গণতন্ত্র,বাকশাল,ফ্যাসিজম-মানসিকতা রুপায়ন পর্ব – ২
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ০৬:১৩:০০ সন্ধ্যা
আগের পর্বে - এটাকে বলা হয় পরাধীনতা। বর্তমান সময়ে এই ব্যাখ্যা করা জরুরী। নতুবা মহা বিপদ।
বিষয়টি নির্ধারনে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আরো জরুরী হয়েছে। নির্বাচনের সময় কিছুদিন দেশে অবস্থানের কারণে একটা উপসংহারে পৌছা বেশ সহজ হয়েছে। মনে প্রাণে বিশ্বাস করি জাতিয় জীবনের এই বড় ফাটল,ফারাক,বিভাজন সবাইকে বুঝতে হবে। সামগ্রিক বিচারে সত্যিকার বাংলাদেশকে আত্মস্থ করে সামনে বাড়তে হবে। আমাদের আলোচনা,চিন্তা,প্রকাশে যা হচ্ছে তা ব্যাধির সঠিক নিরাময় নয়। বরং সামনের দিনগুলো আরো বিপদ ধেয়ে আসছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতায়ন - বৈধ না অবৈধ। গণমানুষের রায় চুরি হল, না ডাকাতি হল। ফ্যাসিজম নতুন করে ক্ষমতায় পাকাপোক্ত হল কি না। একরমই আলোচনায় সময় যাচ্ছে। মূল বিষয় বাদ দিয়ে বিএনপি সহ সবাই প্রায় এক কাতারে। জাতির কান্ডারী জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থীরা যা নিয়ে ব্যস্ত। আমার বিবেচনায় একটা ফিরিস্তি করা যেতে পারে। আপনাদের সংযোগ কামনা করি।
## বিএনপি :- বর্তমান নিয়ে ব্যস্ত জাতিয়তাবাদী শক্তি শুধুমাত্র ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক চিন্তাধারাই হল এই সময়ের প্রধান আসামী। অলীক স্বপ্নে বিভোর বিএনপির নেতারা কখনো দক্ষিন পাড়া আবার কখনো উত্তর পাড়ার দিকে তাকিয়ে কর্মসূচী গ্রহণ করা। বিগত দিনের কর্মসূচী পর্যালোচনা করুন। মিলিয়ে পড়ুন মহাসচিবের দৌড়ঝাপ। দেশের মহান! রাজনৈতিক এতিমদের নিয়ে মহাজট! পাকানো। আদর্শিক জায়গায় দেউলিয়াত্বপনার চরম পারঙ্গমতা দেখানো। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের, যার নামে শিন্নী (জিয়া) তার নাম ভুলেও না নেয়া।
বাংলাদেশের ফ্যাসিষ্ট তথা বাকশাল পরিবারের প্রধানের (মুজিব) নামে অতিমাত্রায় জিকির আজকার করা। অথচ শেখ হাসিনা এই নির্বাচনে ততবার শেখ মুজিবের নাম নেন নি। কারণ তিনি জানেন জাতির অভিজ্ঞতা কি ছিল ৭২ থেকে ৭৫। শেখ হাসিনা জানেন বাংলাদেশের গণমানুষ তার পিতাকে কিভাবে মুল্যায়ন করে। এর জন্য ৯৬ নির্বাচনের আগে নিজে মাফ চেয়েছিলেন জাতির কাছে পিতার মহত!কর্মের। কিন্তু বিপরীতে নেতা কামাল সাহেব কতবার শেখ মুজিবের নাম নিয়েছিলেন? এমনকি ৩০ তারিখ ভোট দিয়ে বের হয়ে মৃত শেখ মুজিবের নামে নসিহত করেছেন শেখ হাসিনাকে। “নির্বাচনে দুই নাম্বারী করলে বঙ্গবন্ধু নাকি? কবরে কষ্ট পাবেন”। শহীদরা খুবই ব্যাথা পাবেন। কি সেল্যুকাস রাজনীতি। অথচ এই কামাল সাহেব সহ বাকিরা ৭৩ সালের নির্বাচনের জীবন্ত ইতিহাস। ৭৩ সালের নির্বাচন যারা দেখেছেন তারা বলেন, এবারের নির্বাচনের তুলনা শুধুমাত্র যোগ্য কন্যা তার পিতাকেই অনুসরণ করেছেন। তখন শেখ মুজিবের লালঘোড়া দাবড়ানোর সময় ছিল। আর এখন আদালতের বিবেকহীন বিচারপতিদের সাথে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনযন্ত্র এবং ভারতীয় গোয়েন্দাদের পরিকল্পনা। বিশ্বব্যাপী কামলা খাটা আমাদের গর্বিত? সেনাবাহীনির শেষ মোহরাংকিত তামাশার নির্বাচন। এখানে দেশ প্রেমিক বা দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রতি কোন আনুগত্য নয়,বরং ভারতের লালিত পালিত এদেশীয় এজেন্টদের (পড়তে হবে বাঙ্গালী চেতনার) দালালীর ফলাফল।
বিএনপির প্রান্তিক নেতা কর্মীরা বা সাধারণ ভোটারের কাছে বাংলাদেশের ফ্যাসিজমের পিতাকে ঐক্যফ্রন্ট আর বিএনপির (কিছু সংখ্যক) নেতাদের মত করে মূল্যায়ন করে না। নির্বাচনে জিয়া বা খালেদা কেউই মুখ্য ছিলেন না। বরং শেখ মুজিবই ছিলেন প্রধান চরিত্র। আমার মতে বড় আকারে বিএনপির সমস্যা হল এই পয়েন্টে। ভারত ও তাদের দেশীয় দালালরা এটাই চায় – জিয়া ছাড়া বিএনপি। বিএনপি থেকে জিয়া ও খালেদাকে মুক্ত করতে পারলে সকল বিবাদ শেষ। তাই বিএনপির সাধারণ নেতা কর্মী ছিলেন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে দোদুল্যমান। নির্বাচনের পর ও একই জায়গায় আটকে আছে বিএনপি। তারেক সাহেবের বিষয় না বলা ই ভাল। কারন প্রশাসন বা আইন সভার সদস্য না হয়েও তিনি বিএনপির কাছে দেশ নায়ক তারেক জিয়া।
বিষয়: রাজনীতি
৮১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন