হেফাজতে ইসলাম,আহলে হাদীস এবং দরদি বন্ধু সেকুলার রাজনীতি।পর্ব - (চার)

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০৪ মে, ২০১৪, ০৪:১৮:০২ বিকাল

তৃতীয় পর্বের পর -

সাত

প্রথম তিনটি পর্ব ব্লগে প্রকাশিত হবার পর বেশ কিছু মন্তব্য পেয়েছি ব্লগার ছাড়া আমার মেইলে। যা নিয়ে আজকের পর্বের কিছু কথা।বাধ্য হয়ে লিখছি।আমাদের ভাইদের মনোজগতটা কেমন - আচরণে কেমন প্রান্তিক হই।

=================================

লন্ডন থেকে এক ভাই লিখেছেন - আপনার জাহান্নামে যাবার জন্য এই লেখাই যথেষ্ট।তওবা করুন।

=================================

আরেকজন (বাংলাদেশ থেকে) খুবই দরদ দিয়ে লিখেছেন -আপনি আকাবীরীন সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। তাই এমন ভুল করছেন। এতে আপনার প্রতি করুণা হয়। তিনি দাবী করেছেন - যতটুকু ইসলাম আছে উপমহাদেশে - তার সবটুকুন কৃতিত্ব হল ওলামায়ে দেওবন্দের।

==================================

তৃতীয় একটি মেইল পেয়েছি - যিনি সউদি আরবের প্রবাসী। তিনি আমার ওপর ফতোয়া জারি করেছেন।লিখেছেন - 'আমি আহলে সুন্নাতের আকাবীরীনদের বিষয়ে বাজে মন্তব্য করার কারনে মিল্লাতে ইসলামীয়া থেকে খারিজ হয়েছি। তওবা ছাড়া উপায় নেই'।

====================================

চতুর্থ মেইলটি আমাকে বেশী আকৃষ্ট করেছে। তিনি বলেছেন - জামায়াত প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত যা করেছে, তা উম্মাতের জন্য কল্যাণকর কিছু করেনি।বরং এটা একটা বাতিল ফেরকা তা প্রমানিত।আল্লামা সাঈদি সাহেব সম্পর্কে খুবই বাজে মন্তব্য করেছেন।সেগুলো শেয়ার করার মত নয়।

সাঈদী সাহেবের তাফসীর কোন তাফসীর ই না। বরং এগুলো হল মানুষকে সিরাতুল মুস্তাকিম থেকে দুরে রাখার ইয়াহুদি কৌশল। আরো অনেক কথা।তিনি সাঈদী সাহেব সম্পর্কে আপত্তি করতে গিয়ে জামায়াতের জনশক্তিকে একেবারে মুসলমান থেকে খারিজ করেছেন।

===================================

বলা যায় - প্রথম তিনটিই আমার সম্পর্কে। এবং এগুলোর দায়িত্ব আমার নিজের। তওবা করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই করবো।এবং প্রতিটি জান্নাত প্রত্যাশী মানুষের তওবা করা উচিত বলে মনে করি।

চতুর্থ প্রশ্ন সম্পর্কে কিছু লেখা প্রয়োজন।আমি বিস্তারিত বা ইতিহাস না লিখে বরং পয়েন্ট ভিত্তিক কিছু প্রশ্ন রাখছি।আশা করি বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য পাবো।

====================================

(আট)

ইখতেলাফ না তাফরেক্কা -

দেওবন্দী হাজারাতের সাথে দেশের বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলনের (জামায়াতে ইসলামী) মধ্যে সমস্যা কী? এগুলো শুধু ইখতেলাফ (মতপার্থক্য) যা দ্বীনের মৌলিক বিষয় নিয়ে।না - এটা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত তাফরেক্কা? বিষয়টা নিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে চিন্তা করা প্রয়োজন।কেন প্রয়োজন তার জলন্ত একটি উদাহারণ দেই।

একটা সময় ছিল - ক্কাওমী মাদ্রাসাগুলোতে ইংরেজী পড়ানো হত না। কারন - এই ভাষা ছিল ইংরেজের। বিধর্মীর ভাষা পড়া হারাম। এরকম ফতোয়া দিয়ে তিনটি প্রজন্মকে পিছনে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এখন অবশ্য ক্বাওমী মাদ্রাসাগুলোতে নিচের ক্লাসগুলোতে কিছু ইংরেজী সংযোজন করা হয়েছে।

প্রশ্ন হল - যে সমস্ত আকাবীরীনরা ইংরেজী পড়া হারাম বলেছিলেন - তাদের এই বিবেচনা (আমি ফতোয়া বলতে নারায) ভূল ছিল। আর এই ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে এবং বর্তমানে হচ্ছে।

আবার ইসলামে যা হারাম হয় তা সবসময়ের জন্যই হারাম। সময়ের কারনে তা হারাম আবার হালাল হয়ে যায় না। একমাত্র শরয়ী ওযর (কারণ) পাওয়া না গেলে।বিষয়টা একবারে উসুলের (ইসলামী নীতিমালা) কথা।একটি মোবাহ (কোন কোন ক্ষেত্রে) বিষয়কে নিয়ে যে আহম্মকী করা হল তার দায়িত্বটা কে নেবে?

আমার মনে হয় - এই বোধ বা চেতনা আমাদের ক্বাওমী নতুন প্রজন্ম বুঝতে শুরু করেছে।

আরেকটি উদাহরণ দেই।

ওমরা করতে এসেছিলেন সাবেক ইসলামিক টিভির বড় কর্মকর্তা। তিনি দেশে পরিচিত একজন ক্বাওমী আধুনিক আলেম। ওমরা শেষে জেদ্দায় একটি সুধী প্রোগ্রাম হয়। এই প্রোগ্রামে দাওয়াত করা হয় ক্বাওমী আলেম ওলামাদের। অবশ্য তার সাথে সফর সঙ্গী ছিলেন আরেকজন বড় আলেম। যিনি খুবই পরিচিত ওয়াইজ (মাহফিল করেন)। তাদের উপস্থিতিতেই প্রবাসী ক্বাওমী ওলামারা ইসলামিক টিভির বেশ সমালোচনা করেন। সমালোচনার লক্ষ বস্তু ছিল বেচারা জামায়াত।

অভিযোগের মুল বিষয়গুলো ছিল এমন -

# কেন জামায়াতের আলেমদেরকে নিয়ে আসা হয় ইসলামিক টিভিতে?

# কেন সাইমুমের গান গাওয়া হয়?

# কেন ক্কাওমী বড় বড় শাইখদের আনা হয় না?

# দাস্তারবান্দী মাহফিলগুলোকে কেন লাইভ দেখানো হয় না?

আরো অনেক অভিযোগ। ইসলামিক টিভির দায়িত্বশীল সবগুলো নোট করলেন। যখন তার বক্তৃতার সময় হল। তখন তিনি বললেন - আপনারা এতক্ষণ বলেছেন। আমি শুনেছি। কোন কথা বলেনি। আপনাদের এই প্রশ্ন গুলোর সাথে আমি একমত। আমার ও দাবি হল আপনাদের মত।আমার সাধ্যের মধ্যে হলে তাই করতাম।কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

বাস্তবতাটা কেমন তা আপনাদেরকে শুনার জন্য অনুরুধ করছি।আমরা ইসলামিক টিভি করার পর যখন প্রথম লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেই, তখন যতগুলো আবেদন পেয়েছিলাম - তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি আবেদন - ক্বাওমী মাছলাকের ছেলেদের ছিল।বাকি সবগুলো ছিল জামায়াত শিবিরের। বার বার সময় বাড়ানোর পর ও কাউকে পাইনি। এটা হল বাস্তবতা। এখন কাকে দায়ী করবো - বলূন।

আমাদের আকাবীররা ফতোয়া দিলেন ইংরেজী পড়া হারাম। তার খেসারত এখন পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। মাদ্রাসায় পড়ানো,মসজিদে ইমামতি করা,বড় খতম পড়া,ওয়াজ নসীহত করা এগুলো দ্বীনের আমানতদার হিসাবে আপনাদের দায়িত্ব।কিন্তু একটা টিভি চালাতে হলে শিক্ষিত এবং প্রফেশনাল লোকের বিকল্প নেই।

আপনাদের দ্বিতীয় প্রশ্ন হল -

জামায়াতের আলেমদের কেন সব প্রেগ্রামে নিয়ে আসি। আমি যদি বলি - তারা যোগ্য। তারা যুগ জিজ্ঞাসার জবাব দিতে পারে। তাদের কাছে সব ইনফরমেশন আপডেট থাকে।তারা সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। জামায়াতের আলেমদের যেমন দুনিয়ার ডিগ্রি আছে তেমন দ্বীনকে সহজ ভাষায় উপস্থাপনার যোগ্যতা আছে।

ইসলামিক টিভি বাংলাতে চলে। আপনাদের কয়জন শুদ্ধ বাংলা বলতে পারেন? যাদের কথা চিন্তা করে এই প্রশ্ন তুলেছেন - তারা বাংলায় দশ মিনিট কথা বলতে পারবেন? টিভিতে প্রোগ্রাম করতে গিয়ে মাওলানা রুমির কসিদা পড়লে দর্শকপ্রিয়তা পাবে না। এগুলো বাস্তবতা। এতগুলো শক্ত কথা বললেও তিনি উত্তেজিত হননি। মনে হল কথাগুলো তার ভিতর থেকে উচ্ছারিত হচ্ছে।

তার পর তিনি বেশ কিছু প্রস্তাব করেন।

আমি খুব মজা পাচ্ছিলাম। একটা কাজের কাজ হয়েছে।এই কথাগুলো আমাদের মুখ থেকে বলা হলে - আকাবিরীনদের নামে গোস্তাকী করার জন্য তওবা করতে হত।আ'মাল নষ্ট হয়ে যেত। দায়িযূস হবার তকমা লাগতো।ঘটনা এখানে শেষ।

====================================

আমার ব্যক্তিগত মত হল - যে সমস্ত ইখতেলাফ আছে জামায়াতের সাথে, সেগুলো সবই গোষ্ঠীগত এবং ব্যক্তিগত। এর প্রমান দিয়েছেন অনেকবার। কারাবন্দী মজলূম অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের একটি বই আছে। এখনো বাজারে পাওয়া যাবার কথা।বইটির নাম মন হয় 'ঐক্য প্রচেষ্টা বা একম কিছু'। আরেকটি বইতে বিস্তারিত পাবেন - 'জীবনে যা দেখলাম'। তিনি নির্মোহ থেকেই লিখেছেন। কিভাবে আমাদের এই হাজারাত তাদের গোষ্ঠীগত,ব্যক্তিগত চিন্তা চেতনার বাহিরে বৃহত্তর পরিসরে ইসলাম মুসলামানের পক্ষে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনে বড় বাধা।

এর প্রমান আগে তারা দিয়েছিলেন। আর এবার ও হেফাজতের নামে দিয়েছেন। চিন্তা হয় - শাপলা চত্তরের শহীদরা যখন কিয়ামতে দাঁড়াবে,তখন কি জবাব দিবেন?

আগামী পর্ব - পাঁচ।

=======

তৃতীয় পর্বের লিংক -

http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1876/IBNAHMED/44143

বিষয়: বিবিধ

১৬৪১ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

217333
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
সাদাচোখে লিখেছেন : একজন সাধারন সচেতন মুসলিম হিসাবে - আমি আমার নেতৃস্থানীয় যে কোন ব্যাক্তি কিংবা ব্যাক্তিবর্গকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই দোষী সাব্যস্থ করি এবং করবো - যদি তিনি বা তারা তাদের ব্যক্তিগত, গোষ্ঠিগত, সংগঠনগত স্বার্থকে ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থের উপরে স্থান দেন।

আর বক্তৃতা, বিবৃতি, লিখনী, শিক্ষা, দাওয়াহ ইত্যাদি পরিচালনায় তথাকথিত কৌশলী, ডিপ্লোমেটিক, দুনিয়াবী, হেকমতিয় কিংবা অন্য কোন টার্মের বেড়াজালে আওতায় মূলতঃ নিজের ধ্যান-ধারনা, নিজের ব্যাক্তিগত, দলীয় কিংবা গোত্রীয় স্বার্থকে ইসলামের শিক্ষা ও মুসলিমদের স্বার্থের উপরে স্থান দেন।

একজন সাধারন মুসলিম হিসাবে - আমি প্রত্যাশা করি এবং আহ্বান করি আমাদের নেতাদের - দয়া করে নিজেদের সংগঠনকে ইসলামের উপর প্রাধান্য না দিয়ে - ইসলামের জন্য নিজেদের মতপার্থক্যগুলোকে মুছে ফেলুন - না পারলে গৌন করে ফেলুন এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য নতুন নতুন কার্যক্রম হাতে নিন, একে অন্যকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করুন - যাতে মুসলিমের স্বার্থ সংরক্ষন হয়, মানবতার স্বার্থ সংরক্ষন হয়, ইসলাম স্থাপিত হয়।
দয়া করে কেয়ামতের সাইন সমূহ পর্যালোচনা করুন এবং নিজেকে কেয়ামতের সাইনের আর একটি নিয়ামক হতে দুরে রাখুন।

লিখককে ধন্যবাদ গঠনমূলক ও থট প্রবোকিং লিখার জন্য।

জাজাক আল্লাহ খায়ের।
217345
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : একজন সাধারন মুসলিম হিসাবে - আমি প্রত্যাশা করি এবং আহ্বান করি আমাদের নেতাদের - দয়া করে নিজেদের সংগঠনকে ইসলামের উপর প্রাধান্য না দিয়ে - ইসলামের জন্য নিজেদের মতপার্থক্যগুলোকে মুছে ফেলুন - না পারলে গৌন করে ফেলুন এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য নতুন নতুন কার্যক্রম হাতে নিন, একে অন্যকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করুন - যাতে মুসলিমের স্বার্থ সংরক্ষন হয়, মানবতার স্বার্থ সংরক্ষন হয়, ইসলাম স্থাপিত হয়।
আমি আপনার সাথে একমত।
এই কাজটা খুব কঠিন নয়। এই কাজটা করার জন্য আপনার দেয়া পরামর্শই যথেষ্ট মনে করি।
যাজাকাল্লাহু খাইর।
217365
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৪১
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫১
165562
আবু সাইফ লিখেছেন : সত্যিই অনেক পথ বাকি!!

সাইয়্যেদ মওদুদী (রাহ)র একটা বই পড়েছিলাম "ফিতনায়ে তাকফীর"- সম্ভবতঃ পাকিস্তান আমলে লেখা

মনে হয় যেন সাম্প্রতিক লেখা!!

আপনার এ সিরিজ লেখাটি যেন অ-নে-ক দীর্ঘ হয় এবং মুদ্রিত হয়ে ভবিষ্যতের জন্য রেফারেন্স বুক হতে পারে!!

হয়তো এসব হৃদয়বিদারক ইতিহাসই একসময় বিবেকবানদের জন্য ঐক্যের মঞ্চ তৈরী করবে ইনশাআল্লাহ!!

Praying Praying Praying Praying
০৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
165569
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনি কষ্ট করে পড়েছেন - এজন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
217382
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৩
আবু সাইফ লিখেছেন : ওহ্‌ হো.. কোথায় লিখলাম At Wits' End At Wits' End At Wits' End


সত্যিই অনেক পথ বাকি!!

সাইয়্যেদ মওদুদী (রাহ)র একটা বই পড়েছিলাম "ফিতনায়ে তাকফীর"- সম্ভবতঃ পাকিস্তান আমলে লেখা

মনে হয় যেন সাম্প্রতিক লেখা!!

আপনার এ সিরিজ লেখাটি যেন অ-নে-ক দীর্ঘ হয় এবং মুদ্রিত হয়ে ভবিষ্যতের জন্য রেফারেন্স বুক হতে পারে!!

হয়তো এসব হৃদয়বিদারক ইতিহাসই একসময় বিবেকবানদের জন্য ঐক্যের মঞ্চ তৈরী করবে ইনশাআল্লাহ!!

Praying Praying Praying Praying
০৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৭
165571
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার দোয়া ও পরামর্শ প্রয়োজন। নিজের প্রয়োজনে লিখছি। কারন আমাদের বর্তমান অবস্থা আমাদেরকে এমন এক পর্যায় নিয়ে যাচ্ছে -যেখান থেকে ফেরত আসা বা আবার আগের জায়গায় যাওয়া খুবই সময় লাগতে পারে। আল্লাহ সহায়।
217385
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
আঁধার কালো লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ।
217393
০৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৪
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে ও ধন্যবাদ। আপনার মতামত পেলে আরো বেশী খুশী হতাম।
217428
০৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
আহমদ মুসা লিখেছেন : সাত নাম্বার পয়েন্ট পড়ে আমি নিজেও তো ভয়ে পেয়ে গেছি, না জানি আমার সম্পর্কে কি ধরনের ফতওয়া দেয়া হয়েছে মেইলগুলোতে। আমি বেশ লম্বা লম্বা কিছু মন্তব্য করেছিলাম আগের পর্বগুলোতে।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
165809
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আমার আপনার উদ্দেশ্য সঠিক এবং নির্ভুল হলে ইনশাআল্লাহ এরকম বাজারী মন্তব্য (ফতওয়া নয়) কিছু আসে যায় না। লিখুন এবং পর্যালোচনা ও আমার ভুল গুলো ধরিয়ে সকলের জন্য প্রানবন্ত করুণ। আপনাকে মোবারকবাদ।
217453
০৪ মে ২০১৪ রাত ০৮:২৪
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় আলেম যিনি নিজেও দেওবন্দী দরসে তালিম হাসিল করেছেন, যাকে ওলামায়ে দেওবন্দীরা এক সময়ে মাথার তাজ হিসেবে গর্ভ করতো এবং ভেরলভী-শিয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গোমরাহী ও বিভ্রান্তিকর ফিতনার দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে ডিবেইট করতেন। যার নাম শুনলে পর্যন্ত ভেরলভী বেদআতপন্থীরা ভয়ে কাপতো সেই বিখ্যাত মোনাজির মাওলানা সাদিক কৌহাটী সাহেবের উক্তি ও মন্তব্য দেখুন ওলামায়ে দেওবন্দ ও তাদের আকাবের ব্যাপারে।
০৪ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩৩
165627
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : ইউটিউবে moulana sadiq kohati লিখে চার্স দিলেই আপনি অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।
০৪ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩৫
165630
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আমার দেয়া লিংক গুলো দেখার আগে যদি আপনি মাওলানা সাদেক কৌহাটী সাহেবের পূর্বের মোনাজেরা গুলো দেখার সুযোগ হয় তবে তার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার সুযোগ হবে।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
165810
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : শুরু করেছি দেখা। শেষ করে মন্তব্য করবো।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি আসলে একজন ------।
217478
০৪ মে ২০১৪ রাত ০৯:২৬
শেখের পোলা লিখেছেন : আহমদ ভাই, ছোট্ট একটি মুবারকবাদ৷ ধৈর্য ধরে সব সমালোচনা ফতোয়া এড়িয়ে গন্তব্যে অটল থাকুন৷
সুরা রূমের ৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ রসুল সঃ কে বলেছেন; "আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না৷ আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াত সমূহে বিশ্বাস করে, কারণ তারা মুসলীম (আত্মসপর্ণকারী)৷"
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
165811
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার সাথে একমত। দোয়া করবেন। আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য মোবারকবাদ।
১০
217540
০৫ মে ২০১৪ রাত ১২:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : দেওবন্দি ধারার আলেমদের অধিকাংশ (সকলে নয় অবশ্যই)কথা বা ওয়াজ শুনে আমার মনে পরে কাজি নজরুল ইসলামের চরনদুটি।
"বিশ্ব যখন চলছে এগিয়ে আমরা হটছি পিছে।
বিবি তালাকের ফতোওয়া খুজছি ফেকা ও হাদিস চষে"
দেওবন্দি ধারার আলিমরা প্রধানত যে বিষয় নিয়ে তর্ক করেন তা হচ্ছে তাদের উস্তাদরা যা বলেছেন তা নিয়ে। নিজেদের নতুন কিছু নিয়ে নয়। সামান্য মতবিরোধ হলেই ইসলাম থেকে খারিজ করে দেন তারা। আরজ আলি মাতুব্বর এর নাস্তিকতা গ্রহন এর কারন হিসেবে তিনি যা বলেছেন তা হচ্ছে তার মা যিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন মৃত্যুর পর তার ছবি তুলা হয়। এই অপরাধে!! তার জানাজা পড়ান হয়নি। এভাবে বিতর্ক তুলে আমাদের অনেককেই ইসলাম থেকে দুরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে ইসলাম এর দাবিদার দের ভুল এবং জিদ এর কারনে।
০৫ মে ২০১৪ সকাল ১০:২৫
165780
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : শতভাগ একমত পোষণ করলাম।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
165812
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : এভাবে ফতোয়া দিয়ে যত লোককে দ্বীনের ব্যাপারে সন্দিহান করেছেন আমাদের আকাবীরীন এ দেওবন্দ। তার হাজার ভাগের একভাগও ঐক্য এবং উম্মাহকে এক করার জন্য সময় দেন নি। এটাই বাস্তবতা। দোয়া করুন।
১১
217588
০৫ মে ২০১৪ রাত ০৪:১৮
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : জনাব, আপনি যে ম্যাসেজের কথা বললেন তা আরো আসবে এবং শেষ পর্যন্ত আপনাকে কাফের ফতোয়া দেয়া হতে পারে। এছাড়া যে ওদের আর কিছু দেয়ার নেই। আপনার একটি কথারও যৌক্তিক জবাব দেয়ার যোগ্যতাও নেই ওদের। অতএব সামনে চলুন আল্লাহর উপর ভরসা করে।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
165813
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : জি ভাই ভরসা তো একমাত্র তাকে করতে হবে। যিনি আমাকে আপনাকে পাঠিয়েছেন। অবশ্য যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার সঠিক রুপায়ন আমাদের জীবনে করতে হবে। এর জন্য আল্লাহর সাহায্য এবং নিজেদের প্রচেষ্টার প্রয়োজন। দোয়া প্রার্থী।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
165814
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : জি ভাই ভরসা তো একমাত্র তাকে করতে হবে। যিনি আমাকে আপনাকে পাঠিয়েছেন। অবশ্য যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার সঠিক রুপায়ন আমাদের জীবনে করতে হবে। এর জন্য আল্লাহর সাহায্য এবং নিজেদের প্রচেষ্টার প্রয়োজন। দোয়া প্রার্থী।
১২
217619
০৫ মে ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : তারা যুক্তি পারেনা। যুগ জিজ্ঞাসার জবাব দিতে জানেনা। জানে শুধু উদ্ভট ফতোয়া দিতে।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
165815
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আমাদের প্রেসিডেন্ট সাহেবের মন্তব্য আরো বড় এবং পর্যালোচনা মূলক চাই। ধন্যবাদ।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০৯
165817
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আমি অনেক বই সংগ্রহ করছি। নির্ভরযোগ্য কিছু কুরআন এর তাফসীর, সহীহ হাদীস গ্রন্থ, খ্যাতিমান আলেমদের বিভিন্ন গ্রন্থ এর পাশাপাশি সাধারণ মাদ্রাসা ও কওমী মাদ্রাসা এর কামিল সিলেবাসভুক্ত সকল বই অধ্যয়ন করবো ইনশাল্লাহ। এরপর এ নিয়ে ধারাবাহিক লেখার ইচ্ছে আছে। তবে সময় লাগবে। আগে আরো স্টাডি করে নিই।
১৩
217647
০৫ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
আয়নাশাহ লিখেছেন : ইসলামকে সমপুর্ন ভুল ভাবে অন্য সব ধর্মের মতো নিছক একটা ধর্ম হিসাবে এই উপমহা দেশে পরিচিত করার মতো ঘৃণ্য এবং অমোচনীয় পাপ কাজটার শুরু করা হয়েছিল সিলসিলা ওয়ালা দের দ্বারা। আর সেই কাজের পূর্ণতা দিতে সকল শক্তি দিয়ে দেওবন্দিরা সারা জীবন ধরেই যুদ্ধ করে চলেছেন। একেবারে ব্রাহ্মন্যবাদের আদলে তারা 'যযমান' সৃষ্টি করলেন নাম দিলেন মুরীদ, শ্রাদ্ধের নাম দিলেন চল্লিশা, কীর্তনের নাম হল মিলাদ, দক্ষিণার নাম করে দিলেন হাদিয়া, প্রসাদের নাম হয়ে গেলো শিরনি। বেদবাক্য পড়া বা শুনা যেমন ব্রাহ্মন্যবাদে নিষিদ্ধ তেমনি সাধারন মুসলমানদেরকে কুরআন হাদিস পড়া এবং বুঝা থেকে নিব্ৃত্ত করতে ফতোয়া জারী করে দিলেন যে ওটা কেবল দেওবন্দিদের কাজ, অন্য কারো পক্ষে তা করা মোটেই চলবে না।

এই ঠকাদারী তারা কোথায় পেয়েছিলেন তা কিন্তু তারা কক্ষনও বলেন না। এই সেদিন পর্যন্ত তারা বাংলায় ইসলামি পুস্তকাদি অনুবাদ এবং প্রকাশ করাকে প্রকাশ্যে নিরুৎসাহিত করেছেন এবং ক্ষেত্র বিশেষে গালমন্দও করেছেন। তবে অবস্থা তাদের অনুকুলে থাকেনি। এখন হাজার হাজার গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ হয়ে সাধারন মুসলমান্ দের কাছে পৌঁছে গেছে যাতে তাদের রুটি রুজীর উপর আঘাত কিছুটা হলেও পড়েছে।
যা হোক, আপনার লেখা অব্যবাহত রাখুন। আমাদেরকে আপডেটেড রাখুন।
ধন্যবাদ।
১৪
217663
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আর সেই কাজের পূর্ণতা দিতে সকল শক্তি দিয়ে দেওবন্দিরা সারা জীবন ধরেই যুদ্ধ করে চলেছেন।
আপনি এ বিষয়ে লিখলে আমার মত কাচা হাতে লেখা লাগতো না।
আমরা প্রত্যাশা করি আপনি লিখবেন। আপনার মন্তব্যটা আমি কপি করলাম।
কারন আমার ধারণা এমন - এরা খন্ডিত ইসলামকে ই আসল ইসলাম মনে করে উম্মাহ সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে।
১৫
217685
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আমি আসলে ..............শুন্যস্থানে কি?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File