পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সাতক্ষীরায় লুটপাট চলছে :
লিখেছেন লিখেছেন মুন্নি ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:৫৩:২৪ দুপুর
জেলা জামায়াত যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে সাতক্ষীরায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে, আগুন লাগিয়ে, ভাংচুর করে যা করছে তার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। বুধবার জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শাখা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বিরোধীদল দমনে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে অভিযোগ করে বলা হয়, তার নেতৃত্বে সাতক্ষীরায় লুটপাট করছে সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা। সংবাদ সস্মলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ নুরুল হুদা বলেন, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দলোনকে বাধাগ্রস্থ করতে সরকার তার পেটুয়া বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে গণহত্যা ও গণগ্রেফতার করে জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সর্ব মোট জামায়াত শিবিরসহ ২১ জন নিরিহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন- গণহত্যা, গুম, নির্যাতন ও মামলা দিয়ে জনগণের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে না পেরে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে সরকার এখন যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেকের বাড়িসহ সাতক্ষীরা সদরের ৮টি, তালা পাটকেলঘাটায় ৮টি, আশাশুনি ৫ টি, কালিগঞ্জে ২৫ টি, বসতবাড়ী ও ২৫ টি দোকানঘর, এবং শ্যামনগরে ১ টি দোকান ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার শুধূমাত্র হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং শতশত মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রায় এক লাখ নেতা কর্মীকে ঘরবাড়ী ছাড়া করেছে। সাতক্ষীরা জেলার ৭ থানায় এ পর্যন্ত ২১৬টি মামলায় এজহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে ৪৫০১ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামী ৭৩ হাজার ৯৭৭ জন। এভাবে মিথ্যা ও ভূয়া মামলা অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, সরকার মনে করে সাতক্ষীরা জামায়াতে ইসলামীর ঘাঁটি। এই এলাকাটি ক্ষতিগ্রস্থ করতে না পারলে ক্ষমতাসীনদের নীল নকশার নির্বাচন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। সে জন্য সরকারি দলের ছত্রছায়ায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে অমুসলিম সম্প্রদায়সহ আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকর্মীদের বাড়ী-ঘর ও দোকানপাট পরিকল্পিতভাবে লুটপাট করানো হয়েছে। এছাড়া তাদের দলীয় কোন্দল, কালোবাজারী, জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বসহ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিহত ব্যাক্তিদের হত্যার দায় জামায়াত, শিবিরের উপর চাপিয়ে ভাবমুর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, জামায়াতের জেলা আমীরসহ অসংখ্য নিরিহ মানুষের ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকে উত্তেজিত জনতার কাজ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। অথচ তার নেতৃত্বে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা এ তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক, ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। কোনো রকমের হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির জড়িত নয়। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রতিটি ঘটনার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক প্রকৃত দায়ী ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন