রেশমার জীবিত উদ্ধার : এক সাজানো নাটক!!
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী রণক্লান্ত ১১ মে, ২০১৩, ১২:৪২:৩১ রাত
চোখে মুখে নাই কোনো ক্লান্তির ছাপ,শরীরে নাই কোনো ধুলবালি,এমনকি এই ১৭ দিন একটা খোচাও তার শরীরে লাগে নাই! ১৭ দিন না খাইয়া অনর্গল মানুষের সাথে কথা বলতে পারে তাও আবার প্রথম কোথাই শেখ হাসিনার সাথে গণ ভবনে দেখা করব!এইটা আল্লাহর কুদরত না শেখ হাসিনার কুদরত?এত কিছুর পরও আপনি কইবেন এইটা আল্লাহর কুদরত?দেশের মানুষ সবাইরে মখা পান নাই ভাই!
"নাটকের পর নাটক!
রানাপ্লাজা থেকে ১৭ দিন পরে একজন জীবিত রেশমা উদ্ধার! আলহামদুলিল্লাহ..জীবিত মানুষ তো।
তবে কিছু কথা আছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, পুরো ঘটনাটি সাজানো। হেফাজতে ইসলামের ওপর পুলিশ-র্যাব বাহিনীর নারকীয় হামলার খবর ও ভিডিও যখন একে একে বের হচ্ছে এবং নিহতের হিসাব নিয়ে সারা মিডিয়া তোলপাড়, তখন সকলের দৃষ্টি সরিয়ে অন্যদিকে নেয়ার জন্য রানা প্লাজার বেজমেন্ট মসজিদ থেকে রেশমা উদ্ধারের নাটক সৃষ্টি করলো হাসিনার নির্দেশে জেনারেল সারওয়ার্দী! এটা হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। ১৭ দিন পরেও রেশমা বলতে পারলো....”স্যার আমাকে বাঁচান। খাবার দেন। আমি সুস্থ আছি।” ঘটনাস্থলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী উপস্থিত আছেন। তাইলে বোঝেন পরিস্থিতি! সেনাপ্রধানকে নিয়া যখন টানাটানি চলছে, তখন সারওয়ার্দীকে আবার ওখানে বসানোর জন্য নজুন ইমেজ বিল্ডিং প্রজেক্টও হতে পারে!
রানা প্লাজায় এখন তেমন কোনো মিডিয়া ছিল না। এই ফাকে হাসপাতাল থেকে হোক বা অন্য কোথাও থেকে হোক রেশমাকে নিয়ে গল্পটা তৈরী করা হলো। মুন্নী সাহার প্রশ্ন গুলা যথার্থই ছিলো- ”১/ উনি এতোদিন পর কিভাবে বেচে আছেন? ২/ উনাকে এতো ফ্রেশ লাগছে কেন? ৩/ ১৭ দিন কোন খাবার ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকতে পারেন? ৪/ (যখন সেনাবাহিনীর একজন বলল, তার কাছে কিছু শুকনো খাবার ছিল) উনার কাছে খাবার কোথা থেকে আসল? ৫/ উনার জামা কাপড়গুলা এরকম নতুন মনে হচ্ছে, কোন ময়লা নেই কেন?” প্লানাররা একটু ভুল করে ফেলেছে...নতুন লাল ওড়না না দিলেও পারতো। মুন্নী সাহা, তোমার মুখটা বন্ধ রাখো, নইলে থলের বিড়াল কিন্তু ম্যাও করে উঠবে। ...উদ্ধারকারীরা/সেনা সদস্যরা হ্যান্ডমাইকে বার বার নারায়ে তাকবীর..আল্লাহু আকবার আওয়াজ দিয়ে হেফাজত/জামায়াতের রাজনীতি খাইলো যে! ওরা নিশ্চয়ই মৌলবাদী!
হাসিনা এখন রেশমার কাছে ছুটে যাবে আরো নাটক করতে। চারিদিকে ধন্য ধন্য পরে যাবে...আর্মি বিরাট বাহাদুর...আরো কত কি। ১৭ দিন পরে যেখানে লাশ গলে গেছে, তখন নতুন নতুন শক্ত লাশ বের হয়ে এখন ১০৪৫ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খালেদা জিয়া যেহেতু লাশ গোপনের অভিযোগ করেছিল, তখন তাকে মিথ্নিযা প্রমানের জন্য লাশের সংখ্যা ৪’শ থেকে বাড়তে বাড়তে ১১’শতে নিয়ে ঠেকালো হাসিনার ব্লু-আইড বয় সোহরাওয়ার্দী! অনেকেই বলছিল, শাপলা চত্তরে নিহত হেফাজতের লাশ গোপনে ওখানে নিয়ে বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন চলছে। সরকার একটা বাহবা পেতেই পারে....জীবিত হেফাজতের উপকার না করলেও অন্তত নাটক করে মৃতদের দাফনের ব্যবস্থা করার জন্য। ধন্য হাসিনা!! হাসিনার নাটক সম্পর্কে যে সন্দেহ করবেন, তিনি মতিউর রহমান রেন্টুর “আমার ফাঁসি চাই” পড়ে নিন আবার, এমন অনেক নাটকের সন্ধান পাবেন।
তবে, একটা রিস্ক থেকে গেলো। এই নাটক ফাঁস করার অপরাধে আবার কয়টা না হত্যা হয়!"
হেলথ লেজার: "এখানে প্রশ্ন জীবিত থাকা নিয়ে না! আল্লাহ চাইলে ১৭ দিন কেন ১০০ দিন বা টার বেশিও বাচিয়ে রাখতে পারে। প্রশ্ন ১৭ দিন পরেও কাপড়-চোপড় একদম পরিষ্কার।
২. ১৭ দিনে কয়বার টয়লেটে যাওয়া লাগে? এত পানি কই পাইল?
৩. কি পরিমাণ খাবার মজুদ ছিল রেশমার কাছে? সে-কি জানত যে ভবন ধ্বসে পড়বে?
... ৪.খাবার এতদিন ঠিকল কেমনে?
৫.এতদিন অন্ধকারে থাকার পরেও কেন তার চোখে কোন কাপড় দিয়ে বাইরে আনা হল না?
৬.১৭ দিন একা থাকার পর এত মানসিক চাপের ভিতর সে মানসিকভাবে সুস্থ আছে কেমনে? প্রশ্ন আরও অনেক আছে"
সোহাগ আহমেদ: চোখে মুখে নাই কোনো ক্লান্তির ছাপ,শরীরে নাই কোনো ধুলবালি,এমনকি এই ১৭ দিন একটা খোচাও তার শরীরে লাগে নাই! ১৭ দিন না খাইয়া অনর্গল মানুষের সাথে কথা বলতে পারে তাও আবার প্রথম কোথাই শেখ হাসিনার সাথে গণ ভবনে দেখা করব!এইটা আল্লাহর কুদরত না শেখ হাসিনার কুদরত?এত কিছুর পরও আপনি কইবেন এইটা আল্লাহর কুদরত?দেশের মানুষ সবাইরে মখা পান নাই ভাই!
সিধা সাধা মন:" i think no,, karon eita to ekkebarei shomvob na... Moshjid e to agei jawa hoisilo,,, r eikhane kivabe beche ase uni??? Ekdom shustho+dress up o valo.. Amar mone hoy ager raat e oke dhukai deowa hoise,,,... Bt o to moshjid e chilo tai aalhr qudrat e becheo jaite pare... So,, kicchu bolte parbo na cuz aami prottokkhodorshi na... So,,, allahr upor chere dilam"
সাজ্জাদ হোসাইন: " আজ বাংলার ইতিহাসের সব চাইতে নিখুঁত একটা নাটকের অবতাড়না হল । ৬ মে এর পর
থেকে হঠাত্ করেই সাভারে মৃতের সংখ্যা বাড়তে লাগল । লাশগুলো টাটকা কোনো গন্ধ নাই তাতে । ১৭ দিন পরে উদ্ধার হল একটা জীবিত অথচ শক্তিশালী নারী । তার পোশাক সম্পূর্ণ পরিষ্কার । সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল , পানি ছাড়া শুধুমাত্র শুকনো খাবার খেয়ে সে বেঁচে ছিল এতদিন ,অবশ্য সে জানত যে ভবনটি ভেঙ্গে পড়বে ।তাই সে তাড়াতাড়ি শুকনো খাবার যোগার করে তড়িঘড়ি করে ঢুকতে গিয়ে পানি নকথা ভুলে যায় । একবারের জন্যও
পায়খানা বা প্রসাব করার প্রয়োজন হয়নি তার । এমনকি ১৭ দিন এমন থাকার পরও সে কথা বলতে সক্ষম ।
এবার মূল ঘটনায় আসি । আজ এই জাকজমকপূর্ণ নাটকটা হল শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টিটা ৬মে থেকে সরিয়ে ১০মে তে পুরো পৃথিবীতে এত অল্প সময়ে এত বড় মিডিয়া কভারেজ কেউ পেয়েছিল কিনা সন্দেহ । ৬মে রাতের বেলায় গ্রেনেড , গুলির শব্দ যেসব মিডিয়ার কানে যায় নি , আজ কোন সংকেত এত দ্রুত এদের সাভারে নিয়ে এল । এতদিন নিজেকে বাঙ্গালী পরিচয় দিতে অনেক গর্ব বোধ করতাম । কিন্তু আজ আমি এ কোন বাঙ্গালী ।
নিজেকে বাঙ্গালী পরিচয় দিতে গেলে গোটা পৃথিবী আমার দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে বলে , তোরাই ভন্ড , তোরাই প্রতারক ।
আমেরিকাস বাংলাদেশী: "Allah can do anything but I have suspection ....I saw her cloth new also...১৭ দিন পর ধংশ স্তুপ থেকে বের হয়েই প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চাওয়া রেশমার ইচ্ছা অনেকটা সাজানো নাটকের মতই লাগিতেছে । হাসিনার এতগুলি কুকর্মকে ঢাকার জন্য জিওসি সাহেব ভাল একটি নাটক সাজিয়েছেন । এবার একেবারে সেনাবাহিনী প্রধান হয়ে যাবেন ।"
কাজী সাইফ:
"দিনাজপুর জেলার একটি গ্রামের এক গরিব ঘরের আদরের কন্যা রেশমা। ছোটবেলা থেকেই গ্রামের চায়ের দোকানে চলে যেতো সিনেমা দেখতে। কিন্তু বয়স যত বাড়ছে তার সিনেমা দেখা ততো কঅমে যাচ্ছে , কারন গ্রামের লোকের ভীড়ে এভাবে তার যাওয়াটা মা-বাবার পছন্দ না।
কিন্তু সে যে সিনেমা দেখার আড়ালে নিজের মনে স্বপ্নের বাসা বাঁধলো একদিন নায়িকা হবে ! যদিও সে জানতো, তা আকাশ কুসুম কল্পনা ! কিন্তু সে আশা হারায়নি, নিজের ঘরেই চলতো অভিনয়ের হাতে খড়ি।
কিন্তু কে জানে তার অভিনয়ে মুগ্ধ হবেন আমাদের দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিখ হাসিনা, আর তাকে সুযোগ দিয়ে দিলেন কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া ট্রাজেডিক মুভি সাভার রানা প্লাজায় !
অভিনয় চলছে......জানিনা আর কতজনকে কত ভাবে মুগ্ধ করবেন তার সু নিপুণ অভিনয়ে !
গত কয়দিনের ভয়াবহতা ভুলিয়ে দিতে আজকের এই নাটকের খুব দরকার ছিল। সাভারের ট্রাজেডি থেকে এর আগে যাদেরই উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৩ দিন পর, তারা কেউই মুখ ফুটে কথা বলতে পারেনি, কিন্তু রেশমা উদ্ধারের খানিক পরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্যে উতলা হয়ে পড়েন ! এর আগে যাদের অন্তত ৩ দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে তারা প্রায়ই সকলেই মানসিক ভাবে বিকার গ্রস্ত হয়ে ছিলেন, কিন্তু রেশমা ব্যতিক্রম ! রেশমার পোষাক আশাক আরেকবার দেখে নিন, ১৭ দিন টানা একটা রুমে বসে থাকলে আমাদের পোষাক এর চেয়ে বেশি পরিবর্তন হবে !
তবে, উপরের কথা গুলোর সাথে স্ট্যটাসের এই গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই, যদি গল্পের কোনো চরিত্রের সাথে বাস্তবের কিছু মিলে যায় তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র !"
বিষয়: বিবিধ
২৬৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন