বর্তমান সরকার কি বাংলাদেশের জনগণকে বেকুব মনে করে? না তারা নিজেরাই জ্ঞানবুদ্ধিহীন অপদার্থের দল?
লিখেছেন লিখেছেন মুিনর ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:১৫:০৭ সন্ধ্যা
বাংলাদেশের জন সাধারণের মত আমরা প্রবাসীরা ও আমাদের মাতৃভুমি এবং মাতৃভূমিতে থাকা পরিবার পরিজন ও আত্মীয়স্বজনদেরকে নিয়ে খুবই দুর্শ্চিন্তায় আছি। কি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে, কে বা দায় দায়িত্ব নিবে এ সমস্ত নৃশংস কর্মকান্ড বা হত্যকান্ডের? সরকারী দল বলতেছে এমন নৃশংস কর্মকান্ড বিরোধীদল বা অবরোধকারীরা করতেছে। বিরোধীদল বা অবরোধকারীরা বলতেছে এ সব করাচ্ছে সরকার। ১৮ দলীয় জোটের নেতা কর্মীদেরকে ফাসানোর জন্য।
এখন আমরা যদি ধরেই নেই যে, আন্দোলনরত বিরোধী দল এসব করতেছে, তখন প্রশ্ন জাগে তাতে আন্দোলনকারীদের কি লাভ? কেন এমন নৃশংস কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়বে যার কারণে জনমত তাদের বিপক্ষে চলে যাবে? দ্বিতীয় প্রশ্নটি হলো, ক্ষমতাসীনরা পুড়িয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগ তুললেও আজও পর্যন্ত কেন বিরোধী দলের একজন কথিত দুর্বৃত্তকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়নি বা হচ্ছে না? কেন বা বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যথেষ্ট যোগ্য ও সক্ষম থাকা শর্তে ও এসব দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে পারতেছে না? কেন সায়েদাবাদ - নরসিংদী বি আর টি সি বাস আজিম পুর গিয়ে আগুন লাগে। কেন এত জনবহুল শাহবাগ যেখানে সব সময় পুলিশ উপস্থিত থাকে, সেখানে বিহঙ্গ বাসে পেট্রল বোমা পড়ে? আমাদের আরো অনেক প্রশ্ন আছে এসব কেনর উত্তর কে দিবে ক্ষমতাশীলদল না বিরোধীদল?
বিরোধীদলের পক্ষ থেকে ১৮ দলীয় জোটের নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত ২ ডিসেম্বর রাতে দেয়া এক বিবৃতিতে তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। আন্দোলনরত নেতা-কর্মী ও জনগণের পাশাপাশি সরকার, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে যার যার ভূমিকা পালন করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারকে বলেছেন, উতপীড়ন ও নির্মূল অভিযান এবং চক্রান্ত ও অন্তর্ঘাতের পথ ছেড়ে সমঝোতার মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথে এগিয়ে আসার জন্য।
আর আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, সরকারের গুন্ডা বাহিনী -সন্ত্রাসীরা পৈশাচিক হত্যাকান্ড - ও ধ্বংসাত্মক নানা কর্মকান্ডে ততপর রয়েছে বলেই তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে একজন নিরীহ মানুষও কোনো হামলার শিকার না হয় এবং কোথাও যাতে সাধারণ মানুষের কোনো সম্পদের ক্ষতি না হয়।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ও জনগণের প্রতি সে আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতির শেষাংশে বেগম খালেদা জিয়া ঘোষণা করেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত ও অতি নিকটবর্তী।’
বলার অপেক্ষা রাখে না, বেগম খালেদা জিয়ার কথাগুলোর মধ্যে অনস্বীকার্য যুক্তি রয়েছে। বিশেষ করে চলন্ত যানবাহনে পেট্রল ঢেলে ও দগ্ধ করে মানুষ হত্যার ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে তিনি যে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন, তার পেছনে চারদলীয় জোট সরকারের সময় শেরাটন হোটেলের সামনে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মতো ‘ঐতিহাসিক’ সত্যতা রয়েছে।
কিন্তু সরকার প্রধান বা দায়িত্বশীল সরকারী কোন কর্মকর্তা থেকে যুক্তিসংগত কোন বিবৃতি আমরা পাই নাই। সরকার প্রধান বা মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীরা যখনই কোন ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটে সাথে সাথে কোন তদন্ত ছাড়া বিরোধীদের উপর চাপিয়ে দেন। এ সব পৈশাচিক হত্যাকান্ড ও ধ্বংসাত্মক নানা কর্মকান্ডে কারা জড়িত? এটাকে চিহ্নিত করা সরকারের দায়িত্ব।
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন