প্রগতিশীল লাইব্রেরী ও মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বই।
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩৬:১৭ দুপুর
এক)
নিজের পছন্দের বই কিনবো।এক দুই করে অনেকগুলো লাইব্রেরী ঘুরলাম। সাথে প্রিয় (হাফ) উকিল, আমার ভাই।সে বেশ বিরক্ত। কারন তার ব্যস্ততা আমার মত চার জনের সমান।তবে কখনো সে তা বুঝতে দেয়নি। আমার চাওয়াটাকেই বেশী গুরুত্ব দিয়েছে।
বই কিনতে এত সময় খরছ করা বর্তমান সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের জন্য শতভাগ অপচয়।কারন তাদের সময়ের খুবই অভাব।মনে হল বই পড়ার জন্য কারোর সময় নাই।
যাক - লাইব্রেরীর নামের চাইতে বড় করে দরজায় লেখা "প্রগতিশীল পাঠকের জন্য"। আমি দেখে বললাম - ভাই এই সাম্প্রদায়িক লাইব্রেরীতে আমি প্রবেশ করব! কিভাবে? আমি তো নিজেকে প্রগতিশীল মনে করি না।
ভাই বলল - সমস্যা হবে না - ভিতরে - চলুন। দরজায় জুতা খুলতে হয়।তাই করলাম।
লাইব্রেরীর বিক্রেতা কে তা বুঝলাম না। দেখলাম বেশ কয়েকজন ছাত্র নিবিষ্ট মনে বই পড়ছে। আমরা যেভাবে প্রবেশ করলাম ঠিক সেভাবে ই আবার প্রস্থান করলাম।প্রগতিশীল এই লাইব্রেরীর প্রায় ৯০ ভাগ বই পশ্চিম বাংলার লেখকদের।বাকি ১০ ভাগে আছেন বাংলাদেশের - ডঃ আহমাদ শরীফ,ডঃ হুমায়ুন আহমদ,নির্মুলেন্দু গুন সহ তাসলিমার মত চরম প্রগতিশীল লেখক। অবশ্য বেচারা জাতীয় কবি নজরুলকে পেলাম না।
দুই)
অনেক দিন দেশে যেতে পারিনি।দেশ থেকে বন্ধু বান্ধবরা বই নিয়ে আসতেন।তাই আলাদা একটা আবেগ কাজ করছিল।
নিজের পছন্দের বই কিনবো।বেশ কয়েকটা লাইব্রেরীতেই গেলাম। কিন্তু সবাই নিরাশ করলো। আমি মজলূম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বই খুজছিলাম। একজন বললেন - আপনি প্রকাশ্যে এভাবে মাহমুদুর রহমানের বই খোজবেন না।সমস্যা হতে পারে।
একটা বিষয় আমার কাছে খুবই মজা লাগলো - সিলেট এবং ঢাকার সব লাইব্রেরীতে শেখ মুজিবের জীবনী নিয়ে নানান প্রকারের বই।পরিচিত অপরিচিত লেখকদের লেখা।শেখ মুজিব সম্পর্কে লেখা কয়েকটি বই দেখলাম। সময় করে পড়ার চেষ্টা করলাম।মনে হল - আমাদের গর্বের ৭১ নিয়ে যেভাবে প্রগতিশীলরা ব্যবসা করছে।প্রগতিশীল বাকশালীরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেভাবে প্রতারণা করছে। ঠিক তেমনি শেখ মুজিবকে নিয়ে ও চরম ব্যবসা হচ্ছে।আর এই কাজটা করছে সমাজের এমন মানুষগুলো যারা নিজেদেরকে প্রগতিশীল ঘরনার মনে করে।
মাহমুদুর রহমান একজন সম্পাদক। বাংলাদেশে কত শেওলা পড়া সম্পাদক আছেন।নিজেরা লিখে মাহমুদুর রহমানকে সঠিক জবাব দিতে পারতেন। এটাই নিয়ম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই এক ব্যক্তিকে পরাস্ত করতে কথিত প্রগতিশীলরা নিজেরা যা করলো - তাতে নিজেদের দেউলিয়াত্বই প্রমান করল।
মজলুম মাহমুদুর রহমানের মত এরকম আরো অনেক আছেন যাদের বই লাইব্রেরীতে পাওয়া যায় না। লাইব্রেরীর মালিকদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে।
=================================
বিষয়: বিবিধ
২৩৪৩ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মজলুম মাহমুদুর রহমানের মত এরকম আরো অনেক আছেন যাদের বই লাইব্রেরীতে পাওয়া যায় না। লাইব্রেরীর মালিকদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে।
ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ
প্রগতিশীল বাকশালীরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেভাবে প্রতারণা করছে। ঠিক তেমনি শেখ মুজিবকে নিয়ে ও চরম ব্যবসা হচ্ছে
জাযাকাল্লাহ
এই অদ্ভুদ প্রগতিশিল লাইব্রেরি টা কোন খানে????
যারা নিজের মতের বাইরে অন্য বই পড়তে বা বিক্রি করতে পারেনা তারা কি করে নিজেদের প্রগতিশিল ও মুক্তমনা দাবি করে!!
মাহমুদুর রহমানের বই শুধু কিছু লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়। তাও বললে বের করে দেয়। হায়রে দেশ!!
যে অবস্থা দেখছি তাতে কিছুদিন পর কুরআন শরিফ পড়াও বেআইনি ঘোষিত হতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন