ভোটার লাগবে না ১০০ কর্মী সারা দিন ভোট দেবে’ অডিও টি নিজের কানে শুনুন
লিখেছেন লিখেছেন তহুরা ০২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:১৫:৪৬ সকাল
ভোটার লাগবে না ১০০ কর্মী সারা দিন ভোট দেবে’ (অডিও নিজের কানে শুনুন
ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে : ঢাকা মহানগর জামায়াত
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা, অপকর্ম ও লাগামহীন দুর্নীতি আড়াল করতেই দলীয় সরকারের অধীনে পাতানো ও ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু দেশের মানুষ সরকারের তামাশা ও ভাওতাবাজীর নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন কখনো মেনে নেয়নি, নেবেও না। জীবন দিয়ে হলেও তা প্রতিহত করবে। তিনি ৫ জানুয়ারির প্রহসন ও ভাওতাবাজীর নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করার আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত দেশব্যাপী সরকারের নির্মম গণহত্যা, দলন-পীড়ন, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, দেশের স্বধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নতকরণ ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধের সমর্থনে এক মিছিল ও অবরোধকালীন সমাবেশে একথা বলেন। মিছিলটি বাবুবাজার থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াবাজারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে সড়ক অবরোধ করে। নেতাকর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নেয় এবং টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। অবরোধকালীন সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কোতয়ালী থানা সেক্রেটারি খন্দকার আল আমীন, জামায়াত নেতা এ কে এম গিয়াস উদ্দীন, শফিকুর রহমান, আহাদুজ্জামান, নূরে আলম, ছাত্র নেতা তাওহিদুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলাম প্রমূখ।
অবরোধের সমর্থনে জামায়াত আদাবর থানার উদ্যোগে শ্যামলী হাউজিং থেকে, রমনা থানার উদ্যোগে মগবাজার রেল গেট থেকে, মিরপুর পূর্ব থানার উদ্যোগে ২নং কাঁচাবাজার থেকে, রূপনগর থানা, মোহাম্মদপুর থানার উদ্যোগে বাবর রোড থেকে, বিমানবন্দর থানার উদ্যোগে কালসী রোড থেকে, কামরাঙ্গীরচর থানার উদ্যোগে নবাবগঞ্জ থেকে, বংশাল থানার উদ্যোগে, আরমানিটোলা থেকে, লালবাগ থানার উদ্যোগে নবাবগঞ্জ বাজার থেকে, মতিঝিল থানার উদ্যোগে গোপীবাগ থেকে, শাহজাহানপুর থানার উদ্যোগে ঝিলপাড় থেকে, সবুজবাগ থানার উদ্যোগে বাসাবো থেকে মিছিল সমাবেশ করে। বিজ্ঞপ্তি। http://dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=NjkwMg==&s=MjM=
বিষয়: বিবিধ
১৬১২ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাহলে প্রতিটা কেন্দ্রে ৫৪০x১০০ = ৫৪০০০ ভোট শুধু আওয়ামী লীগের জন্যই পড়ার কথা ।
আর সেই হিসেবে আসন প্রতি ৫৪০০০ x ৬০ = ৩২,৪০,০০০ টি ভোট পাবার কথা একজন এমপির ।
সেই হিসেবে সারা দেশে ৩২,৪০,০০০ x ১৪৭ = ৪৭,৬২,৮০,০০০ জন ভোটার শুধুই লীগে সিল দেবে ।
একজন টেক্সি ড্রাইভার মতামত দিলেন বরাবরই তিনি আওয়ামি লিগকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এই নির্বাচনে ভোট দিতেই যাবেননা। তার মত হচ্ছে এভাবে নির্বাচন এর পর আর নতুন নির্বাচন হবে এবং তাতে আওয়ামি লিগ কারো ভোট পাবে না।
যতদিননা মুসলিমরা হেকমাহ(গণতন্ত্র),তন্ত্র-মন্ত্র বাদ দিয়ে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর উপর নির্ভর করবে, ততদিন এই দূর্ভোগ চলবেই। ফিরাউন যখন দক্ষ যাদুকর গোষ্ঠীকে নিয়ে এসেও জনসম্মুখে মূসা (আঃ) এর কাছে (আল্লাহ প্রদত্ত মুজেজার বলে) হেরে গেল এবং জাদুকরেরা ও ফেরাউনের স্ত্রী মূসা (আঃ)এর উপর ঈমান আনল, তখন ফেরাউন সবাইকে হত্যা করেছিল।নতুন করে নির্দেশ দিল, ইহুদীদের ছেলে সন্তান হলেই তাদের যেন হত্যা করা হয় .।তাদের মসজিদগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। অত্যাচারে ইহুদীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠল। তারা মূসা (আঃ) কে প্রশ্ন করেছিল: আমরা আপনার আসার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু লাভ হল কি? আবার তো সেই আগের মত নির্যাতন শুরু হল।( ইহুদিরা দীর্ঘ দিন মূসা (আঃ) এর আগমণের অপেক্ষায় ছিল এই বিশ্বাসে, মূসা (আঃ) তাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আসবেন ও তাদের মুক্ত করবেন। অর্থাৎ আস্হাটা ছিল ত্রাণকর্তার উপর কিন্তু আল্লাহর উপর ঈমানে ঘাটতি ছিল।) মূসা (আঃ)উত্তর দিলেন,"হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা যদি আল্লাহর উপর এনে থাক, তবে তারই উপরে ভরসা কর,যদি তোমরা আনুগত্যশীল হয়ে থাক।জবাবে তারা বলল,আমরা আল্লাহর উপরেই ভরসা করছি। হে আমাদের পালনকর্তা!আমাদের উপরে এ যালিম কওমের শক্তি পরীক্ষা করো না।আর আমাদেরকে অনুগ্রহ করে কাফের সম্প্রদায়ের কবল থেকে মুক্তি দাও।(ইউনুস: ১০/৮৪-৮৬) অর্থাৎ:ইহুদিরা বুঝতে পারল প্রকৃত রক্ষাকারী মূসা (আঃ) নন বরং,পরাক্রমশালী আল্লাহ নিজে।তাই যখন তারা আল্লাহর উপর পরিপূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে গেল তখনই সাহায্য পেল আল্লাহর কাছ থেকে।মুমিনা স্ত্রী আসিয়া ও ঈমানদার জাদুকরদের হত্যা করার পরেও ফেরাউন প্রায় বিশ বছর রাজত্ব করেছে, অতঃপর ঘটে নীলনদের করুণ ট্রাজেডি। কাজেই বর্তমান পরিস্হিতি মোটেও আলাদা কিছু না। আর কেবলতো মাত্র পাচ বছর কেটেছে.......কিন্তু আমরা তন্ত্র-মন্ত্র কিছুই ছাড়তে পারিনি। একবার ভেবেছি মাত্রতো ৫ বছর, বিএনপি ক্ষমতায় এলো বলে।যখন দেখেছি, তাদের অবস্হা নড়বড়ে তখন আশা করছি, "ত্রাণকর্তা হিসেবে সেনাবাহিনী আবির্ভূত হোক।"
মন্তব্য করতে লগইন করুন