৫ মে গণহত্যা এবং এর নেতৃত্বের প্রতি কিছু প্রশ্ন।
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০৫ মে, ২০১৫, ০৬:২২:০২ সন্ধ্যা
===========================
# বৃহত জনগোষ্ঠীর ঈমান আকিদার প্রতিনিধিত্বকারী আলেম ওলামার রক্ত নিয়ে মহান পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে কে যেন - রং মাখার কথা কে বলেছিলেন?
# আর গণমাধ্যম নামের ৭১ এর চেতনার মিডিয়া বলেছিল - সব অভিনয়?
# ঐ রাতে সাময়িক বন্ধ হওয়া মিডিয়াগুলোর সাহসী মানুষগুলোর কে কোথায় আছেন?
# যে পত্রিকায় প্রথম শাহবাগ ষড়যন্ত্র জাতীর সামনে পেশ করে - তার সম্পাদক এখন কোথায়?
======================
# ৫ মে বিপ্লবের সুচনা যারা করলো তাদের বর্তমান অবস্থা কেমন? তারা কে কোথায়?
# ৫ মে যারা এসেছিল তাদের বর্তমান অবস্থা কেমন? জেল বন্ধী মানুষগুলোর খবর কী?
# গণহত্যা যারা করল তাদের সাথে সহবস্থান করা কোন ঈমানের অঙ্গ?
# আওয়ামীলীগ বা ছাত্রলীগ আমাদের দুশমন নয়? এমন উক্তি কার? কেন? ইতিহাসটা কী?
# দেশের ইসলামী শক্তির ঐক্যের পথে বড় বাধা কারা? ওলামায়ে দেওবন্দ না অন্য গোষ্ঠী?
# গণমানুষের ভরসার জায়গাতে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করল - তারা কারা?
# এত মানুষের আত্মত্যাগের পর যারা সওদাবাজি করল তাদের চেহারাগুলো কেমন?
=============================
# গণহত্যার নায়ক যারা তাদের বিচারের প্রাথমিক কাজ হিসাবে তথ্য সংগ্রহের কাজটা করা হয়েছে?
# রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মা্ধ্যমে যারা আলেমদের হত্যা করল তাদের বিষয়ে নিরবতা কোন ধরণের হেকমত?
# সেক্যুলারদের সাহয্যে পরিচালিত মাদ্রাসাগুলোর বড় বড় ওলামারা আগামীকাল কি জবাব দিবেন? (পরকালে।)
# খেদমতে দ্বীন আর ইকামতে দ্বীন এই দুয়ের ঐক্য করতে প্রধান বাধা যারা - তারা কাদের বন্ধু? তাগুতের বন্ধু হওয়ার মত মারাত্মক গুনাহের কাজ কারা করছেন।
# ৫ মে গণহত্যার প্রধান যখন পবিত্র সংসদে দাড়িয়ে রং মাখার মত ধৃষ্ঠতা দেখায় - কারা এই হত্যাকারীর প্রসংসা করে?
=======================
আমাদের সবার কি উচিত আর কি উচিত নয় তা কি ঠিক করেছি?
বিষয়: বিবিধ
২১৯২ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উত্তর দিতে সাহস নাই!!!!!
যদিও বুদ্ধিমান জ্ঞানী ও দ্বীনি ব্যাক্তিগণ ইতিমধ্যেই এর রহস্য উন্মোচিত করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
শাপলা চত্বরে সংঘটিত নির্মম গণহত্যা বিষয়ে আপনার উপস্হাপিত প্রতি টা প্রশ্ন ঘূরপাক খায় প্রতি জনে! এর উত্তরও জানা আছে বেশ! কিন্তু স্বীয় ঈমানী দূর্বলতা আর জাগতিক স্বার্থে চুপচাপ আজ অধিকাংশ মানুষ!
স্বীয় ঈমানী দূর্বলতা আর জাগতিক স্বার্থে চুপচাপ আজ অধিকাংশ মানুষ!
কিন্তু পরের মাসেই তাদের আরেক সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের চালের কথা তারা বুঝে উঠতে পারে নি । সে সময়ে জানতাম যে ঢাকার এন্ট্রান্স পয়েন্টগুলোতেই হেফাজত অবস্থান নিবে । পরে দেখা গেল যে তাদেরকে ফের শাপলা চত্বেরই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে - সেটা কি না মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মত অবস্থা ।
এরপর যেভাবে সাইজ হল সেটার পর হেফাজতের নেতারা এবং তাদের সাথে আসা মাদ্রাসার পোলাপানরা তাতে তাদের মনে সরকারের সাথে আর কোন ঝামেলায় না যাবার স্ট্র্যাটেজিতে নিয়ে যায় ।
এভাবেই বাংলাদেশে ইসলামী অনুশাসন আনার মত কিছুটা পজিটিভ রুপ যে দেখা দিচ্ছিল তা খুব দ্রুতই মিইয়ে গেছে ।
দেশে এখন ভারতীয় বিধর্মী শিল্পীদের কদর বেশী , ইসলামী স্কলাররা সেখানে ঢুকতে অনুমতি পান না ।
তোমরা ঐ সমস্থ ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের সাথে বন্ধুত্ব করোনা যারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু।
এবং সেক্ষেত্রে হেফজতের আমীর অস্ট্রেলিয়ান এ্যাম্বাসেডর এর সাথে যেমন দেখা করতেন না তেমনি ইউএস এর ফার্স্ট সেক্রেটারীর সাথেও না। কিন্তু যারা ঐ পার্টিকুলার ইয়াহুদী ও খৃস্টান বন্ধুগ্রুপ এর সাথে মিশবে তথা কোন না কোন হেকমত এর আওতায় ও সান্নিধ্য পাবে - সে অবশ্যই আর তার নিজ অস্তিত্বে কিংবা অবস্থানে থাকতে পারবে না।
সো আমার মনে হয় - এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর এর প্রতি জাস্টিস করতে হলে - উপরোক্ত বিষয়টি মাথায় নিতে হবে - নয়তো আমরা আমীর এর প্রতি অবিচার করার সম্ভাবনা আছে।
প্রশ্ন সমূহ অহর্নিশ আমাদের জ্বালায় - আপনি তা উপস্থাপন করেছেন - ভাল লেগেছে দেখতে ও পড়তে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন