প্রকৃত জ্ঞানী ও জান্নাত প্রত্যাশী মু'মিনের চরিত্র - সূরা আর রা’য়াদ ১৯ থেকে ২৪। পর্ব দুই
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১৪ জুলাই, ২০১৪, ০২:২৭:৫৫ রাত
পর্ব দুই -
# আমাদের পরিচয় - ভৌগলিক সীমারেখার ভিত্তিতে আমরা বাংলাদেশী। ভাষার ভিত্তিতে আমরা সবাই বাংগালী। এ দুটি পরিচয়ের পূর্বে আমাদের বড় একটি পরিচয় হল 'মুসলমান'।
এ পরিচয় ভাষা,ভৌগলিক সীমা ছাড়িয়ে আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে একটি উম্মার সদস্য হিসাবে পরিচিত করে। বাংলাদেশে এ নিয়ে অনেক রাজনৈতিক বিতর্ক রয়েছে।মূলত আমাদের এই পরিচয়্সংকট আরো বড় আকারে তুলে ধরা হয়েছে নতুন প্রজন্মের সামনে।
আরবীতে একটি বহুল প্রচারিত প্রবাদ আছে - ‘যে নিজেকে ভাল করে চিনতে পারলো সে তার মালিককে চিনতে পারলো।’ যখন একজন মানুষ তার পরিচয় জানতে পারবে - সঠিক ভাবে তখনই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য জানতে পারবে।
চিন্তার জগতের এই দৈনতা তৈরী করেছে মানব রচিত মতবাদগুলো।স্যেকুলার এবং জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা এই ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। নিজেরা মুসলমান হয়েও এই বিষয়গুলোকে আমরা কখনোই গুরুত্ব দিতে চাই না। অথবা নিজেদের স্বার্থ আদায় বা রক্ষার জন্য শয়তানের গোলামী করি।
তবে বাস্তবতা হলো আমাদের প্রথম এবং শেষ পরিচয় 'মুসলমান'। আত্মবিশ্বাসী মুসলমান কখনো ই পরিচয়ের ক্ষেত্রে হিনমন্যতায় ভুগে না।
অবশ্য পৃথিবী নামক গ্রহের বাসিন্দা হিসাবে সবাই মানুষ। মানুষ হিসাবে সবাই সমান এবং অধিকারের সীমারেখা ও এক।মানুষ,মানুষত্য,মানবতা ইত্যাদির সঠিক এবং ভারসাম্যপূর্ণ পরিকল্পিত নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। ইসলামের মানবতার দিকটি যেভাবে উপস্থাপিত আছে আমাদের সামনে তার মধ্যে রয়েছে সমুহ সমস্যা অপুর্ণতা।
এ জন্য “মানুষ্যত্যের পূর্ণ বিকাশ তখনই সম্ভব - যখন সত্যিকার অর্থে একজন মানুষ পূর্নাংগ মুসলমান হবে।”
একজন সফল মানুষ তথা মুসলিম (মুমিন) কি গুন অর্জন করলে জান্নাতে যেতে পারে। পরকালীন শান্তি ও নাযাতের জন্য আমাদেরকে কুরআন ও হাদীস থেকে এই বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন।অবশ্য এর সুফল পাবার জন্য আমাদের বাস্তব জীবনে তা মানতে হবে। জ্ঞানের বিকাশ,প্রকাশ পায় চরিত্রে। চরিত্রের দোটানা বা দুদোল্যমান অবস্থানকে ইসলামী পরিভাষায় বলা হয় মুনাফিক। মানুষ তখনই সবচেয়ে নিম্ন শ্রেণীতে পতিত হয় যখন সে মুনাফিক চরিত্রের হয়।মুসলিম সমাজের চারিত্রিক এই অবস্থার কারনে আজকের এই পরিস্থিতি।
আলোচিত আয়াতগুলোর ভিত্তিতে আমাদের আলোচনা এগিয়ে যাবে। আশা করছি আপনাদেরকে সাথে পাবো।
আগামী পর্ব - আলোচনার সুত্র এবং আয়াত ভিত্তিক বিষয়।
====================================
বিষয়: বিবিধ
১৩০৮ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহ খাইরান ।
"দোটানা চরিত্র"-ও একটা চরিত্র বটে! সেটা অনেকসময় "সিদ্ধান্থীনতা"র কারণে ঘটতে পারে!
কিন্তু বর্তমান তথাকথিত মুসলিম শাসকদের তো কোন চরিত্রই দেখিনা- মুনাফিকরাও এদেরকে দলে নেবেনা মনে হয়!!
মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যাতে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে না পারে সে জন্যই আমাদের জাতিসত্বার আসল পরিচয় নিয়ে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই কিছু আত্মবিকৃত মতলবাজ দান্ধাল জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবি নামের ভাড়াটিয়ারাই বিভাজন সৃষ্টি করে রাখতে চায় বাংগালী এবং বাংলাদেশী বিতর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে। এদেশে জন্ম গ্রহণ করে, মুসলিম পিতা মাথার ৗরষে গর্ভধারণ করেও যারা মুসলিম জাতি সত্বাবোধকে অশ্বীকার করে নিজেদেরকে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দেয় তাদের মাথা আছে, কিন্তু মগজ নেই। এসব লোকগুলোর মাথায় মগজ না থাকার কারণে নিজেকেও ভালভাবে চিনতে পারে না। নিজের সৃষ্টাকে কিভাবে চিনবে? এ কারণেই তো এসব স্লোগানধারীদের বেশীর ভাগই নাস্তিক অথবা সেমি নাস্তিক সেকিউলারপন্থী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন