প্রকৃত জ্ঞানী ও জান্নাত প্রত্যাশী মু'মিনের চরিত্র (সূরা আর রায়াদ ১৯ থেকে ২৪)।পর্ব পাঁচ।
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ২০ আগস্ট, ২০১৪, ০১:৫৮:২১ দুপুর
পর্ব-পাঁচ
وَالَّذِينَ يَصِلُونَ مَا أَمَرَ اللّهُ بِهِ أَن يُوصَلَ وَيَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ وَيَخَافُونَ سُوءَ الحِسَابِ
তরজমা - এবং যারা বজায় রাখে ঐ সম্পর্ক, যা বজায় রাখতে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন। স্বীয় পালনকর্তাকে ভয় করে এবং কঠোর হিসারের আশঙ্কা রাখে। সূরা আর রায়াদ - আয়াত ২১।
# আয়াতটির আলোকে যে কয়টি বিষয় আলোচনা করা যায়।
# ক) মানুষ এবং ঈমানদার হিসাবে ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির সম্পর্ক কত প্রকার, কত ভাবে হতে পারে?
# খ) সম্পর্কের দ্বীনি এবং সামাজিক গুরুত্ব,শরয়ী মর্যদা কী?আবার আধুনিক বা বিজ্ঞানের নতুন সব উপকরণ আমাদের চিরায়ত সম্পর্কগুলোর জন্য হুমকি না নেয়ামত।
# গ) সম্পর্কের ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করতে হবে কেন? এর সাথে সামাজিক স্থিতি এবং শান্তির সম্পর্ক কী?
# ঘ) সম্পর্কের সাথে নিজের জীবনের হিসাব দেয়ার সম্পর্কই বা কি?
বিবেচনা করুন -
মক্কার ১৩ বছরে যারা ইসলাম গ্রহন করেছিলেন। তাদের সংখ্যা কত ছিল?খুব বেশী হলে ১৫০ থেকে ২০০র মত হবে।সমাজের একেবারে প্রান্তিক যে মানুষগুলো ইসলাম গ্রহন করেছিল। তাদের সামাজিক অধিকার কেমন ছিল। তাদের ব্যক্তি,পারিবার ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তখন কি কি ভুমিকা পালন করা হয়েছিল।আবার ক্ষুদ্র সামর্থের সেই মানুষগুলো নিজেদের মধ্যে কেমন করে অধিকার চর্চা করতেন।অধিকার প্রাপ্তি এবং আদায় এগুলোর জন্য কোন অথরিটি ছিল?
বিষয়গুলো বিবেচনা করলে আমাদের অবস্থার পরিবর্তন হতে বাধ্য।
তুলনা করুন -
দেশে প্রায় ৩০ হাজারের বেশী এনজিও কাজ করছে। দেশের আলেম ওলামা পীর মাশায়েখদের সম্পদের বন্টননীতি কেমন? মসজিদ ভিত্তিক সামাজিক অধিকারগুলো টার্গেট করে যদি আলেম ওলামা পীর মাশায়েখরা কাজ করতেন তাহলে সমাজের চেহারা কেমন হত। পীরের মুরীদ লাখে লাখ।
সামাজিক কোন দায়িত্ব পালনে আমাদের সম্মানীত পীর মাশায়েখরা কতটুকু সচেতন?
'ইবনুস সাবিল' এটা কোরআনের একটা পরিভাষা।যার আক্ষরিক অর্থ হল - রাস্তার ছেলে। যদিও মোফাস্সীরীন এটার ব্যাখ্যা করেছেন অন্য ভাবে। সেটা সঠিক ছিল। বর্তমান সময়ে এর ব্যাখ্যা অন্য ভাবে হতে পারে।
বাংলাদেশে ইবনুস সাবিলের সংখ্যা হল প্রায় ১০ লাখ। এই তথ্যটি আমাকে দিয়েছেন একজন এনজিও প্রধান। যিনি পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করেন।আমি যখন বললাম - এই টার্মটা কোরআনের।তখন তিনি আমার কথা বিশ্বাস করতে চাইলেন না। তার পর তাকে দেখাতে হল। অথচ আমার এই পরিচিত মানুষটি আলেম ওলামাদের যথেষ্ট সম্মান করেন। তিনি আমার কাছে আফসোস করলেন। কেউ তাকে কখনো বলেনি।
আলোচিত আয়াতের শিক্ষা ঈমানদাররা সঠিক ভাবে পালন করতেন - তাহলে এনজিও নামের সাম্রাজ্যবাদী দৈত্য আমাদের মৌলিক বোধ বিশ্বাসে আঘাত হানতে পারতো না।
আজকের আমাদের রাজনীতি,অর্থনীতি,সামাজিক রীতিনীতির কন্ট্রোল পাওয়ার বিদেশী তল্পিবাহকদের হাতে যেত না।
সমাজের সকল শ্রেণীর অধিকার পৌছে দেয়ার কড়া নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।পরকালে জবাবদিহিতার কথা বলা হচ্ছে।
ঈমানদার হতে হলে এগুলো করতে হবে।
=========
আগামী পর্বে
পরকালে জান্নাত প্রত্যাশীদের জন্য মৌলিক তিনটি গুন।
====================================
বিষয়: বিবিধ
১৫০২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন