'বডি ক্যাভিটি সার্চ' আসলে কী?

লিখেছেন লিখেছেন আরিফ চৌঃ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০২:১২:০৪ রাত



ভারতের কূটনীতিক দেবযানী শাড়ি খুলে তল্লাশি ও শরীরে ক্যাভিটি বা রন্দ্র সার্চ চালানোয় প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ভারত। কিন্তু কী এই ক্যাভিটি সার্চ?

ভিসা জালিয়াতি মামলায় ভারতের কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাডের শাড়ি খুলে তল্লাশি ও শরীরে ক্যাভিটি সার্চ চালানোয় প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ভারত। কিন্তু কী এই ক্যাভিটি সার্চ? অপরাধীর শরীরের ক্যাভিটি সার্চ হল অপরাধতত্বের তদন্তমূলক একটি অঙ্গ। ক্রিমিনালদের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

ক্যাভিটি শব্দের অর্থ হল রন্ধ্র। চোরাচালানকারীরা অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের চোখ ধুলো দিতে শরীরের বিভিন্ন রন্ধ্র যেমন, নাকের ফুটো,মুখগহ্বর, পায়ুছিদ্র, যোনিগহ্বর প্রভৃতি স্থানে মাদক, চুরি করে সোনা বা অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখে। অপরাধীদের এই ধরণের অপরাধ প্রমাণ করতে শরীরের রন্ধ্রে যে তল্লাশি চালানো হয় তাকেই ক্যাভিটি সার্চ বলে।

ক্যাভিটি সার্চ মূলত দুধরণের হয়। ভিসুয়াল ও ম্যানুয়াল।

ভিসুয়াল পদ্ধিতে শরীরের বিভিন্ন রন্ধ্রে বা পুরুষ ও মহিলার গোপন অঙ্গে জোরালো আলো ফেলে দেখা হয় কোনও জিনিয় লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না। দ্বিতীয় অর্থাৎ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাত,আঙুল বা চিমটে ঢুকিয়ে খোঁজা হয় নিষিদ্ধ বস্তুটি।

প্রিজনার অপারেশন সার্ভিস ডাইরেকটিভস

শরীরে তল্লাশি চালানোর জন্য মার্কিন মার্শাল সার্ভিস-এর একটি আলাদা প্রোটোকল ডকুমেন্ট ‘দ্য প্রিজনার অপারেশন সার্ভিস ডাইরেকটিভস’ রয়েছে।

চার ধরনের শরীরী তল্লাশি

মার্কিনওই নথি অনুসারে মার্শালদের প্যাট ডাউন সার্চ, ইন-কাস্টডি সার্চ, ডিজিটাল ক্যাভেটি সার্চ এবং স্টিপ সার্চ এই চার ধরণের তল্লাশির ক্ষমতা রয়েছে।

তল্লাশির ক্ষেত্রে নিয়মাবলী

১) স্টিপ সার্চ বা নগ্ন করে তল্লাশি সবসময় গোপন কোনও জায়গায় করতে হবে। এবং সেখানে শুধুমাত্র অনুসন্ধানের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরাই থাকতে পারবেন। এবং তারাই তল্লাশি করতে পারবেন।

২) তল্লাশি সর্বদা সমলিঙ্গের সদস্যই করতে পারবেন (ফিজিসিয়ান বা নার্সের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়)। এবং তল্লাশির ক্ষেত্রে শিষ্টতা বজায় রাখতে হবে। উক্ত ব্যক্তির সম্মানহানি যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

৩)অনুসন্ধানকারী আধিকারিক সন্দেহভাজনকে সমস্ত আলগা বস্তু খুলে দেওয়ার জন্য বলতে পারেন। তার পর চাক্ষুস পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান শরীরের বাকি অংশে চালানো যেতে পারে।

৪) আধিকারিকরা বন্দীর কানের ফুটো, কানের পিছন, নাকের ফুটো এবং মুখগহ্বরের (জিভের নিচে,তালু, দুই ঠোঁটের ভিতরের অংশ এমনকি মাড়ি) পরীক্ষা করতে পারেন।

৫)আধিকারিকরা শরীরের সামনের অংশ মূলত, বগল, স্তন এবং যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করতে পারেন।

৬) আটক মহিলা বা পুরুষকে দু পা ছড়িয়ে সামনের দিকে ঝুকতে বলা হতে পারে। পিছন দিক থেকে মূলত মলদ্বার ও ব্যক্তিগত অঙ্গ পরীক্ষার জন্য এমন বলা হতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

২০৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File