কুরআন শরীফে এই ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তারিখে টুইন টাওয়ার হিসেবে পরিচিত সুউচ্চ ভবনটি ধ্বংস হবে!!!
লিখেছেন লিখেছেন তহুরা ০২ জুলাই, ২০১৪, ০৯:৫৯:৩০ রাত
কুয়েত থেকে এফ.রহমান নামক একজন গবেষক পবিত্র কুরআন গবেষণা করে দেখেছেন যে,মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সেই ১৪০০ বছর আগেই কুরআন শরীফে এই ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তারিখে টুইন টাওয়ার হিসেবে পরিচিত সুউচ্চ ভবনটি ধ্বংস হবে!!!
তার গবেষণায় সূরা আত-তাওবার ১০৯ নম্বর আয়াতটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আয়াতটির অর্থ হল-- “সুতরাং সেই ব্যক্তি উত্তম,যে তার ইমারতের ভিত্তি স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও সন্তুষ্টির উপর,নাকি সেই ব্যক্তি যে তার ইমারতের ভিত্তি স্থাপন করে কোন গর্তের কিনারায়,যা ধ্বসে পড়ার উপক্রম; অতঃপর তা তাকে নিয়ে যাহা অগ্নিগহ্বরে প্রবেশ করে? আর আল্লাহ জালিমদের পথ দেখান না।”
এই আয়াতটির সাথে যে উক্ত ঘটনার চরিত্রগত সামঞ্জস্য রয়েছে তাই নয়,দেখা গেছে এই সূরাটির,
# প্রথম থেকে উক্ত আয়াত পর্যন্ত মোট ২০০১ টি শব্দ রয়েছে যেটাকে ২০০১ সালের ইঙ্গিত হিসেবে ধরা যায়।
# সূরাটি কুরআন শরীফের ৯ নম্বর সূরা এবং এটি ১১ তম পারায় অবস্থিত। অপর দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ৯ নম্বর মাসের (সেপ্টেম্বর) ১১ তারিখে।
# আয়াতটি ১০৯ নম্বর আয়াত এবং ভবন দুটির একটি ছিল ১০৯ তলা।আশ্চর্য়জনক নয় কি! শুধু তাই নয়,আয়াতটিতে আরবি “হার” উল্লেখিত হয়েছে।
মজার ব্যাপার হল টুইন টাওয়ার যে রাস্তাটির কিনারে অবস্থিত,সেই রাস্তাটির নাম “জুরুফিন হার”। মিলগুলো আর যাই হোক কাকতালীয় বলা যায় না।কাকতালেরও একটি সীমা থাকে;এই মিল সেই সীমাও অতিক্রম করে গেছে!!
আল্লাহ্ সব জানেন তিনি তো একমাত্র আলেমুল গাইব।
অদৃশ্য বর্তমান,অতীত,ভবিষ্যৎ সব তিনিই একমাত্র জানেন।
বিষয়: বিবিধ
২৯৯৭ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর শব্দের ব্যাপারটি গণনা করা সময়ের ব্যাপার, তাই এই মুহুর্তে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিচ্ছ না। এটা দু এক দিনের মধ্যেই বলবো, যদি প্রভু চাই।
আমাকেও ব্লক করেছে,খেলাঘর বাধঁতে এসেছি,সে একজন নাস্তিক মহিলা। বাড়ী সিরাজ গজ্ঞের শাহাজাদ পুরের। বাগাবাড়ীতে।
১৫৪) আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না ৷ এই ধরনের লোকেরা আসলে জীবিত ৷ কিন্তু তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোন চেতনা থাকে না ৷
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক ।
১৫৪) আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না ৷ এই ধরনের লোকেরা আসলে জীবিত ৷ কিন্তু তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোন চেতনা থাকে না ৷
আর গোলাপকে যত ছুড়ে ফেলুন না কেন, সে তার সুবাস ছড়াবেই।
১৪০০ বছর আগে থেকেই কোরআনে টুইন টাওয়ার দুর্ঘটনার কথা দেওয়া ছিল। এটা কিন্তু ওই ঘটনাটা ঘটার আগে কেউ জানত না। আবার ভবিশ্যতে কোন ঘটনা ঘটার পরে জানা যাবে যে সেটাও কোরআনে দেওয়া ছিল। কোরআন থেকে ঘটনাটা দেখে আগে থেকে কেউই সাবধান করতে পারে না। আজ পর্যন্ত কোরআন দেখে কেউ কোন ভবিশ্যতবানী করতে পারেনি।
বিজ্ঞানের কোন আবিস্কার হলে, এর পরে খুজে পাওয়া যায় যে সেটা কোরআনে দেওয়া আছে। আজ পর্যন্ত কোরআন দেখে কেউ বিজ্ঞানের কোন আবিস্কারও করতে পারেনি। সবাই এসব মিল খুজে পায় অনেক পরে।
কোরআনে এইসব মিল খোজাটা বা মিল দেখে পুলকিত হওয়াটা এটাই প্রমান করে যে - আমাদের কোরআনের উপরে পুরোপুরি বিশ্বাস নেই। ওদের ফাদে পা দিয়ে আমরা ঈমানের ক্ষতি না করি।
সূরা রোম এর প্রথম তিন আয়াত পড়ুন এবং পরবর্তী ঘটনাগুলি মিলিয়ে নিন।
কোরআন শরীফে ‘সূরা রোম’ এ পারস্য সাম্রাজ্য ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে এবং যে সময় এই ওহী নাযিল হয় তখন মানুষের পক্ষে বিশ্বাস করা অকল্পনীয় ছিলো যে, রোমকদের যারা পরাজিত করলো তারা অচিরেই তাদের হাতে ধ্বংস হতে পারে। এ আয়াত নাযিল হবার ৭ বছর সময়ের মধ্যে, অর্থাৎ ৬২৭ খ্রীস্টাব্দে এসে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
‘ফী আদনাল আরদ’ বলে আল্লাহতা‘আলা গোটা ভূ-মন্ডলের যে স্থানটিকে সর্বনিম্ন অঞ্চল বলেছেন তা ছিলো সিরিয়া, ফিলিস্তিন ও জর্ডানের পতিত ‘ডেড সী’ এলাকা। এ ভূখন্ডেই ৬২৭ খ্রীস্টাব্দে রোমানরা ইরানীদের পরাজিত করে। মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কৃত ভূ-জরিপ অনুযায়ী এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই এলাকাটা সারা দুনিয়ার মধ্যে আসলেই নিম্নতম ভূমি। ‘সী লেবেল’ থেকে ৩৯৫ মিটার নীচে। এ জায়গাটা যে গোটা ভূ-খন্ডের সবচেয়ে নীচু জায়গা । এটা ১৪ শ বছর আগের মানুষ কি করে জানবে? বিশেষ করে এমন একজন মানুষ যিনি ভূ-তত্ত্ব, প্রাণী-তত্ত্ব ইত্যাদি কোনো তত্ত্বেরই ছাত্র ছিলেননা।
১৫৪) আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না ৷ এই ধরনের লোকেরা আসলে জীবিত ৷ কিন্তু তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোন চেতনা থাকে না ৷
আল্লাহই ভালো জানেন, এটা কি স্রেফ কাকতালীয় ব্যাপার না কি কুরআনের বিস্ময়কর মোজেযা। তবে উক্ত গবেষণালব্ধ বিশ্লেষণটি একেবারে ফেলনা নয়। চমৎকার বিশ্লেষণ আছে সেখানে। যদিও ঈমানদারদের/বিশ্বাসীদের এসবের প্রয়োজন নেই তবুও আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন নিদর্শন দেখিয়ে থাকেন মাঝে মাঝেই।
১৫৪) আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না ৷ এই ধরনের লোকেরা আসলে জীবিত ৷ কিন্তু তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোন চেতনা থাকে না ৷
ধন্যবাদ।
“জুরুফিন হার”। নামে টুইন টাওয়ারের পাশে কোন রাস্তা নাই। আমি নিজেই খোজ নিয়েছি পরিচিতের দারা।
আর উক্ত আয়াত মুনাফিকদের একটি মসজিদ সম্মন্ধ্যে নাজিল হয়েছিল। বিস্তারিত তাফসির ইবনে কাসিরে দেখতে পারেন।
আল্লাহু আ’লাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন