প্রকৃত জ্ঞানী এবং জান্নাত প্রত্যাশী মু’মিনের চরিত্র -সূরা আর রায়াদ - ১৯ থেকে ২৪। পর্ব এক।

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৯:২০:১০ রাত

এক)

# ভুমিকা - সকল প্রসংশা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের। দরুদ ও সালাম বিশ্ব নবী - বিশ্ব নেতা মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামের প্রতি। মানুষ হিসাবে আমাদের প্রত্যেকেরই একটি দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বটা হলো “মানুষত্যের পূর্ণ বিকাশের জন্য একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা”

আবার ইবাদত বলতে কিছু গত বাধা আনুষ্ঠানিকতা নয়। বরং জীবনের সকল দিক এবং বিভাগে আল্লাহ দেয়া জীবন বিধান মেনে চলা। মানবতার বন্ধু মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রেখে যাওয়া আদর্শ ভিত্তিক - ব্যক্তি,পরিবার, ও সমাজ পরিচালনা করার নাম ইবাদত।

জীবনকে খন্ডিত করে কেউ মুসলমান থাকতে পারে না। কালেমার দাবী হলো মানুষের সামগ্রিক আনুগত্য। আল্লাহ দাসত্ব ও রাসুলের আনুগত্যের মধ্যেই প্রকৃত মুসলমানিত্ব। আমরা যে কেউ তা উপেক্ষা করতে পারি না। এড়িয়ে চলা ও সম্ভব নয়।

কেননা -

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুন্দর একটি আবয়ব দিয়ে পাঠিয়েছেন দুনিযায়। জীবন ধারনের জন্য অসংখ্য অগনিত সুযোগ সুবিধা দিয়ে ভরপুর করে রেখেছেন। এই দুনিয়ার লাখো কোটি বনি আদমের চাইতে আমাকে আপনাকে সম্মানীত করেছেন। পরিবার পরিজন দিয়ে ভালো রেখেছেন। সেই মালিক (মা’বুধ) কে ছেড়ে আমরা কিভাবে বাঁচতে পারি?

সতত ভাবে যুক্তি আর বিবেকের দাবী হল - আমাদের জীবনের সকল কর্ম পরিচালনা করতে হবে আল্লাহর নির্দেশিত পথে। আদর্শ হিসাবে বিশ্ব নেতা বিশ্ব নবী (সাঃ) কে একমাত্র অনুসরনীয়, অনুকরনীয় মডেল হিসাবে মানতে হবে। এরই মধ্যে রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের চরম সফলতা।

অবশ্য আমরা আমাদের জাগতিক প্রায় সকল বিষয় অবচেতন মনে মহান আল্লাহর নির্ধারিত পন্থায়,নিয়মেই চলি।এটা শতকরা হিসাব করলে দেখা যাবে - ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কাজই করি আল্লাহর দেয়া নিয়মে। অবশ্য বস্তুবাদি চিন্তকরা এই নিয়মকে বলেন - ‌‍'প্রাকৃতিক আইন'। আর বিশ্বাসী মানুষের কাছে তা হল আল্লাহর আইন বা নিয়ম।মানুষ তার বিশ্বাস বা দৃষ্টিভংগী দিয়েই পরিচালিত হয়।ফারাকটা এই জায়গায়।কোরআন যাকে বলেছে "সুন্নাতুল্লাহ"।

====================================

বিষয়: বিবিধ

১১৪০ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242679
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:৪৭
আফরা লিখেছেন : ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান ।এটাকে পুরোপোরি ভাবেই মানতে হবে আংশিকভাবে মানার কোন অবকাশ নেই ।
অনেক সুন্দর আর শিক্ষাতে ভরপুর একটা পোষ্ট পড়লাম । আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন ।আমীন ।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৫৮
189879
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনি পড়ে মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
আগামী পর্বে আমাদের সাথে আছেন মনে করি।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৫৮
189880
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনি পড়ে মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
আগামী পর্বে আমাদের সাথে আছেন মনে করি।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৫৮
189881
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনি পড়ে মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
আগামী পর্বে আমাদের সাথে আছেন মনে করি।
242684
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:০৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : ছোট কিন্তু তথ্যবহুল চমৎকার শিক্ষণীয় একটি পোষ্ট। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৫৯
189882
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে ও জাযাকাল্লাহ।
242694
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ছোটট্ট ভূমিকাটুকুই অনেক শিক্ষনিয়। অনেক ধন্যবাদ।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:০০
189883
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকেও মোবারকবাদ।
242695
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:০৫
আবু জারীর লিখেছেন : আমরা নামায রোযা করি ঠিকই কিন্তু কেন করি এবং এর উদ্দেশ্যই বা কি তা অনেকেই জানিনা।

নামায রোযার মূল উদ্দেশ্য বুঝে যদি আমল করা যেত তাহলে দুনিয়ায় আমাদের আগমনের উদ্দেশ্য সফল হত।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:০১
189884
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : এই সফলতার জন্য ই আমাদের সকলের প্রয়াস হওয়া উচিত। আপনাকে মোবারকবাদ।
242701
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:২২
মাটিরলাঠি লিখেছেন : "সকল প্রসংশা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের। দরুদ ও সালাম বিশ্ব নবী - বিশ্ব নেতা মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামের প্রতি। মানুষ হিসাবে আমাদের প্রত্যেকেরই একটি দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বটা হলো “মানুষত্যের পূর্ণ বিকাশের জন্য একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা।” Rose Rose

জাজাকাল্লাহু খাইরান। Good Luck Good Luck

১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:০২
189885
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : মহান আল্লাহর নিকট একই কামনা করি। দোয়া করবেন আমাদের সকলের জন্য।
242732
০৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩৫
শেখের পোলা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান৷
244482
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:০৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার জন্য একই কামনা। দোয়া চাই।
256651
২১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
আহমদ মুসা লিখেছেন : আসলেই ইবাদত বলতে গতবাধা কিছু আচার অনুষ্ঠান সর্বস্ব কিছু নিয়ম-কানুন নয়। সৃষ্টি তার স্রষ্টার প্রতি পূর্ণ আনুগত্যের নামই হচ্ছে এবাদত। সাধারণ মুসলমানদের অধিকাংশই দৈনন্দিন পালনীয় নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত এবং ঈমানকেই এবাদত এক মাত্র এবাদত হিসেবে মনে করে থাকে। অথচ এর মধ্যে যদি সৃষ্টি হিসেবে স্রষ্টা তথা আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের কোন নিদর্শন না থাকে, মাখলুক হিসেবে তার রবের প্রতি আত্ম সমর্পণের জন্য অন্তরে তাগেদাই না থাকে তবে এসব আনুষ্ঠানিক এবাদতগুলো আচার অনুষ্ঠান সর্বস্ব কিছু রীতি রেওয়াজ হিসেবে পরিগণিত হবে। এজন্যই হয়তো মহান আল্লাহ তায়ালা এসব এবাদত বন্দেগী পালনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কিছু নিয়ম কানুন সৃষ্টি করে দিয়েছেন। যেমন আমরা নামাজ আদায় করা একটি ফরজ এবাদত। কিন্তু কোন কোন সময় যেমন দিবসের নির্দিষ্ট তিন সময়ে এবং নারীদের বিশেষ সময়ে নামাজ না পড়াই হচ্ছে স্রস্টার প্রতি আনুগত্যের নিদর্শন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File