জামায়াত নিষিদ্ধ নির্বাহী আদেশেই সম্ভব’ - বুদ্বিজীবি হওয়ার সহজ উপায়

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০৯ মার্চ, ২০১৩, ০৭:১৮:১৩ সন্ধ্যা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি দল যাকে ব্যবহার করে আজকের বাংলাদেশে নানা জন নানা ভাবে উপকৃত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। জামায়াত নিজেকে গণমানুষের কাছাকাছি নিয়ে যেতে যত না ব্যর্থতা দেখিয়েছিল বিগত দিন। ঠিক তার উল্টোটা করেছেন যারা জামায়াতকে অপছন্দ করেন।যারা জামায়াতের রাজনীতিকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে অপারগ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই শ্রেনীর জামায়াত ফেবিয়া, জামায়াতকে গণমানুষের সংগঠনে পরিণত করেছেন।বিষয়টা সত্যিই গবেষণার বিষয়। হয়তো আগামীর ইতিহাস এটা ঠিক করবে।

আমাদের দেশে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবি রয়েছেন যারা মিডিয়ার কল্যাণে জাতীর বিবেক নামে খেতাব পেয়েছেন। যদিও তা মিডিয়ার কল্যাণে।তারা প্রত্যেকেই জামায়াত ও ইসলামের বিরুদ্ধে ক্যম্পেইন ই মুলত লাইম লাইটে আসার মুল কারণ। যদিও আমাদের এই সম্মনিত বুদ্ধিজীবিকুল জামায়াতের এই অবদানকে মুল্যায়ন করেন না।

নাম করা মিডিয়াজীবি যারা (আইকন) তাদের প্রত্যেকেই জামায়াতের কল্যাণে ই আজকের ফ্যসিষ্ট ও গণহত্যাকারী সরকারের এবং বাহিরের প্রভুদের কাছে এত আদরনীয়,গ্রহনীয়।জামায়াত বাংলাদেশের রাজনীতিতে না থাকলে তাদেরকে বাহিরের (খেদকুড়ো) পয়সা পাওয়া যেত না। এবং এনজিও করে চিরদিন চেয়ারম্যন ও থাকা যেত না।

এই তালিকা করতে গেলে আপনারা অসম্ভব আনন্দ পাবেন।কেননা তারা যেমন সাপ হয়ে ছোবল মারেন তেমন ওঝার ভুমিকায়ও অভিনয় করেন।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের একজন সম্মানীত নামকরা ডাকসাইটের বুদ্ধিজীবির কথা।

সুলতানা কামাল চক্রবর্তী।

তালিকার প্রথম হওয়ার মত বৈশিষ্ট এবং প্রধান করা যায় এই ম্যডাম চক্রবতীকে।এই মহান মহীয়শী নেত্রীর বেশ কিছু পরিচয় আছে। তিনি মানবাধিকার নেত্রী।তিনি টিআইবির চেয়ারম্যন।তিনি আবার নারী সংগঠনেরও (এনজিও) চেয়ারম্যন।আবার তিনি কেয়ারটেকারের উপদেষ্টাও ছিলেন। যদিও তার বান্ধবী হাসিনা ওয়াজেদ বলেছিলেন ব্যর্থ উপদেষ্টা।বুদ্ধিজীবি তকমাতো আছেই।

পরিচয় অনেক তাই যখন যা যেখানে লাগে তখন সেখানে সেটা ব্যবহার করেন। ভুল বললাম তিনি ব্যবহার করেন না। বরং আমাদের মহান! বিকৃত সংবাদ মাধ্যমগুলো সেভাবেই লেবেল লাগায়।

যেমন শাহবাগের যাত্রায় গিয়ে অভিনয় করতে হবে সেখানে তিনি মহান! নারী নেত্রী।

যেমন গণদাবী কেয়ারটেকার আন্দোলনের বিরুদ্ধে ফ্যসিষ্ট সরকারের পক্ষে অবস্থান গ্রহন করতে হবে সেখানে ব্যবহার করা হয় সাবেক উপদেষ্টা।

আবার আল্লাহর কুরআনের (ফরাইজ),দেশের ইসলাম মুসলমানের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে সেখানে ভ্রামন্য ও সাম্রাজ্যবাদীদের পয়সায় পরিচালিত এনজিও চেয়ারম্যনের পদ ব্যবহার করা হবে।

আবার জামায়াতের বিরুদ্ধে বিষদগার করতে হবে সেখানে রয়েছে বাকশালী চেতনার আড়ালে দেশের বিরাট!মহান! বুদ্বিজীবির ভাড়া করা উপাধি।

আবার বর্তমান ফ্যসিষ্ট গণহত্যাকারী সরকারের দুর্নিতি,নীপিড়ণ,হত্যা,গুম,লুটের উপর বুদ্ধিবৃত্তিক দুস্যুতা করতে হলে তো আছেই টিআইবির মত প্রতিষ্ঠান।

এভাবেই দেখে আসছি আমাদের এই নেত্রীকে বিগত দিন।


কেউ চ্যলেন্জ করলেই হল। তার পিছনে লাগিয়ে দেয়া হয় সুশীল নামক ভাড়াটে সাংবাদ মাধ্যম গুলোকে।আর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম গুলো করপোরেট মাস্তানের ভুমিকা পালন করছে। সাথে ভ্রামন্যবাদি ও সাম্রাজ্যবাদিদের পেইড এজন্টে তো আছেই।

আমরা সাধারণ বাংগাল। আর যাই কোথায়। হয় মানতে হবে নতুবা সহ্য করতে তথাকথিত স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের নতুন বাকশালী উপাধি।চলছে তো এভাবেই।

বিষয়: বিবিধ

১২৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File