ইসলামের ইতিহাস প্রশ্ন পত্র - সাহাবী আবুজর গেফারী বনাম আন্না হাজারে -
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০৫ জুন, ২০১৪, ০৪:৪৬:৩৯ বিকাল
প্রশ্নপত্র এভাবেই।আমার বুঝতে সসম্যা হচ্ছে।এটা কি ইসলামের ইতিহাস না অন্য কিছু।অবশ্য আমার জ্ঞানের দৈনতা রয়েছে।একটু বুঝিয়ে বলা যাবে।
সাহাবী আবুজর গেফারী,সাহাবী মুয়াবীয়া,হযরত ওসমান (রাঃ) নাম এসেছে। আমার আপনার ছেলে কি জবাব দিয়েছে। আপনার নিজের উত্তর কেমন হবে।
(নিজে না লিখে স্ক্যান করে দিলাম। প্রশ্ন পত্রের শিরোনাম এবং তিনটি প্রশ্ন।)
বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা কিভাবে চলছে। এই প্রশ্নের উত্তর আমরা প্রতিদিন দেখছি নিয়ন্ত্রিত এবং বংশবদ মিডিয়ায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর মানুষ গড়ার জায়গা নয়। বরং মানবিক,মানবতা,মানুষত্য এগুলো সব ডিজিটাল উন্নয়নে নির্বাসিত।নাস্তিকদের তৈরি করা শিক্ষনীতি মাধ্যমে
আছে শুধু নির্মমতা। বাংলাভাষার প্রধান কবি আল মাহমুদ ৯০ এর দশকে লিখেছিলেন -ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল ডাকতদের গ্রাম।ডিজিটাল বাকশালী সরকারের বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রীর যুগে ডাকতদের গ্রাম এখন সন্ত্রাসী,গুম অপহরনকারী আর যৌন ব্যবসার অভয়ারণ্য।
এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু মাত্র ডাকাত উপহার দিচ্ছে না। বরং একই সাথে - সেরা ডাকাত।নির্মমতার দিক থেকে ভয়ংকর সন্ত্রাসী বের হচ্ছে।
আমাদের চিরায়ত মূল্যবোধের বিপরীত শিকড়হীন বাঙ্গালীপনার নামে নাস্তিক বানাবার কারখানায় পরিণত হয়েছে।
বর্তমান শিক্ষানীতি নিয়ে আর কেউ কথা বলে না। এই শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য কী? গত কয়েক বছরের পাবলিক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র এবং পাশের হার বিবেচনার কেউ নেই।বিএনপি ও জামায়াতের সামগ্রিক ব্যর্থতার মধ্যে এটাও একটা।বামপন্থীর শিক্ষামন্ত্রী যে কাজটি করেছেন - তার ফলাফল এই দুটি দল পাবে আগামীতে। আমার দেশের একটি প্রজন্মকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। পরিকল্পিত প্রতিটি স্তরে সেকুলারের নামে সমাজতান্ত্রিক বস্তুবাদী শিক্ষায় শিক্ষিত করা হচ্ছে। কেউ নেই এগুলোর একাডেমিক আলোচনা করার। আমার মনে পড়ে প্রফেসার মনিরুজ্জামান সাহেবের শিক্ষানীতি সম্পর্কে প্রায় ছয় মাস বাকশালীরা প্রচারণা চালায়। তখন জনকন্ঠে নিয়মিত ক্লাস ভিত্তিক পর্যালোচনা করা হয়েছিল। যদিও ঐ শিক্ষানীতি টা অনেকটা সেকুলার ছিল। বাকশালী ইতিহাসবীদ মুনতাসীর মামুন সহ আরো অনেকে এই কাজটি করেছিলেন।
বিএনপি বা জামায়াতের এরকম কোন সংগঠন,ব্যক্তি আছেন কি না জানিনা।এর কারন হয়তো এই যে, এই দুটি দলের নেতৃত্ব কাঠামোটাই এমন। সব কিছু এক জায়গা থেকে হয়ে থাকে।যারা শিক্ষা সাংস্কৃতিতে কাজ করেন এই দুটি দলের জন্য তারা তাদের নিজের প্রয়োজনে করেন। দল থেকে এর জন্য কোন উৎসাহ বা পরবর্তীতে সরকারে আসলে এই লোকগুলোকে কোন প্রকার হাইলাইট করার প্রয়োজন মনে করে না। এক্ষেত্রে বিএনপির দ্বায়টা বেশী। জামায়াত যা করে তার মধ্যে রয়েছে সিন্ডিকেট সমস্যা। বিএনপি নামক দলটির মধ্যে রয়েছে হিনোমন্যতা।বিএনপির নেতৃত্ব না জাতীয়তাবাদী আর না সেকুলার।সাংস্কৃতিক জগতে বিএনপির মানুষগুলো হিজড়া প্রকৃতির। তারা কাউকে যেমন বিশ্বাস করে না তেমন প্রয়োজন ও মনে করে না।
আওয়ামীলীগের জন্য সুবিধার জায়গাটা হল - তারা বাঙ্গালী রাজনীতি করে। আর তাদের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক জগতটা পরিচালনা করে বামপন্থীরা।
বিএনপি জামায়াত ছাড়া যারা নিজেদেরকে ইসলামের খাটি সেবক মনে করেন তাদের অবস্থা আল্লামা ইকবালে সেই কবিতার মত।
বেকুব মোল্লা মসজিদে একটু সিজদা দেবার অনুমতি পেয়ে মনে করছে এটাই ইসলাম।
(মোল্লা কো মিলা হ্যায় - মসজিদ ম্যে সিজদে কী ইজাজত।নালায়েক্ব .............................. আযাদী।)
আমরা যারা আম পাবলিক তাদের অবস্থা তো ডিজিটাল বাকশাল।কারো কিছু করার নেই। আমার নিজের পয়সায় আমার সন্তানরা নাস্তিক হবে।এটা রুখতে পারবো না।
বিষয়: বিবিধ
২৫৫১ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুবই সত্যি কথা।
সত্যি এবং অত্যন্ত বেদনাদায়ক কথা।
আপনার আবেগ-অনুভূতিকে সমীহ করি
কিন্তু-
রি-অ্যাকটিভ হওয়াটা আমাদের বৈশিষ্ট-
অথচ প্রো-অ্যাকটিভ হওয়াটাই আমাদের আদর্শিক দাবী
ন্যায়পন্থীদের এ দৈন্যতার অবসানে কিছু যোগ্য মানুষের দুঃসাহসী আত্মত্যাগ প্রয়োজন!
কিন্তু দুঃখজনক সত্য এটাই যে,
যোগ্যদের দুঃসাহসের অভাব এবং
দুঃসাহসীদের যোগ্যতা-সংকট
সুতরাং...
রব্বানা... ওয়ায্আললানা মিললাদুনকা ওয়ালিয়্যাওঁ ওয়ায্আললানা মিললাদুনকা নাসীরা
একমত। চেষ্টা করা প্রয়োজন। অনেক সময় পারি না। আপনার দোয়া চাই।
বেশ কয়েক মাস আগে আমিও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটি ব্লগ লিখেছিলাম।
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে লিখিত আমার ব্লগটিতে ভিজিটের আমন্ত্রণ রইল।
আসলে জাতি হিসেবেই আমরা এতই আত্মমর্যাদাবোধহিন হয়ে গিয়েছি যে আমাদের কে নিয়ে কেউ হাসলেও কোন চিন্তা করিনা।
জি ভাই। সাহসটা আমরা বাড়িয়ে দিয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল কখনো আন্না হাজারের পৃষ্ট পোষক ছিলেন বলে শুনিনি। বরং প্রকৃত মানবতাবাদী রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলনের রোল মডেল হিসেবে আরবিন্দ কেজরিওয়ালকেই দেখা গেছে।
হাতে গুনা কয়েকজন বামপন্থী নাস্তিকই আজ আমাদের নীতি নির্ধারকের ভূমিকায় আছে। এটা এমনি এমনি হয়নি। বামপন্থীদের দীর্ঘদিনের গবেষণার ফসলই হলো দেশের প্রচলিত হুজুগে রাজনীতির সুযোগ গ্রহণ করেই তাদের মাস্টারপ্ল্যান ও আদর্শ বাস্তবায়নের প্রাথমিক প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এতে অবশ্য তারা যা আশা করেছিল তার চেয়েও বেশী সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রশ্নপত্রে যা আজকে দেখতে পাচ্ছেন তা হলো তাদের সফলতারই ইংগিত বহণ করে। সুতরাং এ নিয়ে আপনাদের মত ইসলামওয়ালাদের শুধু আহাজারী করেই গলা শুকাতে হবে। আপনারা বড়জোড় যা করতে পারবেন বা যা করতে চেষ্টা করেছিলেন তার বিরোধীতা বা তাকে অঙ্কু্রেই বিনাশ করে দেয়ার জন্য বামপন্থীদের মাঠে ময়দানে বিরোধীতা করার জন্য শক্তি ব্যয় করতে হবে না। আপনারা নিজেরাই নিজেদের শত্রু। ইসলামপন্থীরা অসংখ্য দলে ও গ্রুফে বিভক্ত হয়ে আছেন। এক দল/গ্রুফ আরেক দলের/গ্রুফের চৌদ্দ গোষ্টী উদ্ধারে নিয়োজিত খেকেই আখেরাতে জান্নাতের ঠিকিট সংগ্রহ করতে ব্যস্ততাতেই সময় ব্যায় করতে থাকবেন শুধু। বামপন্থীদেরকে কয়েকটি কারণে ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে। তার মধ্যে একটি হলো তারা বাহ্যিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে যতই দলাদলি যতই গ্রুপিং করুক কেন, হালোয়া রুটি ভক্ষণ এবং নিজেদের ভ্রান্ত আদর্শ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে কোন অজুহাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
আপনারা ইসলামওয়ালা যা শিক্ষা নেওয়ার পরেও পারেন না।
এছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয় আছে।
যেমন -
আমারা সব বিষয়ে সবাই সব কিছু হতে চাই।
আমাদের মধ্যে নিরন্তর প্রচেষ্ঠার অভাব।
আমরা আমাদের কাজের মূল্যায়ণ করি না।
আমরা অন্যকে আমার চাইতে উত্তম,ভালো এটা মানতে পারি না।
ধন্যবাদ আপনাকে। বিষয়টি আরও বাড়িয়ে লিখলে দারুণ খূশী হতাম। বিষয়টি দৃস্টিতে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা।
তাড়াতাড়ি করে লিখতে গিয়ে এমন হয়েছে।
৯৬তে জামায়াত আওয়ামীলীগের যুগপৎ আন্দোলন, শেষে জামায়াতের এককভাবে ইলেকশন থেকে শুরু করে ২০০৮ মইন/ফকরুর সাজানো নির্বাচনে অনিচ্ছাস্বত্বে নির্বাচনে অংশ গ্রহন দায়ও বড় দল হিসেবে বিএনপি এড়ায় কিভাবে?
৯৬/২০০৮ এর প্রেক্ষাপটটা যদি ভিন্ন কৌশলে সামলে নেয়া যেত তাহলে আজ এ পরিস্হিতির উদ্ভব নাও হতে পারত।
বিএনপি তো ঘোষনা দিয়েই বলেছে তারা - বামের ডানে ও ডানের বামের রাজনীতি করেন, তাই নয় কি? পৌরনিক বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে অভ্যস্হ এত বড় এক জনগোষ্টীকে কোনপ্রকার বলপ্রয়োগ ছাড়া মুসলিম সংস্কৃতির সাথে খাপ খাওনোর এর চাইতে উত্তম কোন বিকল্প আছে কি?
একটু বেশী বলে ফেললাম মনে হচ্ছে ? আমি আবার রাজনীতিতে ভীষন কাঁচা।
ধন্যবাদ আপনার লেখা ভালো লাগল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন