি আল্লামা আহমদ শফীর ডাকে সর্বোস্তরের মুসল্লি আল্লাহ, রাসুল (স) এবং ইসলাম বিরোধি শক্তির বুকে কাপন ধরানোর অবস্থা সৃষ্টি করেছে। তখন এই ভন্ড রা ‘সুন্নতি লাঠি (!)’ নিয়ে হেফাজত কে ঠেঙ্গানোর কথা বলছে।
(এদের পরিচয়ের জন্য রিপোর্টের একটু উদ্ধৃতি দিচ্ছিঃ
“আন্তর্জাতিক সূফী ঐক্য সংহতি আয়োজিত ‘সামাজিক স্থিতিশিলতা রক্ষায় ধর্ম-প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভা-ারী। পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড.আ ন ম রইস উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ্্ জাতীয় মসজিদের খতিব ও আহলে সুন্নাত ওয়াত জামআতের মহাসচিব আল¬ামা জালাল উদ্দিন আল কাদেরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব) সৈয়দ মোঃ ইব্রাহিম, ঢাকা বিশ্বকিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ফাদার বেঞ্জামিন কস্তা, এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণতন্ত্রী পাটির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, মাওলানা রহুল আমিন ভুঁইয়া চাঁদপুরী ও শাহ্ এস.এম. মাইজভা-ারী। তাঁরা বলেন, ধর্ম কোন পক্ষ বা গোষ্ঠীর নয়। ধর্ম সকলেরই জন্য। ধর্মের নামে সমাজে বিশৃঙ্খলা, হানাহানি, মারামারি, ধর্মকে অস্বীকার করার নামান্তর। ধর্মের শিক্ষাই হলো ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি এবং সকলেই একই স্রষ্টার সৃষ্টি এই সত্যকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করলেই সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।“)
এদের নামের দিকে খেয়াল করুন। সবার একটা ব্যপারে মিল আছে আর তা হল, এরা সবাই আওয়ামী লীগের উচ্ছিস্টভোগি। মাজার পুজারি, মাইজ ভান্ডারি বিদায়াতি, এবং ভারতীয় দালালের এক অপুর্ব ঐক্য পরিষদ।
দেখা যাক কারা বিজয়ী হয়। সাম্প্রতিক ঘটনাপুঞ্জী বিশ্লেষন করলে মনে হয় ইসলাম বিরোধি শক্তির মারাত্মক সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঠিক আগ মূহুর্তে কোন এক গায়েবী ঘটনায় তা আর হতে পারছে না। তাই মনে হয় এদের জন্য আরো বড় কোন শাস্তি আসার অপেক্ষায় আছে। হে আল্লাহ, আমাদের সত্যিকারের ইসলাম প্রিয় ভাই বোনদের এই সম্ভাব্য আজাব থেকে রক্ষা করো। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন