আওয়ামীলীগ ও তাবলীগ উভয় স্যেকুলার - একজন ধর্মের আরেকজন রাজনীতির।
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:০৮:০৭ দুপুর
সচেতন মানুষের ধারাণা হল - আওয়ামীলীগ আর তাবলীগ এপিঠ ওপিঠ।
কেউ বলেন - লীগে লীগে মিল অতীতে ছিল - আগামীতে ও থাকবে।কেননা এই দুই দলের উৎসস্থল হল মহান! ভারত। দুই দলের নাটাই হল ভারতের হাতে।
কেউ আবার মনে করেন এর কারন অন্য জায়গায়।
কারন -
তাবলীগের ৬ উসূল মানুষকে মুসলিম হিসাবে গড়তে সাহায্য করে না। বরং তাগুত শক্তির সাহায্যকারী হিসাবে গড়ে।অবশ্য নিচের স্থরে কিছু মুসলমানকে আনুষ্ঠানিক ইবাদতের অভ্যাস তৈরী করে।কিন্তু সামাজিক ভাবে তাবলীগের জনশক্তি প্রতিষ্ঠিত তাগুত - স্যেকুলার শক্তির সহায়তাকারী হয়।
বাংলাদেশের বিগত ৪৩ বছরের ইতিহাস এমন ই।তাবলীগের সাথে আমার দেশের মানব রচিত মতবাদের (আওয়ামীলীগ,বিএনপি,কমিনিষ্ট) সাথে কখনো সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে এমন তথ্য কেউ দিতে পারবে না।
=============
গত সপ্তাহে একজন হাজি সাহেবের সাথে দেখা হল জেদ্দায়। তিনি তাবলীগের মুরুব্বীস্থানীয়। কাকরাইল মসজিদের একটি দায়িত্বে আছেন।
বেশ খোলামেলা আলোচনা হল। ভদ্রলোক আধুনিক শিক্ষিত।
তিনি দাবী করলেন - দেশ স্বাধীন হবার পর তাবলীগের জন্য এত অনুকুল পরিবেশ আর ছিল না।
তিনি আরো দাবী করলেন - বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নিজে তাবলীগের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক।
আমি শুনছিলাম - আমার সাথের এক ভাই যিনি খুবই বিরক্তি ভাব প্রকাশ করছিলেন। আমি স্বাভাবিক থেকেই ভাবছিলাম।
দেশের শিক্ষিত ও সাধারন সমাজ তাবলীগ সম্পর্কে যে ধারণা করেন - তা তো আসলেই সত্য।
===========================
জিজ্ঞেস করলাম - ভাই - দেশে কত লোক তাবলীগের সাথে আছে?
তিনি বললেন - প্রায় তিন কোটি।
আমি বললাম - এই তিন কোটির মধ্যে প্রাপ্ত বযস্ক বা ভোটার হয়তো আড়াই কোটি।
তিনি বললেন - তাতো হবেই।
বললাম - এই আড়াই কোটি মানুষ নির্বাচনে কোন মার্কায় ভোট দেয়।
তিনি বললেন - দেখুন এটা তাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়।
তিনি বললেন - দেখুন - রাজনীতি নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। একজন মানুষ সে কাকে ভোট দেবে এটা তার নিজস্ব বিষয়।
বললাম - বিষয়টা তাহলে জনাবা এমন দাড়ালো।
আওয়ামীলীগ ধর্মের ব্যাপারে স্যেকুলার - আর আপনারা রাজনীতির ব্যাপারে স্যেকুলার। আমার মনে হয় - জনগন আপনাদেরকে এই পয়েন্টে আওয়ামীলীগের দালাল মনে করে।
বললাম - রাসূলের আনুগত্য করার ক্ষেত্রে এই বিভাজন কোন ফতোয়ার ভিত্তিতে করছেন। আপনাদের কাছে এর দলীল আছে? অথচ মহান আল্লাহ কোরআনে একেবারে মুহকাম (স্পষ্ট) নির্দেশ দিয়েছেন। সূরা আল হাশরের ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে।
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّـهَ ۖ إِنَّ اللَّـهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
তরজমা - রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। সূরা আল হাশর আয়াত ৭।
এই আয়াতের প্রতি তাবলীগের জামায়াতের আ’মাল কি রুপ। রাসূরের ২৩ বছরের জীবনে যেমন দাওয়াতি পর্ব ছিল ঠিক তেমনি রাষ্ট্র পরিচালনার মত রাজনীতি ছিল।
আরেকটি আয়াত যা রাসূলের আনুগত্যের মধ্যে আল্লাহর ভালবাসা পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বলা হয়েছে।
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّـهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّـهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّـهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
তরজমা - বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।সূরা আল ইমরান ৩১।
আমার শ্রদ্ধেয় মানুষটি আয়াত দুটি বলার পর মনে হল প্রসঙ্গ পাল্টাতে চাইলেন। আমি আর তাকে বিবৃত করতে চাইনি।খাওয়া দাওয়া করে বিদায় নিলাম।
=======================
বিষয়: বিবিধ
১৩৬১ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আপনার দোয়া প্রয়োজন। এই বিষয়ে আপনার লেখা চাই।
আপনার জন্য ভার্চুুয়াল উপহার
যুক্তিসম্বলিত পোষ্টটি চিন্তাশীলদের জন্য অনেক খোরাক রয়েছে। সত্যি কথাটাই তুলে ধরেছেন। এসব লোকগুলো মুলত ইসলাম বিরোধী শক্তির দোসর। ধন্যবাদ।
এজন্যই হয়ত ওনারা কুর'আন পড়তে উৎসাহ দেয়না। যদি গোমড় ফাঁস হয়ে যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন