গণতন্ত্র,বাকশাল,ফ্যাসিজম-মানসিকতা রুপায়ন পর্ব – ৩

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১১:৩২ বিকাল

তারেক সাহেবের বিষয় না বলা ই ভাল। কারন প্রশাসন বা আইন সভার সদস্য না হয়েও তিনি বিএনপির কাছে দেশ নায়ক তারেক জিয়া।

----------------------------------------------------------

বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন:- জামায়াতে ইসলাম বা ইসলামী আন্দোলন অনেকটা সমার্থক শব্দ। ১৯৪১ সালে জন্ম। অবশ্য ১৯২৮ সাল থেকে দলগঠনের কাজ শুরু। ১৯৩৮ সাল এই দলের জন্য বিশেষ গরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত একরকম ইতিহাস। তার পরের ইতিহাস নিয়ে জামায়াতের নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকে নতুন করে পথ চলা। তার পর থেকে নিয়ে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জামায়াত চলেছে মিক্স পরিবেশে। হতে পারে ২০১৮ সালের পর নতুন ইতিহাস। অভ্যান্তরিন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে ভিশনারী হওয়া প্রয়োজন। রাজনীতিতে মূলধারার জন্য অতীব প্রয়োজনীয় দল হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে বড় বিবেচ্য। একান্ত নিজস্ব প্রয়োজনে করতে হবে। তবে ......।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত যেমন বেশী জরুরী তেমন কিছু মানুষ মনে করে অপ্রয়োজনীয়। কম হাইটের জেনারেল মঈন উদ্দীন ও সুশীল বান্ধব উদ্দিন সরকারের মেহেরবানীতে জামায়াত আজ এই পর্যায়। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত অভ্যান্তরিন রাজনীতির হিসাব কিতাবে জামায়াতের নিজস্ব মূল্যায়ন সঠিক ছিল - না ভুল ছিল, তা মুল্যায়নের বিষয়। সামনের ঐতিহাসিকরা তা লিখবেন। নির্বাচন পূর্ব বা উত্তর, জামায়াতের ভুমিকা নিয়ে অনেকে লিখেছেন। কিন্তু জামায়াতের ভুমিকা পর্যালোচনার সাথে ইনসাফ করতে পারেননি। গণমাধ্যম বা কথিত মূলধারার সংবাদ মাধ্যম বলতে যারা দাবী করেন। তারা নুন্যতম সাংবাদিকতার এথিক্স মানেন না। মিথ্যা ধারণা ও বাঙ্গালী চেতনা বাবুদের সাপ্লাই করা মালমসল্লা নিয়ে চলছে জামায়াতের রাজনৈতিক পর্যালোচনার শেষ সিদ্ধান্ত। বাকশালী পাপ্পীরাজ সাংবাদিকতার মিথ তৈরী করে দিয়েছেন ওপার বাংলার সাংবাদিক দিকপালরা। চলছে গণমাধ্যমের নামে ৭১ এর চেতনা বনাম জামায়াত নিয়ে সার্কাস। ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। ওমরাতে এসেছিলেন একজন বড় মাপের সাংবাদিক। আলাপচারিতায় জানতে চাইলাম তার একটি মৌলিক লিখার বিষয়ে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন – আপনি আমার লেখা পড়েন? .............

তিনি বললেন, সমস্যা কি? বললাম – তথ্যটা মনে হয় ভুল। তিনি জানালেন – কুলদিপ নায়ার কি ভুল তথ্য লিখেন। আমি আর বাড়ালাম না। হয়রান হলাম, দেশের এত বড় একজন কলামিষ্ট,টকশো তারকার এই দশা। নিজে একজন বড় বাংলাদেশী চেতনার হয়ে কিভাবে বাঙ্গালী চেতনার বড়ি হজম করলেন। বিএনপি বা জামায়াতের দার্শনিক জায়গায় বড় শুন্যতা রয়েছে। যৌথভাবে দায়ী দল দুটির শিক্ষিত শুভাকাংখীরা। জাতিকে নিজেদের সাথে, মৌলিক দর্শনের সাথে তুলনা করতে পরেননি।

নতুন প্রজন্মকে শিখাতে পারেননি – স্বাধীন বাংলাদেশে কোন সেই পরিবার ও দল দেশের সম্পদ নয় বরং ভারতীয় আজ্ঞাবহ সেবাদাস,তল্পীবাহক,দালাল। গনতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রধান অন্তরায় কারা। স্পষ্ট করে বলা উচিত ছিল, শেখ পরিবার বা আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতা পেয়েছে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। এই ইতিহাস জানা,মানা এবং জানানোতেই বাংলাদেশের অস্থিত্ব নির্ভর করে। সুযোগ পেয়ে যারা এই মৌলিক কাজ করতে পারেননি তারা আজ নিজেরাই পরিচয় সংকটে ভুগছে। সীমাবদ্ধতা এক বিষয় আর সুযোগ পেয়ে গাফলতি,তুচ্ছ্য মনে করা আরেক বিষয়। ফলাফল ত হয়েছে তাই। এবারের বর্ষবরণের ছবি যারা দেখেছেন – বেগম খালেদার হাতে বোমা দিয়ে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হল। আশা করছি কিছুটা হলেও নিজেদের অতীত নিয়ে আত্মসমালোচনা করবেন এই পক্ষের সবাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগটি অতীতে যারা ইজারা দিয়ে রেখেছিলেন তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।

বিষয়: রাজনীতি

১০০২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386601
২১ এপ্রিল ২০১৯ বিকাল ০৪:৩২
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : *বিএনপি বা জামায়াতের দার্শনিক জায়গায় বড় শুন্যতা রয়েছে। যৌথভাবে দায়ী দল দুটির শিক্ষিত শুভাকাংখীরা। জাতিকে নিজেদের সাথে, মৌলিক দর্শনের সাথে তুলনা করতে পরেননি।

* এবারের বর্ষবরণের ছবি যারা দেখেছেন – বেগম খালেদার হাতে বোমা দিয়ে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হল। আশা করছি কিছুটা হলেও নিজেদের অতীত নিয়ে আত্মসমালোচনা করবেন এই পক্ষের সবাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগটি অতীতে যারা ইজারা দিয়ে রেখেছিলেন তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
******************************
মাশাল্লাহ। অনেকদিন পর আপনার দক্ষ হাতের চিন্তাশীল লেখনি পেলাম ও পড়লাম। ভাল লাগল। আজ কলমী
যোদ্ধার বড় প্রয়োজন। প্রয়োজন বোদ্ধা লেখকের। একজন নয়। হাজারো কলমী যোদ্ধার। যাদের ক্ষুরধার লেখনি স্রোতের সাথে ভেসে চলা উলঙ্গ সভাতার মানুষদের চিন্তার গতিকে ফিরিয়ে দেবে। জাজাকাল্লাহু খায়ের।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File