গণতন্ত্র,বাকশাল,ফ্যাসিজম-মানসিকতা রুপায়ন পর্ব - ১

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:৪৬:০৭ রাত

আমাদের জাতিয় জীবনে ১৯৪৭ সালের মধ্য আগষ্ট একটি পর্যায়। আবার ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারী আরেকটি বাঁক। জাতির পরিণত পর্যায় হল ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর। জাতি নিয়ে একটি মিক্স তর্ক আছে। সেটা হল – বাঙ্গালী না বাংলাদেশী। অবশ্য স্বাধীনতার প্রায় এক শতাব্দীর অর্ধেক পার করে এর ফায়সালা হয়নি।

মোটা দাগে বলা যায় – বাঙ্গালী জাতিয়তা মূলত দক্ষিন ভারতীয় চাপিয়ে দেয়া একটি হিন্দু মিথ। বাঙ্গালী চেতনার দাগী মানুষরা সচেতন ভাবেই স্বাধীনতার প্রশ্নে ভারতীয় স্বার্থের প্রকাশ্য দালাল। তার বড় ইতিহাস রয়েছে। দেশীয় কিছু মানুষ ও পরিবারকে পরিকল্পিত বাছাই করেছে ভারত। স্বাধীন বাংলাদেশে আজ সেই মানুষ ও পরিবারের চলছে জমিদারী। এখন বলা যায় – গনতান্ত্রিকতার মহান! রাজতন্ত্র। আর এখানেই বিভাজনটা শুরু। আম পাবলিক অবশ্য একবার নয়, কয়েকবারই চেষ্টা করেছে এই বিভেদরেখা পার করতে। কিন্তু জাতির মাস্তুলে যারা ছিলেন তারা ততটা শুদ্ধ চিন্তার ছিলেন না। ছিলেন না তারা ততটা প্রয়াসী। বরং সময়ের সাথে তাদের রং পাল্টিয়েছেন মাত্র।

আবার বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদী হল ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ভিতরকার মানুষের চেতনা। তবে এই ধারণাটির রুপায়ণে,প্রকাশে এই ঘরণার মানুষের কোন প্রয়াস নেই। নেই বলতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা বলতে যা বুঝায়। আজকের বাংলাদেশের এই পরিণতির বৃহত কারণ এই জায়গায়।

আবার ৭২ এর ১০ জানুয়ারী থেকে ৭৫ এর মধ্য আগষ্ট পর্যন্ত একটি পর্যায়। আবার তার পরের ইতিহাস ভিন্ন। আমাদের প্রয়াস হবে,বের করা নিজেদের পরিচয়। পরিচয়ের সাথে জাতির মৌলিক ধারণা। সাথে গনতান্ত্রিক মানসিকতা তথা মানবিক সামাজিকতা। এই মানসিকতার স্বায়িত্ব ও আজকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করা। বা গণমানুষের চেতনার তাফসীর জানব একেবারে প্রান্তিক,মধ্যবিত্ত,নব্য উচ্চবিত্ত সামাজিক মানসিকতা থেকে। প্রসঙ্গিক ভাবে অনেক কিছু আসবে যা আমাদের লক্ষে পৌছার দিক বা দিগন্ত স্বাধীন। স্বাধীন হলাম অথচ আমাদের নির্বাচনে বা রাষ্ট্রপরিচালনায় কোন অংশিদারিত্ব নাই। এটাকে বলা হয় পরাধীনতা। বর্তমান সময়ে এই ব্যাখ্যা করা জরুরী। নতুবা মহা বিপদ।

বিষয়: রাজনীতি

৮৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File