নাস্তিক মানে কি ?

লিখেছেন লিখেছেন তহুরা ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৩৩:৩৯ সকাল

১ম উত্তর----------

আল্লাহ ও রাসূলের দেওয়া জীবন বিধানকে যারা তুচ্ছ, ঘৃণা বা ত্রুটিপূর্ণ মনে করে তাদেরকে নাস্তিক বা কাফের বলে। এবং যারা নিম্নোক্ত কাজগুলি করে তারাও কাফের বা নাস্তিক যেমন--

১. যারা অমুসলিমদের যে কোন ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করে এবং বাহ্ বাহ্ দেয়, তারা নাস্তিক।

২. যারা আল্লাহর আইনের চেয়ে মানুষের তৈরি আইনকে শ্রেষ্ঠ মনে করে, তারাও নাস্তিক।

৩. যারা আল্লাহর আইনকে ত্রুটিপূর্ণ মনে করে, তারাও নাস্তিক।

৪. যারা পবিত্র কোরআনকে মানব রচিত মনে করে, তারাও নাস্তিক।

৫. যারা আল্লাহর আইনকে সেকেলে বা পুরানো এবং আধুনিক যুগের অনুপযোগী মনে করে, তারাও নাস্তিক।

৬. যারা ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে, তারাও নাস্তিক।

৭. যারা ইসলামী বিধানকে আংশিক অস্বীকার করে, তারাও নাস্তিক।

৮. যারা ইসলামী বিধানকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে, তারাও নাস্তিক।

৯. যারা ইসলামী বিধানকে তুচ্ছ ও হেয় প্রতিপন্ন মনে করে, তারাও নাস্তিক।

১০. যারা ইসলামী কোন বিধান বা আইন বাতিল করার জন্য সংসদে ভোট দিয়ে মানব রচিত কোন আইন প্রতিষ্ঠা করে, তারাও নাস্তিক।

১১. যারা নাস্তিকদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিবে, তারাও নাস্তিক।

১২. যারা আল্লাহ এবং তার রাসূলকে নিয়ে ঠাট্রা বিদ্রুপ বা অপমান করে, তারাও নাস্তিক।

(যে উপরের যেকোন একটি কাজ করবে সে নাস্তিক বা কাফের হয়ে যাবে।)

কারণ, আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলছে, "তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর" সূরা বাকারা: ১০৮

আরো বলেন, "যে ব্যক্তি ইসলাম ছড়া অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য হবেনা" সূরা আল- ইমরান: ৮৫

=========================================২য় উত্তর

আস্থা বা বিশ্বাস যার নেই তাকে নাস্তিক বলে৤ শরিয়াতের পরিভাষায়, যার সৃষ্টিকর্তার প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস নেই তাকে বেঈমান বা নাস্তিক বলে৤ ঈমান বা বিশ্বাসের সাতটি স্তর ; যা হলো- ১. এক আল্লাহতে বিশ্বাস:

একমাত্র আল্লাহকেই সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, বিধানদাতা ও ইবাদাতের যোগ্যতম সত্তা বা মালিক হিসেবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করা।

২. ফিরিশতাকূলে বিশ্বাস: ফিরিশতাগণ নূরের তৈরি এক বিশেষ সৃষ্টি। তাঁরা সব সময় আল্লাহর আদেশ পালনে সদা প্রস্তুত।

৩. আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাস: মহান আল্লাহ যুগে যুগে মানব জাতির সঠিক পথের নির্দেশনা হিসেবে নবী_রাসূলদের নিকট বাণী পাঠাতেন। এ বাণীসমূহের সংকলনকে আসমানি কিতাব বলা হয়। এ কিতাবের সংখ্যা মোট ১০৪টি।

৪. নবী_রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস: নবী_রাসূলগণ মানুষের শিক্ষক, পথ-প্রদর্শক ও নেতা। যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির হিদায়াতের লক্ষে ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী_রাসূল প্রেরণ করেন। যারা সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।

৫. আখিরাতে বা পরকালের প্রতি বিশ্বাস: মৃত্যুর পরে মানুষের জন্য রয়েছে এক অনন্ত ও চিরস্থায়ী জীবন। যেখানে প্রত্যেকেই তার নিজ কৃতকর্মের জবাবদিহি করে পুরস্কার অথবা তিরস্কার বা শাস্তি ভোগ করতে হবে।

৬. তাকদীরে বিশ্বাস: মহান আল্লাহ তায়ালাই হলেন মানুষের ভাগ্যের একমাত্র নিয়ন্ত্রণকারী। তিনিই এর ভালোমন্দ নির্ধারণ করেন।

৭. মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস: ইহকালে কে কী কাজ করেছে পরকালে তার জবাবদিহিতার জন্য হাশরের ময়দানে সবাই উত্থিত হবে। সেখানে সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে ন্যায়_বিচার করা হবে। একে বলে পুনরুত্থান। এই সাতটি বিষয়ের কোন একটি অবিশ্বাস বা সন্দেহ পোষনকারী কাফির বা আস্বীকারকারীকে কাফির বলে৤ যেমন:- কেউ আল্লাহকে একবলে স্বীকার করল, কিন্তু রাসুল (সঃ) কে অস্বীকার করল সে কাফির ৤ কিন্তু যে সৃষ্টি কর্তাকেই আস্বীকার কর সে নাস্তিক বা বেঈমান৤ নাস্তিকের কোন ধর্ম থাকে না ৤ সকল ধর্মের অনুসারীরা একজন সৃষ্টিকর্তা আছে একথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে ৤ কিন্তু সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহর সাথে শরীক করে, তাই তাদের কাফির বলা হয়৤ ধর্মনিরাপেক্ষতা এক ধরনের নাস্তিক্য বাদ, কারন ধর্মনিরাপেক্ষতা সৃষ্টিকর্তর আইনকে অস্বীকার করা হয় এবং আইন প্রনয়নে সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহর আদেশ-নিষেধকে উপেক্ষা করা হয়

বিষয়: বিবিধ

২৩০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File