গনতন্ত্রের ফানুসকন্যার দিগম্বর তত্ব ।
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী রণক্লান্ত ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৫৬:৩৭ দুপুর
আর একটি দায়িত্ব তোমরা সিরিয়াসলি পালন করবে । সেটা হল এই যে ইস্কাটন গার্ডেন রোড ও ইডেন কলেজের পশ্চিম পার্শ্বে যে কোয়র্টার গুলা আছে সেগুলো সব সচিব উপসচিবদের । আমি (হাসিনা) হরতাল দিলেও এই সচিব উপসচিবরা ঠিকই পায়ে হেটে সচিবালয়ে যায় । এরপর যখন আমি হরতাল দেব তোমরা এদের বাসার কাছে ওত পেতে থাকবে । সেক্রেটারীরা যখন পায়ে হেটে সচিবালয় যেতে থাকবে পথিমধ্যে ওদের কাপড় চোপড় খুলে ল্যাংটা করে ফেলবে ।
ছাত্রলীগ নেতারা বলল, আমাদের দুই ভাগে ভাগ করে দেন । একগ্রুপ অস্ত্রস্বস্ত্রের দায়িত্বে থাকি । আর অন্যগ্রুপ সচিবদের উলঙ্গ করার দায়িত্বে থাকুক । বঙ্গবন্ধু কন্যা হাসিনা তখন ছাত্রলীগ নেতা আলমকে সচিবদের ন্যাংটা করার দায়িত্ব দিলেন ।
এরপর অনেক হরতাল যায় সচিবদের ন্যাংটা করা হয়না । এতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষিপ্ত হয়ে যান । অবশেষে আলমকে এই কাজের জন্য ২০,০০০ টাকা অগ্রিম দেন এবং বাকী ৩০,০০০ টাকা কাজ শেষ হওয়ার পরে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন । এরপরের হরতালে ন্যাংটা করতে না পারলে পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে সে কথাও বলে দিলেন ।
ঠিকই পরের হরতালে আলম দোয়েল চত্বরের সামনে একজনকে উলঙ্গ করে ফেলল ।ধানমন্ডি ৫নং রোডের ৫৪ নং বাড়িতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই উলঙ্গ করার সফলতার খবর পৌছলে তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে মিষ্টি খাওয়ার জন্য আলমকে ডেকে পাঠান । কিন্তূ আলমের আর মিষ্টি খাওয়া হলনা কারন ততক্ষনে আলম পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় । এর পরদিন সবগুলো দৈনিক পত্রিকায় দিগম্বর শিরোনামে ছবি সহ খবর ছাপা হয় । পরে জানা যায় আক্রান্ত ব্যাক্তি একজন সাধারন অফিসগামী কর্মচারী ছিল যিনি কোন সচিব নন ।
ঘটনাটি ঘটেছিল ৯৫ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে হাসিনা যখন লাগাতার হরতাল চালিয়ে যাচ্ছিলেন । হরতালে সারা মিলছিলনা, হরতালে অফিস আদালত সব ভালই চলছিল । তখন হরতাল সফল করতে এ ধরনের জঘন্য কর্মকান্ড করা হয় । হরতালে অফিস আদালতে উপস্তিতিতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামীলীগ কর্মীরা ২/৫ টাকার বিনিময়ে মতিঝিলে বিভিন্ন অফিসের সামনে টোকাইদের দিয়ে পায়খানা করিয়ে রাখত ।এরপর সরকারী কর্মকর্তাদের দিয়ে তৈরি করা হয় জনতার মঞ্চ। শেখ হাসিনার একসময়ের ব্যক্তিগত সহকারী মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু এরকম ভয়ন্কর সব ঘটনা তার “আমার ফাসী চাই” বইতে বর্ননা করেছেন । বইটি শেখ হাসিনা নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত করেন । মতিয়ুর রহমান রেন্টু জীবন বাচাতে ফ্রান্সে পালিয়ে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয় ।
বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে নীচের লিন্কে ক্লিক করুন ।
http://www.mediafire.com/?wmmnfm5iyht থেকে 'আমার ফাসী চাই; পরুন ।।
বিষয়: বিবিধ
২২৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন