ডিসি ডিবির ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড়
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী রণক্লান্ত ০১ জুন, ২০১৩, ০১:১১:০১ রাত
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনারের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে ধরে এনে ব্যাপক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। সৈয়দ আবিদুল ইসলাম নামে ওই ব্যবসায়ী পরে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন। এই পরিমাণ টাকা দিতে গিয়ে তিনি কার্যত কপর্দকহীনে পরিণত হয়েছেন।
টাকা দেয়ার প্রমাণ হিসেবে তিনি টাকা নেয়ার দৃশ্যসম্বলিত সিসিটিভির ফুটেজও দিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে। ওই ফুটেজে টাকা নেয়ার দৃশ্যটি স্পষ্ট। বিষয়টি বর্তমানে একটি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টির তদন্ত করে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পেশ করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গুলশান ১ নম্বরের ৭ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়ির বি/১০ নম্বর ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন সৈয়দ আবিদুল ইসলাম। গত ৭ এপ্রিল ভোরে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী একদল লোক ওই বাসায় যায়। বাসায় কালো একটি ব্যাগে অবৈধ এক কোটি টাকা রাখা আছে দাবি করে ডিবির ওই দলটি পুরো বাসা তল্লাশি করে। একপর্যায়ে চাবি নিয়ে বাসার আলমারি, ওয়্যারড্রোবসহ আসবাবপত্র তছনছ করলেও কোথাও তারা টাকা পায়নি। ফিরে আসার সময় ইন্সপেক্টর আজাহার উদ্দিন ও এসআই হাসনাতের নেতৃত্বে অভিযান চালানো ওই দলটি স্বর্ণের গহনার একটি বাক্স নিয়ে আসতে চায়। আবিদুলের স্ত্রী তাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে আবিদুরকে নিয়ে রওনা দেয় ডিবির দলটি। সকাল ৬টায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবির ডিসি (উত্তর) কক্ষে। এটি ডিবির টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত।
কবিরুল হকের অভিযোগ থেকে জানা যায়, আবিদুলকে ডিসি ডিবির পাশের কক্ষে নিয়ে ব্যাপক পেটাতে থাকে ইন্সপেক্টর আজাহার উদ্দিন ও এসআই হাসনাত। একপর্যায়ে আবিদুলকে জানানো হয়, বাঁচতে হলে ১০ কোটি টাকা দিতে হবে। এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নির্যাতনের পরিমাণ বেড়ে যায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে ব্যাপক নির্যাতন। টাকা না দিলে জামায়াতে ইসলামী ও হিযবুত তাহরীর বলে সারা জীবন জেল খাটানোর ভয় দেখানো হয়। এ সময় আবিদুলকে চিন্তা-ভাবনার জন্য এক ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। সকাল ১০টায় এসআই হাসনাত তার সিদ্ধান্ত জানতে চান।
ডিসি ডিবির নাম উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, স্যার টাকা ছাড়া কিছু বোঝেন না। অতএব টাকা না দিলে মুক্তি মিলবে না। খাল-বিলে পাওয়া যাবে তার লাশ। তাই টাকা তাকে দিতেই হবে।
একপর্যায়ে আবিদুল ইসলাম এক কোটি টাকা দিতে রাজি হন। ডিসি ডিবির রুম থেকে ফিরে এসে হাসনাত জানান, স্যার এই টাকাতে রাজি হয়েছেন। এখনই টাকার ব্যবস্থা করেন। তবে ডিসি ডিবি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ।
http://www.bdtomorrow.net/newsdetail/detail/200/28227
http://www.jugantor.us/2013/05/31/news0610.htm
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/05/31/202373#.Uaj_6UBxQvM
বিষয়: বিবিধ
১৭২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন