টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া খালি লাশ আর লাশ !
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী রণক্লান্ত ০৩ মার্চ, ২০১৩, ০৫:০৯:০৩ সকাল
এখনই বন্ধ কর এ গনহত্যা । নিরীহ মানুষের লাশের সিড়ি বেয়ে তোমরা ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা ।।
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশটির যেখানে যে দিকে যত দূর চোখ যায় এখন কেবল লাশ লাশ আর লাশ। রক্ত রক্ত আর রক্ত। বাংলাদেশ এখন আর কোনো মানবিক ভূখণ্ড নয়। বাংলাদেশ এখন এক বধ্যভূমি। বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনা সরকারের কসাইখানা। বাংলাদেশ এখন লাশের পাহাড়। বাংলাদেশ মানে এখন রক্তের বীভত্স দরিয়া। আর স্বজন হারানো মানুষের বক্ষফাটা আহাজারি, আর্তনাদ আর হাহাকারকে পদপিষ্ট করে, সেই লাশ আর থৈ থৈ রক্তের বিভীষিকার ওপর চলছে শকুনি গৃধিনীর পৈশাচিক উল্লাস।
চেঙ্গিস খানের চাইতে বর্বরতা নিয়ে, হিটলারের চাইতে নৃশংসতা নিয়ে, ড্রাকুলার চাইতেও ক্রুরতা নিয়ে এই রক্তপিপাসু সরকার বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যা।
স্কাইপ কেলেঙ্কারির পদত্যাগী বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়।’ সেই রায় হতে হবে ফাঁসি, অন্য কিছু নয়। সেই জন্যই যোজিত হয় শাহবাগ নাটক। যে নাটকের মূল কাজ ছিল প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ, ঘৃণা আর বিদ্বেষকে মুক্তিযুদ্ধের আবরণ লাগিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া। সেই কাজ সম্পন্ন হতেই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির ঘোষণা আসে। সঙ্গত কারণেই গ্রহণযোগ্যতাহীন, সর্বমহল থেকে প্রত্যাখ্যাত, বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমে আসে জামায়াত, শিবিরের নেতাকর্মী ও সাঈদী-ভক্ত সাধারণ মানুষ। এই পথে নেমে আসা যত গণতন্ত্রসম্মতই হোক, ক্ষিপ্ত ও ক্রুদ্ধ হয়ে উঠে আমাদের সরকার। সরকার নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের এই নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদের ওপর লেলিয়ে দেয় তাদের নরঘাতক পুলিশ, খুনি র্যাব ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের। তারা মেতে ওঠে গণহত্যায়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এই সরকারি খুনিরা গত বৃহস্পতিবার একদিনেই খুন করেছে দেশের ৬৬ জন মানুষকে। আহত করেছে কমপক্ষে হাজারজনকে। জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে শত শত বাড়ি-ঘর, ব্যাংক, হাসপাতাল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল বাদ দিলে বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে একদিনে এত মানুষ খুনের ঘটনা আর কখনও ঘটেনি। মানুষ খুনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন হাসিনা, গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড।
বাংলাদেশের ৪০ বছরের ইতিহাসে যা কখনও ঘটেনি, পাকিস্তানের ২৫ বছরের ইতিহাসে যা ঘটেনি, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনে যা কখনও হয়নি, সেই ভয়ঙ্কর হত্যার নেশায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে সরকার। ব্রিটিশ আমলে এক জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ছাড়া এই জিঘাংসার সঙ্গে তুলনা করার মত আর কোনো নজির নেই। এই ভয়াবহ ‘হত্যার উত্সবে’ বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদ এখন পরিণত হয়েছে এক একটি গোরস্থানে। ঘটনার ভয়াবহতায় স্তম্ভিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, এই হত্যাকারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে উত্খাত না করতে পারলে দেশ বাঁচবে না। তিনি বলেছেন আর একটি গুলিও নয়। বন্ধ করুন গণহত্যা। সাধারণ মানুষকে ডাক দিয়েছেন পথে নেমে আসার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যথার্থই বলেছেন, দেশব্যাপী পুলিশ, র্যাব ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাধারণ মানুষ হত্যার ঘটনায় গোটা জাতি আতঙ্কিত। সর্বস্তরের মানুষ চরম অস্থিরতায় দিনযাপন করছে। নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে হত্যার নজির ’৭১-এর হানাদার বাহিনীকেও ছাড়িয়ে গেছে। গতকালের নারকীয় হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা।
তিনি বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে শাসকগোষ্ঠীর আচরণ দেখে মনে হয়েছে, তারা হত্যাকে আতসবাজির খেলা হিসেবে গণ্য করেছে। মানুষ হত্যার তাদের এই নিষ্ঠুর খেলায় দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ চরম সঙ্কটের মুখে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। যে দেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল তার পিতা শেখ মুজিবের হাত দিয়ে, সেই দেশকে তিনি ঠেলে দিয়েছেন গৃহযুদ্ধের দিকে। মনে হচ্ছে বাংলাদেশের নাম-নিশানা তিনি মুছে দিতে চাচ্ছেন মানচিত্র থেকে। তিনি একবার বলেছিলেন, যে দেশের মানুষ আমার পিতাকে হত্যা করেছে, সেই দেশের মানুষের প্রতি তার কোনো দায় নেই। সে জন্যই কি তিনি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠেছেন?
কবি ফরহাদ মজহার বলেছেন, যদি তা না হয়, তাহলে কি আপনি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিলেই ক্ষান্ত হবেন? যদি তাই হয়, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের ধরে ধরে শাহবাগিদের হাতে তুলে দিন। তারা তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারবে। কিন্তু দোহাই সাধারণ মানুষকে আর হত্যা করবেন না। নিরপরাধ মানুষদের আর খুন করবেন না। বন্ধ করুন এই গণহত্যা। বন্ধ করুন বিচার নামের প্রহসন।
সাধারণ মানুষকে হত্যা করে, নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে ইতিহাসে কেউ রক্ষা পায়নি। ইতিহাস মার্কোসকে ক্ষমা করেনি, পিনোচেটকে বাঁচাতে পারেনি। রদোভান কারাদজিককে দাঁড় করিয়েছে কাঠগড়ায়। হোসনি মোবারক, রেজা শাহ পাহলভি, গাদ্দাফি, সাদ্দাম হোসেন, হিটলার, মুসোলিনি সবাইকে ভোগ করতে হয়েছে করুণ পরিণতি। কারণ মহাবিজ্ঞানী নিউটন বলে গেছেন, প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে কে বলেছে আপনার সরকারই বাংলাদেশের শেষ সরকার? আপনি বাংলাদেশের শেষ প্রধানমন্ত্রী? সে জন্যই আবেদন, অনুরোধ, বন্ধ করুন এই হৃদয়বিদারক হত্যাযজ্ঞ। নইলে একদিন বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোর অপরাধে আপনারও বিচার হবে। আপনাকেও নতমুখে দাঁড়াতে হবে ইতিহাসের কাঠগড়ায়। অতএব বাসার আল আসাদের পথ পরিহার করে ফিরে আসুন সুস্থতার পথে, মঙ্গলের পথে। ক্ষমতার মোহ আপনাকে অন্ধ করে দিয়েছে। বধির হয়ে গেছে আপনার হৃদয়। ইতিহাসে আপনি কি হিরো হয়ে থাকতে চান, নাকি ভিলেন হিসেবে?
যদি হিরো হয়ে থাকতে চান, তাহলে পরিহার করুন হালাকু খান ও নাদির শাহর পথ। ফিরে আসুন বাংলাদেশের পথে। হজরত শাহ জালালের ন্যায়ের পথে, সাম্যের পথে। শ্রী চৈতন্যের প্রেমের পথে। লালন শাহর মরমীয়া পথে। সবুজ-শ্যামল কোমল জোছনা মাখা আব্বাসউদ্দীনের পথে।
বন্ধ করুন অপবিত্র রক্তপাত। কারণ রক্ত শুধু রক্তকেই ডেকে আনে। আর দেশপ্রেম মানুষকে করে মহত্।
দুই.
যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে শাহবাগে তরুণদের একত্রিত হতে বলা হয়েছিল, তা থেকে গণজাগরণ মঞ্চের দূরত্ব এখন কয়েক হাজার মাইল। অথবা বলা যায় তরুণদের বিভ্রান্ত করে, তাদের আবেগকে ব্যবহার করে আমাদের ব্যর্থ, অযোগ্য, অদক্ষ, দুর্নীতিগ্রস্ত, দায়িত্বজ্ঞানহীন অপদার্থ সরকার দেশজুড়ে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে, জাতীয় ঐক্য ও সংহতি ভেঙে গুঁড়িয়ে বিরোধিতার কণ্ঠকে রুদ্ধ করে যে উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে চেয়েছিল তাতে তারা দারুণভাবে সফল হয়েছে। ফলে নব বাকশাল এখন দরোজায়। আর দেশে জন্ম নিয়েছে দুটি সরকার। একটি হাসিনা সরকার অন্যটি ইমরান সরকার। দুই সরকারই এখন বিচারক ও শাসক।
থলের বিড়াল এখন বেরিয়ে গেছে। সে জন্য অনেক কথাই বলা যায়। শাহবাগ জমায়েতের প্রযোজক, পরিচালক এখন সরকার। সরকারের ছাত্র সংগঠন। তাদের লেজুড় রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠন। পেছনের সব শক্তি ও সাহায্যের উত্স আমাদের মহান প্রতিবেশী (!) ভারত। ভারতীয় পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়া পরিষ্কার ভাষায় বলেছে, ভারতের মদতে শাহবাগ আন্দোলন হচ্ছে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াকে জনপ্রিয় করে জনউন্মাদনায় পরিণত করার দায়িত্ব নিয়েছে আমাদের দেশের গণমাধ্যম। বলে রাখি, এভাবে গণউন্মাদনা সৃষ্টি করেই সিকিমের মানুষের মাথা বিগড়ে দিয়েছিল সে দেশের গণমাধ্যম। এই শাহবাগের কায়দায় স্বামী রামানন্দ তীর্থকে লেলিয়ে দিয়ে হায়দারাবাদের জনগণকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছিল ভারত। হায়দারাবাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছিল নৈরাজ্য, সে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য কখনও ব্যবহার করেছে দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীকে, কখনও তেলেঙ্গানা বিদ্রোহের নামে নিজেদের মদতপুষ্ট কম্যুনিস্টদের।
সরকারের দরকার ছিল গাঙ পার হওয়ার নৌকা। পাপের ভারে নুয়ে পড়া শরীর নিয়ে নদী পেরুবার উপায় ছিল না তার। শাহবাগ সরকারকে সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। জাতিকে স্থায়ীভাবে বিভক্ত করার কাজটি সরকার শাহবাগের মাধ্যমে সম্পাদন করতে পেরেছে। লগি-বৈঠার খুনি বাপ্পাদিত্য বসুরা ডেকে এনেছিল ১/১১। এবারও শাহবাগের ঘাড়ে চেপে সেই একই লোকেরা পথ খুলে দিয়েছে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতা নেয়ার। ১৯৭২-৭৫-এ দেশে আইনের শাসন বলে কিছু ছিল না। শেখ মুজিব ও তার নেতা-কর্মীদের কথাই ছিল আইন। শাহবাগ আবার আমাদের সেই জগতে ফিরিয়ে নিয়ে গেল। বিচার ব্যবস্থা আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, এখন তার গলিত লাশের ওপর সরকার নিশান উড়ালো ফ্যাসিবাদের। দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও বর্তমান সরকারের জুতা বহন করার জন্য, তাদের ফরমাশ মোতাবেক খাবার পরিবেশনের জন্য মিডিয়ার অভাব ছিল না। হাতেগোনা কয়েকটি মাত্র সংবাদপত্র ছিল, যারা শত ঝড়-ঝঞ্ঝাটের মধ্যেও সত্য কথা জানিয়ে যাচ্ছিল জাতিকে। এর মধ্যে আমার দেশ, নয়াদিগন্ত, দিনকাল, সংগ্রাম, দিগন্ত টিভি, ইসলামি টিভি পেশাগত সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছিল। সরকার অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মাঠে নামাতে পেরেছে শাহবাগকে।
বিশ্ব ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছে শাহবাগ। যে পত্রিকা ও পত্রিকার সম্পাদক বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক চরমভাবে নির্যাতিত হয়েছে, যে পত্রিকা ও তার সম্পাদক পরিণত হয়েছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামের প্রতীকে, পরিণত হয়েছে গণমানুষের কণ্ঠস্বরে, সেই পত্রিকার পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে শাহবাগ থেকে দাবি উঠেছে, স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে পত্রিকা বন্ধ করার, পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেফতার করার জন্য। চমত্কার! চমত্কার!!
সরকারের অপকর্মের বাধা হয়ে গিয়েছিল ধর্ম। ধর্মীয় আলেম-ওলামারা। সরকার শাহবাগের কয়েকজন ব্লগার দিয়ে কুিসত আক্রমণ চালিয়েছে ধর্মের ওপর। আলেম-ওলামারা এর প্রতিবাদ করলে তাদের উপরও বর্বরোচিত দমন অভিযান চালিয়েছে সরকার। পাখির মতো গুলি করে ডজন ডজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হত্যা করে রক্তের নদী বানিয়ে ফেলেছে দেশটাকে। আর ‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর’ বলে সব আক্রোশ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে জামায়াত-শিবিরের উপর। আর মিডিয়া বলছে সরকার বা শাহবাগের কোনোই দোষ নেই। শিবিরই হলো যত নষ্টের মূল!
সরকার ধর্মদ্রোহী ব্লগারদের পক্ষ নিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। তাদের পক্ষে বেহায়ার মতো সাফাই গাইছে। তাদের শোকসভায় গিয়ে কেঁদে জারজার হচ্ছে। নির্লজ্জের মতো বলছে, ব্লগের লেখা ক’জন পড়ে, কিন্তু পত্রিকা সেগুলো যেভাবে প্রকাশ করেছে, তা মানুষের কাজ হতে পারে না। পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে শোনা যাচ্ছে তাদের তর্জন-গর্জন। কিন্তু ব্লগারদের বিরুদ্ধে তারা উচ্চারণ করছে না একটি শব্দও। নেয়নি কোনো ব্যবস্থাও।
শাহবাগ সরকারকে খুনি হতে সাহায্য করেছে। শাহবাগ সরকারকে আরও নৃশংস হতে সাহায্য করছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটাতে উত্সাহ দিচ্ছে।
বাংলাদেশে এখন যা কিছু ঘটছে সবই নজিরবিহীন। কোনো গণআন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকারের ঢালাও সমর্থন ও সাহায্য পায়—তাও নজিরবিহীন। দেশের তরুণরা গণজাগরণের নামে সরকারের ‘দালাল’-এ পরিণত হয়—এটাও নজিরবিহীন। শাহবাগের তরুণরা যদি বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ হয় তাহলে বলতে দ্বিধা নেই, এদেশের কপালে দুঃখ আছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই, শাহবাগে যা ঘটছে তার সঙ্গে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক তরুণদের আর কোনো সম্পর্ক নেই। তরুণদের নাম করে, জনগণকে বোকা বানিয়ে যারা ওখানে জমায়েত হয়েছে তারা ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফ্রন্ট বা যুবলীগের নেতাকর্মী। সে জন্যই শাহবাগ হারিয়ে ফেলেছে নৈতিক শক্তি।
বিষয়: বিবিধ
২৭৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন