মাসুদা ভাট্টিদের সমস্যা

লিখেছেন লিখেছেন হায়পোথিসিস ০৯ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:৪৮:২৬ সকাল

মাসুদা ভাট্টিদের সমস্যা হল, এরা নিজেদের খুব আঁতেল মনে করে। মনে করে নিজেরায় অর্থনিতী, সমাজনিতী, বিজ্ঞান ত বোঝেই এমন কি ইসলাম ও বুঝে। তায় এদের গুরু শাহরিয়ার কবির (মুরগী কবির) বাংলা কোরানের ইন্ডেক্সের বুদ্ধি নিয়ে মাওলানা ইউসুফিকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসতে লজ্জা বোধ করে না। মোল্লা মৌলভিদের প্রতি এদের এতই তাচ্ছিল্ল্য যে এইসব মুরগী চোর মনে করে পদ্মা সেতু চুরি, শেয়ার বাজার ডাকাতির সাথে সাথে মোল্লা, মৌলভিদের অংশটুকুও এরা কেড়ে খাবে।

আল্লাহ তায়ালা কোরান শরীফে এদের সম্পর্কেই বলেছেন, “এদের যখন বলা হয় ঈমান আনো যেমন অন্য মানুষ ঈমান এনেছে, তখন এরা বলে, ‘আমরা কি নির্বোধদের মত ঈমান আনব?’। সাবধান, আসলে এরায় নির্বোধ। কিন্তু এরা তা বোঝেনা।“

“ধর্মপ্রাণ অংশ যারা .................. আমার আত্মীয়ের মৃত্যুতে এসে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাকে পরকালের জীবন সম্পর্কে সচেতন রাখবেন।“ আহা ! কি বোদ্ধারে !! ধর্ম খালি ঐ বিষহীন ধোড়া সাপের মত থাকবে। তাকে যেমন খুশি মারব, কাটব, আর আমাদের ভাট্টিরা লাল পানীয় পান করে নৃত্য-গীত সম্পন্ন করে আমাদের উপর সারা জীবন ছড়ি ঘুরাবে। বাহ ! বাহ !! এই না হলে মজা।

নিজের চরিত্রে আলোকে এরা টাকা ছাড়া কোন মিছিল চিন্তায় করতে পারে না। তাই এরা দেখছে নিশ্চয় কোন মহল এদের (হেফাজতিদের) শাহবাগিদের বিরানি সরবরাহের মত বিরানি সাপ্লাই দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে না কেন? তাই ত?? বিরানি, মিনারাল ওয়ার্টার, এবং তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ছাড়া কেউ কি আর ঈমান বাচানোর জন্য আসতে পারে? শাহবাগিরা যা পারেনি তা এরা পাববে কেন?? আহা ! এই না হলে কি আর বাম বুদ্ধি!!!

ধর্ম বলতে এরা ‘ধর্মীয় গোঁড়ামি’ এবং ‘মৌলবাদী চেতনা’ এই দু’টি শব্দ ছাড়া বুঝতে পারে না। এরা আরো ভয় পায় তাদের বাধাহীন নারী-পুরুষের মিলামিশার দুরাবস্থার কথা চিন্তা করে। ঢলা ঢলি ছাড়া কি শুধু স্বামী শ্ত্রী কে নিয়ে বা শ্ত্রী - স্বামীকে নিয়ে পুরা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে? এটা ও কি সম্ভব?? কেন হেফাজত নারীদের নিয়ে মতিঝিলে রাত্রী যাপন করল না? কেন এরা নারী স্বাধীনতার প্রতিক বাঈজী নৃত্যর ব্যবস্থা করল না? অতএব, এরা নারি বিরোধি। হাতে নাতে প্রমান!!!

“আমরা জানি যে, কৃষক পরিবারের সেই ছেলেটিকে কওমি মাদ্রাসায় পাঠানো হয় যে ছেলেটি হয় বেয়াড়া কিংবা আমাদের সাদা চোখে একটু দুষ্টু।“ আহা !! আত্মীয়ের মৃত্যতে যে দোয়া করবে তারা ‘দুষ্টু’ ছেলেদের বুড়া সংস্করন !!! আর সোনার ছেলেরা যারা বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম কা ওয়াস্তে ছাত্র এবং নিত্য অস্ত্রের মহড়া দেয় তারা কিন্তু দুষ্টু না। কখখনো না।

“বাকি অর্ধেকের যারা এতোদিন ধর্মভীরুতায় এই শ্রেণিটিকে দান-ধ্যান করেছেন তারা এখন সচেতন হবেন এই ভেবে যে, এতোদিন তারাতো আসলে দুধকলা দিয়ে ধর্মের নামে উগ্র ধর্মান্ধদের পুষেছেন।“ মাসুদা ভাট্টিরা মনে করে তারাই দেশে ‘দুধকলা’ দিয়ে ধর্ম এবং ধার্মিকদের বাচিয়ে রেখেছেন। এরা ভাবে না যে আসলে এই সব সাধারন মানুষ ই ভাট্টিদের ঘরের দুধকলার সাপ্লায় টা করে আসছে। এরায় কঠর পরিশ্রম করে কঠিন মাটিতে কলার চাষ এবং নিজের আঙ্গিনায় গরু পুষে এইসব পরোজিবীদের ‘দুধকলার’ ব্যবস্থা করে আসছে। ভাট্টিদের মত অকৃতজ্ঞদের ‘দুধকলা’র সাপ্লায়টা এরা বন্ধ করে দিলে কিন্তু না খেয়ে মারা পড়বে তা এরা ভাবতে ভুলে গেছে।

এই ভাট্টিরা ‘মালপানি’ ছাড়া আর কিছু চিনে না। তাই সব জায়গায় ‘মালপানি’ দেখে। আর তাই শেষ করার আগে এটা তাকে লিখতেই হয়েছে, “আমরা দেখেছি যে, হেফাজতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় “মাল-পানি” নিয়ে নেমেছে ধর্মীয় অর্থনীতিতে শক্তিশালী জামায়াতে ইসলামী। আমাদের ভয়টা সেখানেই, হেফাজতে ইসলাম বিদ্যুৎ চমকাতে পারে, কিন্তু ঠাটা (বাজ) পড়ানোর কাজটি বার বারই এদেশে করেছে জামায়াত।“ তবে নিজের অজ্ঞাতেই স্বীকার করে নিয়েছে যে ধর্মীয় অর্থনীতি বলে একটা বিষয় আছে এবং তাতে জামায়াত মোটামুটি ভালই করছে। এমন কি এইসব সিক্যুলার অর্থনীতিকে ও চ্যালেঞ্জ করেছে ধর্মীয় অর্থনীতি।

পরিশেষে, এদের জন্য একরাশ সমবেদনা। হেফাজতের ভয়ে এরা প্রায় প্রলাপ বকা শুরু করেছে। আর, এই প্রলাপ শেষ পর্যন্ত এদের মৃত্যুর কারন হতে পারে বলে ই সমবেদনা। ধার্মিক ভাইদের প্রতিঃ দয়া করে এদের জন্য একটি চিড়িয়াখানার ব্যবস্থা করে রাখুন। যাতে করে এই ‘এন্ডেঞ্জার্ড’ স্পেসিসকে ভবিষ্যৎ জেনারেশন দেখে বুঝতে পারে ধর্ম বিরোধিতার পরিনতি কি হতে পারে।

হেফাজতে ইসলাম: “হেফাজতের” বহু অর্থ স্পষ্ট করেছে

বিষয়: বিবিধ

১৬০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File