এরশাদ মুজুমদারের কলাম থেকে ইঊরেকা পেলাম
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:০৮:৫২ দুপুর
গত ২৩.০২.২০১৩ তারিখে রাস্তা থেকে বলছি নিয়মিত কলামে সিনিয়র সাংবাদিক কবি ও ঐতিহ্য গবেষক জনাব এরশাদ মুজুমদার চেতনার প্রকার দিয়েছেন। গত পোষ্টে এ নিয়ে বড় মানষিক যাতনায় ছিলাম।
আমার নিজের কিছুটা হলেও শান্তনা হয়েছে।কেননা আমার নাগরিক অধিকার পেতে হলে আমাকে এই চেতনার ধারক বাহক হতে হবে। আপনারাও চিন্তা করতে পারেন ভবিষ্যৎ চিন্তায়।
কলামটির সংক্ষিপ্তসার হল এই।
চেতনা কাহাকে বলে?
এ পর্যন্ত যা শুনে এসেছি বা জেনে এসেছি তাতে মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ যারা করেনি বা দেখেনি তাদের জন্যই নাকি শাহবাগের এই বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
চেতনার যাত্রা
চেতনা শব্দটি চালু করেছে আওয়ামী লীগ ও সেই ঘরানার বুদ্ধিজীবী ও গবেষকেরা। এর মানে হলো আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অথবা শুরু থেকেই আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধা তেমন ছিল না। চেতনা জিনিসটা কী তা আপনি স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করতে পারেন।
কেউ বলেন, আওয়ামী লীগকে সমর্থন করলেই আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ হতে পারেন। চেতনার এটা একটা ধাপ।
অপর ধাপটি হলো আপনাকে ধর্মহীন হতে হবে। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় সেকুলারিস্ট। মানে ধর্মে যার কোনো আগ্রহ নেই। ধর্ম বাদ দিয়ে জীবন চালাতে চান।
তৃতীয় ধাপ হলো রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে অথবা রাষ্ট্রকে ধর্মহীন হতে সাহায্য করবেন।
আমরা এখানে তিনটি ধাপ পেলাম চেতনার।
বিষয়টা খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে বাংলাদেশে ধর্মহীন রাজনৈতিক চেতনার ধারক ও বাহক কারা? খোলা চোখে দেখছি ধর্মহীন চেতনার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ, যে দলটির একসময় নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। সভাপতি ছিলেন মওলানা ভাসানী।
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন আওয়ামী লীগে কি তাহলে ধর্মপ্রাণ মানুষ নেই? আমি বলব নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু তারা মনে করেন ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়। রাজনীতির সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন, একসময় চীন, রাশিয়া ও তাদের ভক্ত দেশগুলো ধর্ম নিষিদ্ধ করেছিল। যুক্তি ছিল ধর্ম মানুষকে অন্ধ করে দেয়। যুক্তিহীন করে দেয়। ধর্ম প্রগতির বিরুদ্ধে। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ওই সব দেশে মসজিদ ও গির্জায় তালা লেগে গিয়েছিল। রাষ্ট্রের ভয়ে বড়রা ধর্মচর্চা ছেড়ে দিয়েছিলেন। নবীনেরা ধর্মচর্চা একেবারেই ভুলে গিয়েছিল।
চীন, রাশিয়া আবার ধর্মের স্বাধীনতায় ফিরে গেছে। এখন সেখানে ধর্মচর্চা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্র ধর্মচর্চায় সহযোগিতা না করলেও বাধা দিচ্ছে না। ইউরোপ, আমেরিকায় ধর্মচর্চা বন্ধ হয়নি।
বিষয়টা সত্যি খুবই জরুরী আগামীর বাংলাদেশের জন্য। শাহবাগ থেকে মিরপুর যে সার্কাসের যাত্রা চলছে আমাদের সরকারী প্রযোজনায়। তার রিহার্সসেল কিন্তু আমাদেরকে নিতে হবে। নতুবা কাদের সিদ্দিকীর দশা হতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১১০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন