মির্জা ফখরুল ইসলামরা কি, আবার ও রাজনীতিতে ভুল করলেন?

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১২ মার্চ, ২০১৩, ০৭:০৮:৩৯ সন্ধ্যা

গত কাল যে ভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ডিজিটাল বাকশালী পুলিশ ধরে নিয়ে গেল।বিএনপির অফিসে ভারতীয় সিনেমা মত করে দৃশ্য জাতি অবলোকন করল। এটাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবশ্যই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বলা যেতে পারে।

১৯৪৭ এর আযাদী আন্দোলন এবং ১৯৭১ এর স্বাধীকারের চুড়ান্ত দিনগুলোতে ও এরকম সিনেমার দৃশ্য বাংগাল কখনো দেখে নাই।

আওয়ামীলীগ ইতিহাস রচনার করার দল।এ কৃতিত্ব দলটিকে দিতে হবে।দলটির একেবারে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবার একই মানষিকতা।সকলের মনোজগতটার গঠন প্রক্রিয়া একই।চিন্তা,চেতনা,মননে সবাই এক।

এবারের ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ সরকার এটা প্রমান করেছে, শেখ মুজিব যেমন বিশ্বাস করতেন, এক নেতার এক দেশ। তিনি ই বাংলাদেশ। আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কারো অধিকার নেই ৫৬ হাজার বর্গমাইলে রাজনীতি করার।

ঠিক তেমন আজকের ডিজিটাল নব্য বাকশালের সরকার ও সেটা প্রমান করেছে সফলতার সাথে। দেশের সব কিছুই আওয়ামীলীগের।

এর নতুন লেভেল হল ডিজিটাল আওয়ামীলীগ।৭৫ এ যার নাম ছিল বাকশাল আওয়ামীলীগ।

৭৫ থেকে ২০১৩ সময়ের বিস্তর ফারাক হলেও আচরনগত দিক থেকে একই সমান্তরাল দলের প্রতিটি নেতা কর্মী।দিন বদল হয়েছে,সময় পার হয়েছে অনেক। কিন্তু আমাদের এই প্রাচীন দলটির মনোজগতটা সেই একই জায়গায় রয়েছে।

তা হল, চিন্তা চেতনায় তারা বাকশালী।

তাই বিএনপির সাথে গতকাল যে আচরন করা হয়েছে তা আওয়ামীলীগের দলীয় চরিত্রেরই বহিপ্রকাশ মাত্র।


কে রাজনীতি করবে,কে দল গঠন করবে,কিভাবে করবে,কোন চেতনা ধারণ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধের ৪১ বছর পর কারা মুক্তিযোদ্ধা হবেন,কাদেরকে রাজাকারের লেভেল পরাতে হবে। ৯০ ভাগ মানুষের আদর্শ ইসলাম কিভাবে পালিত হবে,মসজিদে কি চর্চা হবে, কি হবে না ইত্যাদি ঠিক করবেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তর দল।এটাই আওয়ামীলীগের গনতন্ত্র।

মুক্তিযুদ্ধের সময়, একই সাথে ট্রেনিং নেয়া আব্দুল কাদের মোল্লার ফাসি হবে আর মতিয়া চৌধুরী হবেন মন্ত্রী।এখানে চেতনাটা বড়। মননে আপনি বাকশালী কি না সেটা বড়।

কিন্তু বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব রা একি করলেন?

ভুল করেছিলেন যখন জামায়াতের অফিস গুলো তছনছ করা হচ্ছিল ডিজিটাল দানবদের দিয়ে। তখন বিএনপির নেতৃত্ব অফিসে বসে তারা গবেষনা করছিলেন। ভাবছিলেন আমাদেরকে তো ডিজিটাল বাকশালী তান্ডবের মুখোমুখি হতে হবে না।

দেশের মানুষ বিএনপির মেরুদন্ডহীন (সব নয়) নেতাদের ড্রইংরুমের রাজনীতি থেকে বের হতে আকুলতা প্রকাশ করছিল মাঠে ময়দানে। তখন তারা পল্টনের অফিসকেই বানিয়েছিলেন নিজেদের ঘরবাড়ী।

অথচ বিপরীত চিত্র হল বড় ই অসম। জামায়াত তার সকল সীমাবদ্ধতা নিয়ে গণমানুষের পাশে দাড়িয়েছিল। এবং এখন ও আছে।বর্তমান ফ্যাসিষ্ট ডিজিটাল বাকশালের বিরুদ্ধে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে জামায়াত।সকল নির্যাতন সহ্য করছে। আছে গণমানুষের পাশে। নিজেদের সকল নেতৃত্ব জেল বন্ধি হবার পরও ময়দান ছেড়ে দেয় নি একদিনের জন্য।

হরতাল দিয়ে পার্টি অফিসের সামনে বসে ডিজিটাল পুলিশের সাথে খোশগল্প করার নাম আর যাই হউক,যেমন হরতাল নয় তেমন সেটা আন্দোলন ও নয়?

গতকাল যে সিনেমা প্রদর্শিত হল বিএনপির অফিসে, তার জন্য দায়ী কি শুধু মাত্র শেখ হাসিনা বা ডিজিটাল সরকার?

কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই বলা যেতে পারে, না। কেননা অনেক আগে থেকেই এই সরকারের অবিচার,অনাচার,দুরাচার,লাগামহীন দুর্নিতির বিরুদ্ধে শিরদাড় করে প্রতিবাদ করার প্রয়োজন এবং উচিত ছিল।দায়িত্ব এবং দায়ীত্ববোধ থেকে বিএনপি সে ভুমিকা পালন করে নাই।

আজ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সহ কয়েকজনকে সরকার কিছুটা খাতির করেছে। কিন্তু গতকাল যে আরো বিএনপির নেতা কর্মীকে পুলিশ ধরলো তাদের বিষয়টা কি হল?

মির্জা ফখরুল কি পারতেন না বলতে, আমি আমার নেতা কর্মীদের মুক্তি ছাড়া আমি নিজে বের হব না। অথবা জেল থেকে বের হয়ে জেল গেইটেই গণমানুষকে নিয়ে এই জালিম শাহীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করতে।



আওয়ামীলীগ তার গত চার বছরের সকল পাপ সাফ করার জন্য শাহবাগ নামক একটি প্রজণন কেন্দ্র রচনা করতে পারল। আপনারা কি জেল বন্ধি মজলূম মানুষগুলোর মুক্তির জন্য কয়েকটা দিন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিতে পারলেন না।দেখতেন আরেকটি মিশরের মত তাহরির স্কোয়ার হত।হতে পারতেন আপনারা গণমানুষের নেতা।দলটির উপর ভরসা বাড়তো দেশের সাধারণ মানুষের।


আবার ও কি ভুল করলেন।

কারন যাদেরকে জেলে রেখে এসেছেন তাদের ছাড়া আপনারা পার্টি অফিসে কিভাবে বসবেন।কিভাবে বৈকালিক মিডিয়া আড্ডা দিবেন।

বিষয়: বিবিধ

১৪০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File