আল কোরআনের সম্মোহনী শক্তি ও আমাদের বিচারক সমাজ - ৪
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৫৬:১৩ দুপুর
৩য় পর্বের পর
===========
ওয়ালীদ বিন মুগিরা – আবু জেহেল সহ তখনকার নেতৃত্ব আল কোরআন থেকে সমাজের মানুষদেরকে দুরে রাখার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। আল কোরআনে সেগুলো খুবই চমতকার ভাবে তুলে ধরেছে।
সূরা হামীম আস সাজদাতে বলা হচ্ছে এভাবে -
তরজমা – তোমরা কোরআন শুনবে না এবং কোরআন পাঠের সময় চেঁচামেচি শুরু করবে, তাতে মনে হয় তোমরা বিজয়ী হবে। সূরা হামীম আস সাজদা ২৬।
এখানে আমরা আল কোরআনের সম্মোহনী শক্তির পরিচয় পাই। তাদের ভয় ছিলো যদি সুষ্ঠভাবে আল কোরআন শুনতে দেয়া হয় বা বুঝানো হয় তবে তার প্রভাব শ্রোতার উপর অবশ্যই পড়বে এবং সে রাসূলের অনুসারী হয়ে যাবে।
এবার মিলান – আল্লামা সাঈদী সাহেবের সাজানো রায়। সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা জনাব মাহবুবে আলম রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন – ফাঁসি না হওয়াতে আমি নারাজ। তবে আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রমানিত হল – সাঈদী ধর্ষণকারী, হত্যাকারী।
বিচার হল ১৯৭১ সালের। কিন্তু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন ভিন্ন কথা। যে মানুষটি তার জীবনের ৪৩ বছর আল কোরআনের সঠিক ও সহীহ তাফসীর করলেন। তাকে গণমানুষের সামনে বিতর্কিত করে বলা হচ্ছে তথাকথিত বিচারের সফলতা।
একই কাজ করেছিল আবু জেহেল সহ তার সাথীরা। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একই কথা বলেছেন ১৬ কোটি মুসলমানের পবিত্র সংসদে।
তাহলে কিসের বিচার করা হল।দেল্যু শিকদারের সকল অপরাধ দুই বারের নন্দিত সাংসদের উপর চাপিয়ে দিলেন স্বাধীন আদালত! অবশ্য এর আগে কথিত ট্রাইব্রুনালের রায়ে বলা হয়েছিল - আমরা আজকের আল্লামা সাঈদী সাহেবের বিচার করছি না। বরং ৭১ এর দেল্যু শিকদারের বিচার করছি।
অপরাধ করেছে একজন বিচার হচ্ছে আরেকজনের। তাই দেশের সাধারণ মানুষের বিশ্বাস হল - সজানো রায়ের মূল উদ্দেশ্য হল - কোরআন থেকে মানুষকে দুরে রাখা।
মক্কার তাগুত নেতৃত্ব কোরআন সম্পর্কে গনমানুষকে ভুল তথ্য দিতো। আল কোরআনের ভাষায় এভাবে তাদের আচরণকে তুলে ধরা হয়েছে।
তরজমা – তারা বলে –এগুলো তো পূরাকালের রূপকথা, যা সে লিখে রেখেছে। এগুলো সকাল সন্ধ্যায় তাকে শেখানো হয়। সূরা আল ফুরকান – ৫।
কোরআনের অন্য জায়গায় বলা হচ্ছে এভাবে -
তরজমা – এ কোরআন হল অলীক স্বপ্ন মাত্র। বরং এটি তার মনগড়া কথা। (না) বরং সে একজন কবি।
বাংলাদেশে আল কোরআনে চর্চা কেমন ছিল?
আল্লামা সাঈদী সাহেব তাফসীর শুরু করার পূর্বে কিচ্ছা কাহীনির ওয়াজ মাহফিল হত। হত জশনে জলুশ। হত মাজার ভিত্তিক ঈসালে সাওয়াব। এ সমস্ত মাহফিলগুলোতে আল কোরআনের ব্যাখ্যা (তাফসীর অর্থে) করা হত না। বরং নানান অসমর্থিত কিস্সা কাহিনীর ওয়াজ হত। তাতে আগত মানুষের উপর আল কোরআনের অপ্রতিরোধ্যে সম্মোহনী শক্তির প্রভাব পড়তো না।
বাংলাদেশে প্রথম জামায়াতে ইসলামী মানুষকে সত্যিকার আল কোরআনের দাওয়াত - তাফসীর মাহফিলের মাধ্যমে পেশ করা শুরু করলো। এর প্রধান আকর্ষণ হলেন আজকের মজলুম মোফাস্সীরে আযম আল্লামা সাঈদী সাহেব। এক বছর নয়, এক যুগ নয়, বরং অর্ধশতাব্দী ধরে চললো। চিরন্তন আল কোরআনের সম্মোহনী শক্তির ফলে গণমানুষের উপর প্রভাব পড়তে লাগলো। মানব রচিত মতবাদগুলোর জিয়ানো পুকুরের সমস্ত ভাল ভাল মানুষগুলো বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলনে শরীক হতে লাগলো।
আল কোরআনের মাহফিল গুলোতে মানব রচিত মতবাদগুলোর তুলনামূলক আলোচনায় মানুষ পঙ্গপালের মত ইসলামের দিকে আসতে লাগলো। শুরু হল দেশীয় আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত।
=========
আগামী পর্বে - ৫
বিষয়: বিবিধ
১৪১০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থ বলেছেন, সহমত
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আয়নারে ভাই যত্ন করি সেই বাগানের গাছগুলি,
হয়ত আবার ফুটবে সেথা লাল গোলাপের সেই কলি৷
শুধু মাওলানা সাঈদি সাহেবের কন্ঠই নয় কুরআন শরিফ এর অনুবাদ এবং তাফসির রাখা ও পড়াও এখন সরকার প্রচন্ড ভয় পায়। শুধু কুরআন শরিফের তালিম নিতে আসা মহিলাদের কেও গ্রেফতার করছে এরা।
অসাধারণ লেখনীর জন্য জাযাকাল্লাহু খাইরান আপনাকে......।
মহান আল্লাহ এ জমিনে তার আইন ও বিধান বাস্তবায়নে নিবেদিত জনতা কে হেফাযত ও কবুল করুন, আমিন।
আল্লামা সাঈদি সত্যের উপর আছেন অবশ্যই তার উপর থেকে
মিথ্যা দূরিভুত হবেই হবে ইনশা আল্লাহ। যাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন