একটু চিন্তা করুন

লিখেছেন লিখেছেন মুন্নাহ চৌঃ ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:০৩:৪৭ সন্ধ্যা



আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ পল্লবহত্যাকাণ্ড পল্লব হত্যাকাণ্ড বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন পল্লবের ভাবী সাহেরাখাতুন। তিনি প্রথমে রাষ্ট্র পক্ষের সাক্ষী ছিলেন। পল্লবের স্বজনদের মধ্যেও তিনি ছিলেন একমাত্র সাক্ষী। আদালতে এসে তিনি আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আদালতকে জানান পল্লবের হত্যাকারী হিসেবে তারা কাদের মোল্লার নাম শোনেননি। তিনি জানান কিছু বিহারি পল্লবকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

মিরপুরে কবি মেহেরুন্নেসা হত্যাকান্ডঃ

রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী কবি কাজী রোজী। ’৭১ এ মিরপুরের ঘটনা নিয়ে একটা বইও লিখেছেন। ট্রাইব্যুনালে তাকে জিজ্ঞেস করা হল “আপনি বই প্রকাশ করেছেন ২০১১ সালে, আর আবদুলকাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করাহলো ১০ সালে। আপনার বইয়ে মিরপুরের কোন ঘটনায় আবদুল কাদের মোল্লার নাম নেই কেন?

- উনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।

৩৪৪ জনকে হত্যাঃ ৩৪৪ জনকে হত্যা করল একজন লোক।এই ৩৪৪

জনের কি কোন স্বজন নেই? তারা কেন আসল না স্বাক্ষ্য দিতে? রাষ্ট্রপক্ষের ১২ জন সাক্ষী।কিন্তু ঘটনা কেউ স্বচক্ষে দেখে নি।

সবাই জনগন থেকে শুনেছে আবদুল কাদের মোল্লা ৩৪৪ জনকে হত্যা করেছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা আব্দুল কাদের মোল্লা ১৯৭৪-৭৫ সালে উদয়ন স্কুলে শিক্ষক ছিলেন। বিখ্যাত এই মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ­ প্রাণ কেন্দ্র জগন্নাথ হল এবং সলিমুল্লাহ হলের মাঝামাঝি এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা ‘ শহীদ গিয়াসউদ্দিন আবাসিক এলাকা’র এত কাছাকাছি অবস্থিত;অথচ ৭৪-৭৫ এর সেই দিন গুলিতেও ‘তথাকথিত ­ শত শত মানুষ হত্যাকারী’ আব্দুল কাদের মোল্লা কিভাবে সেখানে নির্বিঘ্নে ছিলেন সে প্রসংগ আসতেই পারে।

আজ কথিত এ বিচারের রায় ঘোষনা করা হয়েছে। কোন বিবেকবান মানুষের পক্ষে এ বিচারকে প্রহসন ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। বিচার ও বিচারের রায় কোনটাই ঠিক হয় নি। কারন দোষী প্রমানে ব্যার্থতার পরেও অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ইয়ারকি ছাড়া আর কী!!!

তাই পুনরায় আপীল করে এ অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে বেকসুর খালাস দেয়াই হবে মানবতার পক্ষের কাজ।

বিষয়: বিবিধ

১৬০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File