প্রকৃত জ্ঞানী ও জান্নাত প্রত্যাশী মূ'মিনের চরিত্র।(সূরা আর রা'য়াদ ১৯ থেকে ২৪)। পর্ব তিন।

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১৫ জুলাই, ২০১৪, ০৭:৩০:২৬ সন্ধ্যা

তিন)

# আলোচনার সুত্র -

পবিত্র কোরআনুল কারীমের তের নাম্বার সুরা হল আল’রায়াদ। ১৯ থেকে ২৪ নাম্বার আয়াতে জন্নাত প্রত্যাশী মুসলমানদের চরিত্র বর্ণনা করা হয়েছে।আমাদের মতে প্রকৃত জ্ঞানী মানুষের চরিত্র কেমন হবে তা বর্ণনা করা হয়েছে।

আয়াতের তরজমার সাথে আয়াত ভিত্তিক কিছু পয়েন্ট যোগ করা হল।এগুলো সম্পুর্ণ আমার নিজের ভাবনা। তাই ভুলগুলো একান্ত আমার।

ঠিক এরকম ফরমেটে নয়। বরং আরো বিস্তারিত ভাবে আল্লামা আলী সাবুনীর ৫ খন্ডের একটি কিতাব রয়েছে।তিনি উম্মুল ক্বোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। সফওয়াতুত তাফাসীর নামে ৪ খন্ডে একটি তাফসীর আছে। যে তাফসীরকে আমি মনে করি সোর্স এবং আধুনিক তাফসীর সমুহের হ্যান্ড নোট। তাফহীমুল কোরআন এবং শহীদ কতুবের তাফসীর না পড়তে পারলে "সফওয়াতুত তাফাসীর" পড়লে একই প্রয়োজন পূরণ হবে। অবশ্য এই আন্দোলনমুখী তাফসীর নিয়ে আরব আলেমদের কিছু সংখ্যক খুবই প্রান্তিক মন্তব্য করেন। যাই হউক আমি কিছুটা অনুসরণ করেছি আল্লামা আলী সাবুনীকে।

====================================# আয়াত ভিত্তিক তরজমা ও বিষয়বস্তু -

أَفَمَن يَعْلَمُ أَنَّمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَبِّكَ الْحَقُّ كَمَنْ هُوَ أَعْمَى إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُوْلُواْ الأَلْبَابِ

তরজমা - যে ব্যক্তি জানে যে, যা কিছু তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা সত্য, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান, যে অন্ধ (?) তারাই বোঝে, যারা বোধশক্তিসম্পন্ন। সূরা আর রা'য়াদ আয়াত ১৯।

# আয়াতটির আলোকে যে কয়টি বিষয় আলোচনা করা যায়।

# ক) প্রকৃত আলেমের পরিচয় কি? শুধুমাত্র মাদ্রাসায় পড়ুয়া ব্যক্তিরাই কি আলেম?আলেম কত প্রকার হতে পারে?

# খ) জ্ঞান বলতে কোন জ্ঞানের কথা বুঝানো হয়েছে? জ্ঞানীদের পরিচয় এবং কোন জ্ঞান মানুষকে সত্যিকার মানুষ বানাতে সাহায্য করে।

# গ) উলুল আলবাব আর উলুল আমরের অর্থ কী? আমাদের সমাজে কাদেরকে উলূল আমর বা উলূল আলবাব বলা যাবে? আবার ইসলামী রাষ্ট্রে তাদের অবস্থান কী?

বিবেচনা করুন -

যখন এই আয়াতটি নাযিল হয় - তখন ঐ সমাজে যারা নিজেদেরকে বড় জ্ঞানী মনে করতো,শিক্ষিত,সমাজের আলোকিত মানুষ মনে করতো। তাদের বিপরীতে কালো হাবসী গোলাম হযরত বিলাল (রাঃ) কে তুলে ধরেছেন মহান আল্লাহ।

তুলনা করুন -

আমাদের সমাজের জ্ঞানী মানুষদের চরিত্র? তাদের আচার আচরণ এবং বৃহত্তর গণমানুষের ঈমান আকিদার বিপরীত অবস্থান গ্রহন করা।সহজ ও বাজারী কিছু স্লোগান দিয়ে সমাজের বিবেক সাজার চেষ্টা যেমন অতীতে করা হয়েছে - আজও তা একই শ্রেনীর লোকেরা করছে।

সামগ্রিক বিচারে এই শ্রেনীভুক্ত মানুষদের যতই ডিগ্রি হউক না কেন -দ্বীনি বিচারে তারা মুর্খ এবং সুবিধাভোগী।

====================================

আগামী পর্বে =

বিষয়: বিবিধ

১৪১৩ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

244930
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:০২
বাজলবী লিখেছেন : জাজাক অাল্লাহ খায়ের।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৫
190269
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে ও উত্তম পুরস্কার দান করুন।
244938
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:৩১
সন্ধাতারা লিখেছেন : It is a wonderful discussion in the light of holy quran. Jajakalla khairan.
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:০৩
190296
সন্ধাতারা লিখেছেন : Are you expecting corrective discussion from me?!!! Vhaiya
244972
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার জন্য ও একই কামনা রইল। আশা করছি সংশোধনীমূলক পর্যালোচনা মন্তব্য পাবো।
244996
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অতিজ্ঞানি ব্যাক্তিরা অনেক সময় অতি মুর্খ ও হয়ে যায়। ডঃ মুহাম্ম শহিদুল্লাহ একটি কথা প্রায় সময় বলতেন যে একজন শিক্ষিত মানুষ রিডিং,রাইটিং আর এরিথমেটিক এই তিনটি আর এর সাথে রিলিজিয়ন যুক্ত না করে তাহলে সে একটি বড় আর মানে রাস্কেল এ পরিনিত হয়। আজকে সমাজে এরকম জ্ঞানি ব্যাক্তিতেই ভর্তি।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ব্যাখ্যাটির জন্য।
১৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
190690
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : মাশাআল্লাহ খুবই সুন্দর মন্তব্য। আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।
245103
১৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:৫৮
শেখের পোলা লিখেছেন : সহমত৷ আগামী পর্বের অপেক্ষায়৷
245493
১৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইর।
245546
১৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:২৭
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : জ্ঞানী যত ডিগ্রীধারীই হোক না কেন আচার আচরণে মূর্খের কাতারে চলে আসে। ভাল লাগল। আগামী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
256372
২০ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:০৬
আফরা লিখেছেন : জজাকাল্লাহ খাইরান ।
256662
২১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File