সুরা আলে ইমরানের শেষ আয়াতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার কিছু নির্দেশনা।
লিখেছেন লিখেছেন মুিনর ১১ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:০৬:১৮ সন্ধ্যা
হে মোমেনরা, তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, (ধৈয্যের এ কাজে) একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করো, (শত্রুর মোকাবেলায়) সুদৃঢ় থেকো, একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকেই ভয় করো, (এভাবেই) আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হতে পারবে। (সুরা আলে ইমরান আয়াত: ২০০)
আল্লাহর পক্ষ থেকে মোমেনদের কাছে একটি আহবান জানানো, মোমেনদের দায়িত্বসমূহের সংক্ষিপ্তসার বর্ণনা করা এবং এ পথের শর্তসমূহের একটি কাঠামো পেশ করার মাধ্যমে এ আয়াত শেষ করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন: হে ঈমানদার ব্যাক্তিরা...।
হে ঈমানদার ব্যাক্তি বলে মোমেনদের ডাক দেয়া হয়েছে। উপরওয়ালার এ ডাকের মাঝে তাদের জন্য সম্মানের ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনের জন্যে তাদের যোগ্য করে তোলার ডাক দেয়া হয়েছে,
যাবতীয় কঠিন পরিস্থিতির সামনে ধৈর্যধারণ করা, ইসলামের দুশমনদের মোকাবেলায় সাহস ও ধৈর্যের সাথে অটল থাকা, সব ধরনের জেহাদ ও মোকাবেলার জন্যে প্রস্তুত থাকা, সর্বোপরি আল্লাহর ভয়কে সদা ধারণ করতে মোমেনদেরকে আদেশ দেয় হয়েছে।
১। সবর বা ধৈর্যঃ- ধৈর্য হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য একমাত্র পাথেয়। কারণ এ পথের প্রতিটি পদে পদে বহু বিপদ আপদ আসে, প্রতিটি স্তরে একটি নতুন মুসীবত এসে পথ আগলে ধরে। নিজের নফসের ইচ্ছা - আকাংখার ওপর ধৈর্যধারণ করা, নফসের বহুবিদ লোভ-লালসার ওপর ধৈর্যধারণ করা, নফসের অসংখ্য দুর্বলতা, অপুর্ণতা ও তাড়াহুড়ো করার মানষিকতার ওপর ও ধৈর্যধারণ করতে হয়।
মানুষের অজ্ঞানতা, মিথ্যে ধ্যান-ধারণা, তাদের মনের সংকীর্ণতা, জ্ঞানের সংকীর্ণতা, মানুষের অহংকারবোধ, সত্যকে এড়িয়ে চলার ব্যাপারে মানুষের নানা ধরনের মিথ্যে অজুহাত ইত্যাদির ওপর ও ধৈর্য ধারণ করতে হয়। ধৈর্যধারণ করতে হয় অন্যায় ও বাতিলকে শক্তিশালী হতে দেখে, আরো ধৈর্যধারণ করতে হয় আল্লাহ ভীরু নেককার লোকদের সহায় সম্বলহীন হওয়া দেখে। যাবতীয় সংকীর্ণতা ও বিপদের সময় শয়তানের সব ধরনের প্ররোচনার ওপর ধৈর্যধারণ করতে হয় প্রকৃত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের।
সর্বোপরি দুঃখ কষ্ট, রোগ শোক, ক্রোধ হিংসা, আশা ও নিরাশ হওয়ার মতো নানা ধরনের মানসিক রোগের ওপর ও ধৈর্যধারণ করতে হবে। সুসময়ে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না হারিয়ে মাবুদের কৃতজ্ঞতা আদায় করার ওপর ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আল্লাহ তায়ালার উপর সন্তুষ্ট থাকা, তাঁর ওপর ভরসা করা এবং সর্বাবস্থায় তাকে ভয় করার ব্যাপারে ধৈর্যধারণ করতে হবে।
মোট কথা ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী (আল্লাহর পথের একজন খাটি সৈনিকের) সামনে আসা সব কয়টি অবস্থার উপর ধৈর্যধারণ করতে হবে। মূলত ধৈর্যের কোন শেষ নেই, না তার কষ্টকর ও তিক্ত অভিজ্ঞতাসমূহকে কোনো শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা সম্ভব। চলবে.......................।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
সবর তো শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্তই করতে হবে
আমার আশংকা হয় যে, মন্তব্য করার সময় "সবর" এর বিস্তারিত হয়তো আপনার খেয়াল ছিলনা কিম্বা স্মৃতিতে ঝাপসা হয়ে গিয়ে থাকতে পারে!
আবার দেখে নিলে ভালো হবে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন