মনে হয় চট্টগ্রামের মাইক বিরোধী মুছল্লিরা মুম্বাইর ক্ষমতায় !!!মুম্বাইয়ের মসজিদে মাইক বন্ধের নির্দেশ ।।
লিখেছেন লিখেছেন তহুরা ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৫:১৪:১০ সকাল
চট্টগ্রাম রাউজানের অনেক হুজুর ফতুয়া দিচ্ছে মাইকে আযান ও নামাজ পড়া শিরিক । তাই তাদের মসজিদে মাইক নিযিদ্ধ । অন্যান্য মসজিদের মাইক বন্ধের জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ।এ দিকে ভারতের মুম্বাইয়ে মাইক নিষিদ্ধ করল । এতে বুঝা যায় তারা ক্ষমতায় অথবা হিন্দু তাগুতের দালাল ।।
মুম্বাইয়ে মসজিদে মাইক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বোম্বে হাইকোর্ট। স্থানীয় এক ব্যক্তির জনস্বার্থে করা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, মুম্বাই ও নাভি মুম্বাই এলাকার সকল মসজিদে স্থাপিত লাউডস্পিকার অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে নাগরিকদের একতাবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দেয়া আদালতের ওই নির্দেশে সকল প্রকার লাউডস্পিকার অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে । মুম্বাইয়ের বাসিন্দা সান্তোষ পাচাল্যাগ ওই মামলাটি করেন।
এক তত্ত্বের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আরটিআই (রাইট টু ইনফরমেশন) অ্যাক্ট অনুযায়ী ওই এলাকার ৪৯টি মসজিদের মধ্যে ৪৫টিতে (প্রায় ৯২ শতাংশ) লাউডস্পিকার ব্যবহারের কোনো অনুমতি নেই। এতে আরো বলা হয়েছে, স্কুল ও হাসপাতালের মতো নীরব এলাকায় এসব মসজিদ অবস্থিত। আর এতে যে শব্দ হয় তা, ২০০০ সালের শব্দ দূষণ আইনে যে মাত্রার কথা বলা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি।
আদালত ওইসব স্থাপনায় লাউডস্পিকার ব্যবহারের যথাযথ অনুমতি না থাকলে তা অপসারণে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। সূত্র: ইন্টারনেট
বিষয়: বিবিধ
৩০২৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই হুজুরকে গলায় দড়ি দিয়ে গোলালে রাখা উচিৎ। গরুর সাথে মাঠে চরে বেড়াবে,সেই ভাল।...
Rate This
চরমনাই পীরের আসল চেহারা (দলীল প্রমান সহ)
April 1, 2014 quranheart
সকল প্রসংশা একমাত্র মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য, দুরুদ ও সালাম নাযিল হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর।
আজ এখানে আলোচনা করবো বাংলাদেশ এর একজন পীর সম্পর্কে, তিনি হলেন চরমনাই পীর সাহেব, তার অনেক ভক্ত ও অনুসারী রয়েছে, তাই তার আসল চেহারাটা মুসলিমদের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরছি,
চরমনাই পীর কী মুসলিম?
চরমনাই পীরের কথা তার নিজের জবানেই শুনুন, তিনি নিজেই বলছেনঃ
‘’আমিতো এখন আমাকেই চিনি না, আমি যে কে তাহাই আমি জানি না,
আমি কি জাতি, মুসলমান, না ইহুদী, না অগ্নিপুজক তাহাও বলিতে পারি না‘’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী; পৃষ্ঠা নঃ ৯১
যে ব্যক্তি বলে যে আমি মুসলিম নাকি ইয়াহুদি নাকি অগ্নিপুজক তা আমি জানি না সে কখনই মুসলিম হতে পারে না, কেননা মুসলিম সেই ব্যক্তি যে ঈমান আনে আল্লাহর প্রতি, তার ফেরেশ্তাগনের প্রতি, কিতাবসমুহের প্রতি, পরকালের প্রতি, রাসুলগনের প্রতি এবং তাকদীরের ভাল মন্দের প্রতি। আমরা সবাই জানি যে, ইয়াহুদিরা আল্লাহর কিতাব কোরআন এবং আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ইমান আনে না এবং অগ্নিপুজকরা না ঈমান আনে আল্লাহর প্রতি, না ফেরেশতাদের প্রতি, না কিতাব সমুহের প্রতি না রাসুলগনের প্রতি, যে ব্যক্তি নিশ্চিত নয় যে সে কি মুসলিম, নাকি ইয়াহুদি নাকি অগ্নিপুজারক সে কাফির, কেননা ইয়াহুদিরা এবং অগ্নিপুজারকরা কাফির এবং মুশরিক, আর পীর সাহেব নিজেই জানেন না তিনি মুসলিম না অগ্নিপুজক অর্থাৎ কাফির।
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ -১
”ওগো আমার মাশুক মাওলা!
আপনি আপনার কুদরতি নজরে আমার দিকে চাহিয়া দেখুন,
আমি এখন আমি নাই,আমি আপনি হইয়াছি,
আর আপনি আমি হইয়াছেন;
আমি হইয়াছি তন, আপনি হয়াছেন জান” (নাউজুবিল্লাহ)
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৪১
======================
পীর সাহেবের এই আকীদার নাম হলোঃ “হালুল” বিভ্রান্ত সূফীদের একটি জঘন্য শিরকি আকীদাহ এটি, ‘হালুল’ বলতে তারা(বিভ্রান্ত সুফিরা) বুঝায় যে, আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার মধ্যে প্রবেশ করেন (নাউযুবিল্লাহ), এই ‘হালুল’ এর আকীদার প্রবরতক হলোঃ “হোসাইন বিন মানসুর আল-হাল্লাজ” নামক এক জালিম, এই জামিল নিজেকে হক্ক বা আল্লাহ বলে দাবী করেছিল, এবং সে বলতো যে তার বাহ্যিক রুপ তার অন্তরের রুপকে সিজদাহ করে কেননা তার বিশ্বাস ছিল যে, সে বাহির থেকে মানুষ কিন্তু ভিতর থেকে আল্লাহ।(নাউযুবিল্লাহ) তার এই শিরকি আকীদার জন্য তাকে কেটে ঝুলিয়ে রাখা হয় অতঃপর তাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ঠিক একই আকীদা পীর সাহেব থেকেও পাওয়া যাচ্ছে, তাই পীর সাহেবকেও মানসুর হাল্লাজের মত শাস্তি দেওয়া উচিত, যাই হোক পীর সাহেবতো এটাও জানেন না যে, তিনি মুসলিম না অগ্নিপুজক!!!
মুসলিমরা জানেন যে, আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হলেন রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যদি আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের মধ্যে প্রবেশ করতেন তাহলে তিনি রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যেই প্রবেশ করতেন, মুসলিমরা জানেন যে কোন সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর প্রবেশ করা আল্লাহর শানের বা সম্মানের বাহিরে।
পীর সাহেবের সম্পর্কে কোরআনের দুটি আয়াত উল্লেখ করলামঃ
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
”তারা আল্লাহ্র যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় না। কিয়ামতের দ্বীন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্টিতে থাকবে, আর আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। মাহাত্ম তাঁরই, তারা যাদেরকে তাঁর শরীক করে, তিনি তাদের থেকে বহু উরধে” সুরা আয-যুমার আয়াত নঃ ৬৭
”আর তিনি মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিকা নারী, মুশরিক পুরুষ ও মুশরিকা নারীকে শাস্তি দিবেন যারা আল্লাহ্ সম্পর্কে খারাপ ধারনা পোষণ করে। তাদের জন্য আছে অশুভ চক্র। আল্লাহ্ তাদের উপর রাগান্বিত হয়েছেন আর তাদেরকে লা’নাত করেছেন। তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জাহান্নাম। তা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল” সুরা আল-ফাতহ আয়াত নঃ ৬
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ -২
মহান আল্লাহকে প্রেমিকা হিসাবে সম্বোধন!!! (নাউজুবিল্লাহ)
”হে আমার মাশুক! আপনি আমাকে আপনার এস্কে রাত-দিন মত্ত, মাতোয়ারা, বে-ক্বারার ও অস্থির করিয়া রাখুন‘’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৫
======================
পীর সাহেবের এরুপ বেয়াদবী ও অশালীন কথাই প্রমান করে যে তিনি প্রকৃতপূর্ণে মুসলিম নাকি কাফির, অবশ্য তিনি নিজেই তা জানেন না!!! (কিন্তু তার কথা আমাদের ইঙ্গিত দেয় যে তিনি কি!!!)
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ ৩
‘’অতিশয় খুব ছুরাত সুন্দরী পর্দার আড়ালে লুকাইয়া থাকিতে অক্ষম; তুমি তাহাকে পর্দায় রাখার জন্য দরওয়াজা বন্ধ করিলেও তিনি জানালা দিয়া মুখ বাহির করিয়া রুপ দেখাইবেন।
তাই হে মাশুকে হাক্বীক্বী মাওলা! আপনিও আর একা থাকিতে না পারিয়া আমাদিগকে নিজ হাতে পয়দা করিয়া, নিজরুপ দেখাইয়া যখন আশেক বানাইয়াছেন, এখন কেন গোপন থাকিবেন? দয়া করিয়া দেখা দেন, প্রান তো মানে না গো”
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১০-১১
===================
পীর সাহেবের কথাগুলো আসলে কিরুপ অর্থ বহন করে?
পীর সাহবে বলেছেনঃ “আপনিও আর একা থাকিতে না পারিয়া আমাদিগকে নিজ হাতে পয়দা করিয়া” অর্থাৎ আল্লাহ আর একা থাকতে না পেরে আমাদের সৃষ্টি করেছেন, অর্থাৎ পীর সাহেবের মতে আল্লাহ একা থাকতে সক্ষম নন তাই বাধ্য হয়ে আমাদের সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু আল্লাহ বলেছেনঃ “তিনি কোন কিছুরই মুখাপেক্ষী নন” (সুরা ইখলাসঃ৪)অর্থাৎ তিনি কোন কিছুরই বাধ্য নন, সুতরাং প্রমানিত হল যে, পীর সাহবে কোরআন এর স্পষ্ট আয়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন।
এছাড়াও পীর সাহেবের অপবিত্র বানীঃ “আপনিও আর একা থাকিতে না পারিয়া আমাদিগকে নিজ হাতে পয়দা করিয়া” দ্বারা প্রমানিত হয় যে, যখন আল্লাহ আর একা থাকতে পারছিলেন না তখন তার একাকীত্ব দূর করার জন্য আমাদের সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য এটিও কোরআন এর স্পষ্ট আয়াতের বিরুদ্ধে, মহান ও পবিত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেনঃ “আমি জীন এবং মানব জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদাত করার জন্য সৃষ্টি করেছি” কিন্তু পীর সাহেব তো বলছেন ভিন্ন কথা, আসলে তিনি তো তাই বলবেন, কেননা তিনি তো জানেনই না যে তিনি কি মুসলিম নাকি কাফির!!!
পীর সাহেব আরও এগিয়ে বলেছেনঃ “নিজরুপ দেখাইয়া যখন আশেক বানাইয়াছেন”, অর্থাৎ পীর সাহেবকে আল্লাহ তার নিজের রুপ দেখিয়েছেন, সুতরাং পীর সাহবে আল্লাহকে দেখেছেন!!! চিন্তা করেছেন যে, পীর সাহেব কত বড় ব্যক্তি???!!! যেখানে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই পৃথিবীতে অবস্থান কালে আল্লাহকে দেখতে পারেন নি এমন কি মিরাজ এ গিয়েও আল্লাহকে দেখতে পারেন নি সেখানে চরমনাই পীর সাহেব আল্লাহকে দুনিয়াতে বসে দেখেছেন!!! ভণ্ডামির একটা সীমা থাকে কিন্তু পীর সাহবেন সকল সীমা অতিক্রম করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিরাজে গিয়ে আল্লাহকে দেখেছেন কিনা তা নিয়ে মুসলিমরা ইখতিলাম করেছেন, তবে সঠিকমত হলো তিনি আল্লাহকে দেখেন নি যা মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদিসটি রয়েছে সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদঃ ৭৪ (ইঃফাঃ), যদি তর্কের খাতিরে মেনেও নেই(আসলে মানছি না) যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহকে দেখেছেন(নাউযুবিল্লাহ) তার পরও তিনি তখন মিরাজে গিয়েছিলেন, কিন্তু পীর সাহেব কি মিরাজে গিয়েছিলেন? না, তাহলে তিনি কিভাবে আল্লাহকে দেখলেন? আল্লাহকে এই পৃথিবীতে দেখা সম্ভব নয়, কেননা মুসা আলাইহি ওয়া সালাম তাঁর রবকে বললেন ‘’হে আমার প্রতিপালক আমাকে দেখা দেও, আমি তোমাকে দেখব। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কক্ষনো দেখতে পাবে না, বরং তুমি পাহাড়ের দিকে তাকাও, যদি তা নিজ স্থানে স্থির থাকতে পারে তাহলে তুমি আমাকে দেখতে পাবে।’’ অতঃপর তাঁর প্রতিপালক যখন পাহারে নিজ জ্যোতি বিচ্ছুরিত করলেন, তখন তা পাহারকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল আর মুসা চৈতন্য হারিয়ে পড়ে গেল ” সুরা আ’রাফঃ ১৪৩ ,
আল্লাহকে আখেরাতে দেখা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসঃ
‘’তোমরা মৃত্যুবরণ করার পূর্বে কিছুতেই তোমাদের মহা প্রভুকে দেখতে পাবে না’’ ফাতহুল বারীঃ ৮৪৯৩
সুতরাং, হয় আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ সত্য বলেছেন অথবা পীর সাহেব সত্য বলেছেন, মুসলিমরা বলবো যে অবশ্যই আল্লাহ এবং তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য বলেছেন এবং পীর সাহেব মিথ্যা বলেছে
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ ৪
”আসুন গো ওহে আমাদের মাশুক!
নিরালা নির্জনে বসি প্রেম আলাপ করি গো”
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১৫
====================
পীর সাহেব আল্লাহকে এই পৃথিবীতে ডাকছেন প্রেম আলাপ করার জন্য! (নাউযুবিল্লাহ) আমার চিন্তা হয় যে, এই পীর সাহেবকি স্বাভাবিক মস্তিষ্কের অধিকারী নাকি কয়েকটা নাট-বল্টুর অভাব আছে? নাকি দুনিয়ার স্বার্থ অর্জনের জন্য এসব জাহিলিয়াত এবং বেয়াদবী করে চলছে? আল্লাহ ভাল জানেন, সবচেয়ে বড় মূর্খ তো তারাই যারা এসব কিছু জেনে শুনেও এই পীরের অনুসরন করছে!
লক্ষণীয় বিষয়, পীর সাহেব আল্লাহকে এই পৃথিবীতে ডাকছেন, কিন্তু আমি আগেই কোরআনের আয়াত দিয়ে প্রমান করেছি যে, আল্লাহকে এই পৃথিবীতে দেখা সম্ভব নয়, যেখানে আল্লাহর পাঠানো নূর বা আলো পৃথিবীর পাহাড় সহ্য করতে না পেরে পাহাড় ধ্বংস হয়ে গেছে সেখানে আল্লাহ এই পৃথিবীতে আসলে এই পৃথিবী কি টিকে থাকতে পারবে? না কখনই না, কেননা মুসা আলাইহি ওয়া সালাম এই পৃথিবীতে আল্লাহকে দেখতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি পারেন নি, এবং আল্লাহ এই পৃথিবীতে আসার মুখাপেক্ষী নন, অর্থাৎ পীর সাহেবের কথাগুলো শুধু মাত্রই বেয়াদবী, তার কথা থেকে এটাও প্রমান হয় যে পীর সাহেব কোরআনের এই আয়াতটিও সম্ভবত জানে না বা জানলেও ভণ্ডামি করছে, আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা, পীর সাহেব মুসলিম না ইয়াহুদি তা তিনি জানেন না!
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ ৫
”ওগো মাওলা!
তোমার বিচ্ছেদের আগুন যেন দোজখের আগুন!
আমি ভুল বলিয়াছি,
তোমার মতো সুন্দর মাশুকের জুদাইর অগ্নি সম কোন অগ্নি নাই।
তাই বলি, আর দূরে রাখিয়া আমারে জালাইও না গো,
কত আর জ্বালাইবা, সহিতে পারি না গো”
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১৬
====================
পীর সাহেব যেমন শব্দগুলো আল্লাহর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছেন ঠিক সেই শব্দগুলো সাধারণত প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রয়োগ করে থাকেন, এরুপ শব্দ মহাম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা জঘন্য বেয়াদবী, পীর সাহেবের সাহস থেকে আমার অবাক লাগে যে তিনি মুসলিমদের মধ্যে এসব কথা ছড়াচ্ছেন, অবশ্য তার সাহসও হওয়ারই কথা, যেহেতু তার কিছু অন্ধ ও মূর্খ অনুসারীও রয়েছে, যেমন অনুসারী রয়েছে ভারত উপমহাদেশে শিরক ও বিদআত এর প্রধান ধারক ও বাহক আহমাদ রেযা খান বেরেলভীর। পীর সাহেবের বানীঃ “তোমার বিচ্ছেদের আগুন” থেকে প্রমানিত হয় যে আল্লাহ এবং পীর সাহেবের কোন দিন মিলন হয়েছিল(নাউযুবিল্লাহ), কেননা মিলন না হলে বিচ্ছেদ হয় না, আর যেহেতু বিচ্ছেদ হয়েছে সেহেতু মিলনও হয়েছিল, কিন্তু মিলন হওয়ার জন্য আল্লাহকে এই পৃথিবীতে আস্তে হবে কেননা পীর সাহেবতো এই পৃথিবীতে থাকেন, কিন্তু আমি আগেই প্রমান করেছি যে আল্লাহ এই পৃথিবীতে আসবেন না, আর বাকী থাকলো আরেকটি পথ তা হল পীর সাহেবকে যেতে হবে আল্লাহর কাছে, অর্থাৎ, মিরাজ-এ, কিন্তু মিরাজ ছিল একমাত্র রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য, অর্থাৎ মিরাজ এরও আর সুযোগ থাকলো না, তাহলে আল্লাহর আর পীর সাহেবের মিলন হলো কিভাবে? হালুল এর মাধ্যমে? যদি পীর সাহেব আবারও হালুল এর আকীদা প্রকাশ করতে চান তাহলে আমি মনে করিয়ে দিব জালিম মানসুর হাল্লাজের শাস্তিকে, অর্থাৎ প্রমান হলো যে, কোন ভাবেই পীর সাহবে আর মহান আল্লাহর মধ্যে মিলনতো দুরের কথা দেখা হওয়ার সম্ভব নয়, সুতরাং হয় পীর সাহেব মিথ্যা বলেছেন অথবা তাকে পাবনায় নিয়ে গিয়ে পাগলেল চিকিৎসা করার প্রয়োজন পড়েছে। না, এখই শেষ নয়, আরও বাকী আছে, পীর সাহেব আরও বলেছেনঃ “আর দূরে রাখিয়া আমারে জালাইও না গো” অর্থাৎ, আল্লাহ পীর সাহেবকে দূরে রেখে জ্বালাচ্ছেন! তাহলে প্রশ্ন হলো পীর সাহেবকে আল্লাহ কাছে রেখেছিলেন কবে? যদি পীর সাহেবকে দূরে রেখে আল্লাহ এখন জ্বালিয়ে থাকেন তাহলে প্রমান হয় যে কোন দিন আল্লাহ পীর সাহেবকে কাছেও রেখেছিলেন! কিন্তু আমিতো আগেই প্রমান করেছি যে, পীর সাহেব নয় কখনও আল্লাহকে দেখেছেন, না তিনি আল্লাহর সাথে মিলেছেন, সুতরাং এটাও প্রমান হয়ে গেল যে, পীর সাহেব কোন দিনও আল্লাহর কাছে ছিলেন না। কেননা না আল্লাহ এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং না পীর সাহেব মিরাজ করে আল্লাহর কাছে গিয়েছেন। সুতরাং আবারও পীর সাহেব মিথ্যা বলেছেন, পীর সাহেব আরও বলেছেনঃ “কত আর জালাইবা” জ্বালানো শব্দটিকে দুভাবে প্রয়োগ করা যায়, এক হলো কোন কাওকে জ্বালানো অর্থাৎ ‘কষ্ট দেওয়া’ বা ‘বিরক্ত করা’ আর ২য় অর্থটি হল প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে, যেহেতু পীর সাহেব চরম বেয়াদবী ইতিপূর্বেও বহুবার করেছেন সেহেতু জ্বালানো শব্দের ২য় অর্থটিকেই ধরে নিচ্ছি কিন্তু ২য় অর্থটি আল্লাহর ক্ষেত্রে চরম বেয়েদবীর অর্থ বহন করে, আর যদি প্রথম অর্থটি ধরে নেই তাহলে হলো কষ্ট দেওয়া কিন্তু আল্লাহ একমাত্র তার নাফরমান বান্দাকেই কষ্টদেন, মুমিন বান্দাকে না, আর ‘বিরক্ত করা’ আল্লাহর সম্মানের বাহিরে, বিরক্ত করা আল্লাহর মাখলুকের গুন কিন্তু আল্লাহর নয়, তাই বিরক্ত শব্দটি আল্লাহর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে না। কেননা এতে করে তাওহীদুল আসমা ওয়া সিফাত এর ৫টি শর্ত হতে একটি শর্ত ভঙ্গ হয়ে শিরক সম্পাদিত হয়, তাওহীদুল আসমা ওয়া সিফাত এর ৫টি শর্ত হতে একটি শর্ত হলোঃ “আল্লাহর কোন গুন তার মাখলুককে দেওয়া যাবে না যা তিনি সাব্যস্ত করেন নি এবং মাখলুক এর কোন গুনও আল্লাহকে দেওয়া যাবে না যা তিনি নিজের জন্য সাব্যস্ত করেন নি” সুতরাং পীর সাহেবের কথাগুলো যেই অর্থেই নেই না কেন তা বেয়াদবী এবং শিরক এর অর্থই বহন করে, কারন তিনি(পীর সাহেব) তো জানেনই না যে তিনি মুসলিম নাকি মুশরিক(অগ্নিপুজক এবং মূর্তিপুজকরা মুশরিক)
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ ৬
”ওগো আমার মাশুক!
আপনি বেপর্দা হইয়া আমার এই বাসায় আসুন’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৫০
=================
এখানে এই জালিম (চরমনাই পীর) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকে তার ঘরে আসতে বলছে, তিনি আল্লাহ যিনি সমস্ত কিছুকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন তাকে পৃথিবীর সামান্যতম একটি ঘরে আসতে বলছে পীর সাহেব, আমি পূর্বেই প্রমান করেছি যে মহাম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই পৃথিবীতে আসবেন না যার ফলে মুসা আলাইহি ওয়া সালাম আল্লাহকে দেখতে পারেন নি, এই পৃথিবীকে আল্লাহ তার মাখলুককে ধারন করার জন্য সৃষ্টি করেছেন আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা রয়েছেন আসমানের উপর আরশের উপর, এবং সেখানে থাকাটাই তার(আল্লাহর) শান, পীর সাহেবের কথাগুলো আমাকে হিন্দুদের আকীদার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, হিন্দুরা মনে করে যে, আমাদের প্রতিপালক মাঝে মাঝে এই পৃথিবীতে আসেন যাকে তারা(হিন্দুরা) ‘অবতার’ বলে থাকে, যদিও হিন্দু পণ্ডিতদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে এই “অবতার” শব্দটি নিয়ে, যাই হোক হিন্দু ধর্মের কথা এখন বাদই দেই, সুতরাং এটি প্রমানিত হলো যে, পীর সাহেবের আকীদা আর হিন্দুদের আকীদা অনেকটাই কাছা-কাছি, এটা এটা হওয়া স্বাভাবিক, কেননা অগ্নিপূজক আর মূর্তিপূজক দের মধ্যে মিল অনেক, আর পীর সাহেব মুসলিম নাকি অগ্নিপূজক এটা তিনি(পীর সাহেব) জানেন না।
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ ৭
”মাহবুবের (অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার) নাম জেকের করা আশেকের নিকট শরাবের মতো মজা”
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ২৪
====================
পীর সাহেব মহান আল্লাহর জিকীরকে শরাব বা মদের সাথে তুলনা করলেন, এবং তিনি মদকে মজা বলেও উল্লেখ করলেন, কিন্তু ইসলামী শারিয়াত অনুসারে শরাব বা মদ একটি জঘন্য পানীয়, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর জিকীরকে অপবিত্র মদের সাথে তুলনা করতে পারেন, সেই ব্যক্তি কি ঈমানদার হতে পারেন? প্রশ্নটি থেকে গেল, আর মনে রাখা জরুরী যে, পীর সাহেব মুসলিম না কাফির তা তিনি জানেন না।
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ – ৮
”মানুষ যদি মানুষের জন্য পাগল হইয়া জঙ্গলবাসী হইতে পারে,
যেমন- মজনু লাইলির জন্য,
জোলেখা ইউসুফের জন্য,
ফরহাদ শিরীর জন্য,
তবে আল্লাহ্ পাকের প্রেমিকগন
তাঁহার প্রেমে পাগল হইয়া বেহুস-বেকারারী করিতে পারিবে না কেন”
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭;ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৭
==================
অর্থাৎ, পীর সাহেব ইউসুফ-জলেখার বানোয়াট কিচ্ছা-কাহিনীতে বিশ্বাস রাখেন, অর্থাৎ, পীর সাহেবের মতে ইউসুফ আলাইহি ওয়া সালাম জলেখার সাথে প্রেম করেছিলেন(নাউযুবিল্লাহ) কিন্তু বিয়ের পূর্বের এসব অবৈধ সম্পর্ক সম্পূর্ণ হারাম, সুতরাং পীর সাহেব এর কথা অনুসারে বুঝা যাচ্ছে যে, ইউসুফ আলাইহি ওয়া সালাম হারাম কাজ করেছেন(নাউযুবিল্লাহ), এটি মূলত নবীদের উপর একটি চরম অপবাদ, কোন নবীই কবীরা গুনাহতে লিপ্ত ছিলেন না এবং আল্লাহর নাফরমানও ছিলেন না। আর লাইলী-মজনুর বানোয়াট কাহিনীতেও তিনি বিশ্বাসী!!! এই যদি হয় পীরের অবস্থা তাহলে মুরিদের কি অবস্থা হবে? চিন্তার বিষয়! অতঃপর পীর সাহেব আল্লাহর প্রেমে বেহুশ হওয়ার কথা বললেন, সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু তার পুত্রকে সেসকল লোকদের সাথে মিশতে নিষেধ করেছেন যারা জিকীরের সময় বেহুশ হয়ে যান (এহইয়াউস সুনান, পৃঃ ৩৭৫), সুতরাং যেমন কর্ম সাহাবীগন অপছন্দ করতেন ঠিক তেমন কর্মকেই পীর সাহেব সমর্থন করলেন, এ থেকে এটি স্পষ্ট যে, পীর সাহেব সাহাবীদের পথে নেই, এটি হওয়া স্বাভাবিক কেননা পীর সাহেব কি মুসলিম না কাফির তা তিনি জানেন না!
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ – ৯
”কাহারো স্ত্রী যদি খুব সুন্দরী হয়,
আর সে যদি খোজা বা ধ্বজভঙ্গ হয়,
তবে কিছুতেই সে ঐ বিবির সঙ্গেমিলিতেপারিবে না।
ঠিক এইরুপ মনে করিবেন- যাহার রুহ খোজা বা মরা,
অর্থাৎ- মাবুদের প্রেম হইতে বঞ্চিত,
তাহার রুহ কিছুতেই মাবুদের সাথেমিলিতেপারিবে না” (নাউজুবিল্লাহ)
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭;ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৭
=========================
পীর সাহেব এখানে চরম বেয়াদবী করেছেন, এর ফল আল্লাহ তাকে দিবেন ইন শা আল্লাহ, স্বামী-স্ত্রীর মিলন হয় অর্থাৎ, সঙ্গম বা সহবাস বা SEX , পীর সাহেব বলেছেনঃ স্ত্রী যদি খোজা হয় তাহলে স্বামী তার সাথে মিলিতে পারিবে না বা সঙ্গম করতে পারবে না বা সহবাস করতে পারবে না বা SEX করতে পারবে না, ঠিক তেমনি যেই মানুষের রুহ খোজা সে আল্লাহর সাথে মিলিতে পারিবে না অর্থাৎ, সঙ্গম করতে পারিবে না বা সহবাস করতে পারিবে না বা SEX করতে পারবে না, কিন্তু যদি রুহ খোজা না হয় বরং পীর সাহেবের মত রুহ হয় তাহলে সে আল্লাহর সাথে মিলিতে পারিবে বা সঙ্গম বা সহবাস বা SEX করিতে পারিবে (নাউযুবিল্লাহ সুম্মা নাউযুবিল্লাহ, আছতাগফিরুল্লাহ), এতো বড় বেয়াদবী মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সাথে? যিনি ক্ষুদ্র থেকে শুরু করে বৃহৎ পর্যন্ত সবকিছুর স্রষ্টা, যার সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না, তার সাথে এতো বড় বেয়াদবি কারী বেয়াদবকে কখনই কোন মুসলিম ক্ষমা করতে পারে না, যতক্ষন না সে এই সকল বেয়াদবীর জন্য তাওবা করে, আসলেই পীর সাহেব চরমনাই মুসলিম নাকি কাফির মুরতাদ তা আমার সন্দেহ হচ্ছে।
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ – ১০
‘’শরীরের মাশুক স্ত্রীর জন্য যদি আশেক হইয়া মানুষ জীবন দান করিতে পারে, তবে রুহের মাশুক মাওলার জন্য কেন অজদ হাল হইবে না কেন?’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৭
=================
এই জালিম পীর আবারও স্বামী-স্ত্রীর মিলনের মাঝে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কে টেনে এনেছে, আবারও সেই চরম বেয়াদবী, এদের মত বেয়াদবদের বিচার আল্লাহ খুব ভাল ভাবেই নিতে জানেন, তিনি মহান, প্রজ্ঞাময়।
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ – ১১
”প্রত্যেক জিনিসের মধ্যে একটা তাছির আছে।
যথা অগ্নির তাছির গরম,পানির তাছির ঠাণ্ডা।
যদি স্ত্রীর গায়ে হাত দিলে শরীর গরম হইয়া উঠে,
মাশুকে হাকিকী আল্লাহ্ পাকের নামে কেন তাছির থাকিবে না?
হ্যা, যদি কেহ খোজা হয়, তবে তাহার স্ত্রীর শরীরে হাত দিলেও কখনো তাহার মধ্যে এশক-মহব্বত পয়দা হইবে না, এমনিভাবে যাহাদের দেল মরা, তাহাদেরও আল্লাহ্ পাকের নামে কোন তাছির হইবে না।
বন্ধুগন! নিজের স্ত্রীর সঙ্গে মিলিবার সময় যদি উত্তেজনার সৃষ্টি হইতে পারে, তবে মাবুদের সঙ্গে রুহ মিলিতে কেন উত্তেজনার সৃষ্টি হইবে না?”
(ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার;প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭;ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৯
=====================
এই জালিম আবারও সু-স্পষ্ট ভাষায়, স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের সাথে আল্লাহকে তুলনা করলো, নারী-পুরুষের যৌন আকাংখাকে মহান আল্লাহর সাথে তুলনা করলো, স্ত্রীর সঙ্গে মিলনের উত্তেজনাকে আল্লাহর সঙ্গে নিয়ে লাগিয়েছে, আসলেই এই পীর হয় পাগল না হয় দুনিয়ার লোভ-লালসায় অন্ধ।
চরমনাই পীরের ইসলামি শরিয়তের সাথে মারাত্মক ধৃষ্টতাঃ
‘’কামেল পীরের আদেশ পাইলে,
নাপাক শারাব(মদ) দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন করিয়া তাহাতে নামাজ পড়’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী; পৃষ্ঠা নঃ ৩৫
পীর সাহেবের উক্ত নির্দেশ থেকে এটি স্পষ্ট যে, কোরআন এবং সুন্নাহতে কি আছে তা তার জানার দরকার নেই, বরং পীর সাহেবের নির্দেশ পালন করাই জরুরী। অবশ্য শুধু মাত্র মুসলিমরাই কোরআন এবং সুন্নাহ এর নির্দেশ পালন করেন এবং এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন, কিন্তু যেহেতু পীর সাহেব আগেই বলে দিয়েছেন যে তিনি মুসলিম নাকি কাফির(ইয়াহুদিরাও কাফির আর অগ্নিপুজকরাও কাফির) তা তার জানা নেই, সেহেতু কোরআন এবং সুন্নাহর প্রতি তার সম্মান না থাকাটাই স্বাভাবিক।
বিনা প্রমানে চরমনাই পীরের কিতাবে মারাত্মক বিভ্রান্তিকর তথ্যঃ
‘’স্বামী ভক্তা পর্দানশীন স্ত্রীলোকগনের চেহারা হাশরের দিন পূর্ণিমার চন্দ্রের মত রওশন হইবে, তাহারা বিনা হিসাবে বেহেশতে যাইবেন’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; খাছ পর্দা ও স্বামীর খেদমতঃ পৃষ্ঠা নঃ ৯-১০
পীর সাহেবের কাছে আমাদের প্রশ্ন, দয়া করে বলবেন কি উপরোক্ত বানীটি কার? এই কথা আপনি কোথায় পেলেন? কুরআনের আয়াত অথবা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর হাদীসে কি এইরকম কোন কথা আছে? নাকি আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে অহি করে এই কথা বলেছেন?
স্বামীর আনুগত্যশীল ও পর্দানশীন নারীর ফজিলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে বহু সহীহ বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের জ্ঞান অনুযায়ী যথাসাধ্য চেষ্টা করেও উপরক্ত কথার সমর্থনে কুরআন ও হাদীসে কোন বক্তব্য খুজে পাইনি।
=================
তবে উম্মাতে মুহাম্মাদির মধ্যে একদল লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যারা এই সৌভাগ্যশীল ব্যাক্তিদের অন্তভুক্ত হবেন নিম্নে তাঁদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলঃ
ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নাবী সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট আসলেন এবং বললেনঃ আমার সামনে (পূর্ববর্তী নাবীগণের) উম্মাতদের পেশ করা হল। (আমি দেখলাম) একজন নাবী যাচ্ছেন, তাঁর সাথে আছে মাত্র একজন লোক এবং আরেকজন নাবী যার সঙ্গে আছে দুইজন লোক। অন্য এক নাবীকে দেখলাম, তাঁর সঙ্গে আছে একটি দল, আরেকজন নাবী, তাঁর সাথে কেউ নেই।
আবার দেখলাম, একটি বিরাট দল যা দিগন্ত জুড়ে আছে। আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম যে, এ বিরাট দলটি যদি আমার উম্মাত হত। বলা হলঃ এটা মুসা (আঃ) ও তাঁর কওম। এরপর আমাকে বলা হলঃ দেখুন। দেখলাম একটি বিশাল জামাত দিগন্ত জুড়ে আছে। আবার বলা হলঃ এ দিকে দেখুন, ও দিকে দেখুন। দেখলাম বিরাট বিরাট দল দিগন্ত জুড়ে ছেয়ে আছে। বলা হলঃ ঐ সবই আপনার উম্মাত এবং ওদের সাথে সত্তর হাজার লোক এমন আছে যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তাঁদের চেহারাগুলো পূর্ণিমার চাঁদের আলোর মতো জ্বল জ্বল করবে)
এরপর লোকজন এদিক ওদিক চলে গেল। নাবী সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর তাদেরকে (সত্তর হাজারের) ব্যাখ্যা করে বলেননি। নাবী সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীগন এ নিয়ে নানান কথা শুরু করে দিলেন। তারা বলাবলি করলেনঃ আমরা তো শিরকের মাঝে জন্মেছি, পরে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ঈমান এনেছি। বরং এরা আমাদের সন্তানরাই হবে।
নাবী সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এ কথা পৌঁছলে তিনি বলেনঃ
তাঁরা হবে ঐ সব লোক যারা অবৈধভাবে মঙ্গল-অমঙ্গল নির্ণয় করে না,
(জাহেলী যুগের ন্যায়) ঝাড়ফুঁক বা মন্তর দ্বারা চিকিৎসা কামনা করে না এবং আগুনে পোড়ানো লোহার দাগ লাগায় না,
আর তাঁরা তাঁদের প্রতিপালকের উপর একমাত্র ভরসা রাখে।
বুখারী ৫৭০৫, ৫৭৫২, ৫৮১১, ৬৪৭২, ৬৫৪১, ৬৫৪২
মুসলিম ৩৭১-(২১৮)
হাদিসটি ব্যাখ্যা সম্পর্কে শায়েখ সালেহ বিন আবদুল আযীয আলে-শায়েখ(সাউদী আরবের গ্র্যান্ড মুফতি) এর গুরুত্বপূর্ণ টিকাঃ
হাদীসের অর্থ এটা নয় যে, মোটেও কোন চিকিৎসা করা যাবে না। কারন নাবী সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ঝাড়ফুঁক করা হয়েছে, তিনি চিকিৎসা গ্রহন করেছেন, এবং এর নির্দেশ দিয়েছেন এবং একজন সাহাবীকে শরীরে দাগ দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। সুতরাং এ ক্ষেত্রে ধারনা করা যায় যে, তাঁরা চিকিৎসা ও ঔষধকে আরোগ্য লাভের একমাত্র কারন হিসাবে গ্রহন করেননি। হাদীসে যে তিনটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে, এগুলোর ফলে আল্লাহ্র উপর ভরসা কমে যায় এবং তাতে হৃদয় ঝাড়ফুঁক, সেকদাতা ও গনকের দিকে ধাবিত হয়। এজন্য আল্লাহ্র প্রতি তাঁর ভরসা কমতি হয়ে যায়। পক্ষান্তরে, চিকিৎসা ওয়াজিব অথবা মুস্তাহাব। কোন কোন অবস্থায় মুবাহ। রাসুল সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘’আল্লাহ্ তায়ালা হারাম বস্তুর মধ্যে কোন চিকিৎসা রাখেননি’’ [বাইহাকী ১৯৪৬৩; ইবন হিব্বান ১৩৯১]
সুত্রঃ কিতাবুত তাওহীদ ও এর ব্যাখ্যা- মুহাম্মাদ বিন সুলাইমান আয়-তামীমী; ব্যাখ্যাকারীঃ শায়েখ সালেহ বিন আবদুল আযীয আলে-শায়েখ ,অধ্যায়-২ পৃষ্ঠা নঃ ২৩-২৭
কুরআন নয় তাদের লিখিত কিতাব ‘খতম’ করার জন্য ও সেই অনুযায়ী আমল করার জন্য চরমনাই পীরের ধৃষ্টতাপূর্ণ নাসীহাতঃ
‘’আপনারা প্রত্যেকেই আমার লিখিত কিতাবগুলোর প্রত্যেকটি কিতাব খরিদ করিয়া বারবার পড়িয়া খতম করিবেন, এবং তদানুযায়ি আমল করিবেন’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী; পৃষ্ঠা নঃ ১১১
===================
আমরা যারা মুসলিম আমাদের হিদায়াতের জন্য কুরআন ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বানীই যথেষ্ট। চরমনাই পীরের শিরকী কিতাবের কোনই প্রয়োজন নেই। আর যেহেতু পীর সাহেব কোরআন এবং সুন্নাহকে সম্মান করেন না সেহেতু কোরআন খতম করার কথা বলবেনই বা কেন, তার তিনি তো জানেনই না যে তিনি মুসলিম নাকি কাফির!!!
এখন যদি মাইকে আযানের শব্দ শোনা না যায় তাহলে আগে যাও আসতো তাও কমে যাবে ।
মাইকে আযান দেওয়া যাবে না তবে উচ্চ শব্দে হিন্দি গান শোনা যাবে - এরকম মনমানসিকতা যেখানকার মুসলমানদের তারা ধর্মের চেয়ে গান বাজনাকেই বেশী পছন্দ করে ।
যে যাকে পছন্দ করে রোজ হাশরে সে তাদের সাথে থাকবে ।
বাহ বাহ এই প্রকার গাহরা এলেম এতদিন কোথায় লুকাইছিলো।?(!!!!!!!)
মন্তব্য করতে লগইন করুন