বাংলাদেশের সব কালো বিড়ালদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম একটি সততার কাহিনী ।

লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী রণক্লান্ত ১৬ মে, ২০১৩, ০১:১২:৩১ দুপুর



তার বাড়ি গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদে। পেশায় অটোরিক্সা চালক। মাসিক আয় মাত্র ৬ হাজার রুপি। কিন্তু মনটা তার বিরাট। সানন্দায় টাটা ন্যানো প্ল্যান্ট নির্মাণে তার তিন বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। জমি অধিগ্রহণ করার বিনিময়ে তার নামে ১ কোটি ৯০ লাখ রুপির একটি চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু এ অটোরিক্সা চালক চেকটি ফিরিয়ে দিয়েছেন। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে একথা বলা হয়।

রাজু ভারওয়াদ অনায়াসে এ অর্থ পকেটস্থ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি একটি মুছলেকা দিয়ে বলেন যে, এখন থেকে তিনি আর এ জমির মালিক নন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, নতুন মালিকের নাম সরকারি নথিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রাজুর পরিবার সানন্দায় ১০ বিঘা জমির মালিক।

৩০ বছর আগে তার দাদা প্রায় ৫ লাখ রুপির বিনিময়ে তিন বিঘা জমি বিক্রি করেছিলেন। এ ৩ বিঘা জমিতে ৪০টি হতদরিদ্র পরিবার বসতি ঘর নির্মাণ করেছে।

ন্যানোর বদৌলতে জমির মূল্য আকাশচুম্বি হয়। গুজরাট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলমেন্ট কর্পোরেশন (জিআইডিসি) ন্যানো প্ল্যান্টের আশপাশের প্রতি বিঘা জমি ২৮ লাখ রুপিতে ক্রয় করে এবং যাদের নামে জমির দলিল তাদের অর্থ পরিশোধ করতে শুরু করে। নয়া মালিকরা তাদের নাম তালিকাভুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় রেকর্ডে জমির মালিক হিসাবে রাজু ও তার মা বালুবানের নাম তালিকাভুক্ত হয়।

রাজু একটি ছোট ঘরে তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। তার তিন ছেলেমেয়ে। মা এখনো জীবিত। রাজু বলেছেন, আমার পিতামাতা আমাকে সত্যবাদিতা শিক্ষা দিয়েছেন। আমি অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ আমার পরিবারের জন্য ব্যয় করতে পারি না।

জিআইডিসির কর্মকর্তা নবীন প্যাটেল বলেছেন, আমরা জমিজমা নিয়ে অনেক বিরোধ দেখেছি। কিন্তু এই প্রথম কোনো ব্যক্তিকে ১ কোটি ৯০ লাখ রুপির চেক ফিরিয়ে দিতে দেখলাম। রাজুর মাও ছেলের সততায় মুগ্ধ হয়েছেন।

বিষয়: বিবিধ

২১৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File